মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সাফল্য, সন্তুষ্টি আর সক্ষমতার সেতু

সরকারি প্রচারণা, মানুষের আগ্রহ আর পদ্মার দুই তীরের মানুষের চোখে প্রত্যাশা পুরণের আনন্দ পদ্মা সেতু নিয়ে।পদ্মা সেতু সংযুক্ত করছে পদ্মা নদীর দুই তীর। পদ্মা সেতু শুধুমাত্র গতিশীল নদীর উপর নির্মিত ঝুকিপুর্ণ সেতুই নয় এর নির্মাণ শৈলী,বিশালত্ব,ব্যয়বহুলতার সমস্ত দিক ছাপিয়ে হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক বিতর্কের সেতু।

১৯৯৮ সালে প্রাক্-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে পদ্মা সেতু প্রকল্পের যাত্রা শুরু। নির্মাণ শেষে সেতুর উদ্বোধন হলো ২০২২ সালের ২৫ জুন। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। যার মধ্যে মূল সেতুর নির্মাণব্যয় ১২ হাজার১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, নদীশাসনে আট হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা, সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া নির্মাণে এক হাজার ৭২১ কোটি ১০ লাখ টাকা, পরামর্শক ব্যয় এক হাজার ৯০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা আর জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য ব্যয় ছয় হাজার ৫৪০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এই ব্যয় যথার্থ কিনা তা নিয়ে বিতর্ক চলবে অনেকদিন।

প্রথম থেকেই পদ্মা সেতুর নির্মাণ নিয়ে নানা সমালোচনা ও বিরোধিতার অভিযোগ ছিল। বিরোধিতাকে পুঁজি করে পাল্টা আক্রমণও চলেছে, চলেছে কথার লড়াই। দেশীয়, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শক্ত অভিযোগ করা হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে। আছে বাস্তব-অবাস্তব নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ। দফায় দফায় খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেশি টাকা ব্যয় এবং উচ্চহারে টোল ধার্য করার সমালোচনাও আছে। কিন্তু সব সত্ত্বেও পদ্মা সেতু এখন সরকারের সাফল্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের শুরু থেকে এই সেতু নিয়ে অসংখ্য সংবাদ হয়েছে। লেখা হয়েছে বিস্তর সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়; নানাদিক থেকে করা হয়েছে বিশ্লেষণ। কতশত ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন যে প্রকাশিত হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। বাংলাদেশের পত্রিকা, টেলিভিশন, অনলাইন, ফেসবুক পেজ, ইউটিউব, ব্লগ মিলে কত খবরের উৎস হয়েছে পদ্মা সেতু। সার্চ ইঞ্জিন গুগল থেকে জানা যাচ্ছে পদ্মা সেতু নিয়ে গত কয়েক বছরে অন্তত আড়াই কোটি প্রতিবেদন হয়েছে। পদ্মা সেতুর পাইলিং, পিলার স্থাপন, স্প্যান বসানো সবকিছুই ছিল সংবাদ শিরোনাম। গুগলে ইংরেজি পদ্মা ব্রিজ নিউজ লিখে সার্চ দিলে এক কোটি ২৩ লাখ খবরের লিংক পাওয়া যায়। ইংরেজিতে শুধু পদ্মা ব্রিজ লিখলে ৬০ লাখ ১০ হাজার খবরের লিংক পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে ছবি, ভিডিও, ওয়েবসাইট থাকলেও বেশির ভাগই পদ্মা সেতু নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ।

গুগলে বাংলায় পদ্মা সেতুর সংবাদ লিখে সার্চ দিলে ১৪ লাখের মতো খবরের লিংক পাওয়া যায়। আর বাংলায় পদ্মা সেতুর নিউজ লিখে সার্চ দিলে পাওয়া যায় ১৬ লাখ ২০ হাজার লিংক। শুধু পদ্মা সেতু লিখলে পাওয়া যায় ৩৬ লাখ লিংক। এই লিংকগুলোতে পদ্মা সেতু নিয়ে করা বিভিন্ন প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সেতু নিয়ে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু নিশ্চয়ই বিশ্বের অন্যতম আলোচিত সেতু।

পদ্মা সেতুর টোল হার কেমন হবে তা নিয়েও বিতর্ক আছে। সেতুতে চলাচলকারি যানবাহনের টোল ধার্য করে প্রদত্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, মোটর সাইকেলের জন্য টোলের হার ১০০ টাকা; কার, জিপ ৭৫০ টাকা; পিকআপ ভ্যান ১ হাজার ২০০ টাকা; মাইক্রোবাস ১ হাজার ৩০০ টাকা; ছোট বাস (৩১ আসন বা তার কম) ১ হাজার ৪০০টাকা; মাঝারি বাস (৩২ আসন বা তার বেশি) ২ হাজার টাকা; বড় বাস (৩ এক্সেল) ২ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ছোট ট্রাকের জন্য (৫ টন পর্যন্ত) ১ হাজার ৬০০ টাকা; মাঝারি ট্রাক (৫ থেকে ৮ টন পর্যন্ত) ২ হাজার ১০০টাকা; মাঝারি ট্রাক (৮ থেকে ১১ টন পর্যন্ত) ২ হাজার ৮০০ টাকা; বড় ট্রাক (৩ এক্সেল পর্যন্ত) ৫ হাজার ৫০০ টাকা; ট্রেইলার (৪ এক্সেল পর্যন্ত) ৬ হাজার টাকা এবং ট্রেইলার (৪ এক্সেলের অধিক) ৬ হাজার টাকার সঙ্গে প্রতি এক্সেলের জন্য ১ হাজার ৫০০ টাকা যুক্ত হবে। পদ্মা সেতু নিয়ে প্রাথমিক উচ্ছাসের পর এই টোল হার নিয়ে আলোচনা আবার সামনে আসবে।

বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা ও জটিল প্রকৃতির নদী পদ্মা। এর বুকে সেতু নির্মাণও তাই জটিল কাজ। এ জন্য পদ্মাসেতুর তদারক থেকে শুরু করে নির্মাণ কাজ সম্পুর্ণ করা পর্যন্ত দেশের এবং বিশ্বের সেরা মেধাগুলোকেই যুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। বড় অবকাঠামো নির্মাণে অভিজ্ঞ বহু দেশের নাগরিকেরাই এ প্রকল্পে কাজ করেছেন, করছেন।

পদ্মা সেতু যেমন বহুমুখী সেতু তেমনি এর নির্মাণেও আছে বহুদেশ আর বহু মানুষের অংশগ্রহণ। সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, বর্তমানে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নদীশাসন ও মূল সেতুর কাজে চার হাজারের বেশি কর্মী কাজ করেছেন। এদের মধ্যে চীনের কর্মী আছেন এক হাজারের মতো। এ ছাড়া জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাষ্ট্রের লোকজনও কাজ করেছেন।

পরামর্শক দলে কাজ করেছেন কমবেশি ১৪টি দেশের প্রকৌশলীরা। দেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, ভারত, নেপাল, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইতালি ও নেদারল্যান্ডস।
প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত স্টিলের সব কাঠামো চীন থেকে এসেছে। রেলের গার্ডার (স্ট্রিনজার) এসেছে লুক্সেমবার্গ থেকে। প্রকল্পে যত রড এবং সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়েছে, এর সবই বাংলাদেশে উৎপাদিত। তবে অস্ট্রেলিয়া থেকে কিছু অতি মিহি সিমেন্টও ব্যবহৃত হয়েছে। সংযোগ সড়কসহ কিছু স্থাপনা নির্মাণে মধ্যপাড়া কঠিন শিলাখনি থেকে পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। এর বাইরে বেশির ভাগ পাথর ব্যবহৃত হয়েছে ভারত, দুবাই, ওমান ও ভিয়েতনামের।

পৃথিবীর বৃহত্তম ড্রেজার গুলোর মধ্যে তিনটি পদ্মা সেতুর কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। এগুলো নেদারল্যান্ডস থেকে আনা হয়। পাইল বসানোর জন্য হাইড্রোলিক হাতুড়ি (হ্যামার) এসেছে জার্মানি থেকে। সবচেয়ে বড় হ্যামারটির ক্ষমতা তিন হাজার কিলোজুল। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে আনা যন্ত্রপাতিও ব্যবহৃত হয়েছে। আর ব্যবহৃত বাকি সব যন্ত্রপাতি চীনের। বিভিন্ন সময় ১৭টি বড় বড় ক্রেন ও ভারী যন্ত্রপাতি একসঙ্গে কাজ করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেনটি প্রায় চার হাজার টন ক্ষমতাসম্পন্ন। এটি দিয়েই ৩ হাজার ২০০ টন ওজনের ইস্পাতের স্প্যান বসানো হয়েছে। পদ্মাসেতু তাই আন্তর্জাতিক জ্ঞান ও দক্ষতার এক সম্মিলনও বটে।

বাংলাদেশকে বলা হতো নদী মাতৃক দেশ। দেশ জুড়ে একে বেকে বয়ে যাওয়া শত শত নদীর দেশ বাংলাদেশ। কিন্তু এখন দেশের বুক চিড়ে অসংখ্য রাস্তা আর নদীর বুকে অসংখ্য সেতু। দেশকে এখন সেতু মাতৃক দেশ বললে কি অতিরঞ্জন হবে? বাংলাদেশের জনগনের টাকায় নির্মিত পদ্মা সেতু নিশ্চয়ই জাতির অর্থনৈতিক সক্ষমতার পরিচয় বহন করে। এর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সরকারের দৃঢ়তা লক্ষ্যনীয়। নির্মাণের ক্ষেত্রে চীনের কারিগরি কুশলতা, পদ্মার মত গভীর, তীব্র স্রোত সম্পন্ন এবং ভাঙন প্রবণ নদীকে নিয়ন্ত্রণ করে সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করার দক্ষতা প্রশংসনীয় । সেতুর উপর চলবে গাড়ি, যদিও ভাড়া বাড়বে তবুও সহজ হবে মানুষের যাতায়াত, জিডিপিতে প্রভাব পড়বে এবং দেড় শতাংশ বাড়বে বলে হিসাব করা হচ্ছে। কিন্ত পদ্মা সেতু বৈষম্য কমাবে কি না সেকথা কেউ বলছেন না।

যমুনা সেতু হয়েছে কিন্তু উত্তরবঙ্গের কৃষকের দুর্দশা যেমন কমেনি পদ্মা সেতুর প্রভাব তেমন হোক এটা জনগন চায় না। পদ্মা সেতু নির্মাণের সাফল্য সরকার দাবি করুক কিন্তু সুফল যেন জনগন পায় সেটাই তো কাম্য হওয়া উচিত। দৃশ্যমান সাফল্য স্থায়ী হোক সঙ্গে সঙ্গে জনগনের অদৃশ্য শত্রু শোষণ ও প্রকাশ্য ফলাফল যে বৈষম্য তা যেন দুরীভূত হয় সেটাই গণমানুষের আশা। সাফল্য যেন অহমিকায় পরিনত হয়ে প্রতিপক্ষকে না করে বরং জনগণের সন্তষ্টির অনায়াসেই চাওয়া কী একটু বেশি চাওয়া হবে?

লেখক: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

Header Ad
Header Ad

দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) চ্যানেলটির স্ক্রলে এ তথ্য জানানো হয়।

স্ক্রলে উল্লেখ করা হয়, “অনিবার্য কারণবশত দীপ্ত টিভির সকল সংবাদ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলো।”

তবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা না দেওয়া হলেও জানা গেছে, সাম্প্রতিক এক সংবাদ প্রতিবেদনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকীর কাছে ‘জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ১৪০০ শহীদ’ সংক্রান্ত বিতর্কিত প্রশ্নের জের ধরেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, এ ঘটনায় দীপ্ত টিভির এক সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় অভ্যন্তরীণ পদক্ষেপ গ্রহণ শেষে খুব শিগগিরই সংবাদ কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অভ্যন্তরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত নকশায় না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবনের ছাদে অবৈধভাবে রুফটপ রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিক উপায়ে করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।

ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পদ ও জানমালের ঝুঁকি এড়াতে নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁ এবং ভবনের ছাদে স্থাপিত রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হলো। বাতিল করা লাইসেন্স দিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেসব রেস্তোরাঁ সঠিক তথ্য না দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে ভবনের অনুমোদন কিন্তু বাতিল করা হয়নি। ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সশরীর উপস্থিত হয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত দিলে সেগুলো সচল করা হবে।’

বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি। ছবি: সংগৃহীত

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে আলাদা করে চিঠি পাঠাব।’

ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ডিএসসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম চলছে। ব্যবসাগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজউকের পাস করা ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের সময় এই জটিলতা নিরসনে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। সেই টাস্কফোর্সের দুটি বৈঠক হয়েছিল। তারপর তো সরকার বদল হয়ে গেল।

ইমরান হাসান বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর রেস্তোরাঁর অনুমোদন ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি সামনে আসে। ওই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ ছিল, তবে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চার বছর আগে দেশের রেস্তোরাঁ খাত নিয়ে একটি জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে মোট হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৫২টি। বাকি সব ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। রেস্তোরাঁর জন্য প্রথমে নিবন্ধন ও পরে লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২০২৪ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সব সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে মাত্র ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১২৮টি রেস্তোরাঁ।

Header Ad
Header Ad

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জনরোষের মুখে পড়েছেন।” পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা