বাজেট জনবান্ধব নয়
আমার মতে এটি একটি সাধারণ বাজেট হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য তথা বড় ব্যবসায়ীদের স্বার্থচিন্তা করে বাজেট তৈরি হয়েছে। এমন একটি বাজেট হয়েছে যেখানে জনস্বার্থ রক্ষা করা হয়নি। আমরা সাধারণ মানুষরা যে সকল সমস্যায় ভুগছি, তাদের জন্য বাজেটটি পীড়াদায়ক। বিশেষ করে জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মুল্যবৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন,তা ছাড়া মূল্যস্ফীতির ব্যাপারেও তেমন কোনো দিক নির্দেশনা আমরা দেখি নাই।
মোট ৫০ লাখ মানুষকে ১৫ টাকা দরে চাল দেওয়ার কথা দিয়ে সকল মানুষের স্বার্থ রক্ষা না করা অসামঞ্জস্যপূর্ণ দূরদর্শিতার অভাব। আমি বলি, এটি কোনো কৃতিত্ব নয়, সরকারকে বুঝতে হবে। বিদেশে মানিলন্ডারিং এর মাধ্যমে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যে কথাটি বলা হয়েছে, আমার মতে সেটি বাস্তব সম্মত নয় এবং নৈতিকও নয়। বরং যারা বিদেশে টাকা পাচার করে তাদের জন্য এটি একটি গ্রীন সিগন্যাল। সার্বিকভাবে আমি বলব, এই বাজেট কিছুটা ব্যবসা বান্ধব তবে জনবান্ধব নয়।
আমি এটিকে একটি গতানুগতিক বাজেট বলব। কোথাও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, কোথাও বরাদ্দ কমানো হয়েছে। কিন্তু সার্বিকভাবে আমরা যে সংকটকালীন অবস্থায় আছি, সেই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য কোন ইনোভেটিভ অথবা কোন আইডিয়া এই বাজেটে আসেনি। শিক্ষা, স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দের বিষয়ে বলব বরাদ্দের চেয়েও যেটি আসল কাজ, গুরুত্বপুর্ণ কাজ সেটি হলো সঠিকভাবে ব্যয় হচ্ছে কি না সেটি মনিটরিং করা। কারণ শিক্ষাও স্বাস্থ্য দুটি খাতই দুর্নীটিগ্রস্ত। শিক্ষাখাতে প্রাথমিকে এবং কারিগরিখাতে আরও বেশি মনযোগ দেওয়া দরকার ছিল। সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টিও সেঅর্থে সুস্পষ্ট নয়। কাজেই আমি বলব, প্রকৃতপক্ষে এবারের বাজেটে অসংগতি আছে এবং সর্বতোভাবে সন্তোষজনক নয়।
লেখক: সভাপতি, ক্যাব