শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রকল্প বনাম উন্নয়ন

কোভিড-১৯ বাংলাদেশ তথা সারাবিশ্বকে এক মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে সেই সঙ্গে হোঁচট খেয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। তবু ও উন্নয়নের পালকে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা দারুণ আলো ছড়িয়েছে। স্বস্তিও কিছুটা আছে, এক্ষেত্রে বিশ্বের উন্নয়ন বিশ্লেষকেরা বাংলাদেশের অর্জনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।

ইদানিং বেশকিছু বিষয় পত্রিকাতে উঠে এসেছে তা হলো প্রকল্পের নামে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ। ধরুন, একটা প্রকল্পের জন্য প্রশিক্ষণ প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে যাকে প্রশিক্ষণ দিলে প্রকল্পের জন্য ভালো হবে সঠিক ব্যক্তিকে প্রকল্পের স্বার্থে প্রশিক্ষণে পাঠানো প্রয়োজন তাকেই নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় অনেককেই প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে দেশে ফেরার পর তাকে দিয়ে প্রকল্পের আর কোনো কাজেই সে আসে না অথবা অন্য কোনো দপ্তরে বদলি করা হয়, সেক্ষেত্রে অর্থ অপচয় এবং প্রকল্পের চরম ক্ষতি হয়। সমন্বয়হীনতা এবং অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের এই চর্চা রোধ করা জরুরি। সরকার ইতিমধ্যে প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা হলো বিশেষ প্রয়োজন না থাকলে বিদেশ সফর আর নয়, ব্যয় সংকোচন উদ্যোগের অংশ হিসেবে অপ্রয়োজনীয় বিদেশ সফর বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি রাষ্টায়াত্ব, স্বায়ত্বশাসিত ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ও একই আদেশ জারি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অহেতুক সম্পদের ব্যয় না করে সংরক্ষণ করতে হবে। বিশ্ব দুর্ভিক্ষের দিকে যাচ্ছে, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

প্রকল্পে দুর্নীতি একটি মারাত্মক ব্যাধি। কারণ উন্নয়নের সোপানে উঁই পোকার অস্তিত্ব থাকলে উন্নয়ন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। কাগজে শতভাগ কাজ কিন্তু মাঠ পর্যায়ে ধুলায় মিশানো প্রকল্প। সেখানে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে কোনঠাসা হয়ে পড়ে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন চরম ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় এসব দুর্নীতিবাজদের কারণে। কাজের মান নিয়ে যেমন সংশয় তেমনি কিছু অসাধু কর্মকর্তারা বিল ভাউচার করে অর্থ আত্মসাৎ করার পায়তারায় মত্ত থাকে। এক্ষেত্রে সমাজ, রাষ্ট্রকে ব্যর্থতার গ্লানি বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়। প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার প্রশ্ন থেকে যায়। গোঁড়ায় গলদ বা শুরুতেই ভুল ব্যক্তিকে প্রকল্প পরিচালক পদে আসিন করে আমরা সঠিক প্রকল্প মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়। আমি মনে করি এ ধরনের কর্মকর্তাকে হতে হবে সৎ, নিবেদিতপ্রাণ এবং মেধাবী। অত্যাধিক তদবির ও অর্থলেনদেনের ফলে নিযুক্ত প্রকল্প পরিচালক শুরুতেই প্রকল্পে যোগদান করে অর্থ আত্মসাতের প্রেরনায় পাবে। কারণ যে অর্থ দিয়ে সে এখানে ঢুকলো তার মাথায় থাকবে সে অর্থ পুষিয়ে নেবার।

প্রকল্প সময়মতো শুরু ও শেষ হতেও দীর্ঘমেয়াদী রশি টানতে হয়। আবার অনেক সময় অনেক প্রকল্পের অর্থব্যয় হয় না। এনিয়ে বিপাকে পড়তে হয় মন্ত্রণালয়গুলোকে। অধিকাংশ মন্ত্রণালয়ের অনেক প্রকল্পের হাল এ রকম। প্রকল্পের ক্রয় থেকে শুরু করে প্রকল্প পরিচালক ও জনবল নিয়োগ সুনির্দিষ্ট না করে তা এডিপিভুক্ত করে ফেলা হয়। এসব প্রকল্প পরে সংশোধন করে পাস করতে দীর্ঘমেয়াদী সময় পার করতে হয়। তড়িঘড়ি করে প্রকল্প দাখিল করে অনেকসময় ত্রুটি ধরা পড়ে। পরবর্তীতে সংশোধনের জন্য সময়ক্ষেপন হয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে তেমন কোন জবাবদিহি করতে হয় না। অবকাঠামোগত প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণেও সময়ক্ষেপণ হয়। এদিকে করোনার কারণে প্রশিক্ষণ প্রকল্পগুলোও সঠিক সময়ে কর্মসম্পাদন করতে ব্যর্থ হয়েছে। ইতিমধ্যে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সব প্রকল্প কম গুরুত্বপূর্ণ বা উৎপাদনমুখী নয়, সেগুলো এখন অনুমোদন করবে না।পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ইত্তেফাকের সম্পাদকীয়তে লিখেছেন ‘সোনালী যুগে খুব বড় আকারের বাজেট না করে মাঝারি ব্যয়ের রূপালি বাজেটের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নে গুণমান বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে’।

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সরকার চালু করেছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত। সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, সম্পদের সুষম ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত। উন্নয়ন পরিকল্পনার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন দেশের বৃহৎ প্রকল্পগ্রহণের সাথে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী ও বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ। সে অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং মনিটরিং সেলকে শক্তিশালীকরণ। প্রকল্পগুলো যাতে জনকল্যাণমুখী হয় সে বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। উন্নয়নকে করতে হবে বিকেন্দ্রীকরণ অধিকতর পিছিয়ে পড়া বিভাগ, জেলা ও উপজেলাগুলোকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে নগরায়নের উপর গুরুত্বারোপ করা জরুরি হয়ে দেখা দিয়েছে।

জলাবদ্ধতা নিরসনের নামে আকাশচুম্বী প্রকল্প তবুও দুর্ভোগ থামেনি নগরবাসীর। বিষয় হিসেবে বলতে পারি সঠিক পরিকল্পনার অভাব। সমকাল পত্রিকায় ১৪ মে, ২০২২; ‘হাজার কোটি টাকা জলে!’ হতাশ হলাম বিষয়টি নিয়ে কারণ হিসেবে বলবো সেই অপরিকল্পিত ছক। বিশেষজ্ঞদের ধারণা এ বছর ও অবধারিতভাবে ডুববে রাজধানী, জলাবদ্ধতায় ভুগতে হবে কিছু এলাকার বাসিন্দাদের। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রকল্পগুলোর মূল্যায়ন করে থাকে। সেক্ষেত্রে আমি বলব প্রকল্প মূল্যায়নের ক্ষেত্রে এই বিভাগকে আরও জোড়ালো ভূমিকা রাখার প্রয়োজন। কারণ অনেকসময় দেখা যায় কাগজে প্রকল্প হয়ে যায় বাস্তবে প্রকল্পের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে স্বস্ব বিভাগের জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধির উপর সবিশেষ জোর দিতে হবে। প্রতিটি কাজের দৃশ্যমান অস্তিত্ব যেন আমরা দেখতে পায়।

প্রকল্পের ধীরগতি আমাদেরও সহ্য করার গতি যেন বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রকল্প নকশায় দুর্বলতা বা শুরুতেই গলদের কারণে ভঙ্গুর প্রকল্প সামনে এসে দাঁড়ায়। এ ধরনের অব্যবস্থাপনার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। প্রকল্প এডিপিভুক্ত হবার পূর্বেই সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা বিভাগকে সজাগ থাকতে হবে। সময়োপযোগী প্রকল্প নিতে হবে। যেটা জনগণের অধিক কল্যাণ সাধিত হয়। উন্নয়নে সমন্বয়হীনতা থাকলে পর্যদস্ত হবে অর্থনীতি। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সেগুলো দেশের অর্থনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার করবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসন নিশ্চিত করা সর্বাগ্রে প্রয়োজন। দেশি বা বিদেশি যে মাধ্যম বা উৎস থেকেই ঋণ নিয়ে অবকাঠামো বা প্রকল্প বাস্তবায়ন হোক না কেন সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়ন করা জরুরি। অন্যথায় বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে অর্থনীতিকে গতিশীলতার পরিবর্তে ব্যর্থতার ভারে ন্যুজ হতে হবে।

সম্প্রতি ঢাকা পাতালরেল (সাবওয়ে) প্রকল্প উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষসহ (বিবিএ) সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলো ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছে, যাকে আন্তরিক ভাবে স্বাগত জানাচ্ছে আইপিডি (ইনস্টিটিউট ফর প্লানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট)। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর প্রকল্প লাভজনক বলে বিবেচিত না হলে প্রকল্প অনুমোদন না দেওয়ার বিষয়টি দেশের জন্য ইতিবাচক। এতে ব্যয়বহুল ও উচ্চভিলাষী প্রকল্পের জন্য অর্থ ও সম্পদের অপচয় থেকে দেশ রক্ষা পায়। দেশের আর্থ-সামাজিক পরিকল্পনার বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যবিহীন এবং ব্যয়বহুল প্রকল্প গ্রহণ করতে যেয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের গুরুত্বপূর্ণ যে অর্থের অপচয় হচ্ছে তা রোধ করতে সরকারকে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। অযাচিত প্রকল্পগুলোকে লাগাম টেনে ধরার এখনি সময়। আমরা চাই না আমাদের জাতি হোক অর্থনৈতিক ঋণের ভারে ন্যুজ জাতি। মাথা উচু করে গর্বভরে আমরা বলতে পারি আমরা বাঙালি, আমরা বাংলাদেশি-কারো উপর হাত বাড়িয়ে ভিক্ষা করে নয়, আমরা সুন্দর পরিকল্পনা করে পরিশ্রম করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এক জাতি।

 

লেখক: সহকারী সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ; লেখক ও গবেষক

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত