মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মোরাল পুলিশিং, নাকি আইন, কোনটি দিয়ে বিচার হবে?

সম্প্রতি নরসিংদীতে একজন তরুণীকে রীতিমতো হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। স্লিভলেস পোশাক ও জিন্স পরার কারণে স্থানীয় লোকজন মেয়েটির গায়ে হাত পর্যন্ত দিয়েছে, পোশাক খুলে নিতে চেয়েছে। ঘটনাটি আমরা জানতে পেরেছি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওর মাধ্যমে। ভিডিওতে আমরা দেখি বোরকা পরা একজন নারীকে এ কাজ করতে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।। টিপ, জিন্স, স্লিভলেস পোশাক পরার কারণে নারীদেরকে প্রায়ই সাম্প্রদায়িক মানসিকতার ব্যক্তিরা কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিচার করে বলে, ‌‘এসব তো ধর্মে অনুমতি দেয় না’। অথচ দেশের কোনো আইনে অন্যের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা যায় না। এমন কি দেশের আইনে টিপ, জিন্স, স্লিভলেস পোশাক পরাতেও কারো কোনো বাধা নেই । তবুও আমরা সব সময় অন্যকে দেশের আইন নয়, বরং ধর্ম দিয়ে বিচার করতে পছন্দ করি। অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করি আর ধরনের ঘটনাকেই মোরাল পুলিশিং বলা হয়ে থাকে। আরো কিছু উদাহরণ দিলে ব্যাপারটি স্পষ্ট হবে।

মাদ্রাসায় হুজুর শিক্ষকের দ্বারা শিশু (ছেলে, মেয়ে যেকোনো শিশু) ধর্ষণের ঘটনা ইদানিং প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়। তবে ধর্ষণের ঘটনা যে শুধু মাদ্রাসাতেই ঘটে তা নয়, স্কুলেও ঘটে। ভিকারুননিসার পরিমল কাণ্ডের কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। এমন কি সিলেটে এমসি কলেজে শিক্ষার্থীদের দ্বারা গণধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে। এখানে দেশের আইন অনুযায়ী প্রতিটিই ধর্ষণ অপরাধ। কিন্তু ধর্ষকের গায়ে যদি দাঁড়ি টুপি থাকে, তবে ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের কথা ভুলে গিয়ে সবাই ব্যক্তিটিকে ধর্ম ও পোশাক দিয়ে বিচার করতে শুরু করে। দেয়। এগুলোও মোরাল পুলিশিং।

কিছুদিন আগে রেলে টিকেট কালোবাজারি করার দায়ে গ্রেপ্তার হলেন একজন অফিসার। টেকনাফে মারামারিতে ইয়াবা কারবারি নিহত হলো। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে শত কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে ডিজির ড্রাইভার। এমনি আরো বহু উদাহরণ দেয়া যাবে। এবং এদের প্রত্যেকের দাঁড়ি টুপি, পাঞ্জাবি থাকায় তাদের মূল অপরাধ ভুলে গিয়ে পোশাক দিয়ে বিচার করা শুরু করে দেয় সবাই। প্রসংগত একটি গল্প মনে করাতে চাই।

এলাকায় এক চোর ধরা পড়েছে, গণপিটুনি চলছে। এক শিশু তার বাবার কাছে আবদার ধরেছে, চোর দেখবে। তাকে চোর দেখানো অবাক হয়ে বলে, ‘চোর কোথায়, এটা তো একজন মানুষ!’ ঠিক তেমনি অপরাধী তো আলাদা কোন ভিনগ্রহী প্রাণী নয় যে, চেহারা বা পোশাক দেখলেই চিনতে পারবেন। সে আপনার আমার মতোই একজন। আর দশজন সাধারণ মানুষ যেমন হয়, কেউ টুপি পাঞ্জাবি পরে, দাঁড়ি রাখে, কেউ শার্ট প্যান্ট পরে, কেউবা লুংগি ফতুয়া পরে, অপরাধীও তেমনি পোশাক পরে। অপরাধীর আলাদা কোন ইউনিফর্ম থাকে না, যাতে তাকে দেখলেই বোঝা যাবে সে অপরাধী! পোশাক দেখেই যদি অপরাধী চেনা যেতো, তবে পাইরেটদের মতো এক চোখে কালো পট্টি বেঁধেই অপরাধীরা ঘুরে বেড়াতো। অথচ দেখুন, শিল্পকলা একাডেমী মহাপরিচালক যখন শত কোটি টাকা লোপাট করে দেন তখন তার পোশাক কিংবা নারীলোভী ও খুনি বিশিষ্ট শিল্পপতির পোশাকটাও আপনার আমার চেয়ে আলাদা কিছু নয়, হয়তো একটু বেশি দামী। অথচ তখন ওটা আর আপত্তিকর মনে হয় না! আর কোন অপরাধীর যদি টুপি দাঁড়ি পাঞ্জাবি থাকে, তবে শুরু হয় ধর্ম দিয়ে বিচার করা, তার পোশাক নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এ ধরনের মোরাল পুলিশিংয়ের ফলে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা, বিদ্বেষই শুধু বৃদ্ধি পায়। এরই ফলশ্রুতিতে পাল্টা জবাব হিসেবে পিকে হালদার, ওসি প্রদীপ, সুধাশু সুরের দুর্নীতি বিচারটাও হয় ধর্ম দিয়েই মোরাল পুলিশিং করে। আমরা বেমালুম ভুলে যাই তাদের গুরুতর অপরাধের কথা। এতে শুধু সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষই ছড়ায়।

ঠিক যেমনটা ঘটেছিলো, সম্প্রতি নরসিংদীতে জিন্স টপস পরা তরুণীর সাথে এবং কিছুদিন আগে লতা সমাদ্দারের টিপ নিয়ে। অথচ অপরাধের বিচার হওয়া উচিত দেশের আইন অনুযায়ী। ধর্ম বা কারো পোশাক বিবেচনা করে, মোরাল পুলিশিং এর মাধ্যমে নয়! নরসিংদীতে ঘুরতে আসা সেই তরুণ-তরুণী যদি অনৈতিক কোন কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে সেখানে গমন করে বা অসামাজিক/অনৈতিক কোন কাজ করেও থাকে, সেটির বিচারও মোরাল পুলিশিং দিয়ে নয় বরং দেশের আইন দিয়েই হওয়া উচিত। এমন কি, কেউ যদি তার ধর্মকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে অপরাধ করে থাকে, সেটিও আইন দিয়েই বিচার করা সম্ভব! কিন্তু আমরা আইন দিয়ে কাউকে যেন বিচার করতেই চাই না। সব কিছুর মধ্যে মোরাল পুলিশিং করতেই হবে। এসব ঘটারও কিছু কারণ রয়েছে। এর একটি কারণ হচ্ছে, ঘুরে ফিরে আমাদের সবার সাম্প্রদায়িক চেহারাটি একই রকম। আরেকটি কারণ হচ্ছে, আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা।

দেশের সংবিধান ও আইন নিয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবেই মোরাল পুলিশিং করে সবকিছুকে বিচার করার প্রবনতা দিন দিন বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ। দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থাও এমন জটিল প্রক্রিয়া যে, সাধারণ মানুষ এগুলোকে এড়িয়েই চলতে চায়। ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালীরা নিজের ইচ্ছে মতো আইন চালিয়ে নেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ বড় বিপাকে, তারা তো আইনের বিচার পায় না। নিজের হাতে আইন তুলে নেবার উপায়ও তাদের নেই। নিরুপায় হয়ে তারা বড়জোর আল্লাহর কাছেই বিচার চাইতে পারে। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেও ধর্মের কাঁচ দিয়ে সবকিছুকে দেখার প্রবনতা তৈরি হয়। মোরাল পুলিশিং বাড়ে। দেশের আইনের প্রতি কারোরই আস্থা নেই। তাই সরকারের উচিত সাধারণ নাগরিকদের দায়িত্ব ও অধিকার, রাষ্ট্রের সংবিধান ও আইন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির কর্মসূচি নেয়া। তাহলে এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ অনেকটাই কমানো সম্ভব।

 

 

 লেখক: শিক্ষক

Header Ad
Header Ad

'বাংলাদেশি' সন্দেহে আটক সাড়ে ৬ হাজার, অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম

ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেই গুজরাটে ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ শনাক্তে রাজ্য পুলিশের বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬,৫০০ জনের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৪৫০ জনের বাংলাদেশি নাগরিকত্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে, বাকিরা অধিকাংশই ভারতীয় মুসলমান বলে জানা গেছে।

গুজরাট পুলিশের ডিজি বিকাশ সহায় সোমবার (২৮ এপ্রিল) পিটিআইকে বলেন, “এখন পর্যন্ত ৪৫০ জনের নথিপত্র দেখে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত করা গেছে। বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”

শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোররাতে আহমেদাবাদ ও সুরাত শহরে শুরু হওয়া অভিযান পরে গুজরাটজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের ভারতীয় আধার কার্ড, ভোটার আইডি ও পাসপোর্ট থাকলেও পুলিশ তাদের পরিচয় মানছে না।

সুরাতের বাসিন্দা সুলতান মল্লিক, যিনি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার নাগরিক, তাকে তার দুই ভাগ্নেসহ মধ্যরাতে আটক করা হয়। স্ত্রী সাহিনা বিবি বলেন, “পুলিশ বলে কিছুক্ষণেই ছেড়ে দেবে। কিন্তু তিন দিনেও তাদের খোঁজ নেই।”

আহমেদাবাদে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে আসা বরযাত্রীরাও এই অভিযানে আটক হন। স্থানীয় বাসিন্দা আলমআরা পাঠান জানান, “২৩ বছর ধরে এখানে আছি। ছেলেও এখানেই জন্মেছে, তবুও পুলিশ তাকে বাংলাদেশি সন্দেহে ধরে নিয়ে যায়।”

পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠন ‘পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ’ জানায়, গুজরাট ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশায়ও বাংলাভাষী মুসলিমদের হয়রানির অভিযোগ আসছে।

পুলিশ বলছে, আধার বা ভোটার আইডি যথেষ্ট প্রমাণ নয়, কারণ সেগুলো নকল হতে পারে। এজন্য সীমান্তবর্তী রাজ্য থেকে তদন্তকারী দলও আনা হচ্ছে।

এ বিষয়ে পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের প্রধান আসিফ ফারুক বলেন, “বাংলাভাষী ও মুসলমান হলেই কি তাদের নাগরিক অধিকার খর্ব হবে? এরা কি দেশের অন্যত্র কাজ করতে পারবে না?”

Header Ad
Header Ad

দীপ্ত টিভির সংবাদ বিভাগ বন্ধে সরকারের কোনো নির্দেশনা নেই: তথ্য উপদেষ্টা

তথ্য ও সম্প্রচারবিষয়ক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত

দীপ্ত টেলিভিশনের সংবাদ বিভাগ বন্ধ করার বিষয়ে সরকার কোনো নির্দেশনা দেয়নি বা ফোনও করেনি বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারবিষয়ক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সচিবালয়ের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বাস্তবতা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

মাহফুজ আলম বলেন, “আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কাউকে কোনো কল দিইনি। দীপ্ত টিভির একজন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং সংবাদ বিভাগ বন্ধ করা হয়েছে— এতে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে যে এটি সরকারের নির্দেশে হয়েছে। অথচ এমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।”

সভায় সাংবাদিকদের অর্থনৈতিক বাস্তবতা তুলে ধরে মাহফুজ আলম বলেন, “গত বছরের জানুয়ারিতে আমি নিজে একটি টিভি চ্যানেলে চাকরির জন্য গিয়েছিলাম। আমাকে মাত্র ১৩ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই অল্প বেতনে একজন মানুষ ঢাকা শহরে কীভাবে জীবন চালাবে, পরিবারকে কীভাবে দেখবে?”

তিনি আরও বলেন, “গণমাধ্যমের টেকসই উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার একটি গঠনমূলক রোডম্যাপ তৈরি করছে।”

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, একাডেমিক, মানবাধিকারকর্মীসহ গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি। আলোচনায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মালিকপক্ষের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ, সাংবাদিকদের চাকরির নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ নিয়ে বিভিন্ন মতামত উঠে আসে।

Header Ad
Header Ad

এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!

ছবি: সংগৃহীত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে সোমবার রাতেও দু’দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলি হয়। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের মুক্তি দাবি করেছে প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।

পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডন-এর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এমনটি জানানো হয়।

সোমবার সিনেটে পিটিআইর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ জাতীয় সংকটময় পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় সম্মেলন (Multi-Party Conference) আহ্বান করা প্রয়োজন, যাতে দেশের রাজনৈতিক নেতারা একসঙ্গে বসে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই বৈঠকে ইমরান খানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তার জেল থেকে মুক্তিরও দাবি জানানো হয়।

পিটিআইয়ের সিনেটর আলী জাফর বলেন, “রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে এখন দেশের স্বার্থে ঐক্য প্রয়োজন। ইমরান খানের উপস্থিতি বিশ্বকে দেখাবে— পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ।” তিনি আরও বলেন, ইমরান যদি অংশ নেন, তাহলে তা হবে শক্তিশালী কূটনৈতিক বার্তা।

পিটিআই নেতা শিবলি ফারাজ আরও একধাপ এগিয়ে ইমরান খানকে টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার দাবি, ইমরান টিভির মাধ্যমে জনগণকে মিনার-ই-পাকিস্তানে জমায়েত হওয়ার এবং ওয়াগা সীমান্তে পদযাত্রা করার ডাক দিলে এক কোটির বেশি মানুষ সাড়া দেবে।

তার ভাষায়, “শুধু জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি ভারতকে যথাযথ বার্তা দিতে পারেন।”

ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) বা পিএমএল-এন–এর সিনেটর ইরফানুল হক সিদ্দিকী ভারতের প্রতি কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “পেহেলগামের হামলা আসলে একটি ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন— যা ভারতের নিজস্ব সংস্থারই পরিকল্পিত, পাকিস্তানকে হেয় করার উদ্দেশ্যে।”

তিনি বলেন, পাকিস্তান বরাবরই সন্ত্রাসবাদের শিকার, বরং ভারত এখন নাৎসি চিন্তাধারায় বিশ্বাসী সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলছে, তারাই বরং দীর্ঘদিন ধরে চরমপন্থী হামলার শিকার। দুই দেশের মধ্যে এই উত্তেজনা বিশ্ব রাজনীতিতেও উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি যুদ্ধাবস্থার দিকে গড়াতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

'বাংলাদেশি' সন্দেহে আটক সাড়ে ৬ হাজার, অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম
দীপ্ত টিভির সংবাদ বিভাগ বন্ধে সরকারের কোনো নির্দেশনা নেই: তথ্য উপদেষ্টা
এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!
টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ
লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ
ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি খাইয়ে সেবা করল ডাকাতরা, পরে লুট
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে নানা প্রশ্ন : স্পষ্ট করলেন প্রেসসচিব
ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই