সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আর্সেনিকের ঝুঁকি বাড়ছে

কয়েক বছর আগে নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. জিনি পেসোলা তার দলবল নিয়ে আর্সেনিক আক্রান্ত বাংলাদেশের ১২ হাজার মানুষের উপর গবেষণা চালিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন। তাতে তারা উল্লেখ করেছেন—আর্সেনিকের কারণে অধূমপায়ীরাও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, যা এর আগে জানা যায়নি।

গবেষক ড. জিনি পেসোলা স্পষ্ট করে বলেন, ‘শ্বাসকষ্টের অন্যতম কারণ ধূমপান। কিন্তু অধূমপায়ীরা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ আর্সেনিকযুক্ত পানি পান।’ এ ছাড়াও আমরা জানতে পেরেছি আর্সেনিক আক্রান্তের ফলে ক্যান্সার সৃষ্টির পাশাপাশি শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও নিস্তেজ হয়ে যায়। আক্রান্তদের বেশির ভাগেরই হাতে-পায়ে ফোস্কা এবং আঙুলের মাথায় পচন ধরে। এ ছাড়াও অনেকেরই বুকে-পিঠে কিংবা জিহ্বা, মাড়িতে ঘাঁয়ের সৃষ্টি হচ্ছে, যা পরে মারাত্মক ক্যান্সারে রূপ নেয়। অনেকের আবার কিডনি, যকৃত বিকল হয়ে পড়ে। সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি আর্সেনিকযুক্ত পানি পানে এটি হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

শুধু যে নলকূপের পানি পান করে মানুষ আর্সেনিকের বিষে আক্রান্ত হয়েছেন তা কিন্তু নয়। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের ৪৩টি জেলার মানুষ বোরো ধানের চালের ভাত খেয়েও মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন। উল্লেখ্য, এ ধানের ভাত শুধু উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষই খাচ্ছেন না, খাচ্ছেন সমগ্র দেশের মানুষই, ফলে নীরবে-নিভৃতে ঘাতকব্যাধির প্রসার ঘটছে। যেহেতু বোরো ধান চাষে প্রচুর ভূগর্ভস্থ পানির সেচ ব্যবহার করা হয়, সেহেতু ওই ফসল আর্সেনিকের বিষক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আক্রান্ত হয়।

সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর আগে পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করছি আগে। তাতে আর্সেনিকের বিষক্রিয়া সম্পর্কে জানাতে সুবিধা হবে।

বিজ্ঞান বলে, আর্সেনিক এক ধরনের ধূসর ধাতব পদার্থ। একে সহজে ভেঙে গুঁড়া করা যায়। প্রকৃতিতে সাধারণত দুই প্রকার আর্সেনিক বিদ্যমান। জৈব ও অজৈব আর্সেনিক। জৈব অপেক্ষা অজৈব আর্সেনিক বেশি ক্ষতিকর। পানিতে প্রধানত অজৈব আর্সেনিক বেশি পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ মাইক্রোগ্রাম। অথচ বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন সীমান্ত এলাকার জেলাগুলোতে নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা পেয়েছে ২ থেকে ২.৫ পিপিএম, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। ইতোমধ্যে তার প্রতিফলনও ঘটেছে ব্যাপক হারে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে রীতিমতো দুর্যোগ আকার ধারণ করেছে। যদিও দেশের ৬১ জেলায় আর্সেনিকের মাত্রাতিরিক্তের খবর পাওয়া গেছে। তথাপিও উত্তরাঞ্চলের তুলনায় অন্য সব জেলা কিছুটা কম ঝুঁকিতে রয়েছে।

এক সমীক্ষায় জানা যায়, বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ মানুষ এখন আর্সেনিক ঝুঁকির সম্মুখীন। তার মধ্যে ২৬৪ উপজেলার মানুষ মারাত্মকভাবে আক্রান্ত। বলে রাখা ভালো, ২৬৪ উপজেলায় আর্সেনিক একদিনেই আক্রান্ত হয়নি এটি ধীরে ধীরে মাটির নিচ দিয়ে ছড়িয়েছে। যা এখনো রীতিমতো ছড়াচ্ছে (উল্লেখ্য, আর্সেনিক মাটির নিচ দিয়ে দ্রুত ছড়াতে সক্ষম), যার উকৃষ্ট প্রমাণ হল—

১৯৮৮ সালে ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দি স্কুল অব এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ’ প্রথম একটি গবেষণা চালায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। সেই গবেষণায় আর্সেনিকের অবস্থান নির্ণয় হয় পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত গঙ্গা-ভাগীরথী নদীর পূর্ব প্রান্তে ৭০ থেকে ২০০ ফুট মাটির নিচে। প্রায় পঁয়ত্রিশ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃতিও ধরা পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘গ্রীষ্মকালীন ফসলের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির ব্যাপক ব্যবহারের কারণে মাটির কম্পোজিশনে পরিবর্তন ঘটে, যার ফলে ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের দূষণ ঘটে।’

পশ্চিমবঙ্গের কিছু স্থানে আর্সেনিকের সমস্যা ব্যাপক আকার ধারণ করে, যা পরে সীমান্তবর্তী জেলাগুলো দিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বাংলাদেশে। সে তথ্য আমরা জানতে পেরেছি বেশ খানিকটা পরে। প্রায় নয় বছর পর ১৯৯৬ সালে প্রথম বাংলাদেশের ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের সন্ধান পাওয়া গেছে। এরপর দীর্ঘ পঁচিশ বছর কেটে গেলেও অদ্যাবধি আর্সেনিকের কবল থেকে মুক্তি পায়নি মানুষ। আর্সেনিকের সমস্যা সমগ্র বিশ্বে কম-বেশি রয়েছে ঠিকই, তবে বাংলাদেশ, ভারতের মতো অত প্রকট আর কোথাও নেই।

গবেষক ডা. আনা নাভাস আসিয়ান বলেন, ‘আফ্রিকা ও মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলে আর্সেনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভূগর্ভের আর্সেনিকমুক্ত স্তরে নতুন নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে এ সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যেতে পারে, তবে এ পদ্ধতি বেশ ব্যয়বহুল।’

আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেকেই এখনো জানেন না আর্সেনিক আসলে কী? তারা আর্সেনিকের বিষে আক্রান্ত হয়ে (বিশেষ করে হাতের তালু, পায়ের তালু কিংবা শরীরে কালচে বাদামি রঙের দাগ নিয়ে) কবিরাজ বা হাতুড়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে মামুলি চর্মরোগ হয়েছে বলে জেনে আসেন। এতে করে ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তারা যে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছেন। অথচ এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের অনেকের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে যে, তাদের প্রস্রাবে ১০০ থেকে ১৮০ শতাংশ বেশি আর্সেনিক রয়েছে। যার ফলে মৃত্যু অবধারিত। এ থেকে বাঁচার কোনো পথ নেই বলেও দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা আরও একটি ভয়ানক তথ্য জানিয়েছেন, ‘আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নেই বললেই চলে।’ তবে তারা সামান্য আশার আলো দেখিয়েছেন, আক্রান্ত ব্যক্তিকে দীর্ঘদিন বিশুদ্ধপানি ও পুষ্টিকর খাবার খেতে দিলে সে রোগী স্বাভাবিক স্বাস্থ্য ফিরে পেতে পারেন। যা দেশের দরিদ্র জনসাধারণের জন্য মোটেও সম্ভব নয়। এ হতাশাজনক সংবাদটি শোনার পর আমাদের করার কিছু নেই মনে করে চুপচাপ বসে থাকলে চলবে না।

আর্সেনিক থেকে মুক্তি পেতে আমাদের সংগ্রাম করতে হবে। জনগণকে নিরাপদ পানি পানে উৎসাহিত করতে হবে। বিশেষ করে উৎসাহিত করতে হবে বৃষ্টির পানি পানে। তার সঙ্গে জানাতে হবে সহজ উপায়ে বৃষ্টির পানি ধারণ ও সংরক্ষণের অত্যাধুনিক কৌশল। জানাতে হবে ভূগর্ভস্ত পানি কম ব্যবহার করে মাটির উপরিভাগের পানির বেশি ব্যবহার করতে হবে। তার সঙ্গে আরও জানাতে হবে পানযোগ্য পানির উৎসের আশেপাশে টয়লেট স্থাপন করা যাবে না। কারণ টয়লেটের বর্জ্যতে মাটির কম্পোজিশন ঘটে, যাতে পানি দূষণ ঘটায় দ্রুত। এর জন্য অবশ্য ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে। এ ব্যাপারে এনজিও, পরিবেশবাদী সংগঠন এবং আমাদের প্রচার মাধ্যমগুলোর বলিষ্ঠ ভূমিকা একান্ত প্রয়োজন, তাহলে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও কলামিস্ট

আরএ/

Header Ad
Header Ad

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা এবং মেঘনা আলমের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল মডেল মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আটক করে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর আদালতে তাকে আটক রাখার আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন মিলে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রটি বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করত। এরপর এসব সম্পর্কের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ভিকটিমদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হতো।

 

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি দেওয়ান সমির 'কাওয়ালি গ্রুপ' নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং 'সানজানা ইন্টারন্যাশনাল' নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক। এর আগে তার 'মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড' নামের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।

চক্রটি 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর' নিয়োগের নামে সুন্দরী ও আকর্ষণীয় মেয়েদের ব্যবহার করে সহজে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে যাতায়াতের সুযোগ তৈরি করত। উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের চাঁদা আদায় এবং দেওয়ান সমিরের ব্যক্তিগত ব্যবসাকে লাভজনক করা।

Header Ad
Header Ad

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং এই গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর' গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার।

সোমবার (২৮ এপ্রিল ২০২৫) সরকারের পক্ষ থেকে গেজেট আকারে এ সংক্রান্ত ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই অধিদপ্তর গঠনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনেই এই নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি, অধিদপ্তর গঠনের প্রক্রিয়ায় গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অধিদপ্তর শুধু ইতিহাস সংরক্ষণের কাজই করবে না, বরং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গবেষণা, প্রকাশনা এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে, নিহত এবং আহতদের পরিবারদের যথাযথ পুনর্বাসন ও সহায়তার ব্যবস্থাও করা হবে।

Header Ad
Header Ad

নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি

ছবি: সংগৃহীত

নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।


তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পর একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মূল আসামির পাশাপাশি নিরীহ মানুষকেও মামলায় আসামি করছে। এটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ধরনের হয়রানি সহ্য করা হবে না। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে মামলার তদন্ত করবে এবং নিরীহ কাউকে হয়রানির শিকার হতে দেওয়া হবে না।”

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে তিন দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ শুরু হচ্ছে। এবার পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, “এবার আমরা অনাড়ম্বরভাবে নয়, বরং বাস্তবসম্মত ও কার্যকরভাবে পুলিশ সপ্তাহ পালন করতে চাই। শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও দায়িত্ববোধ বাড়ানো হবে।”

তিনি আরও জানান, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কার্যকর পরিকল্পনা ও মতামত সংগ্রহ করে সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া এবারের পুলিশ সপ্তাহে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা সরাসরি পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তাদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ প্রদান করবেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি