জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং তৎকালীন রাজনীতি
১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে শ্রাবণের এক বর্ষণমুখর সন্ধ্যায় স্বদেশে ফিরে আসেন। সেদিনটি ছিল রবিবার। দশলক্ষাধিক মানুষ সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা বাঙালির শেষ আশ্রয় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে একনজর দেখতে এবং তাঁর কথা শুনতে ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে সমবেত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন ‘জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রয়োজনে আমার জীবন দেব।’ বর্ষণমুখর শ্রাবণের ধারার সঙ্গে জনননেত্রী শেখ হাসিনার চোখের অশ্রুও সেদিন একাকার হয়ে গিয়েছিল।
১৯৭৫ সালের ৩০ জুলাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে স্বামী বিশিষ্ঠ পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কর্মস্থল জার্মানি যান। শেখ হাসিনা তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ ক্লাসের ছাত্রী ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য আব্দুল মতিন চৌধুরী ১৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাস্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগমন উপলক্ষে শেখ হাসিনাকে উপস্থিত থাকতে বলেন। কিন্তু স্বামীর অনুরোধে শেখ হাসিনাকে সমাবর্তনে উপস্থিত না থেকেই চলে যেতে হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে জার্মানিতে বসেই শেখ হাসিনাকে পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের খবর শুনতে হয়েছিল। তারপর দীর্ঘদিন ভারতে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
১৯৮১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে জননেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের দায়িত্ব নেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাবা-মাসহ পরিবারের সবাইকে হারিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে শ্রাবণের বর্ষণমুখর সন্ধ্যায় স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশে ফিরে আসেন। বাংলার লাখ লাখ মানুষ রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে বিমানবন্দর থেকে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের জনসভার মঞ্চ পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে ভালোবাসায় সিক্ত করে পরম মমতায় গ্রহণ করে। মানিক মিয়া এভিনিউয়ের জনসভায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ সেদিন উপস্থিত থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সম্বর্ধনা দেয়।
১৯৮১ সালে ৩০ মে জিয়াউর রহমান নিহত হলে উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তার প্রেসিডেন্ট হয়। এইচ এম এরশাদ সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে শপথ নেয়। ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর সাধারণ নির্বাচন দিয়ে বিচারপতি সাত্তার প্রেসিডেন্ট হয়। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সেনাবাহিনী প্রধান এইচ এম এরশাদ বিচারপতি সাত্তারকে সরিয়ে নিজেকে সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ঘোষণা করে এবং ২৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আবুল ফজল মোহাম্মদ আহসানউদ্দিন চৌধুরী রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেয়। ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর এইচ এম এরশাদ রাষ্ট্রপতি আহসানউদ্দিন চৌধুরীকে ‘স্বাস্থ্যগত’ কারণে পদত্যাগ করিয়ে নিজে রাষ্ট্রপতি হয়। ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি এইচ এম এরশাদ ‘জাতীয় পার্টি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গড়ে তোলে দলের চেয়ারম্যান হয়।
রাজনীতিতে জিয়াউর রহমানের মত উচ্চাভিলাসী ছিলেন এইচ এম এরশাদ নিজেও। ১৯৮৬ সালের ৭ মে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়ে ব্যাপক কারচুপি করে এরশাদ প্রেসিডেন্ট হন। নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা রাজপথে আন্দোলনের ডাক দেন। এরশাদের স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালনার বিরুদ্ধে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবাদ করে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। ফলে ১৯৮৭ সালে এরশাদ সংসদ ভেঙে দিতে বাধ্য হন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামে লালদিঘী ময়দানে এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা রক্ষা পেলেও ২৫ জন নেতাকর্মী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ১৯৮৮ সালে এরশাদ পুনরায় সংসদ নির্বাচন দিয়ে জাসদ (রব) ও ফ্রিডম পার্টিকে উৎকোচ দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায়। ভোট কারচুপির মাধ্যমে এরশাদ প্রেসিডেন্ট হয়ে নতুন করে স্বৈরাচারী কায়দায় দেশে অরাজক পরিবেশ তৈরি করে। ১৯৮৮ সালের ১১ মে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে ‘রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে ঘোষণা দেয়। জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ১৯৯০ সালে ২১ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে। উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিবেশে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ৮ দল (আওয়ামী লীগ), ৭ দল (বিএনপি) ও ৫ দল (বাম দল) তিন দলীয় জোটের রূপরেখা অনুযায়ী অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন এর কাছে এরশাদ পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে রাজনীতির মাঠ থেকে অপসারিত হয়।
১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তিন দলীয় জোটের রূপরেখা অনুযায়ী অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপি করে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়ে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজম জামাতে ইসলামীর আমীর হন। বিএনপি সরকার গঠন করেই এদেশে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি জামাত শিবিরকে প্রতিষ্ঠা করে। আওয়ামী লীগের ২৭ হাজার নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে জেল জরিমানা দিয়ে হয়রানি করে। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল ও জামাতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের সীমাহীন অত্যাচার ও সন্ত্রাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে।
১৯৯২ সালে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমের বিরুদ্ধে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ‘গণ আদালত’ গঠিত হলে গণ আদালতের বিচারকসহ দেশের বরেণ্য ২৪ জন বুদ্ধিজীবীর বিরুদ্ধে বিএনপি সরকার রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা কাঁধে নিয়েই ১৯৯৪ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ইন্তেকাল করেন।
১৯৯৩ সালে মিরপুর ও মাগুরা দুটি আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি সীমাহীন ভোট কারচুপি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিজয় ছিনিয়ে নেয়। ভোট চুরির অভিযোগ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেয় বিএনপির অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান। মিরপুর ও মাগুরা উপ-নির্বাচনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির দাবি আরও জোরদার হয়। ফলে দেশের সব বিরোধী দল বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে জনমত গড়ে উঠে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দল ও ভোটারবিহীন ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়ে বিএনপি বিতর্কিতভাবে সরকার গঠন করে। সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ২৬ মার্চ ১৯৯৬ সালে বিএনপি ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারে’র বিল পাস করতে বাধ্য হয়।
১৯৭৫ সালের পর দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে রাখা হয়েছিল। জাতীয় নির্বাচন এলেই বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী এবং বাম রাজনৈতিক দলগুলো প্রচার করত ‘আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে এদেশে মসজিদে আজান বন্ধ হয়ে যাবে, দেশ হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত হবে। মুসলমানরা তাদের ধর্ম পালন করতে পারবে না, হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করতে হবে, ভারত বাংলাদেশ দখল করবে।’ এ সব অপপ্রচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে জন বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু জনগণ আওয়ামী লীগ ছেড়ে যায়নি কখনো।
১৯৯৬ সালের ১২ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানের অধীনে ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন ‘গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করব।’ জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রূপরেখা প্রণয়ন করেন। পঞ্চম পঞ্চ-বার্ষিক (১৯৯৬-২০০২) পরিকল্পনা ঘোষণা করে দেশকে আত্মনির্ভরশীল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিদ্যুৎ উৎপাদন, টেলিযোগাযোগ, পরিবহন ও বেকারত্ব হ্রাসকে অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়নের জন্য কাজ করতে থাকেন। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তর বঙ্গের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে যমুনা নদীর উপর ‘বঙ্গবন্ধু সেতু’ উদ্বোধন। ১২ নভেম্বর জাতীয় সংসদে কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি বিল’ বাতিল করে দীর্ঘ ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দরজা খুলে দেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদে যেদিন ‘ইনডেমনিটি বিল’ উত্থাপন করা হয় সেদিন বিএনপি সংসদ থেকে ওয়াক আউট করে। সংসদ থেকে ওয়াক আউট করার মধ্যদিয়ে বিএনপি বুঝিয়ে দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে তাদের নেতার সম্পৃক্ততা ছিল। ‘ইনডেমনিটি বিল’ বাতিল হোক বিএনপি চায়নি।
১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর দীর্ঘ দিনের অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘শান্তি চুক্তি’ সম্পাদিত হয়। পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতি ফিরে আসে। ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন ‘ইউনেস্কো’ ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। ২০০০ সাল থেকে সারা পৃথিবীর মানুষ বাঙালির মাতৃভাষা দিবসকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে থাকে। অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়। বিগত একুশ বছরের অনুন্নয়নের ধারা বদলে দিয়ে বাংলাদেশকে নতুনরূপে গড়ে তোলার আধুনিক পকিল্পনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনগণের কর্মসংস্থান, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কৃষিতে ভর্তুকি দিয়ে খাদ্য উৎপাদনে আশাতীত সাফল্য, মাতৃ মৃত্যুহার হ্রাসকরণ, শিশ মৃত্যুহার হ্রাসকরণ, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প, ঘরে ফেরা প্রকল্প, কমিউনিটি ক্লিনিক ‘সূর্যের হাসি’, ‘সবুজ ছাতা’ প্রকল্প ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নের সূচনা করেন। ১৯৯৮ সালে ভয়াবহ বন্যা ও বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার পরেও বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হার ধরে রাখা সম্ভব হয়েছিল ৫ শতাংশ।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য ছিল ঈর্ষণীয়। অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘শান্তি চুক্তি’ সম্পাদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের মানুষের কাছে শান্তির দূত হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। শান্তি স্থাপনের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘের ইউনেস্কো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Unesco Houphouet Boigny Peace Prize) শান্তি পদকে ভূষিত করে। এ ছাড়াও দেশে খাদ্য ও কৃষিতে সাফল্যজনক উন্নয়নের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংগঠন FAO কর্তৃক CERES পুরস্কার (১৯৯৯) পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৮১ থকে ১৯৯৬ সালের নির্বাচন পর্যন্ত তৎকালীন রাজনীতিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা ছিল জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একমাত্র নেত্রী। যিনি জীবনের মায়া তুচ্ছ করে জনগণের জন্য রাজনীতি করেছেন। সামরিক সরকারের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে বার বার গৃহবন্দি হয়েছেন, জেল জুলুম হুলিয়া মাথায় নিয়ে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। আশির দশক থেকে নব্বইয়ের দশকের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতি তাই জননেত্রী শেখ হাসিনার একক অবদান। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।
লেখক: তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, কেন্দ্রীয় কমিটি
আরএ/