রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও মনীষায় তিনি অনন্য ছিলেন

 

ভবিষ্যতের গবেষকেরা যখন বন্যা, খরা, মঙ্গা, দুর্ভিক্ষ আর দারিদ্র্যজয়ী আধুনিক উন্নত বাংলাদেশের ইতিহাস লিখবেন— একজন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের নাম ইতিহাসের পাতায় তারা হয়ে জ্বলবে।

তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং দায়িত্বের একটি অর্থ মন্ত্রণালয় তিনি দেখতেন। হররোজ সমালোচকদের বিষোদগার শুনতেন। ‘রাবিশ’, ‘বোগাস’, ‘স্টুপিড’— বলে উড়িয়ে দিতেন। তীর্যক আক্রমণ করা গণমাধ্যমকেও। তবু বাংলাদেশে উন্নয়নের যাত্রাপথের সফল কাণ্ডারি হিসেবে ইতিহাসে তার নাম কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। ব্যাংকলুট, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি, ডেসটিনির মতো প্রতারক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অসঙ্গতির বিরুদ্ধে তিনি যদি কঠোর ও অনমনীয় হতে পারতেন তবে তার সততা, দেশপ্রেম ও ব্যাপক পড়াশোনা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে তুলনা করা যেত।

যাই হোক, এই সজ্জন মানুষকে আমার ভালো লাগতো নানা কারণে। তার সীমাবদ্ধতা উপেক্ষা করে আমি তাকে একজন সুপণ্ডিত, বিদ্বান, শিল্পানুরাগী, ভাষাসৈনিক, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সর্বোপরি একজন পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে শ্রদ্ধা করতাম। তিনি তার সময়ের সেরা মেধাবী ছিলেন। তাকে প্রথম দেখেছিলাম উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন গ্রন্থাগার সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে (কেমুসাসে)। চার দলীয় জোটের সময়। আওয়ামীলীগ বিরোধী দলে। আমরা তখন সিলেট সরকারি কলেজে পড়ি। একজন পাঠক হিসেবে নিয়মিত কেমুসাসে যাই। দেখতাম কবি কবি চেহারা নিয়ে কাঁধে একটি পাটের ব্যাগ ঝুলিয়ে জনাব মুহিত আসতেন বই লেনদেন করতে। সিলেট ছেড়ে যখন ঢাকায় আসি তখন বাংলা একাডেমি বইমেলায়ও তাকে নিয়মিত আসতে দেখতাম। এদেশে দ্বিতীয় কোনো মন্ত্রীকে আমি এতবার বইমেলায় আসতে দেখিনি। আর দেখব বলেও মনে হয় না। মন্ত্রিত্ব থেকে অবসর নেওয়ার পর চলাফেরা করতে পারেন না তখন হুইল চেয়ারে করেও বইমেলায় গেছেন। পাঠক হিসেবে তিনি খুবই উন্নত রুচির ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ব্যক্তিগত একটি স্মৃতিচারণ করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি। যথারীতি নিয়মিত অমর একুশে বইমেলায় যাই। ছাত্র হিসেবে যা হয় আমাদের পকেট শূন্যপ্রায়। ঘোরাঘুরি করি। মানুষ দেখি। নতুন বই কী এল না-এল নেড়েচেড়ে দেখি। তখনো বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয়নি। একদিন মেলা শুরু হওয়ার কিছু সময় পরেই দেখি অর্থমন্ত্রী মেলায় ঢুকেছেন। উনার হাঁটার মধ্যে একটু হন্তদন্ত ভাব থাকত। কৌতূহলী এক তরুণ হিসেবে আমি সেদিন উনার পিছু নিলাম। উদ্দেশ্য কী বই কেনেন দেখা। মিজান পাবলিশার্স নামে একটি প্রকাশনীতে ঢুঁ মারলেন। কর্তা-ব্যক্তিদের কেউ ঢাউস সাইজের একটি রাজনৈতিক বই তার হাতে তুলে দিলেন। তিনি একটু নেড়েচেড়ে দেখে সরিয়ে আরেকটি আকারে ছোট বইয়ের দিকে মনযোগ দিলেন। বইটি ছিল অন্নদাশঙ্কর রায়ের। সে বইটির দাম পরিশোধ করে তিনি পরের স্টলের দিকে পা বাড়ালেন। কিছুদিন আগে সামাজিক অনুষ্ঠানে এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। বলছিলেন, বইপড়ার তো সময় পাই না। আবুল মাল আবুল মুহিতের মুখে এ কথা কল্পনাই করা যায় না। তিনি ব্যতিক্রম ও উজ্জ্বল ছিলেন। পরবর্তীকালে আমার সৌভাগ্য হয়েছে তার দু-চারটি পাণ্ডুলিপি সম্পাদনা কাজে সম্পৃক্ত হবার।

তার ৮৫তম জন্মদিন উৎসব হয়েছিল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে। সম্ভবত ঢাকায় জন্মদিনের এটাই শেষ কোনো উন্মুক্ত আয়োজন। তারপর করোনা আক্রান্ত পৃথিবী। সময় প্রকাশনীর আয়োজনে জন্মদিন উদযাপন ও নতুন বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রয়াত ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জান স্যার বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের এই উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক মুক্তিযুদ্ধের পর নৈতিক জায়গা থেকে চাকরিতে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে মন বদলান।’ বঙ্গবন্ধুকন্যার ইচ্ছাকেও গুরুত্ব ও মর্যাদা দিয়েছেন সবসময়।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘তিনি মননশীল, জাগ্রত ও সতর্ক এক মানুষ। তার জীবন ও কর্মস্পৃহা ঈর্ষণীয়, অফুরান।’

অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেছেন, ‘তিনি স্পষ্টবাদী মানুষ। স্পষ্টবাদীতার জন্য তিনি নানা সময় বেকায়দায় পড়েছেন কিন্তু তার প্রজ্ঞা দিয়ে পরিস্থিতি উতরে গেছেন।’

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেছিলেন, ‘তিনি সৌভাগ্যের বরপুত্র। আমি তাকে একজন গবেষক হিসেবেই বেশি গুরুত্ব দিই। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকলে জাতি আরও বেশি উপকৃত হতো।’

লেখক ও রাজনীতিক নূহ-উল আলম লেলিন অর্থমন্ত্রীর প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকার ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।

আর যাকে ঘিরে এ আয়োজন তিনি নিজে বলেছেন, ‘জীবন নিয়ে আমার কোনো খেদ নেই। অতৃপ্তি নেই। ষোল আনা তৃপ্তি নিয়ে যাপন করছি এ জীবন।’

শুধু অর্থনীতির বিকাশ নয়, এদেশের সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিকাশে তার বিশেষ আগ্রহ ও ভূমিকা উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। স্পষ্টবাদী এক সফল মানুষ ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। ৮৮ বছর বয়সে তার শারীরিক প্রস্থান হলো। সিলেটবাসী তার প্রিয় সন্তানকে ও দেশবাসী এক কীর্তিমানকে হারাল। কিন্তু তার কর্মে তিনি বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। ‘এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ/ মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান।’

লেখক: কবি ও গবেষক

এসএন 

 

Header Ad

আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন

নায়েব আলী জোয়ারদার এবং তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ারদার ২টি মামলায় ৭ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। অন্যদিকে ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি ৩টি মামলায় ২০ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. এমরান হোসেন চেীধুরী আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ জামিন আদেশ দেন।

জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান।

জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য নায়ের আলী জোয়ারদারকে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের বাড়ি ও জেলা বিএনপির অফিসে হামলা অগ্নিসংযোগের অভিযোগের মামলায় গত ১২ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার দিন রাতে ঝিনাইদহ শহরের আরপপুরের জামতলা এলাকার বাড়ি থেকে র‍্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে। তারপর থেকেই তিনি জেলে ছিলেন। ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল হাই মৃত্যুবরণ করলে বিনাভোটে নায়েব আলী জোয়ারদার এমপি নির্বাচিত হন।

এ দিকে ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে গত ৬ অক্টোবর সাভারের নবীনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ২০১৩ সালে জামায়াত নেতা আব্দুস সালাম হত্যা মামলা, জেলা বিএনপি সভাপতি এম এ মজিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও জেলা বিএনপি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা রয়েছে।

এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান বলেন, মেডিকেল গ্রাউন্ডে আদালত আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্যকে জামিন দিয়েছেন। দীর্ঘদিন তারা শারীরিকভাবে অসুস্থ বলে আসামির আইনজীবী আদালতকে জানান। তারপরও তাদেরকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে জামিন মঞ্জুর করেছেন।

Header Ad

পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার

পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে একটি বিদেশি পিস্তল ও আট রাউন্ড তাজা গুলি সহ জুয়েল রানা (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। শনিবার (২৩ নভেম্বর) দিনগত রাতে পলাশবাড়ী পৌর শহরের উদয়সাগর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার রাসেল দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার মাছুয়াপাড়া গ্রামের পান্না মিয়ার ছেলে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে পলাশবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গেল রাতে পলাশবাড়ী পৌর শহরের উদয়সাগর গ্রামে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী সদস্য। এসময় ভগ্নিপতি জুয়েল মিয়ার বাড়ি থেকে ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল ও আট রাউন্ড তাজা গুলিসহ জুয়েল রানাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি আরও জানান।

Header Ad

আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?

ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলাম চলছে। তিন বছর পর পর হওয়া এই নিলাম এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে সৌদি আরবের জেদ্দায়। দুই দিনব্যাপী নিলামের প্রথম দিনটি শুরু হয়েছে আজ, রোববার (২৪ নভেম্বর)। বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর এখন ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের নিলামে। ভক্তদের কৌতূহল, কোন তারকা কোন দলে যাচ্ছেন, কত টাকায় বিক্রি হচ্ছেন তারা—এইসব প্রশ্ন নিয়ে উত্তেজনা চলছে। চলুন, এক নজরে দেখে নেয়া যাক, প্রথম দিন কোন খেলোয়াড় কোন দলে যোগ দিলেন।

গুজরাট টাইটান্স:

আইপিএলের অন্যতম সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট এবারও শক্তিশালী দল গড়তে মরিয়া। নিলামের আগে তারা পাঁচ ক্রিকেটারকে রিটেন করেছে। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৫১ কোটি রুপি। অবশিষ্ট ৬৯ কোটি রুপি নিয়ে শুরু করেছে নিলাম। অবশ্য এত টাকা খরচ করলেও অভিজ্ঞ রশিদ-গিলকে ঠিকই ধরে রেখেছে দলটি। এই দুইজন ছাড়াও আছেন সাই সুদর্শন, রাহুল তেওয়াটিয়া ও শাহরুখ খানের মতো ক্রিকেটাররা।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে গুজরাট

কাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা)—১০.৭৫ কোটি রুপি

জস বাটলার (ইংল্যান্ড)—১০.৭৫ কোটি রুপি

মোহাম্মদ সিরাজ (ভারত)— ১২.২৫ কোটি রুপি

পাঞ্জাব কিংস:

কখনও আইপিএলের শিরোপা জিততে না পারা পাঞ্জাব কিংস এবারের নিলামে সবচেয়ে বেশি ১১০ কোটি ৫০ লক্ষ রুপি নিয়ে হাজির হবে। মূলত খেলোয়াড় রিটেনশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় তারা। অন্যান্য দলগুলো তারকা সব ক্রিকেটারদের রিটেনশন পদ্ধতিতে দলে নিলেও সেখানে মাত্র দুইজনকে নিয়েছে পাঞ্জাব। তাদের কেউই তারকা ক্রিকেটার নন। তারা হলে শশাঙ্ক সিংহ ও প্রভসিমরান সিংহ।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে পাঞ্জাব

অর্শ্বদীপ সিং (ভারত)—১৮ কোটি রুপি

শ্রেয়ার আইয়ার (ভারত)— ২৬.৭৫ কোটি রুপি

যুযবেন্দ্র চাহাল (ভারত)— ১৮ কোটি রুপি

মার্কাস স্টয়নিস (অস্ট্রেলিয়া)— ১১ কোটি রুপি

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অস্ট্রেলিয়া)— ৪.২০ কোটি রুপি

দিল্লি ক্যাপিটালস:

নিলামের টেবিলে ৭৩ কোটি রুপি নিয়ে হাজির হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। চার ক্রিকেটারকে রিটেনশন করেছে তারা। এতে খরচ হয়েছে মোট ৪৭ কোটি রুপি। সেই হিসেবে নিলাম থেকে বড় কোনো তারকাকে ভেড়াতে প্রস্তুত দলটি। কখনও শিরোপা জিততে না পারা দলটির জন্য ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়াই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। দলটিতে আছেন অক্ষর প্যাটেল, কুলদ্বীপ যাদব, ত্রিস্টান স্টাবস ও অভিষেক পোরেল।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে দিল্লি

মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া)—১১.৭৫ কোটি রুপি

লোকেশ রাহুল (ভারত)—১৪ কোটি রুপি

হ্যারি ব্রুক (ইংল্যান্ড)—৬.২৫ কোটি রুপি

জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকগার্ক (অস্ট্রেলিয়া)— ৯ কোটি রুপি

২০২৫ আইপিএল আগামী ১৪ মার্চ শুরু হয়ে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়েছে, বেশির ভাগ আইসিসি পূর্ণ সদস্যদেশের খেলোয়াড়েরা পরবর্তী তিন বছর আইপিএলে খেলার বিষয়ে নিজ দেশের বোর্ড থেকে সম্মতি পেয়েছেন। তবে এর মধ্যে পাকিস্তান নেই। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে বৈরী সম্পর্ক থাকায় ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম সংস্করণের পর এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলছেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।

লখনৌ সুপার জায়ান্ট:

২০২৪ আইপিএলে মাঠের বাইরের নানা কর্মকান্ডে বেশ বিতর্কিত হয়েছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস। এবার নিলামের আগে তারাও গুজরাটের মতো পাঁচ ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে। এতে খরচ হয়েছে ৫১ কোটি রুপি। হাতে আছে ৬৯ কোটি রুপি। দলটিতে আছেন নিকোলাস পুরান, রবি বিষ্ণুই, মায়াঙ্ক যাদব, মহসিন খান ও আয়ুশ বাদোনি।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে লখনৌ

ঋষভ পন্ত (ভারত)— ২৭ কোটি রুপি

ডেভিড মিলার (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ৭.৫০ কোটি রুপি

এইডেন মার্করাম (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ২ কোটি রুপি

মিচেল মার্শ (অস্ট্রেলিয়া)— ৩.৪০ কোটি রুপি

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ:

আইপিএলের গত আসরের রানার্সআপ হায়দরাবাদ এবারও চমক দেওয়ার অপেক্ষায়। ২০২৪ সালে দারুণ ছন্দে থাকা দুই অসি ক্রিকেটার প্যাট কামিন্স ও ট্রাভিস হেডকে ধরে রেখেছে তারা। পাশাপাশি আছে হেনরিখ ক্লাসেনের মতো বিধ্বংসী ব্যাটারও। এছাড়া, দেশিদের মধ্যে অভিষেক শর্মা ও নিতীশ কুমার রেড্ডিরাও দ্যুতি ছড়াতে প্রস্তুত। এই পাঁচ ক্রিকেটারকে কিনতে খরচ হয়েছে ৭৫ কোটি রুপি। অবশিষ্ট ৪৫ কোটি রুপি নিয়ে নিলাম শুরু করেছে হায়দরাবাদ।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে হায়দরাবাদ

মোহাম্মদ সামি (ভারত)—১০ কোটি রুপি

হারশাল প্যাটেল (ভারত)—৮ কোটি রুপি

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু:

আইপিএলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল ধরা হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। মূলত কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলি থাকায় দলটির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এবারের নিলামে বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে হাজির হয়েছে আরসিবিও। রিটেনশনের সময় তারা দলে ভিড়িয়েছে বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার ও ইয়াশ দয়ালকে। এদের কিনতে মোট খরচ হয়েছে ৩৭ কোটি রুপি। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি নিলাম শুরু করেছে ৮৩ কোটি রুপি নিয়ে।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে বেঙ্গালুরু

লিয়াম লিভিংস্টোন (ইংল্যান্ড)— ৮.৭৫ কোটি রুপি

ফিল সল্ট (ইংল্যান্ড)— ১১.৫০ কোটি রুপি

চেন্নাই সুপার কিংস:

আইপিএলের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই এবারও শক্তিশালী দল গড়ার পথে। দলটি রিটেন করেছে রুতুরাজ গায়কোয়াড়, মাথিশা পাথিরানা, শিবাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা ও এমএস ধোনিকে। এতে তাদের খরচ হয়েছে মোট ৬৫ কোটি রুপি। বাকি ৫৫ কোটি রুপি নিয়ে নিলামে অংশ নিয়েছে তারা। দেখার বিষয় গত আসরে দলটিতে দারুণ খেলা বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে এবার তারা ডেরায় ভেড়ায় কি না।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে চেন্নাই

ডেভন কনওয়ে ( নিউজিল্যান্ড)—৬.২৫ কোটি রুপি

রাহুল ত্রিপাঠি (ভারত) — ৩.৪০ কোটি রুপি

রাচিন রবীন্দ্র ( নিউজিল্যান্ড)—৪ কোটি রুপি

রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ভারত) — ৯.৭৫ কোটি রুপি

কলকাতা নাইট রাইডার্স:

আইপিএলের গত আসরের চ্যাম্পিয়নস কলকাতা নাইট রাইডার্স ফের একবার চমক দিতে মরিয়া। গত আসরের দলটিতে খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক। যদিও এবার তাকে রিটেন করেনি দলটি। তারা ছয় জন প্লেয়ারকে নিলামের আগেই রিটেইন করেছে। তারা হলেন রিঙ্কু সিংহ, বরুণ চক্রবর্তী, সুনিল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, হারশিত রানা ও রামানদ্বীপ সিংহ। এতে তাদের ব্যয় হয়েছে ৬৯ কোটি রুপি। ৫১ কোটি রুপি নিয়ে আজ নিলাম শুরু করেছে দলটি।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে কলকাতা

ভেঙ্কটেশ আইয়ার (ভারত)—২৩.৭৫ কোটি রুপি

কুইন্টন ডি কক (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ৩.৬০ কোটি রুপি

২০২৫ আইপিএল আগামী ১৪ মার্চ শুরু হয়ে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়েছে, বেশির ভাগ আইসিসি পূর্ণ সদস্যদেশের খেলোয়াড়েরা পরবর্তী তিন বছর আইপিএলে খেলার বিষয়ে নিজ দেশের বোর্ড থেকে সম্মতি পেয়েছেন। তবে এর মধ্যে পাকিস্তান নেই। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে বৈরী সম্পর্ক থাকায় ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম সংস্করণের পর এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলছেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