শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে যাওয়ার সাতকাহন

বাংলাদেশ থেকে মানব পাচারের নানা ঘটনা প্রায়ই সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম দখল করে থাকে। ভূ-মধ্যসাগরে দালালের খপ্পরে পড়ে কত বাংলাদেশির সলিল সমাধি হয়েছে তার কোনো সঠিক হিসেব আছে কিনা জানা নেই। ইউরোপ আমেরিকায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টায় বন জঙ্গলে অনেকের মানবেতর জীবনের সচিত্র প্রতিবেদনও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তারপরও সোনার হরিণের লোভে উন্নত দেশগুলোতে প্রবেশের চেষ্টার কমতি নেই! এরইমধ্যে কক্সবাজার উপকূল দিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য রোহিঙ্গাদের ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রাও চলছে!

শুধু রোহিঙ্গা নয় বাংলাদেশিদেরও মালয়েশিয়ায় পাচারের নানা ঘটনা সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে আমাদের জানা। কিন্তু দুই দেশের ইমিগ্রেশনের দুর্নীতিবাজদের সহায়তায় জাল ভিসায় মালয়েশিয়ায় প্রেরণের অভিনব ঘটনা প্রত্যক্ষ করে বিস্মিত হয়েছি!

ঈদের ছুটিতে মালয়েশিয়া ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরছিলাম ’মালিন্দো’ এয়ারলাইন্সে। রাতে কুয়ালালামপুর থেকে বিমানটি ছাড়ার পর দেখলাম দুই তরুণ বাংলাদেশি বিমানবালার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে। কিন্তু বিমানবালারা মালয় ও ইংরেজি ছাড়া কিছু বুঝে না। আর ওই দুই তরুণ শুধু বাংলা বলতে পারে। অবশ্য আকারে ইঙ্গিতে বুঝাতে সক্ষম হলো, তারা খাবার চায়! কৌতুহলী হয়ে তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করতে গিয়ে জানা গেল করুণ কাহিনী!

ওই দুই তরুণের এক জনের বাড়ি হবিগঞ্জে এবং আরেকজনের শরিয়তপুরে। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এই দুই তরুণ জানাল, এর আগের দিনে রাতে তারা ঢাকা থেকে রওয়ানা দেয় এই এয়ারলাইন্সে। ভোরে কুয়ালালামপুর পৌঁছে। দালালের নির্দেশনা অনুযায়ী অপেক্ষা করতে থাকে বিমান বন্দরের পুলসিরাত পেরোনোর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা বেরোতে পারে না। পরে মালয়েশিয়ান পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে বিমান বন্দরের লকআপ রুমে আটকে রাখে। তারপর থেকে তারা নাকি এক গ্লাস পানিও খেতে পারেনি। বিমান ছাড়ার আগ মুহূর্তে পুলিশ তাদের বিমানে তুলে দেয়। তাই বিমানে উঠার পর থেকে তারা খাবারের জন্য অস্থির হয়ে পড়েছিল!

এবার আসা যাক তাদের এই বিড়ম্বনার আদ্যোপান্তে। তাদের দুইজনেরই ভাই ও অন্য আত্মীয় মালয়েশিয়ায় থাকে। তারাই তাদের অবৈধভাবে সেখানে প্রবেশ করানোর জন্য দালালের সঙ্গে চুক্তি করে। নারায়ণগঞ্জের মুজিব নামে এক দালালের সঙ্গে তাদের চুক্তি হয় জনপ্রতি তিন লাখ টাকা করে দেওয়ার। বিমানের রিটার্ন টিকেট বাবদ অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। মালয়েশিয়ার বিমান বন্দর পেরোতে পারলে বাকি আড়াইলাখ টাকা তৎক্ষণাৎ পরিশোধ করা হবে। এমন শর্তে ওই দুই জন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায়। সেখানে ওই দালালের নির্দেশনা অনুয়ায়ী বোর্ডিং পাস নিয়ে নির্দিষ্ট কাউন্টারে উপস্থিত হয়।

কাউন্টারে পাসপোর্ট দিয়ে দালালের দেওয়া কোড ‘সাগর’ বললেও সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশি ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার ডিউটি বদল হয়ে যাওয়ায় আমলে নেয়নি। পরে ওই তথ্য সঙ্গে সঙ্গে ওই দালালকে জানালে নতুন কোড ‘ঘূর্নিঝড়’ বলতে বলা হয়। আর তা বলার সঙ্গে সঙ্গে নতুন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা সিল ছাপ্পর মেরে পাসপোর্ট দিয়ে দেয়। ভিসা আসল কি নকল তাও দেখা হয়নি, কোনো কিছু জিজ্ঞেসও করা হয়নি। আর তারা বিনা বাধায় জাল ভিসা নিয়ে বিমানে চড়ে বসে!

