শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মোরাল পুলিশিং, নাকি আইন, কোনটি দিয়ে বিচার হবে?

সম্প্রতি নরসিংদীতে একজন তরুণীকে রীতিমতো হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। স্লিভলেস পোশাক ও জিন্স পরার কারণে স্থানীয় লোকজন মেয়েটির গায়ে হাত পর্যন্ত দিয়েছে, পোশাক খুলে নিতে চেয়েছে। ঘটনাটি আমরা জানতে পেরেছি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওর মাধ্যমে। ভিডিওতে আমরা দেখি বোরকা পরা একজন নারীকে এ কাজ করতে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।। টিপ, জিন্স, স্লিভলেস পোশাক পরার কারণে নারীদেরকে প্রায়ই সাম্প্রদায়িক মানসিকতার ব্যক্তিরা কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিচার করে বলে, ‌‘এসব তো ধর্মে অনুমতি দেয় না’। অথচ দেশের কোনো আইনে অন্যের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা যায় না। এমন কি দেশের আইনে টিপ, জিন্স, স্লিভলেস পোশাক পরাতেও কারো কোনো বাধা নেই । তবুও আমরা সব সময় অন্যকে দেশের আইন নয়, বরং ধর্ম দিয়ে বিচার করতে পছন্দ করি। অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করি আর ধরনের ঘটনাকেই মোরাল পুলিশিং বলা হয়ে থাকে। আরো কিছু উদাহরণ দিলে ব্যাপারটি স্পষ্ট হবে।

মাদ্রাসায় হুজুর শিক্ষকের দ্বারা শিশু (ছেলে, মেয়ে যেকোনো শিশু) ধর্ষণের ঘটনা ইদানিং প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়। তবে ধর্ষণের ঘটনা যে শুধু মাদ্রাসাতেই ঘটে তা নয়, স্কুলেও ঘটে। ভিকারুননিসার পরিমল কাণ্ডের কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। এমন কি সিলেটে এমসি কলেজে শিক্ষার্থীদের দ্বারা গণধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে। এখানে দেশের আইন অনুযায়ী প্রতিটিই ধর্ষণ অপরাধ। কিন্তু ধর্ষকের গায়ে যদি দাঁড়ি টুপি থাকে, তবে ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের কথা ভুলে গিয়ে সবাই ব্যক্তিটিকে ধর্ম ও পোশাক দিয়ে বিচার করতে শুরু করে। দেয়। এগুলোও মোরাল পুলিশিং।

কিছুদিন আগে রেলে টিকেট কালোবাজারি করার দায়ে গ্রেপ্তার হলেন একজন অফিসার। টেকনাফে মারামারিতে ইয়াবা কারবারি নিহত হলো। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে শত কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে ডিজির ড্রাইভার। এমনি আরো বহু উদাহরণ দেয়া যাবে। এবং এদের প্রত্যেকের দাঁড়ি টুপি, পাঞ্জাবি থাকায় তাদের মূল অপরাধ ভুলে গিয়ে পোশাক দিয়ে বিচার করা শুরু করে দেয় সবাই। প্রসংগত একটি গল্প মনে করাতে চাই।

এলাকায় এক চোর ধরা পড়েছে, গণপিটুনি চলছে। এক শিশু তার বাবার কাছে আবদার ধরেছে, চোর দেখবে। তাকে চোর দেখানো অবাক হয়ে বলে, ‘চোর কোথায়, এটা তো একজন মানুষ!’ ঠিক তেমনি অপরাধী তো আলাদা কোন ভিনগ্রহী প্রাণী নয় যে, চেহারা বা পোশাক দেখলেই চিনতে পারবেন। সে আপনার আমার মতোই একজন। আর দশজন সাধারণ মানুষ যেমন হয়, কেউ টুপি পাঞ্জাবি পরে, দাঁড়ি রাখে, কেউ শার্ট প্যান্ট পরে, কেউবা লুংগি ফতুয়া পরে, অপরাধীও তেমনি পোশাক পরে। অপরাধীর আলাদা কোন ইউনিফর্ম থাকে না, যাতে তাকে দেখলেই বোঝা যাবে সে অপরাধী! পোশাক দেখেই যদি অপরাধী চেনা যেতো, তবে পাইরেটদের মতো এক চোখে কালো পট্টি বেঁধেই অপরাধীরা ঘুরে বেড়াতো। অথচ দেখুন, শিল্পকলা একাডেমী মহাপরিচালক যখন শত কোটি টাকা লোপাট করে দেন তখন তার পোশাক কিংবা নারীলোভী ও খুনি বিশিষ্ট শিল্পপতির পোশাকটাও আপনার আমার চেয়ে আলাদা কিছু নয়, হয়তো একটু বেশি দামী। অথচ তখন ওটা আর আপত্তিকর মনে হয় না! আর কোন অপরাধীর যদি টুপি দাঁড়ি পাঞ্জাবি থাকে, তবে শুরু হয় ধর্ম দিয়ে বিচার করা, তার পোশাক নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এ ধরনের মোরাল পুলিশিংয়ের ফলে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা, বিদ্বেষই শুধু বৃদ্ধি পায়। এরই ফলশ্রুতিতে পাল্টা জবাব হিসেবে পিকে হালদার, ওসি প্রদীপ, সুধাশু সুরের দুর্নীতি বিচারটাও হয় ধর্ম দিয়েই মোরাল পুলিশিং করে। আমরা বেমালুম ভুলে যাই তাদের গুরুতর অপরাধের কথা। এতে শুধু সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষই ছড়ায়।

ঠিক যেমনটা ঘটেছিলো, সম্প্রতি নরসিংদীতে জিন্স টপস পরা তরুণীর সাথে এবং কিছুদিন আগে লতা সমাদ্দারের টিপ নিয়ে। অথচ অপরাধের বিচার হওয়া উচিত দেশের আইন অনুযায়ী। ধর্ম বা কারো পোশাক বিবেচনা করে, মোরাল পুলিশিং এর মাধ্যমে নয়! নরসিংদীতে ঘুরতে আসা সেই তরুণ-তরুণী যদি অনৈতিক কোন কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে সেখানে গমন করে বা অসামাজিক/অনৈতিক কোন কাজ করেও থাকে, সেটির বিচারও মোরাল পুলিশিং দিয়ে নয় বরং দেশের আইন দিয়েই হওয়া উচিত। এমন কি, কেউ যদি তার ধর্মকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে অপরাধ করে থাকে, সেটিও আইন দিয়েই বিচার করা সম্ভব! কিন্তু আমরা আইন দিয়ে কাউকে যেন বিচার করতেই চাই না। সব কিছুর মধ্যে মোরাল পুলিশিং করতেই হবে। এসব ঘটারও কিছু কারণ রয়েছে। এর একটি কারণ হচ্ছে, ঘুরে ফিরে আমাদের সবার সাম্প্রদায়িক চেহারাটি একই রকম। আরেকটি কারণ হচ্ছে, আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা।

দেশের সংবিধান ও আইন নিয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবেই মোরাল পুলিশিং করে সবকিছুকে বিচার করার প্রবনতা দিন দিন বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ। দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থাও এমন জটিল প্রক্রিয়া যে, সাধারণ মানুষ এগুলোকে এড়িয়েই চলতে চায়। ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালীরা নিজের ইচ্ছে মতো আইন চালিয়ে নেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ বড় বিপাকে, তারা তো আইনের বিচার পায় না। নিজের হাতে আইন তুলে নেবার উপায়ও তাদের নেই। নিরুপায় হয়ে তারা বড়জোর আল্লাহর কাছেই বিচার চাইতে পারে। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেও ধর্মের কাঁচ দিয়ে সবকিছুকে দেখার প্রবনতা তৈরি হয়। মোরাল পুলিশিং বাড়ে। দেশের আইনের প্রতি কারোরই আস্থা নেই। তাই সরকারের উচিত সাধারণ নাগরিকদের দায়িত্ব ও অধিকার, রাষ্ট্রের সংবিধান ও আইন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির কর্মসূচি নেয়া। তাহলে এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ অনেকটাই কমানো সম্ভব।

 

 

 লেখক: শিক্ষক

Header Ad

নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

আউয়াল কমিশনের পদত্যাগের আড়াই মাস যেতেই অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে বেছে নেওয়া হয়েছে নতুন নির্বাচন কমিশন। আগামী রোববার শপথ নিতে যাচ্ছে এ কমিশন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নতুন নির্বাচন কমিশন বেছে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এ তথ্য জানান সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।

সিদ্ধান্ত মোতাবেক রোববার (২৪ নভেম্বর) বেলা দেড়টায় নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনারকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাস পর গত ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করে হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এর আড়াই মাস যেতেই এবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ভার ন্যস্ত থাকবে এ কমিশনের ওপর।

নতুন নির্বাচন কমিশনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন ছাড়াও কমিশনার হিসেবে থাকছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা বিধান অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করার পর ওই কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নামের তালিকা থেকে এই নির্বাচন কমিশন বেছে নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

দেশের চতুর্দশ সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নাসির উদ্দীনক স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার।

নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এতে চলমান যুদ্ধে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪ হাজার ৫৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বোমা ও গুলিতে ৭১ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন।

তবে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এবং সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়।

এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক্স পোস্টে বলেছেন, গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশই এখন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ওইসব এলাকার মানুষেরা নিরাপত্তা ও অস্তিত্বহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন।

অনিরাপদ রুটের কারণে গাজাজুড়ে সামান্য ত্রাণ সরবরাহ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে জানিয়ে ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে মানুষ কঠোর অবরোধের মধ্যে রয়েছে। যুদ্ধের দুষ্টচক্রে পড়ে তারা জীবন বাঁচাতে ছুটাছুটির মধ্যে রয়েছেন। ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলটি মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উপত্যকায় নাগরিক শৃঙ্খলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালত দুই ব্যক্তি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ৮ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ২০ মে, ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে।

বিবৃতি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ত ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে গাজার বেসামরিক জনগণকে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ তাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বস্তু থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে’।

পৃথক এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানায়, দেইফ, পুরো নাম মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরিও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি। বিবৃতি মতে, আদালত ‘সর্বসম্মতভাবে’ তার বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেইফের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে- ইসরাইলি ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপ এবং ৭ অক্টোবর হামলা চালানো হামলায় সহস্রাধিক ইসরাইলি নিহত হয়। তবে৭ অক্টোবর হামলার কয়েক মাস পর চলতি বছরের জুলাইয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা দেইফকে এক বিমান হামলায় হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। বিমান হামলাটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে এবং একটা পানি শোধনাগারে আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ৯০ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী