মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বৈশ্বিক সংকট, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ

টানা দুই বছর করোনা মহামারির ধকল সামলে উঠতে না উঠতেই বিশ্ব এক নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। অবাক বিস্ময়ে বিশ্ববাসী দেখছে এক যুদ্ধ পরিস্থিতি। এ ধরনের পরিস্থিতি দেখার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না। করোনার ধকল সামলাতে সব দেশই নানা পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে ছোট্ট দেশ ইউক্রেনের উপর জুলুমবাজি শুরু করল রাশিয়া। ছোট দেশের উপর বড় দেশের এই আগ্রাসী থাবা সবাই স্তম্ভিত। সবাইকেই এই পরিস্থিতি অস্বস্তিতে ফেলেছে। অথচ গোয়ারগোবিন্দ রাশিয়া কিছুই তোয়াক্কা করছে না। ইউক্রেনে অবাধ নারী-শিশু হত্যা করছে। উপাসনালয় কিংবা হাসপাতালও রাশিয়ার হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এ কোন ধরনের গোয়ার্তুমি!

এখন যদি বিশ্বের সব বড় দেশ তার প্রতিবেশি ছোট দেশগুলোর উপর রাশিয়ার মতো আচরণ শুরু করে তখন কি হবে? কে কাকে ঠৈকাবে? তার মানে কি সব বড় দেশের আচরণ একই রকম? আজ কোথায় গেল মানবতার ধ্বজাধারীরা? তারা কেন নীরব ভূমিকা পালন করছে।

বেশ কয়েকটি বড় দেশ রাশিয়াকে সমর্থনও দিচ্ছে। তারা কি কারণে সমর্থন দিচ্ছে তা বোধগম্য নয়। অবশ্য বড় দেশগুলো সব সময়ই সুযোগ খোঁজে। সুযোগ পেলেই তারা ছোট দেশগুলোর উপর আগ্রাসী হয়ে উঠে। ইউক্রেন ইস্যুতে অবশ্য জাতিসংঘসহ অধিকাংশ দেশই ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারপরও রাশিয়াকে থামাতে পারছে না। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, তারা ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রাখবে। আর এই অবস্থা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে বিশ্বে খাদ্য সংকট মারাত্মক রূপ নেবে।

আমরা সবাই জানি, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে অগ্রসরমান দেশ ছিল শ্রীলঙ্কা। সেখানে শতভাগ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। অর্থনৈতিক দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর চেয়ে উন্নতই ছিল। তাদের আয়ের অন্যতম উৎস হচ্ছে পর্যটন, চা ও তৈরি পোশাক। তাছাড়া বিদেশে কর্মরত শ্রীলঙ্কানদের পাঠানো অর্থও তাদের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। কিন্তু ভুল নেতৃত্ব, ভুল সিদ্ধান্ত এবং নেতৃত্বের দূরদর্শীতার অভাবে দেশটি বড় ধরনের বিপদে পড়েছে। ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় চীনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে দেশটি। বড় সব প্রকল্পই বাস্তবায়ন করেছে চীন। তাছাড়া চীনের অর্থায়নে গভীর সমুদ্র বন্দর করে ৯৯ বছরের জন্য চীনের হাতে ছেড়ে দিতে হয়েছে। আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বেশি বাড়িয়ে ফেলেছে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা বহন করতে অক্ষম শ্রীলঙ্কা। রিজার্ভের পরিমাণ একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় শ্রীলঙ্কা নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে।

শ্রীলঙ্কার এই করুণ পরিণতি দেখে কোনো কোনো বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলের নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে। কেন তারা বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করছেন তা বুঝতে পারছি না। বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের স্থিতি চার হাজার ৪০৯ কোটি ৫১ ডলার। কিন্তু রিজার্ভের পরিমাণ সাড়ে চার হাজার কোটি ডলার। চীনের থেকে ঋণের পরিমাণও খুব বেশি নয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের এমন অবস্থা হয়নি যে, ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ। তাহলে শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টানা হবে কেন? শুধুই কি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য? নাকি অন্য কোনো দুরভিসন্ধি আছে?

তবে এটা ঠিক যে, বাংলাদেশের সামনে বেশ কিছু ঝুঁকি আছে। সেই ঝুঁকিগুলো মোকাবিলা করতে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে সরকারকে। বাংলাদেশ ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে প্রধানত গম এবং জ্বালানি আমদানি করে থাকে। যুদ্ধের কারণে আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। সঙ্গত কারণেই দুশ্চিন্তায় পড়েছে সরকার। এ নিয়ে দেশের মানুষও টেনশনে আছে। কেউ কেউ হা হুতাশও করছে। তাদের ধারণা, যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সারাবিশ্বই খাদ্য সংকটের সম্মুখীন। চাইলেই বাংলাদেশ অন্য দেশ থেকে খাদ্যপণ্য আমদানি করতে পারবে না।

এদিকে দেশে ডলার সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এলসি করা ছাড়া ডলার মিলছে না। গত কয়েকদিন ধরে ডলারের বাজারে মারাত্মক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এতেও অনেকে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন করার পরপরই মার্কেট টালমাটাল হয়ে গেছে। এক ডলারের দাম উঠেছে ১০৪ টাকা। যা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এ অবস্থায় সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে সরকার রেমিটেন্স প্রবাহ এবং রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে পারে। এছাড়া ডলার মার্কেটে স্থিতিশীলতা আসবে না। যদিও সরকার সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ সরকারি সফরকে ব্যাপকভাবে নিরুৎসাহিত করছে। এতে কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে অনেকেই আশা করছেন।

করোনার কারণে টানা দুই বছর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই সামনে এগোতে হচ্ছে বিশ্বের প্রতিটি দেশকে। উন্নত অনেক দেশই অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশ যে এখনো সঠিক পথে আছে সেটা অনেক বড় অর্জন নয় কি? আরও আশার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের রিজার্ভ এখনো সন্তোসজনক পর্যায়ে রয়েছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ অনেক ভালো। তৈরি পোশাক খাতের আয় অন্য যে কোনো বছরের চেয়ে ভালো। টানা কয়েক বছর দেশে রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদন হয়েছে। ফলে বড় ধরনের সংকটে পড়ার আশঙ্কা আপাতত নেই। তবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে। সেই চ্যালেঞ্জ কিভাবে সরকার মোকাবিলা করবে সেটাই দেখার বিষয়।

সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর ভুলের কারণে অনেক খেসারত দিতে হয়েছে। এমনও কথা উঠেছে, তিনি ব্যবসায়ীদের পক্ষে কাজ করছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী একজন ব্যবসায়ী। মন্ত্রীর শপথ নেওয়ার পর তিনি রাষ্ট্রের সেবক। রাষ্ট্রের জনগণের ভালোর জন্য তাকে অনেক কঠিন সিদ্ধান্তও নিতে হয়। নির্মোহ হতে হয়। অনেক সময়ই দেখা যায় মন্ত্রী হয়েও তিনি ব্যবসায়ীদের পক্ষে কথা বলেন। এ ব্যাপারে তাকে আরও সতর্ক হতে হবে।

করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আগামী এক বছর বা তারও বেশি সময় বিশ্বকে কঠিন অবস্থায় পড়তে হবে। সেই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিশ্ব নেতাদের পরস্পরের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। যুদ্ধ নয় শান্তি এই স্লোগান নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ হবে।

লেখক: প্রধান সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ ও সাহিত্যিক

Header Ad
Header Ad

'বাংলাদেশি' সন্দেহে আটক সাড়ে ৬ হাজার, অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম

ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেই গুজরাটে ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ শনাক্তে রাজ্য পুলিশের বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬,৫০০ জনের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৪৫০ জনের বাংলাদেশি নাগরিকত্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে, বাকিরা অধিকাংশই ভারতীয় মুসলমান বলে জানা গেছে।

গুজরাট পুলিশের ডিজি বিকাশ সহায় সোমবার (২৮ এপ্রিল) পিটিআইকে বলেন, “এখন পর্যন্ত ৪৫০ জনের নথিপত্র দেখে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত করা গেছে। বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”

শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোররাতে আহমেদাবাদ ও সুরাত শহরে শুরু হওয়া অভিযান পরে গুজরাটজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের ভারতীয় আধার কার্ড, ভোটার আইডি ও পাসপোর্ট থাকলেও পুলিশ তাদের পরিচয় মানছে না।

সুরাতের বাসিন্দা সুলতান মল্লিক, যিনি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার নাগরিক, তাকে তার দুই ভাগ্নেসহ মধ্যরাতে আটক করা হয়। স্ত্রী সাহিনা বিবি বলেন, “পুলিশ বলে কিছুক্ষণেই ছেড়ে দেবে। কিন্তু তিন দিনেও তাদের খোঁজ নেই।”

আহমেদাবাদে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে আসা বরযাত্রীরাও এই অভিযানে আটক হন। স্থানীয় বাসিন্দা আলমআরা পাঠান জানান, “২৩ বছর ধরে এখানে আছি। ছেলেও এখানেই জন্মেছে, তবুও পুলিশ তাকে বাংলাদেশি সন্দেহে ধরে নিয়ে যায়।”

পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠন ‘পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ’ জানায়, গুজরাট ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশায়ও বাংলাভাষী মুসলিমদের হয়রানির অভিযোগ আসছে।

পুলিশ বলছে, আধার বা ভোটার আইডি যথেষ্ট প্রমাণ নয়, কারণ সেগুলো নকল হতে পারে। এজন্য সীমান্তবর্তী রাজ্য থেকে তদন্তকারী দলও আনা হচ্ছে।

এ বিষয়ে পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের প্রধান আসিফ ফারুক বলেন, “বাংলাভাষী ও মুসলমান হলেই কি তাদের নাগরিক অধিকার খর্ব হবে? এরা কি দেশের অন্যত্র কাজ করতে পারবে না?”

Header Ad
Header Ad

দীপ্ত টিভির সংবাদ বিভাগ বন্ধে সরকারের কোনো নির্দেশনা নেই: তথ্য উপদেষ্টা

তথ্য ও সম্প্রচারবিষয়ক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত

দীপ্ত টেলিভিশনের সংবাদ বিভাগ বন্ধ করার বিষয়ে সরকার কোনো নির্দেশনা দেয়নি বা ফোনও করেনি বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারবিষয়ক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সচিবালয়ের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বাস্তবতা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

মাহফুজ আলম বলেন, “আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কাউকে কোনো কল দিইনি। দীপ্ত টিভির একজন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং সংবাদ বিভাগ বন্ধ করা হয়েছে— এতে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে যে এটি সরকারের নির্দেশে হয়েছে। অথচ এমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।”

সভায় সাংবাদিকদের অর্থনৈতিক বাস্তবতা তুলে ধরে মাহফুজ আলম বলেন, “গত বছরের জানুয়ারিতে আমি নিজে একটি টিভি চ্যানেলে চাকরির জন্য গিয়েছিলাম। আমাকে মাত্র ১৩ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই অল্প বেতনে একজন মানুষ ঢাকা শহরে কীভাবে জীবন চালাবে, পরিবারকে কীভাবে দেখবে?”

তিনি আরও বলেন, “গণমাধ্যমের টেকসই উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার একটি গঠনমূলক রোডম্যাপ তৈরি করছে।”

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, একাডেমিক, মানবাধিকারকর্মীসহ গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি। আলোচনায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মালিকপক্ষের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ, সাংবাদিকদের চাকরির নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ নিয়ে বিভিন্ন মতামত উঠে আসে।

Header Ad
Header Ad

এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!

ছবি: সংগৃহীত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে সোমবার রাতেও দু’দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলি হয়। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের মুক্তি দাবি করেছে প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।

পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডন-এর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এমনটি জানানো হয়।

সোমবার সিনেটে পিটিআইর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ জাতীয় সংকটময় পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় সম্মেলন (Multi-Party Conference) আহ্বান করা প্রয়োজন, যাতে দেশের রাজনৈতিক নেতারা একসঙ্গে বসে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই বৈঠকে ইমরান খানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তার জেল থেকে মুক্তিরও দাবি জানানো হয়।

পিটিআইয়ের সিনেটর আলী জাফর বলেন, “রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে এখন দেশের স্বার্থে ঐক্য প্রয়োজন। ইমরান খানের উপস্থিতি বিশ্বকে দেখাবে— পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ।” তিনি আরও বলেন, ইমরান যদি অংশ নেন, তাহলে তা হবে শক্তিশালী কূটনৈতিক বার্তা।

পিটিআই নেতা শিবলি ফারাজ আরও একধাপ এগিয়ে ইমরান খানকে টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার দাবি, ইমরান টিভির মাধ্যমে জনগণকে মিনার-ই-পাকিস্তানে জমায়েত হওয়ার এবং ওয়াগা সীমান্তে পদযাত্রা করার ডাক দিলে এক কোটির বেশি মানুষ সাড়া দেবে।

তার ভাষায়, “শুধু জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি ভারতকে যথাযথ বার্তা দিতে পারেন।”

ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) বা পিএমএল-এন–এর সিনেটর ইরফানুল হক সিদ্দিকী ভারতের প্রতি কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “পেহেলগামের হামলা আসলে একটি ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন— যা ভারতের নিজস্ব সংস্থারই পরিকল্পিত, পাকিস্তানকে হেয় করার উদ্দেশ্যে।”

তিনি বলেন, পাকিস্তান বরাবরই সন্ত্রাসবাদের শিকার, বরং ভারত এখন নাৎসি চিন্তাধারায় বিশ্বাসী সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলছে, তারাই বরং দীর্ঘদিন ধরে চরমপন্থী হামলার শিকার। দুই দেশের মধ্যে এই উত্তেজনা বিশ্ব রাজনীতিতেও উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি যুদ্ধাবস্থার দিকে গড়াতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

'বাংলাদেশি' সন্দেহে আটক সাড়ে ৬ হাজার, অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম
দীপ্ত টিভির সংবাদ বিভাগ বন্ধে সরকারের কোনো নির্দেশনা নেই: তথ্য উপদেষ্টা
এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!
টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ
লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ
ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি খাইয়ে সেবা করল ডাকাতরা, পরে লুট
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে নানা প্রশ্ন : স্পষ্ট করলেন প্রেসসচিব
ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই