মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সাফল্য, সন্তুষ্টি আর সক্ষমতার সেতু

সরকারি প্রচারণা, মানুষের আগ্রহ আর পদ্মার দুই তীরের মানুষের চোখে প্রত্যাশা পুরণের আনন্দ পদ্মা সেতু নিয়ে।পদ্মা সেতু সংযুক্ত করছে পদ্মা নদীর দুই তীর। পদ্মা সেতু শুধুমাত্র গতিশীল নদীর উপর নির্মিত ঝুকিপুর্ণ সেতুই নয় এর নির্মাণ শৈলী,বিশালত্ব,ব্যয়বহুলতার সমস্ত দিক ছাপিয়ে হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক বিতর্কের সেতু।

১৯৯৮ সালে প্রাক্-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে পদ্মা সেতু প্রকল্পের যাত্রা শুরু। নির্মাণ শেষে সেতুর উদ্বোধন হলো ২০২২ সালের ২৫ জুন। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। যার মধ্যে মূল সেতুর নির্মাণব্যয় ১২ হাজার১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, নদীশাসনে আট হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা, সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া নির্মাণে এক হাজার ৭২১ কোটি ১০ লাখ টাকা, পরামর্শক ব্যয় এক হাজার ৯০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা আর জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য ব্যয় ছয় হাজার ৫৪০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এই ব্যয় যথার্থ কিনা তা নিয়ে বিতর্ক চলবে অনেকদিন।

প্রথম থেকেই পদ্মা সেতুর নির্মাণ নিয়ে নানা সমালোচনা ও বিরোধিতার অভিযোগ ছিল। বিরোধিতাকে পুঁজি করে পাল্টা আক্রমণও চলেছে, চলেছে কথার লড়াই। দেশীয়, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শক্ত অভিযোগ করা হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে। আছে বাস্তব-অবাস্তব নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ। দফায় দফায় খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেশি টাকা ব্যয় এবং উচ্চহারে টোল ধার্য করার সমালোচনাও আছে। কিন্তু সব সত্ত্বেও পদ্মা সেতু এখন সরকারের সাফল্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের শুরু থেকে এই সেতু নিয়ে অসংখ্য সংবাদ হয়েছে। লেখা হয়েছে বিস্তর সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়; নানাদিক থেকে করা হয়েছে বিশ্লেষণ। কতশত ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন যে প্রকাশিত হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। বাংলাদেশের পত্রিকা, টেলিভিশন, অনলাইন, ফেসবুক পেজ, ইউটিউব, ব্লগ মিলে কত খবরের উৎস হয়েছে পদ্মা সেতু। সার্চ ইঞ্জিন গুগল থেকে জানা যাচ্ছে পদ্মা সেতু নিয়ে গত কয়েক বছরে অন্তত আড়াই কোটি প্রতিবেদন হয়েছে। পদ্মা সেতুর পাইলিং, পিলার স্থাপন, স্প্যান বসানো সবকিছুই ছিল সংবাদ শিরোনাম। গুগলে ইংরেজি পদ্মা ব্রিজ নিউজ লিখে সার্চ দিলে এক কোটি ২৩ লাখ খবরের লিংক পাওয়া যায়। ইংরেজিতে শুধু পদ্মা ব্রিজ লিখলে ৬০ লাখ ১০ হাজার খবরের লিংক পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে ছবি, ভিডিও, ওয়েবসাইট থাকলেও বেশির ভাগই পদ্মা সেতু নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ।

গুগলে বাংলায় পদ্মা সেতুর সংবাদ লিখে সার্চ দিলে ১৪ লাখের মতো খবরের লিংক পাওয়া যায়। আর বাংলায় পদ্মা সেতুর নিউজ লিখে সার্চ দিলে পাওয়া যায় ১৬ লাখ ২০ হাজার লিংক। শুধু পদ্মা সেতু লিখলে পাওয়া যায় ৩৬ লাখ লিংক। এই লিংকগুলোতে পদ্মা সেতু নিয়ে করা বিভিন্ন প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সেতু নিয়ে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু নিশ্চয়ই বিশ্বের অন্যতম আলোচিত সেতু।

পদ্মা সেতুর টোল হার কেমন হবে তা নিয়েও বিতর্ক আছে। সেতুতে চলাচলকারি যানবাহনের টোল ধার্য করে প্রদত্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, মোটর সাইকেলের জন্য টোলের হার ১০০ টাকা; কার, জিপ ৭৫০ টাকা; পিকআপ ভ্যান ১ হাজার ২০০ টাকা; মাইক্রোবাস ১ হাজার ৩০০ টাকা; ছোট বাস (৩১ আসন বা তার কম) ১ হাজার ৪০০টাকা; মাঝারি বাস (৩২ আসন বা তার বেশি) ২ হাজার টাকা; বড় বাস (৩ এক্সেল) ২ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ছোট ট্রাকের জন্য (৫ টন পর্যন্ত) ১ হাজার ৬০০ টাকা; মাঝারি ট্রাক (৫ থেকে ৮ টন পর্যন্ত) ২ হাজার ১০০টাকা; মাঝারি ট্রাক (৮ থেকে ১১ টন পর্যন্ত) ২ হাজার ৮০০ টাকা; বড় ট্রাক (৩ এক্সেল পর্যন্ত) ৫ হাজার ৫০০ টাকা; ট্রেইলার (৪ এক্সেল পর্যন্ত) ৬ হাজার টাকা এবং ট্রেইলার (৪ এক্সেলের অধিক) ৬ হাজার টাকার সঙ্গে প্রতি এক্সেলের জন্য ১ হাজার ৫০০ টাকা যুক্ত হবে। পদ্মা সেতু নিয়ে প্রাথমিক উচ্ছাসের পর এই টোল হার নিয়ে আলোচনা আবার সামনে আসবে।

বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা ও জটিল প্রকৃতির নদী পদ্মা। এর বুকে সেতু নির্মাণও তাই জটিল কাজ। এ জন্য পদ্মাসেতুর তদারক থেকে শুরু করে নির্মাণ কাজ সম্পুর্ণ করা পর্যন্ত দেশের এবং বিশ্বের সেরা মেধাগুলোকেই যুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। বড় অবকাঠামো নির্মাণে অভিজ্ঞ বহু দেশের নাগরিকেরাই এ প্রকল্পে কাজ করেছেন, করছেন।

পদ্মা সেতু যেমন বহুমুখী সেতু তেমনি এর নির্মাণেও আছে বহুদেশ আর বহু মানুষের অংশগ্রহণ। সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, বর্তমানে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নদীশাসন ও মূল সেতুর কাজে চার হাজারের বেশি কর্মী কাজ করেছেন। এদের মধ্যে চীনের কর্মী আছেন এক হাজারের মতো। এ ছাড়া জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাষ্ট্রের লোকজনও কাজ করেছেন।

পরামর্শক দলে কাজ করেছেন কমবেশি ১৪টি দেশের প্রকৌশলীরা। দেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, ভারত, নেপাল, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইতালি ও নেদারল্যান্ডস।
প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত স্টিলের সব কাঠামো চীন থেকে এসেছে। রেলের গার্ডার (স্ট্রিনজার) এসেছে লুক্সেমবার্গ থেকে। প্রকল্পে যত রড এবং সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়েছে, এর সবই বাংলাদেশে উৎপাদিত। তবে অস্ট্রেলিয়া থেকে কিছু অতি মিহি সিমেন্টও ব্যবহৃত হয়েছে। সংযোগ সড়কসহ কিছু স্থাপনা নির্মাণে মধ্যপাড়া কঠিন শিলাখনি থেকে পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। এর বাইরে বেশির ভাগ পাথর ব্যবহৃত হয়েছে ভারত, দুবাই, ওমান ও ভিয়েতনামের।

পৃথিবীর বৃহত্তম ড্রেজার গুলোর মধ্যে তিনটি পদ্মা সেতুর কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। এগুলো নেদারল্যান্ডস থেকে আনা হয়। পাইল বসানোর জন্য হাইড্রোলিক হাতুড়ি (হ্যামার) এসেছে জার্মানি থেকে। সবচেয়ে বড় হ্যামারটির ক্ষমতা তিন হাজার কিলোজুল। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে আনা যন্ত্রপাতিও ব্যবহৃত হয়েছে। আর ব্যবহৃত বাকি সব যন্ত্রপাতি চীনের। বিভিন্ন সময় ১৭টি বড় বড় ক্রেন ও ভারী যন্ত্রপাতি একসঙ্গে কাজ করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেনটি প্রায় চার হাজার টন ক্ষমতাসম্পন্ন। এটি দিয়েই ৩ হাজার ২০০ টন ওজনের ইস্পাতের স্প্যান বসানো হয়েছে। পদ্মাসেতু তাই আন্তর্জাতিক জ্ঞান ও দক্ষতার এক সম্মিলনও বটে।

বাংলাদেশকে বলা হতো নদী মাতৃক দেশ। দেশ জুড়ে একে বেকে বয়ে যাওয়া শত শত নদীর দেশ বাংলাদেশ। কিন্তু এখন দেশের বুক চিড়ে অসংখ্য রাস্তা আর নদীর বুকে অসংখ্য সেতু। দেশকে এখন সেতু মাতৃক দেশ বললে কি অতিরঞ্জন হবে? বাংলাদেশের জনগনের টাকায় নির্মিত পদ্মা সেতু নিশ্চয়ই জাতির অর্থনৈতিক সক্ষমতার পরিচয় বহন করে। এর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সরকারের দৃঢ়তা লক্ষ্যনীয়। নির্মাণের ক্ষেত্রে চীনের কারিগরি কুশলতা, পদ্মার মত গভীর, তীব্র স্রোত সম্পন্ন এবং ভাঙন প্রবণ নদীকে নিয়ন্ত্রণ করে সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করার দক্ষতা প্রশংসনীয় । সেতুর উপর চলবে গাড়ি, যদিও ভাড়া বাড়বে তবুও সহজ হবে মানুষের যাতায়াত, জিডিপিতে প্রভাব পড়বে এবং দেড় শতাংশ বাড়বে বলে হিসাব করা হচ্ছে। কিন্ত পদ্মা সেতু বৈষম্য কমাবে কি না সেকথা কেউ বলছেন না।

যমুনা সেতু হয়েছে কিন্তু উত্তরবঙ্গের কৃষকের দুর্দশা যেমন কমেনি পদ্মা সেতুর প্রভাব তেমন হোক এটা জনগন চায় না। পদ্মা সেতু নির্মাণের সাফল্য সরকার দাবি করুক কিন্তু সুফল যেন জনগন পায় সেটাই তো কাম্য হওয়া উচিত। দৃশ্যমান সাফল্য স্থায়ী হোক সঙ্গে সঙ্গে জনগনের অদৃশ্য শত্রু শোষণ ও প্রকাশ্য ফলাফল যে বৈষম্য তা যেন দুরীভূত হয় সেটাই গণমানুষের আশা। সাফল্য যেন অহমিকায় পরিনত হয়ে প্রতিপক্ষকে না করে বরং জনগণের সন্তষ্টির অনায়াসেই চাওয়া কী একটু বেশি চাওয়া হবে?

লেখক: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

Header Ad

শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে হত্যা, গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর হেফাজত ইসলামের নেতা জুনায়েদ আল হাবিব এ অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ বিষয়ে মামলা হলে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এর আগে, মুফতি হারুন ইজহারের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহমেদ, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নির্মূল কমিটির সদস্য অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার ও এনএসআইয়ের মো. মনজুর আহমেদ।

Header Ad

এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ

ফাইল ছবি

জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছিনা, এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের উপরে মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কেন এ ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এটি জনগণের কাছে স্পষ্ট করা দরকার। তবে কোনো গণমাধ্যম অফিসে ভাঙচুর হলে সেটা সরকার দেখবে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, শুধুমাত্র ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দিয়ে সবকিছু উড়িয়ে দিতে চাই না। বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হবে। ক্ষোভ থেকে আন্দোলন হতে পারে। তবে আইন শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের পর্যায়ে গেলে সেটি দেখা হবে।

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সব ধরনের পরিবেশ নিশ্চিত করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তবে এটা কতটা বিকশিত হবে সে দায়িত্ব সাংবাদিকদের- এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সংবাদমাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সুযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কম। এখানে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সংবাদকক্ষগুলোকে। তাৎক্ষণিক ভোল পাল্টানো সমাধান নয়, সত্য স্বীকারের মাধ্যমে জাতীয় পুনর্মিলন সম্ভব।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, জনগণ যেভাবে প্রত্যাশা করে সেভাবে গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছি না। এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে। আমরা চাই না, আগের আমলের মত পুলিশ জনতার বুকে গুলি চালাক। তবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ অবশ্যই কঠোর হবে, সেভাবে পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন করা হচ্ছে।

মূলত বিশ্বের প্রতিটি বিপ্লবের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এরকম অবনতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, কোনো পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর করা, পত্রিকা বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা সরকার সমর্থন করে না। এ ধরনের ঘটনা পরবর্তীতে ঘটলে টলারেট (সহ্য) করা হবে না।

তিনি আরও বলেন, দৈনিক প্রথম আলো নিয়ে একটি উত্তেজনা দেখতে পাচ্ছি কয়েক দিন ধরে। গতকালও এ রকম উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল অফিসের সামনে। আজকে রাজশাহীতে তাদের অফিসে ভাঙচুর হয়েছে এবং চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। আমাদের বক্তব্যটি হচ্ছে, কোনো গণমাধ্যম বা পত্রিকার বিরুদ্ধে যদি জনগণের কোনো অংশের অভিযোগ থাকে, ক্ষোভ থাকে, তারা সেটি প্রকাশ করতে পারে, তবে সেটি অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের আহ্বান থাকবে, ক্ষোভ থাকলে শান্তিপূর্ণভাবে যাতে প্রকাশ করে। মানুষের সভা সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তারা আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে। আমরা আহ্বান জানাব, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে যেন জনগণ অংশ না নেয়। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এমন কাজ থেকে যেন আমরা বিরত থাকি।

Header Ad

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধর্মের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তারপর দিবাগত রাত ১২টার বিশেষ স্কটে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয় রাখা হয়। ‌চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা রয়েছে। সে মামলায় তাকে আজ দুপুরে আদালতে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। কয়েক দিন এই জোট আট দফা দাবিতে রংপুরে সমাবেশ করেছে।

পুনশ্চ, অন্যদিকে সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহিষ্কার করেছে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি