মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বন্যার সঙ্গে সহাবস্থান

সিলেট অঞ্চলে ১২২ বছরের মধ্যে এমন বন্যা আর হয়নি। এই এলাকার প্রায় সব জায়গায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও থাকার সংকটে দিশেহারা মানুষ হয়ে পড়েছে একেবারে অসহায়।

শুধু সিলেট নয়, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ অঞ্চলেও বন্যা দেখা দিয়েছে। তুমুল বৃষ্টির কারণে ইতোমধ্যে ভারত ফারাক্কা ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দিয়েছে। এতে উত্তরাঞ্চলেও বন্যা এগিয়ে আসছে। প্রায় সব গণমাধ্যমে এমন নানা উদ্বেগজনক খবরে মনে হয়, আরেকটি বিপদের মধ্যে আমরা পড়েছি!

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনিতে, ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় শীর্ষ দশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। এ তথ্য আছে জার্মানভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা জার্মানওয়াচের ‘বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচক ২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদনে। তার উপর ভাটির দেশ হিসেবে সীমান্তের ওপার থেকে ধেয়ে আসা বাড়তি ঢল, নদ নদীর স্ফীতবস্থা এবং এখানে অবাধ পানি প্রবাহে নানা প্রতিবন্ধকতা দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে।

ভারতের পূর্বাঞ্চলে আসাম, মেঘালয়ে এখন যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে তাও নাকি ১২২ বছরেও হয়নি। ওই অঞ্চলে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়েছে। ভাটির দেশ হিসেবে স্বাভাবিকভাবে এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের উপর। তবে হঠাৎ করে সিলেট অঞ্চলে পানি বেড়ে যাওয়ার কারণ শুধু তুমুল বর্ষণ নয়। আসাম মেঘালয়ের পাহাড়ি এলাকার গাছপালা উজাড় হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া আগে এই এলাকার বাড়ি-ঘর ছিল খড়ের। এখন বেশিরভাগ টিন বা ইট পাথরের। এতে বৃষ্টির পানি দ্রুত নেমে আসছে। তাই আগামিতেও এরকম বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

অন্যদিকে, ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নদ-নদী পলিতে ভরে গেছে। নিয়মিত খনন না করায় বাড়তি পানি ধারণ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া হাওর অঞ্চলেও অবাধ পানি প্রবাহ নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে কিশোরগঞ্জের হাওরে ৮৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ’অলওয়েদা’ সড়কটি পর্যটন বান্ধব হলেও বন্যার পানি নিষ্কাশনে বাঁধা হয়েছে দাঁড়িয়েছে। কারণ প্রায় ৩০ কিলোমিটারের এই সড়কটির পানি চলাচলের পথ মাত্র ৯০০ মিটারের। এতে পানি আটকে থাকায় ফসলও নষ্ট হচ্ছে।

অবশ্য ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ’অলওয়েদার’ সড়কটি কেটে সেতৃর সংখ্যা বাড়িয়ে পানি প্রবাহ বাড়ানো যায় কিনা তা খতিয়ে দেখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই প্রশ্ন জাগে, পরিবেশগত বিষয় বিবেচনা ছাড়াই এত বড় একটি সড়ক নির্মাণ কি করে হলো? তা ছাড়া হাওরের নানা স্থানে তৈরি করা হচ্ছে খামারসহ নানা স্থাপনা। এতে ভবিষ্যতে পানির অবাধ প্রবাহের এই হাওর টিকে থাকবে কিনা তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।

এই সর্বগ্রাসী বন্যার ফলে মানবিক সংকটেরও সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বন্যার্তদের সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ইতোমধ্যে অবশ্য প্রবাসীসহ অনেকের এগিয়ে আসার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে।

বন্যার পর ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দেবে। বিশেষ করে রাস্তা-ঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাড়ি-ঘরসহ নানা স্থাপনা পুননির্মাণে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ জরুরি।

নদী বিধৌত পলিমাটির দেশ হিসেবে এখানে ফি বছর বন্যা আসবেই। এটাই এদেশের নিয়তি। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে এর প্রকোপও বেড়ে গেছে। তাই বন্যার সঙ্গে আমাদের সহাবস্থান করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এ জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠ পরিকল্পনা ও এর বাস্তবায়ন। যাতে বন্যায় যত কম ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি নিশ্চিত করা যায়।

লেখক: লেখক ও সাংবাদিক

আরএ/

Header Ad

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। সোমবার (৪ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক ওয়ালে এ তথ্য জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপক।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, আজ সকাল ১০ টার দিকে আমাকে দেশে ব্যবহৃত একটি বিদেশি নাম্বার থেকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারের উদ্দেশ্যে গতকালের সিন্ডিকেটে কিছু অপ্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণই এই হুমকির মূল কারণ বলে মনে হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে সারাদেশের কলেজগুলোকে নিয়ন্ত্রণের ভিতর নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। দেশের এলোমেলো হয়ে যাওয়া শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নেও ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। দিনরাত মিলে ১৮ ঘণ্টা কাজ চলছে এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে অনেকেরই সহজ রোজগারের পথ বন্ধ হতে যাচ্ছে।

তিনি আরও লেখেন, মাত্র দুইমাসে আমরা প্রায় দুই হাজারের অধিক কলেজে ‘পরিচালনা কমিটি’ সফলভাবে করতে সক্ষম হয়েছি। আমার অফিসের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী এ কমিটি করতে গিয়ে কারো কাছ থেকে এক কাপ চাও খায় নাই এটি আমি বিশ্বাস করি। এ ব্যাপারে কোন প্রমাণ কেউ হাজির করতে পারলে তাকে সরিয়ে দিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।

হত্যার হুমকি দিলেও কোন লাভ নেই জানিয়ে এই অধ্যাপক লেখেন, অতএব এসব হত্যার হুমকি, পত্রিকায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বাজে কিচ্ছা কাহিনি লিখে আমার এবং আমার সহকর্মীদের সম্মান নষ্ট করার হুমকি দিয়ে কোন লাভ হবে না।

অধ্যাপক আমানুল্লাহ লেখেন, হত্যার হুমকি দেওয়ায় তিনি জিডি করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, হত্যার হুমকি নিয়ে জিডি করছি, সম্মানিত উপদেষ্টাদেরকে বিষয়টি জানিয়েছি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সচিবকেও বিষয়টা জানিয়েছি। এজেন্সিগুলোও জানে ব্যাপারটা। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের ৮০ শতাংশই হলো প্রাথমিক শিক্ষা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার। দেখি আমরা এর কোন একটা বিহিত করতে পারি কিনা। আপনাদের দোয়া এবং সমর্থন চাই।

তবে এ বিষয়ে কথা বলতে উপাচার্য ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোন সাড়া দেননি।

এদিকে এ ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ দেশের অনেক শিক্ষাবিদ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বার্তায় এ নিন্দা জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, উপাচার্য যখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব বৈষম্য দূরীকরণের পদক্ষেপ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতিরোধ, বিগত সময়ের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের গভর্নিং বডি গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন এবং অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন সুফল পেতে শুরু করেছে ঠিক সেই সময় একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ সংস্কার ও সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হুমকি দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধের কার্যক্রমকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Header Ad

মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক

ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের ক্লাং সেন্ট্রালে একটি বিশেষ অভিযানে মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (JIM)। রবিবার পরিচালিত এই অভিযানে অংশ নেয় গোয়েন্দা ও বিশেষ অভিযান বিভাগ এবং ইমিগ্রেশন হেডকোয়ার্টার পুত্রজায়ার কর্মকর্তারা।

দুই সপ্তাহের গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে এক বাংলাদেশিকে আটক করা হয়, যিনি বন্দিশিবিরের কেয়ারটেকার বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ৩০ বছর বয়সি এই ব্যক্তি মালয়েশিয়ায় অবস্থানের জন্য কোনো বৈধ নথি বা পাসপোর্ট দেখাতে ব্যর্থ হন। অভিযানে ১৮ থেকে ৪১ বছর বয়সী ছয় বাংলাদেশিকে বন্দিশিবির থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

অভিযান চলাকালে, কেয়ারটেকার একটি জানালা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও সফল হননি। অভিযানে অংশগ্রহণকারী দল ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট এবং সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।

ইমিগ্রেশন বিভাগ জানায়, এই মানবপাচার চক্র ভিকটিমদের কাছ থেকে ১৫ হাজার রিঙ্গিত (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা) গ্রহণ করে তাদের ভ্রমণ ভিসায় মালয়েশিয়ায় নিয়ে যায়। পরে, অতিরিক্ত ৫ হাজার রিঙ্গিত দাবি করে তাদের বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়।

এই অভিযান মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে, যেখানে পাচারকারীদের দৌরাত্ম্যে অনেক বাংলাদেশি ফাঁদে পড়ে অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করছেন।

Header Ad

১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো ১ টাকা

ছবি: সংগৃহীত

ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। নভেম্বর মাসের জন্য প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) নতুন এ দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে অক্টোবর মাসে ৩৫ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক
১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো ১ টাকা
বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের জাতীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন নয়
বাংলাদেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়: মহাসম্মেলনে বক্তারা
এক মাস পর খাগড়াছড়ি ও সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত
মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী
শাকিব খানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন পূজা চেরি
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা রেখেই ঢাবির ভর্তি কার্যক্রম শুরু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলায় ব্যালট পেপার
প্রশ্নবিদ্ধ সাকিবের বোলিং অ্যাকশন, দিতে হবে পরীক্ষা
যেভাবে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
এলপি গ্যাসের দাম বাড়বে না কমবে, জানা যাবে আজ
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন সুচরিতা-নাঈম
টাঙ্গাইলে নিজ ঘরে স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা
ইসলামি মহাসম্মেলন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলেম-ওলামা ও জনতার ঢল
সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল গ্রেপ্তার
গাজায় থামছেই না ইসরায়েলি আগ্রাসন, নিহত আরও ৩৩
মোহাম্মদপুরে ডাস্টবিনে মিলল মানুষের খণ্ডিত পা
আজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন