বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা

বছরের প্রথম দিন। শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে, যদিও সবাই এতে শামিল হতে পারে না। ২০২২ সালের প্রথমদিনও কি সে রকমটি হবে? এনসিটিবি বলছে, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যের বই দেওয়া হয় না, তাদের দেওয়া হয় শুধু খাতা, তা না-কি ছাপা হয়ে গেছে। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির বই ছাপানোর জন্য গত ৯ নভেম্বর প্রেস মালিকদের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে এনসিটিবি। নিয়ম অনুযায়ী, চুক্তির পর বই ছাপাতে প্রেস মালিকরা ৮৪ দিন সময় পান। সেই হিসাবে, ৩১ ডিসেম্বরের আগে এই দুই শ্রেণির বই ছাপার কাজও শেষ হবে না। এর ফলে ১ জানুয়ারি এই দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সবকটি বই নাও পেতে পারে।

এ ছাড়া অন্যান্য শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপার আংশিক কাজ শেষ হয়েছে। এই আংশিক বই নিয়েই আগামী ১ জানুয়ারি পাঠ্যবই উৎসব করতে চায় শিক্ষা প্রশাসন। প্রতিবছরই বিনামূল্যের বই ছাপানো, দেশের বিভিন্ন স্থানে সেগুলো প্রেরণ করা এবং শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা, সমালোচনা এবং শেষে বিলম্ব হতে দেখা যায়। বই উৎসবও অনুষ্ঠিত হয়; কিন্তু দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা কোনো বছরই সময়মতো বই পায় না। বিলম্বের কারণ হিসেবে যেসব কারণ সামনে চলে এসেছে, সেগুলো হলো–পাঠ্যবই ছাপানোর জন্য বাজার উপযোগী দাম নির্ধারণ করতে না পারা, বারবার দরপত্র আহ্বান করা, নির্ধারিত সময়ের বহু পরে ছাপার কাজ শুরু করা, অদক্ষ ও অযোগ্য কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া, যোগ্য কর্মকর্তাদের ওএসডি করে রাখা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঢিলেমি।

এনসিটিবি বলছে, তারা পাঠ্যবই ছাপানোর কাজের অনুমোদনের জন্য সময়মতো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিল; কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে সাড়া পায়নি। এর মধ্যেই গত সেপ্টেম্বরে এনসিটিবির কয়েকজন কর্মকর্তাকে ওএসডি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে কাজ গতি পায়। এ ছাড়া চলতি ডিসেম্বরের শেষ দিকে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অবসরোত্তর ছুটিতে যাবেন। এনসিটিবির সদস্যরা পাঠ্যবইয়ের কাজ দেখভালের পরিবর্তে তারা চেয়ারম্যান হওয়ার তদবিরে ব্যস্ত। এর ফলে পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ পিছিয়ে যায়। আগামী শিক্ষাবর্ষের প্রি-প্রাইমারি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সোয়া দুই কোটি শিক্ষার্থীর জন্য সাড়ে ৩৫ কোটি বই ছাপা, বাঁধাই এবং স্কুলে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে বিতরণ করতে যে সময় আছে তাতে সমস্যা হবে এবং মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, বিষয়টি এক রকম অসম্ভব।

জানা যায় যে, শিক্ষার্থীরা যাতে সময়মতো পাঠ্যবই হাতে পায় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এনসিটিবির কাজে হস্তক্ষেপ করেছে। বছরজুড়ে ঢিলেমি দেখিয়ে গত আগস্টের পর থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও পাঠ্যবই ছাপানোর কাজে বেশি তৎপর হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয়ও ১০টি পরিদর্শন টিম গঠন করেছে, যারা ঘুরে ঘুরে পাঠ্যবই ছাপানোর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। একইসঙ্গে এনসিটিবিও ৩৯টি মনিটরিং টিম গঠন করেছে। এমন হতাশাজনক তৎপরতার মধ্যেই এনসিটিবি বলছে, আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই ছাপার কাজ শেষ হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিও চাওয়া হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩০ অথব ৩১ ডিসেম্বরে প্রধামন্ত্রী বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন। ১ জানুয়ারি শিক্ষা ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পৃথকভাবে স্কুলে বই উৎসব পালন করবে।

বই ছাপানোর এই মহাযজ্ঞ সঠিক সময়ে সম্পন্ন করতে গিয়ে এনসিটিবির সবাই ব্যস্ত, মহাব্যস্ত। বই ছাপানো হয়েছে কি না এ নিয়েই পুরো এনসিটিবি ব্যস্ত, এতে তাদের উৎসাহেরও কমতি নেই। এনসিটিবিতে গেলে দেখা যায়, অনেক বিভাগে তালা মারা, আর যেসব বিভাগ বা রুমে তালা নেই সেখানকার চেয়ারগুলো খালি। জিজ্ঞেস করলে বা পরিচিতজনদের ফোন করলে জানা যায়, তারা প্রেসে বই ছাপা পরিদর্শনে গেছেন। প্রশ্ন হলো–বই ছাপানো নিয়ে সবাই ব্যস্ত; কিন্তু বইয়ের ভেতর কী লেখা আছে, কীভাবে লেখা আছে, এ নিয়ে কিন্তু কারও খুব একটা চিন্তা নেই। বই ছাপাতে হবে, ছাপানো হচ্ছে, তা সে যে কোনো মূল্যেই হোক। পরে দেখা যায়, একটি বইয়ে গণিতের সঙ্গে কিছু অধ্যায় কিংবা কিছু পৃষ্ঠা এসেছে কৃষি বিজ্ঞান কিংবা ইসলামিয়াতের। সপ্তম শ্রেণির বাংলা বইয়ের সঙ্গে নবম শ্রেণির বাংলা, আবার সমাজবিজ্ঞান বইয়ের সঙ্গে কিছু কবিতা যুক্ত হয়ে শিশুদের কাছে যায়। এমনটি হয় প্রতিবছরই। আর শিশুদের কাছে বই যাওয়া তো চলে পুরো বছর ধরে। গত বছর (২০২০) অক্টোবর নভেম্বর পর্যন্ত বই বিতরণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেহেতু বিনামূল্যে বই পাচ্ছে তাই আর এ নিয়ে খুব একটা কথা কেউ বলে না, সাংবাদিকরাও সেভাবে বিষয়টিকে গুরুত্বে দেন না।

বিনামূল্যের বই না পাওয়া নিয়ে শিক্ষার্থী কিংবা অভিভাবকদের ভেতরেও তেমন হা-হুতাশ নেই–তার আরেকটি কারণ হলো–অনেক শিক্ষার্থী, অনেক শিক্ষক এনসিটিবি টেক্সট ব্যবহারই করেন না। বইয়ের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নাত্তর তৈরি করা হয়েছে। তারা সেগুলোই দেখে ও প্রস্তুতি নেয়। আর এ ছাড়া করারই বা কী আছে? হাতে সময়মতো বই পায় না প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা। যাদের সামর্থ্য আছে, তারা ইচ্ছে করলেও কোথাও থেকে বই ক্রয় করতে পারেন না। বই পেতে হবে মাঠ পর্যায়ের পেটি-অফিসারদের কাছ থেকে তৈলমর্দন করে, পোহাতে হবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। তারপর কোনো বই নষ্ট হলে, হারিয়ে গেলে, ছিঁড়ে গেলে দ্বিতীয়বার সেই বই পাওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই, অতএব বিকল্প পথ তো থাকতে হবে।

অনলাইনে বই? সে তো ভাগ্যের ব্যাপার! ঢাকায় বসেই ঠিকমতো পাওয়া যায় না, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বই ডাউনলোড দিতে হয়তো আধাবেলা অপেক্ষা করতে হবে। এগুলো বাস্তবতা, এগুলো নিয়ে তেমন কেউ কথাও বলেন না। এমনিতেই শিক্ষার্থীরা, শিক্ষকরা বই পড়তে চান না, তার মধ্যে আবার এত ঝামেলা। অতএব ঝামেলা এড়াতে বই নিয়ে উচ্চবাচ্য না করাই উত্তম!

২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের জন্য মোট ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২হাজার ১৩০ কোটি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরের মোট বই ছাপা হচ্ছে ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭৪ কপি। আর মাধ্যমিক স্তরের জন্য মোট ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৬৩ হাজার ২৫৬ হাজার কপি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। এনসিটিবির পরিসংখ্যান বলছে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে ১৬ কোটি বই ছাপানো হয়েছে। এর মধ্যে ১০ কোটি বই উপজেলাগুলোতে পাঠানো হয়েছে। এনসিটিবি জানিয়েছে যে, বাকি সময়ের মধ্যে বাকি বইগুলো পাঠানো হবে।

বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, জীবনে যে শিশু প্রথমবার স্কুলে যাচেছ সে জানুয়ারির ১ তারিখ বই পাচেছনা। বই না দিতে পারলে উৎসব হবে কিভাবে? তাদের সংগঠনের হিসেবে ৩১ডিসেম্বরের মধ্যে ৬০ শতাংশ বই ছাপা শেষ হবে। নোয়াখালীতে অবস্থিত অগ্রণী প্রিন্টার্স একাই পেয়েছে প্রাথমিকের ৬০শতাংশ বই ছাপার কাজ। কিভাবে তারা এটি শেষ করবে?অগ্রণী প্রিন্টার্স রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। এটির ছাপাখানা নোয়াখালীতে, তারা সর্বাধিক ১০০ কোটির অধিক বই ছাপার আদেশ পেয়েছে। এত বই ছাপার মতো অবকাঠামো না থাকার পরও এ কার্যাদেশ তারা পেয়েছে। কীভাবে তারা পেল এ নিয়ে কোন কথা হবেনা কারন তারা প্রভাবশালী। তাদের বই ছাপা ও কাগজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে এনসিটিবির কাছে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করেছে মুদ্রণ শিল্প মালিক সমিতি।

এনসিটিবির চেয়ারম্যন বলছেন, প্রতিদিন ৫০ লাখ করে বই ছাপা হচ্ছে, প্রতিদিনই বই যাচেছ উপজেলা পর্যায়ে। ফলে সমস্যা হবে না। অপরদিকে, মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জাতীয় সংগঠন মুদ্রণ শিল্প মালিক সমিতির উপদেষ্টা বলছেন, নানা তথ্য ধামাচাপা দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখানো হচ্ছে। আসলে আগামী শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীরা বই হাতে পাবে না। ডিসেম্বরে চেয়ারম্যান অবসরে যাচেছন, পরিস্থিতি সামাল দিতে তাকে পাওয়া যাবেনা।

অবস্থা নাকি অনেকটাই হ-য-ব-র-ল। কখনো বলা হচ্ছে করোনার প্রভাব, কখনো বলা হচ্ছে কারিকুলামের অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রণালয়। আবার দফায় দফায় টেন্ডার ও রি-টেন্ডার করে টেন্ডারের শর্ত লঙ্ঘন ও বিধিমতো টেন্ডারের শর্ত সংশোধন না করে সময়ক্ষেপন করার কারণেই বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিকে পাঠ্যপুস্তকের কারিকুলাম প্রণয়ন-সংশোধন-পরিমার্জনের জন্য বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান এনসিটিবি হলেও বিগত কয়েক বছর থেকে এনসিটিবিই হয়ে উঠেছে বই ছাপা ও বিতরণের মতো বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের নিয়ন্ত্রক-পরিচালক সংস্থা। আসলেই এনসিটিবি এখন কারিকুলাম ও পাঠ্যবইয়ের বোর্ডের পরিবর্তে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মতোই মনে হচ্ছে।
এনসিটিবিকে যদি কার্যকর করতে হয়, তাহলে এনসিটিবির চেয়ারম্যানকে পূর্ণ সচিব মর্যাদায় উন্নীত করে মন্ত্রণালয়ের মুখাপেক্ষা না হওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এনসিটিবিকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে কারিকুলাম প্রণয়নসহ সংশ্লিষ্ট সব কাজে। মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভরশীল থাকলে চলবে না। মন্ত্রণালয়ে কোনো কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ নেই। তারা কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য অযথা নিদের্শনা ও বিলম্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এনসিটিবিতে প্রকৃতপক্ষে শিক্ষা নিয়ে যারা কাজ করেন এবং করতে পারেন তাদেরই পদায়ন করতে হবে। আত্মীয় কিংবা অন্যকোন পরিচয়ে যারা এনসিটিবিতে আছেন তাদের সবাইকে সরিয়ে ফেলতে হবে। মন্ত্রণালয়কে শুধু অবগত করতে হবে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে, মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভরশীল করে রাখা যাবে না। এখানে লেখক, গবেষক, পাঠ্যক্রম বিশেষজ্ঞদের সমন্বয় ঘটাতে হবে। রাজনৈতিক কিংবা অন্য পরিচয়ে যারা এখানে আছেন তাদের সবাইকে সরিয়ে ফেলতে হবে। যুগ যুগ ধরে এখানে থেকে এখানকার ব্যবসা যারা ভালো বুঝে ফেলছেন, তাদের এখান থেকে সরানো যাচ্ছে না; কিন্তু সরাতে হবে আমরা যদি একটি প্রকৃত শিক্ষাক্রম জাতিকে উপহার দিতে চাই।

লেখক: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক

এসএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত