শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও মনীষায় তিনি অনন্য ছিলেন

 

ভবিষ্যতের গবেষকেরা যখন বন্যা, খরা, মঙ্গা, দুর্ভিক্ষ আর দারিদ্র্যজয়ী আধুনিক উন্নত বাংলাদেশের ইতিহাস লিখবেন— একজন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের নাম ইতিহাসের পাতায় তারা হয়ে জ্বলবে।

তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং দায়িত্বের একটি অর্থ মন্ত্রণালয় তিনি দেখতেন। হররোজ সমালোচকদের বিষোদগার শুনতেন। ‘রাবিশ’, ‘বোগাস’, ‘স্টুপিড’— বলে উড়িয়ে দিতেন। তীর্যক আক্রমণ করা গণমাধ্যমকেও। তবু বাংলাদেশে উন্নয়নের যাত্রাপথের সফল কাণ্ডারি হিসেবে ইতিহাসে তার নাম কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। ব্যাংকলুট, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি, ডেসটিনির মতো প্রতারক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অসঙ্গতির বিরুদ্ধে তিনি যদি কঠোর ও অনমনীয় হতে পারতেন তবে তার সততা, দেশপ্রেম ও ব্যাপক পড়াশোনা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে তুলনা করা যেত।

যাই হোক, এই সজ্জন মানুষকে আমার ভালো লাগতো নানা কারণে। তার সীমাবদ্ধতা উপেক্ষা করে আমি তাকে একজন সুপণ্ডিত, বিদ্বান, শিল্পানুরাগী, ভাষাসৈনিক, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সর্বোপরি একজন পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে শ্রদ্ধা করতাম। তিনি তার সময়ের সেরা মেধাবী ছিলেন। তাকে প্রথম দেখেছিলাম উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন গ্রন্থাগার সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে (কেমুসাসে)। চার দলীয় জোটের সময়। আওয়ামীলীগ বিরোধী দলে। আমরা তখন সিলেট সরকারি কলেজে পড়ি। একজন পাঠক হিসেবে নিয়মিত কেমুসাসে যাই। দেখতাম কবি কবি চেহারা নিয়ে কাঁধে একটি পাটের ব্যাগ ঝুলিয়ে জনাব মুহিত আসতেন বই লেনদেন করতে। সিলেট ছেড়ে যখন ঢাকায় আসি তখন বাংলা একাডেমি বইমেলায়ও তাকে নিয়মিত আসতে দেখতাম। এদেশে দ্বিতীয় কোনো মন্ত্রীকে আমি এতবার বইমেলায় আসতে দেখিনি। আর দেখব বলেও মনে হয় না। মন্ত্রিত্ব থেকে অবসর নেওয়ার পর চলাফেরা করতে পারেন না তখন হুইল চেয়ারে করেও বইমেলায় গেছেন। পাঠক হিসেবে তিনি খুবই উন্নত রুচির ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ব্যক্তিগত একটি স্মৃতিচারণ করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি। যথারীতি নিয়মিত অমর একুশে বইমেলায় যাই। ছাত্র হিসেবে যা হয় আমাদের পকেট শূন্যপ্রায়। ঘোরাঘুরি করি। মানুষ দেখি। নতুন বই কী এল না-এল নেড়েচেড়ে দেখি। তখনো বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয়নি। একদিন মেলা শুরু হওয়ার কিছু সময় পরেই দেখি অর্থমন্ত্রী মেলায় ঢুকেছেন। উনার হাঁটার মধ্যে একটু হন্তদন্ত ভাব থাকত। কৌতূহলী এক তরুণ হিসেবে আমি সেদিন উনার পিছু নিলাম। উদ্দেশ্য কী বই কেনেন দেখা। মিজান পাবলিশার্স নামে একটি প্রকাশনীতে ঢুঁ মারলেন। কর্তা-ব্যক্তিদের কেউ ঢাউস সাইজের একটি রাজনৈতিক বই তার হাতে তুলে দিলেন। তিনি একটু নেড়েচেড়ে দেখে সরিয়ে আরেকটি আকারে ছোট বইয়ের দিকে মনযোগ দিলেন। বইটি ছিল অন্নদাশঙ্কর রায়ের। সে বইটির দাম পরিশোধ করে তিনি পরের স্টলের দিকে পা বাড়ালেন। কিছুদিন আগে সামাজিক অনুষ্ঠানে এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। বলছিলেন, বইপড়ার তো সময় পাই না। আবুল মাল আবুল মুহিতের মুখে এ কথা কল্পনাই করা যায় না। তিনি ব্যতিক্রম ও উজ্জ্বল ছিলেন। পরবর্তীকালে আমার সৌভাগ্য হয়েছে তার দু-চারটি পাণ্ডুলিপি সম্পাদনা কাজে সম্পৃক্ত হবার।

তার ৮৫তম জন্মদিন উৎসব হয়েছিল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে। সম্ভবত ঢাকায় জন্মদিনের এটাই শেষ কোনো উন্মুক্ত আয়োজন। তারপর করোনা আক্রান্ত পৃথিবী। সময় প্রকাশনীর আয়োজনে জন্মদিন উদযাপন ও নতুন বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রয়াত ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জান স্যার বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের এই উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক মুক্তিযুদ্ধের পর নৈতিক জায়গা থেকে চাকরিতে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে মন বদলান।’ বঙ্গবন্ধুকন্যার ইচ্ছাকেও গুরুত্ব ও মর্যাদা দিয়েছেন সবসময়।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘তিনি মননশীল, জাগ্রত ও সতর্ক এক মানুষ। তার জীবন ও কর্মস্পৃহা ঈর্ষণীয়, অফুরান।’

অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেছেন, ‘তিনি স্পষ্টবাদী মানুষ। স্পষ্টবাদীতার জন্য তিনি নানা সময় বেকায়দায় পড়েছেন কিন্তু তার প্রজ্ঞা দিয়ে পরিস্থিতি উতরে গেছেন।’

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেছিলেন, ‘তিনি সৌভাগ্যের বরপুত্র। আমি তাকে একজন গবেষক হিসেবেই বেশি গুরুত্ব দিই। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকলে জাতি আরও বেশি উপকৃত হতো।’

লেখক ও রাজনীতিক নূহ-উল আলম লেলিন অর্থমন্ত্রীর প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকার ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।

আর যাকে ঘিরে এ আয়োজন তিনি নিজে বলেছেন, ‘জীবন নিয়ে আমার কোনো খেদ নেই। অতৃপ্তি নেই। ষোল আনা তৃপ্তি নিয়ে যাপন করছি এ জীবন।’

শুধু অর্থনীতির বিকাশ নয়, এদেশের সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিকাশে তার বিশেষ আগ্রহ ও ভূমিকা উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। স্পষ্টবাদী এক সফল মানুষ ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। ৮৮ বছর বয়সে তার শারীরিক প্রস্থান হলো। সিলেটবাসী তার প্রিয় সন্তানকে ও দেশবাসী এক কীর্তিমানকে হারাল। কিন্তু তার কর্মে তিনি বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। ‘এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ/ মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান।’

লেখক: কবি ও গবেষক

এসএন 

 

Header Ad
Header Ad

দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর আত্রাইয়ে বিষ প্রয়োগ করে দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে সানজিদা (১৬) নামে এক কিশোরীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন নিহত কিশোরীর স্বজনেরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত কিশোরীর মামা ফজলুর রহমান। এ সময় অন্যদের মধ্যে ওই কিশোরীর মা খুশি বেগম, নানা মোসলেম প্রামাণিক, চাচা সাইফুল ইসলাম মন্ডল, মামা হামিদুল প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্য ফজলুর রহমান বলেন, নিহত কিশোরী সানজিদা আত্রাই উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী শামসুল মন্ডলের মেয়ে। সানজিদা উপজেলার ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা কাজের সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে সৗদি আরবে ও আরব আমিরাতে (দুবাই) অবস্থান করছেন। শামসুল মন্ডলের স্ত্রী খুশি বেগম মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বাস করে আসছিলেন। শামসুল বসতবাড়ির বসতভিটার উত্তর পাশে বাবা মোসলেম মন্ডলের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে ৪ বছর আগে মাটির বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়িতেই সানজিদা ও তার মা বসবাস করতো। পরে ওই জায়গায় পাকা বাড়ি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করলে শামসুলের বাবা মোসলেম ও ভাই সাজিম মন্ডল বাঁধ সাজে। সানজিদার দাদা শামসুলকে বসতভিটার উত্তর পাশে পাকা বাড়ি না করে দক্ষিণ পাশে নীচু জায়গায় বাড়ি করার জন্য বলে আসছিল। এ নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। সানজিদার বাবা ও ভাই বিদেশে থাকায় বাড়ি করা নিয়ে বিরোধের জেরে সানজিদা ও তার মায়ের সঙ্গে তাঁর দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের প্রায় পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। এই কলহের জেরে দাদা মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল হত্যার উদ্দেশ্যে গত ৯ এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে সানজিদার শরীরে বিষ প্রয়োগ করে। পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ এপ্রিল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে সানজিদা বলে গেছে তার দাদা ও চাচা তাঁর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করেছে। তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা আছে। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল পলাতক রয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ এপ্রিল সকালে সানজিদা প্রাইভেট পড়ার জন্য ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ে যায়। প্রাইভেট পড়ে সে বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে আসে। এ সময় সাংসারিক কাজে সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সানজিদার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিম সানজিদার ঘরের ভেতরে যায়। দাদা মোসলেম সানজিদার পাশে বসে একপর্যায়ে তাকে জাপটে ধরে এবং চাচা সাজিম পকেট থেকে বিষের ইনজেকশন বের করে তার বাম হাতের শিরায় জোর ইনজেকশন প্রয়োগ করে। তারা সানজিদাকে হুমকি দিয়ে বলে এ কথা কাউকে বললে তার মতো বাবা ও ভাইকেও হত্যা করবে। সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়িতে এসে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মেয়েকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সানজিদার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত মোসলেম ও সাজিমের ফাঁসি দাবি করা হয়।

সাজিম মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে তা বন্ধ পাওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, ‘যে মেয়েটি মারা গেছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। সেখানেই নিহত কিশোরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Header Ad
Header Ad

গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব

ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান শফিকুল আলম।

সরকারের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রায় ৯ মাসে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে কী অর্জন করেছেন, তা তুলে ধরেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোষ্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘গত নয় মাসে আমি কী অর্জন করেছি: এক চিমটি ঘৃণা, একমুঠো অবিশ্বাস ও এক আকাশ ভালোবাসা।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সম্প্রচারে আগ্রহ দেখায়নি দেশের কোনো বেসরকারি টিভি চ্যানেল। যার কারণে রাষ্ট্রয়াত্ত বিটিভির শরণাপন্ন হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিটিভির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পুরো সিরিজটি সম্প্রচারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সবশেষ কয়েক বছরে মিলেনিয়াম মিডিয়া কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে ঘরের মাঠের ম্যাচগুলো সম্প্রচার করেছে বাংলাদেশের দুটি বেসরকারি চ্যানেল টি-স্পোর্টস ও জিটিভি। তবে সবশেষ সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ দিয়ে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের সঙ্গে।

তাই জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে গত ১৯ মার্চ আর্থিক প্রস্তাবনা ও এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্টসহ (ইওআই) উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করেছিল বিসিবি। তবে ৭ এপ্রিল দরপত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও আগ্রহ দেখায়নি কেউ। যার কারণে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য মিডিয়া রাইটস বিক্রি করতে পারেনি বিসিবি।

এমন অবস্থায় দুই টেস্টের সিরিজ সরাসরি সম্প্রচার করতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিসিবি। পুরো সিরিজই সম্প্রচার করবে বিটিভি।

সিলেটে আগামী ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম টেস্ট। এরপর ২৮ মে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হবে দুদল। ইতোমধ্যে সিলেট টেস্টের টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করেছে বিসিবি। আজ (১৮ এপ্রিল) থেকে যা সংগ্রহ করা যাবে মধুমতি ব্যাংকের আম্বরখানা শাখায়। সকাল ১০টা থেকে এখানে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। পরদিন থেকে স্টেডিয়াম কাউন্টারেও টিকিট কাটা যাবে।

বিসিবি সিলেট স্টেডিয়ামের গ্রান্ড স্ট্যান্ডের দাম নির্ধারণ করেছে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা। এর অর্ধেক দামে মিলবে ক্লাব হাউজের টিকিট। ২ নম্বর গেটের পূর্বদিকের গ্যালারির টিকিটের দাম ১৫০ টাকা। শহিদ আবু সাঈদ স্ট্যান্ডের টিকিটের দাম ১০০। গ্রিন হিল, শহিদ তুরাব স্ট্যান্ড (পশ্চিম দিক) ও ৩ নম্বর গেটের পূর্বদিকের গ্যালারির টিকিটের জন্য পরিশোধ করতে হবে ৫০ টাকা করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের
টাঙ্গাইলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কেন্দ্র সচিব ও পরীক্ষার্থীসহ আটক ৬