ওদিকে কুয়ালালামপুরে মালেয়শিয়ান সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার সঙ্গেও দালালদের যোগসাজোশ রয়েছে। তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে জাল ভিসাধারীদের বিমান বন্দরের পুলসিরাত পার করে দেন। কোভিডের আগে এভাবে শত শত বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা (বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী) মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করে। সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে নতুন পাসপোর্ট নেওয়া, বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশি পাসপোর্ট জোগাড় করে দেওয়ারও আলাদা সিন্ডিকেট রয়েছে!

ওই দুই তরুণ দালালদের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কাউন্টার দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন তাদের ভিসা জাল শনাক্ত করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

কোভিডের সময় এখন মালয়েশিযায় প্রবেশ অনেক কড়াকড়ি হওয়ায় দালালদের সঙ্গে চুক্তি করেও সেখানকার সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা আগের মত সবাইকে ’পার’ করে দিতে পারছেন না। আবার সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে লেনদেনে বনিবনা না হওয়ায়ও শেষ পর্যন্ত অনেককে ফিরে আসতে হয়।
ওই দুই তরুণ জানায়, তিনশো রিঙ্গিত করে জরিমানা পরিশোধ করার পর তাদের ফেরত পাঠানো হয়। ওই দিন রাতে মালয়শিয়ান এয়ারলাইন্সেও তাদের মত ১১ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। অন্য এয়ারলাইন্সেও প্রায় প্রতিদিনই অনেকে এভাবে ফেরত আসে।

কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে তারা যাতে বিপাকে না পরে সেজন্য ভুয়া ইন্দোনেশিয়ান ই ভিসা, টিকেটও দেওয়া হয়। কেউ চ্যালেঞ্জ করলে ছাড়া পাওয়ার জন্য যাতে তারা বলতে পারেন, কানেক্টিং ফ্লাইটে তারা ইন্দোনেশিয়া যাবে!

এভাবে দালালদের নানা ছলচাতুরি, দুই দেশের দুর্নীতিবাজ ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের যোগসাজোশে মানব পাচারের এই নিয়তির এবং হতভাগ্য বাংলাদেশিদের চরম দুর্দশা নিরসনের কি কোনো উপায় আছে?

লেখক: সাংবাদিক

আরএ/

Header Ad

নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

আউয়াল কমিশনের পদত্যাগের আড়াই মাস যেতেই অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে বেছে নেওয়া হয়েছে নতুন নির্বাচন কমিশন। আগামী রোববার শপথ নিতে যাচ্ছে এ কমিশন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নতুন নির্বাচন কমিশন বেছে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এ তথ্য জানান সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।

সিদ্ধান্ত মোতাবেক রোববার (২৪ নভেম্বর) বেলা দেড়টায় নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনারকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাস পর গত ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করে হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এর আড়াই মাস যেতেই এবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ভার ন্যস্ত থাকবে এ কমিশনের ওপর।

নতুন নির্বাচন কমিশনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন ছাড়াও কমিশনার হিসেবে থাকছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা বিধান অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করার পর ওই কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নামের তালিকা থেকে এই নির্বাচন কমিশন বেছে নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

দেশের চতুর্দশ সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নাসির উদ্দীনক স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার।

নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এতে চলমান যুদ্ধে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪ হাজার ৫৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বোমা ও গুলিতে ৭১ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন।

তবে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এবং সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়।

এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক্স পোস্টে বলেছেন, গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশই এখন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ওইসব এলাকার মানুষেরা নিরাপত্তা ও অস্তিত্বহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন।

অনিরাপদ রুটের কারণে গাজাজুড়ে সামান্য ত্রাণ সরবরাহ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে জানিয়ে ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে মানুষ কঠোর অবরোধের মধ্যে রয়েছে। যুদ্ধের দুষ্টচক্রে পড়ে তারা জীবন বাঁচাতে ছুটাছুটির মধ্যে রয়েছেন। ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলটি মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উপত্যকায় নাগরিক শৃঙ্খলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালত দুই ব্যক্তি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ৮ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ২০ মে, ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে।

বিবৃতি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ত ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে গাজার বেসামরিক জনগণকে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ তাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বস্তু থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে’।

পৃথক এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানায়, দেইফ, পুরো নাম মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরিও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি। বিবৃতি মতে, আদালত ‘সর্বসম্মতভাবে’ তার বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেইফের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে- ইসরাইলি ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপ এবং ৭ অক্টোবর হামলা চালানো হামলায় সহস্রাধিক ইসরাইলি নিহত হয়। তবে৭ অক্টোবর হামলার কয়েক মাস পর চলতি বছরের জুলাইয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা দেইফকে এক বিমান হামলায় হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। বিমান হামলাটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে এবং একটা পানি শোধনাগারে আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ৯০ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী