রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নান্দনিক শৈল্পিক পুরাকীর্তির নিদর্শন ঘোলদাড়ী প্রাচীন মসজিদ

বৃহত্তর কুষ্টিয়ার (কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর) চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাঁস ইউনিয়নের (পূর্বের নাগদহ ইউনিয়ন) ঘোলদাড়ী গ্রামে অবস্থিত প্রথম প্রাচীন মসজিদ যা এ জেলার পুরাকীর্তির এক মূল্যবান নিদর্শন। হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি। জনশ্রুতি আছে, বারো আউলিয়ার এক আউলিয়া হযরত খায়রুল বাশার ওমজ (র.) এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত করেন, যা বাংলায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম মসজিদ। জানা যায়, এটি একসময় গভীর জঙ্গলে আবৃত ছিল। পরবর্তীতে জঙ্গল পরিষ্কার করে মসজিদটি ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হয়। মসজিদটিতে কিছু সংস্কার কাজ ও সংস্করণ করা হলেও এর মূল কাঠামোর প্রাচীনরূপটি আজও অক্ষুণ্ন রয়েছে।

১৯৭৪ সালের ৩ মার্চ দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় এই মসজিদ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদনে বলা হয় যে ৪১৩ বঙ্গাব্দে হযরত খায়রুল বাশার ওমজ (র.) নামক একজন বিখ্যাত দরবেশ মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। মসজিদটি ৪১৩ বাংলা সন অর্থাৎ ১০০৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করার বিষয়টি যুক্তিপূর্ণ হয় না। কারণ তখন বাংলায় সেন রাজত্বের সূচনায় বা বৌদ্ধ পাল রাজত্বের শেষ পর্বে কুষ্টিয়া অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের কোন বিবরণ জানা যায় না। বাংলাদেশে পাল রাজাদের সময়কালে কোন স্থাপত্য নিদর্শন মাটির উপর দণ্ডায়মান নেই। সেন বংশীয় রাজাদের কোন স্থাপত্য নিদর্শন কুষ্টিয়া ও পশ্চিমবঙ্গের নদীয়াতে নেই বলেই ঐতিহাসিকদের অভিমত।

আবার ইতিহাসবিদদের মতে, ইখতিয়ার উদ্দিন মহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজীর নদীয়া বিজয়ের বেশ আগেই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। তা ছাড়া শেষ সেন বংশীয় রাজা লক্ষ্মণসেন মুসলমান বিদ্বেষী ছিলেন। তুর্কীদের দ্বারা আক্রমণের ভয়ে বিদেশী মুসলমান দেখলেই হত্যা করার নির্দেশ দিতেন। কাজেই লক্ষ্মণসেনের রাজত্বকালে কিংবা তার পূর্বে এ জেলায় ইসলাম প্রচার ও মসজিদ নির্মাণ অতিশয় ঝুঁকিপূর্ণ কাজ ছিল; অতএব ইতিহাসের পুন:পুন পর্যালোচনায় অনুমান করা যায়, আরব দেশ থেকে আগত হযরত খাইরুল বাশার ওমজ (র.) ঐ ঝুকিপূর্ণ সময়ে এই অঞ্চলে প্রথম ইসলাম প্রচার শুরুর কাজটি করেন, তবে তিনি খুব বেশি সফল হতে পারেননি বলেই মত। তারপরেও হযরত খায়রুল বাশার ওমজ (র.) ছিলেন অসম্ভব গুণ-মাধুর্য সম্পন্ন একজন উদার ব্যক্তিত্ব, ছিলেন একজন বিখ্যাত ইসলাম প্রচারক।

বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলায় যে সকল আউলিয়া-দরবেশ ইসলাম প্রচার করেছেন তাঁদের মধ্যে সর্বাগ্রে হযরত খায়রুল বাশার ওমজ (র.) নাম স্মর্তব্য। ঘোলদাড়ীতে হযরত পীর আজম খায়রুল বাশার ওমজ (র.) যে কাজ প্রথম আরম্ভ করেছিলেন তাই পরবর্তীকালে বিস্তার লাভ করেছে। ‘খায়রুল বাশার’ আরবি কথার অর্থ হল উত্তম সুসংবাদবাহক বা উত্তম সুসংবাদবহনকারী। তিনি এই জেলায় প্রথম ইসলামের দাওয়াত নিয়ে এসেছিলেন যা ছিল সত্যই সুসংবাদ। তাঁর সহজ, সরল, অনাড়ম্বর জীবন ও মানুষের প্রতি ভালবাসাই তাঁর প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করেছিল। দ্বাদশ শতকের শেষপাদে যখন গৌড়ের রাজা ছিলেন সেন বংশীয় লক্ষ্মণসেন (১১৭৮-১২০৬), তখন আরবদেশ থেকে ইসলাম প্রচারের জন্য হযরত খায়রুল বাসার ওমজ (র.) কুষ্টিয়া জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোলদাড়ী গ্রামে এসে আস্তানা স্থাপন করেন এবং একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় আলমডাঙ্গা অঞ্চল ছিল জলাশয় ও জঙ্গলপূর্ণ এলাকা। হযরত খায়রুল বাশার ওমজ (র.) যখন ইসলাম প্রচার শুরু করেন, তখন গৌড়ের রাজা লক্ষ্মণসেন মুসলমানদের আক্রমণের আশঙ্কায় খুব ভীত হয়ে পড়েছিলেন।

জনশ্রুতি আছে যে, রাজা লক্ষ্মণসেন হযরত খায়রুল বাশার ওমজ (র.) বিরুদ্ধে একটি সৈন্যদল প্রেরণ করেন। ঐ সৈন্যদলের সাথে হযরত খায়রুল বাশার ওমজ (র.) সংঘর্ষ হয় এবং তিনি জয়লাভ করেন। তবে তাঁর অনেক মুরীদ ও অনুচর শহীদ হন। এই সংঘর্ষে নিহত শহীদদের মাজার ঘোলদাড়ী মসজিদের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত। হযরত খায়রুল বাশার ওমজ (র.) রাজার তরফ থেকে বড় ধরণের আক্রমণের আশঙ্কায় তাঁকে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে বিহারের মুসলিম সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজীর নিকট পত্র প্রেরণ করেন। সেই একইসময় বখতিয়ার খিলজী বাংলা আক্রমণের জন্য খোঁজ-খবরও নিচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি আর দেরী না করে অতর্কিতভাবে মাত্র সতেরো অথবা আঠারো জন অশ্বারোহী সৈনিক নিয়ে আক্রমণ করে লক্ষ্মণসেনের অস্থায়ী গ্রীস্মকালীন রাজধানী নদীয়া দখল করে নেন। এরপর তিনি এ জেলায় যে প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন তার আলো সমস্ত জেলাতেই ছড়িয়ে পড়েছিল অতি অল্পকালের মধ্যে। দিল্লীর সুলতান তাঁর নামে তখন তেরশ বিঘা লাখেরাজ সম্পত্তি দান করেন। তখন তিনি এই ঘোলদাড়ীতেই যে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন, সেটিই বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার প্রথম মসজিদ তা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত। তাঁর মৃত্যুর দিন-কাল-তারিখ এই তথ্য কোথাও পাওয়া যায় না। মসজিদ চত্বরে ঘাসের আচ্ছাদনে উন্মুক্ত আকাশের সামিয়ানার নিচে হয়তো কোন এক স্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন পীর আজম হযরত খায়রুল বাশার ওমজ (র.), বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার প্রথম সুসংবাদবাহক! তাঁর মৃত্যুর পর অত্র অঞ্চলটি অবহেলিত হয়ে পড়ে, নেমে আসে স্থবিরতা।

এর প্রমাণ পাওয়া যায়, দীর্ঘদিন পর দিল্লীর সুলতান কর্তৃক প্রেরিত একজন আলাউদ্দিন ঘোরী নামক ব্যক্তি কিছু হতদরিদ্র মুসলিমের সহায়তায় মসজিদটি সংস্কার করেন এবং হযরত খায়রুল বাশার ওমজ (র.) মাজারটি রক্ষণাবেক্ষণে মনযোগী হন। ইতিহাসের পর্যালোচনায় ও জনশ্রুতি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে পাওয়া যায়, আনুমানিক ১২৭০ থেকে ১২৭৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে দিল্লীর সালতানাত কর্তৃক আদেশপ্রাপ্ত হয়ে অথবা সুলতান মোহাম্মদ ঘোরী’র অনুসারী, অবশিষ্ট কিছু ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মধ্যে স্বউদ্যোগী হয়ে একদল অনুচর পালতোলা নৌকায় চড়ে এই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে আসেন। তখন বিহার ও উড়িষ্যা অঞ্চল এবং বাংলার অধিকাংশ এলাকা মুসলিম শাসনের অধীনে।

অনুমান করা হয়, এই দলের সাথেই নেতৃত্বে ছিলেন পীর বুজুর্গ আলাউদ্দিন ঘোরী। আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ী সংশ্লিষ্ট নদী প্রবাহের কোন এক জায়গায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দলটির নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে এবং তারা ঐ অঞ্চলে সফর সমাপ্ত করতে বাধ্য হন। অতঃপর তারা স্থানীয়দের দ্বারা অবগত হয়ে হয়রত খায়রুল বাশার ওমজ (র.) কর্তৃক স্থাপিত ঐতিহাসিক ঘোলদাড়ী মসজিদটির হদিস পান। মসজিদটি তখন ছিল জঙ্গল আবৃত অবস্থায় সাপ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণির আবাসস্থল। তারা মসজিদের জঙ্গল পরিস্কার করে নামাজ আদায়ের উপযোগী করেন এবং মহান পীর দরবেশ খায়রুল বাশার ওমজ (র.) মাজারটি সংরক্ষণ করেন। এরপর পীর আলাউদ্দিন ঘোরী মাজারের খাদেম হিসেবে দায়িত্ব নেন অর্থাৎ তিনিই প্রথম খাদেম এবং নামাজের পাশাপাশি মসজিদের পার্শ্বে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে ইসলাম শিক্ষার আয়োজন করেন। আরও তিনি পুকুর খনন করে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছিলেন। মাদ্রাসার কোন স্মৃতিচিহ্ন এখন আর পাওয়া যায় না।

ঘোলদাড়ীর সেই বিখ্যাত মসজিদের সিঁড়ির নিচে তাঁর মাজারের খাদেম পীর আলাউদ্দিন ঘোরী’র মাজার ছিল। সিঁড়িটি যে কোথায় কিভাবে ছিল এখন আর কেউ তা বলতে পারে না। সিঁড়ির পাশাপাশি মাজারটিও স্থান নির্দেশনা হারিয়ে ফেলেছে। যেহেতু নতুন সৃষ্ট মসজিদ সংলগ্ন গোরস্থানের কোন জায়গাতেই তাঁদের দাফন স্থানের কোন নির্দেশনা ফলক পাওয়া যায় না। ইতিহাস বলে পীরসাহেব ও খাদেম দু’জনেরই মাজার দু’টি মুক্ত আকাশের নিচে ঘাসে আচ্ছাদিত ছিল। প্রায় একশত বছর আগে হঠাৎ করেই আগমন করেন কুতুবউদ্দিন আউলিয়া নামক একজন পশ্চিম দেশীয় সাধক এবং তিনি এই ঘোলদাড়ীতেই হযরত পীর খায়রুল বাশার ওমজ (র.) মাজারে আস্তানা করেন। তিনি আরব দেশের লোক বলে নিজেকে পরিচয় দিয়েছিলেন। মসজিদের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে তাঁর মাজার অবস্থিত। এ ছাড়া পীর বুড়ী নামক একজন মহিলা প্রায় দেড়’শ বছর আগে মাজারের খাদেম ছিলেন। মসজিদের সম্মুখে তাঁর কবর আছে।

জনশ্রুতি আছে, শতাধিক বছর পূর্বে মসজিদ সংলগ্ন লোকালয়ে আগুন লাগে এবং সমস্ত গ্রাম পুড়ে যায়। লোকজন একস্থান থেকে অন্যত্র সরে গেলে এখানে গভীর জঙ্গলে আবৃত হয়। ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যায় মসজিদটি। উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মকবুলার রহমান নিজ উদ্যোগে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় জঙ্গল পরিস্কার করিয়ে ধ্বংসপ্রায় মসজিদটি নামাজ আদায়যোগ্য করে তোলেন। অতঃপর ১৯৬৪ সালে মসজিদটি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার সংস্কার করেছিলেন বলেও জানা যায়।

মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট এবং প্রস্থ ১০ ফুট। এর দেওয়ালের বেড় ৩ ফুট ৬ ইঞ্চি। মসজিদের পশ্চিম দেয়ালে মাঝখানে ১.৫ ফুট ব্যাসার্ধের টেরাকোটারূপে সজ্জিত নান্দনিক মেহরাব আছে। তার একই দূরত্বে দুই পার্শ্বে দুটি খোদাই করা দরজার পাল্লা আকৃতির দুই রকম লতাপাতা নক্শার আদলে তৈরি মেহরাবের ন্যায় ১ ফুট ব্যাসার্ধের স্থাপনা আছে। পিদিম বা আলোক উৎস রাখার জন্য পূর্বে ছয়টি, পশ্চিমে চারটি, উত্তর-দক্ষিণে দুইটি করে মোট চৌদ্দটি কোটর বা কুঠুরি আছে। ৩ ফুট উচু, ৬ ইঞ্চি গভীর ও ১.৫ ফুট বেড় মাপের কিতাব বা প্রয়োজনীয় জিনিস রাখার জন্য বড় কোটর আছে ছয়টি। মূল মসজিদের ভেতরে দুটি সারি বা কাতার আছে। প্রতি সারিতে প্রায় ৩০ জন নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের পূর্ব দেওয়ালে তিনটি দরজা আছে যার মাঝেরটি ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতা এবং ৩ ফুট প্রস্থ। দুই পার্শ্বের দরজা দুটি তার থেকে সামান্য ছোট। মসজিদের চার দেওয়ালের চার কোণে চারটি এবং দরজাগুলোর মধ্যে দুটি করে চারটি বুরুজ বা মোটা গোলাকৃতির নকশাকার পিলার রয়েছে। এই বুরুজগুলোর উপরে ছোট আকৃতির চারটি মিনার যার উপর টেপা কলসাকৃতির ছোট গম্বুজ রয়েছে। উত্তর-দক্ষিণ পার্শ্বে একটি করে দুটি জানালা রয়েছে। পূর্বে সম্মুখে ছাদহীন বারান্দা ছিল। এই বারান্দায় দুই কাতার এবং পরে পরিবর্ধিত বারান্দায় আরও চার কাতারে মুসল্লিগণ নামাজ আদায় করতে পারেন।

মসজিদের ছাদ তিনটি একই মাপের বড় গম্বুজদ্বারা দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। মসজিদের অভ্যন্তরের দেয়ালে ফুল, লতাপাতার টেরাকোটার নকশা রয়েছে। কালের বিবর্তনে অনেক নকশা-সৌন্দর্য-অবয়ব আজ নিশ্চিহ্ন প্রায় এবং মসজিদটি প্রায় ৩ ফুট মাটির নিচে দেবে গেছে। মসজিদটি ছোট ছোট ইট এবং চুন-সুড়কি দ্বারা নির্মিত। মসজিদের মুয়াজ্জিন নিজামউদ্দীন বলেন, ‘ছেলে বেলায় এখানে অনেক ঝোড় জঙ্গল ছিল এবং বাঘ-শুকর, সাপ-পোকাসহ অনেক বন্যপ্রাণি দেখা যেত, এর মধ্যেই এলাকার মানুষ মসজিদটিতে নামায় আদায় করতেন। তবে নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন যে মসজিদটি কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিদিন অনেক পর্যটক ঐতিহ্যের সাক্ষী হতে ঘোলদাড়ী প্রাচীন মসজিদ দেখতে এবং নামাজ আদায় করতে আসেন। পাইকপাড়া গ্রামের জনৈক গাজিরউদ্দীন বলেন, ‘এই মসজিদের প্রকৃত জমির পরিমাণ ১৪১ বিঘা’।

বর্তমানে এ মসজিদে জুম্মা’র নামাজ আদায় হয় এবং প্রতি শুক্রবার মানত আসে, যা নগদ অর্থ ও প্রাণিদ্বারা আগত মুসলমানসহ অন্য ধর্মের ভক্তবৃন্দ নিজেরাই শিরনি বিতরণপূর্বক পূরণ করে থাকেন। এখানে কোন দানবাক্স নেই এবং নগদ অর্থ কেহই দাবী করেন না, গ্রহণও করেন না, যা সত্যিই বড় ব্যতিক্রম। নীরবে নিভৃত্বে ইবাদত বন্দেগি করার জন্য মসজিদটি অতুলনীয় যা হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্যের স্বাক্ষী হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে। প্রশ্ন থেকে যায়, মসজিদটি কি একসময় বিলীন অথবা হারিয়ে যাবে? প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি মসজিদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণপূর্বক দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা করা ও পর্যটন এলাকা হিসাবে গড়ে তোলা।

তথ্যসূত্র: ধর্মীয় ইতিহাস স্থাপত্যে কুষ্টিয়া–ড. মুহম্মদ এমদাদ হাসনায়েন ও ড. সারিয়া সুলতানা, কণ্ঠধ্বনি প্রকাশনী, কুষ্টিয়া, একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০

খুজতে হলে: https://www.rokomari.com/search?term=কণ্ঠধ্বনি+প্রকাশনী

লেখক: ইতিহাস গবেষক ও প্রাবন্ধিক

Header Ad

পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার

পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে একটি বিদেশি পিস্তল ও আট রাউন্ড তাজা গুলি সহ জুয়েল রানা (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। শনিবার (২৩ নভেম্বর) দিনগত রাতে পলাশবাড়ী পৌর শহরের উদয়সাগর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার রাসেল দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার মাছুয়াপাড়া গ্রামের পান্না মিয়ার ছেলে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে পলাশবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গেল রাতে পলাশবাড়ী পৌর শহরের উদয়সাগর গ্রামে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী সদস্য। এসময় ভগ্নিপতি জুয়েল মিয়ার বাড়ি থেকে ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল ও আট রাউন্ড তাজা গুলিসহ জুয়েল রানাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি আরও জানান।

Header Ad

আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?

ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলাম চলছে। তিন বছর পর পর হওয়া এই নিলাম এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে সৌদি আরবের জেদ্দায়। দুই দিনব্যাপী নিলামের প্রথম দিনটি শুরু হয়েছে আজ, রোববার (২৪ নভেম্বর)। বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর এখন ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের নিলামে। ভক্তদের কৌতূহল, কোন তারকা কোন দলে যাচ্ছেন, কত টাকায় বিক্রি হচ্ছেন তারা—এইসব প্রশ্ন নিয়ে উত্তেজনা চলছে। চলুন, এক নজরে দেখে নেয়া যাক, প্রথম দিন কোন খেলোয়াড় কোন দলে যোগ দিলেন।

গুজরাট টাইটান্স:

আইপিএলের অন্যতম সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট এবারও শক্তিশালী দল গড়তে মরিয়া। নিলামের আগে তারা পাঁচ ক্রিকেটারকে রিটেন করেছে। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৫১ কোটি রুপি। অবশিষ্ট ৬৯ কোটি রুপি নিয়ে শুরু করেছে নিলাম। অবশ্য এত টাকা খরচ করলেও অভিজ্ঞ রশিদ-গিলকে ঠিকই ধরে রেখেছে দলটি। এই দুইজন ছাড়াও আছেন সাই সুদর্শন, রাহুল তেওয়াটিয়া ও শাহরুখ খানের মতো ক্রিকেটাররা।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে গুজরাট

কাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা)—১০.৭৫ কোটি রুপি

জস বাটলার (ইংল্যান্ড)—১০.৭৫ কোটি রুপি

মোহাম্মদ সিরাজ (ভারত)— ১২.২৫ কোটি রুপি

পাঞ্জাব কিংস:

কখনও আইপিএলের শিরোপা জিততে না পারা পাঞ্জাব কিংস এবারের নিলামে সবচেয়ে বেশি ১১০ কোটি ৫০ লক্ষ রুপি নিয়ে হাজির হবে। মূলত খেলোয়াড় রিটেনশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় তারা। অন্যান্য দলগুলো তারকা সব ক্রিকেটারদের রিটেনশন পদ্ধতিতে দলে নিলেও সেখানে মাত্র দুইজনকে নিয়েছে পাঞ্জাব। তাদের কেউই তারকা ক্রিকেটার নন। তারা হলে শশাঙ্ক সিংহ ও প্রভসিমরান সিংহ।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে পাঞ্জাব

অর্শ্বদীপ সিং (ভারত)—১৮ কোটি রুপি

শ্রেয়ার আইয়ার (ভারত)— ২৬.৭৫ কোটি রুপি

যুযবেন্দ্র চাহাল (ভারত)— ১৮ কোটি রুপি

মার্কাস স্টয়নিস (অস্ট্রেলিয়া)— ১১ কোটি রুপি

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অস্ট্রেলিয়া)— ৪.২০ কোটি রুপি

দিল্লি ক্যাপিটালস:

নিলামের টেবিলে ৭৩ কোটি রুপি নিয়ে হাজির হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। চার ক্রিকেটারকে রিটেনশন করেছে তারা। এতে খরচ হয়েছে মোট ৪৭ কোটি রুপি। সেই হিসেবে নিলাম থেকে বড় কোনো তারকাকে ভেড়াতে প্রস্তুত দলটি। কখনও শিরোপা জিততে না পারা দলটির জন্য ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়াই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। দলটিতে আছেন অক্ষর প্যাটেল, কুলদ্বীপ যাদব, ত্রিস্টান স্টাবস ও অভিষেক পোরেল।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে দিল্লি

মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া)—১১.৭৫ কোটি রুপি

লোকেশ রাহুল (ভারত)—১৪ কোটি রুপি

হ্যারি ব্রুক (ইংল্যান্ড)—৬.২৫ কোটি রুপি

জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকগার্ক (অস্ট্রেলিয়া)— ৯ কোটি রুপি

২০২৫ আইপিএল আগামী ১৪ মার্চ শুরু হয়ে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়েছে, বেশির ভাগ আইসিসি পূর্ণ সদস্যদেশের খেলোয়াড়েরা পরবর্তী তিন বছর আইপিএলে খেলার বিষয়ে নিজ দেশের বোর্ড থেকে সম্মতি পেয়েছেন। তবে এর মধ্যে পাকিস্তান নেই। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে বৈরী সম্পর্ক থাকায় ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম সংস্করণের পর এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলছেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।

লখনৌ সুপার জায়ান্ট:

২০২৪ আইপিএলে মাঠের বাইরের নানা কর্মকান্ডে বেশ বিতর্কিত হয়েছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস। এবার নিলামের আগে তারাও গুজরাটের মতো পাঁচ ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে। এতে খরচ হয়েছে ৫১ কোটি রুপি। হাতে আছে ৬৯ কোটি রুপি। দলটিতে আছেন নিকোলাস পুরান, রবি বিষ্ণুই, মায়াঙ্ক যাদব, মহসিন খান ও আয়ুশ বাদোনি।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে লখনৌ

ঋষভ পন্ত (ভারত)— ২৭ কোটি রুপি

ডেভিড মিলার (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ৭.৫০ কোটি রুপি

এইডেন মার্করাম (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ২ কোটি রুপি

মিচেল মার্শ (অস্ট্রেলিয়া)— ৩.৪০ কোটি রুপি

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ:

আইপিএলের গত আসরের রানার্সআপ হায়দরাবাদ এবারও চমক দেওয়ার অপেক্ষায়। ২০২৪ সালে দারুণ ছন্দে থাকা দুই অসি ক্রিকেটার প্যাট কামিন্স ও ট্রাভিস হেডকে ধরে রেখেছে তারা। পাশাপাশি আছে হেনরিখ ক্লাসেনের মতো বিধ্বংসী ব্যাটারও। এছাড়া, দেশিদের মধ্যে অভিষেক শর্মা ও নিতীশ কুমার রেড্ডিরাও দ্যুতি ছড়াতে প্রস্তুত। এই পাঁচ ক্রিকেটারকে কিনতে খরচ হয়েছে ৭৫ কোটি রুপি। অবশিষ্ট ৪৫ কোটি রুপি নিয়ে নিলাম শুরু করেছে হায়দরাবাদ।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে হায়দরাবাদ

মোহাম্মদ সামি (ভারত)—১০ কোটি রুপি

হারশাল প্যাটেল (ভারত)—৮ কোটি রুপি

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু:

আইপিএলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল ধরা হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। মূলত কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলি থাকায় দলটির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এবারের নিলামে বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে হাজির হয়েছে আরসিবিও। রিটেনশনের সময় তারা দলে ভিড়িয়েছে বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার ও ইয়াশ দয়ালকে। এদের কিনতে মোট খরচ হয়েছে ৩৭ কোটি রুপি। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি নিলাম শুরু করেছে ৮৩ কোটি রুপি নিয়ে।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে বেঙ্গালুরু

লিয়াম লিভিংস্টোন (ইংল্যান্ড)— ৮.৭৫ কোটি রুপি

ফিল সল্ট (ইংল্যান্ড)— ১১.৫০ কোটি রুপি

চেন্নাই সুপার কিংস:

আইপিএলের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই এবারও শক্তিশালী দল গড়ার পথে। দলটি রিটেন করেছে রুতুরাজ গায়কোয়াড়, মাথিশা পাথিরানা, শিবাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা ও এমএস ধোনিকে। এতে তাদের খরচ হয়েছে মোট ৬৫ কোটি রুপি। বাকি ৫৫ কোটি রুপি নিয়ে নিলামে অংশ নিয়েছে তারা। দেখার বিষয় গত আসরে দলটিতে দারুণ খেলা বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে এবার তারা ডেরায় ভেড়ায় কি না।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে চেন্নাই

ডেভন কনওয়ে ( নিউজিল্যান্ড)—৬.২৫ কোটি রুপি

রাহুল ত্রিপাঠি (ভারত) — ৩.৪০ কোটি রুপি

রাচিন রবীন্দ্র ( নিউজিল্যান্ড)—৪ কোটি রুপি

রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ভারত) — ৯.৭৫ কোটি রুপি

কলকাতা নাইট রাইডার্স:

আইপিএলের গত আসরের চ্যাম্পিয়নস কলকাতা নাইট রাইডার্স ফের একবার চমক দিতে মরিয়া। গত আসরের দলটিতে খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক। যদিও এবার তাকে রিটেন করেনি দলটি। তারা ছয় জন প্লেয়ারকে নিলামের আগেই রিটেইন করেছে। তারা হলেন রিঙ্কু সিংহ, বরুণ চক্রবর্তী, সুনিল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, হারশিত রানা ও রামানদ্বীপ সিংহ। এতে তাদের ব্যয় হয়েছে ৬৯ কোটি রুপি। ৫১ কোটি রুপি নিয়ে আজ নিলাম শুরু করেছে দলটি।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে কলকাতা

ভেঙ্কটেশ আইয়ার (ভারত)—২৩.৭৫ কোটি রুপি

কুইন্টন ডি কক (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ৩.৬০ কোটি রুপি

২০২৫ আইপিএল আগামী ১৪ মার্চ শুরু হয়ে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়েছে, বেশির ভাগ আইসিসি পূর্ণ সদস্যদেশের খেলোয়াড়েরা পরবর্তী তিন বছর আইপিএলে খেলার বিষয়ে নিজ দেশের বোর্ড থেকে সম্মতি পেয়েছেন। তবে এর মধ্যে পাকিস্তান নেই। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে বৈরী সম্পর্ক থাকায় ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম সংস্করণের পর এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলছেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।

Header Ad

রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা

দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন সৌখিনের বিরুদ্ধে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত থেকে ওই দুই নেতার কথোপকথনের ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এর আগে উপজেলার গোবরচাঁপা বাজারে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে ৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগ নেতা সামছুল আলম খানসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে স্থানীয় থানায় মামলা করেন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন। এ মামলায় আরও ১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে "এডিট করা ফেক মোবাইল কল" সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে তার এবং দলীয় ইমেজ ক্ষুণ্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাময়িক বহিষ্কৃত ওই বিএনপি নেতা।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বদলগাছী সাংবাদিক সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন।

এসময় তিনি বলেন, বিগত ২০১৩ সালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলকভাবে আওয়ামী লীগ দুইটি মামলা করে। একটি বিষ্ফোরক ও একটি দ্রুত বিচার আইনে। আমাকে গ্রেফতার করা হয় ক্লিন হার্ট অপারেশনে। সেখানে আমাকে অনেক নির্যাতন করা হয় শুধুমাত্র বিএনপির রাজনীতি করার জন্য। আমি জানতে পেরেছি যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম খানের সাথে আমার একটি কল রেকর্ড প্রকাশিত হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা সম্পূর্ণ এডিট করা ফেক মোবাইল কল। কল রেকর্ডটি আগস্ট মাসের।

প্রকৃত তথ্য এই যে, শামসুল আলম খান ইতঃপূর্বে তার একটি ব্যাংক চেক গচ্ছিত রেখে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করেন। যার নম্বর: CD /A- ২৮৮৫০৯২ (ডাচ বাংলা ব্যাংক)। এভাবে তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আরও অনেকের কাছ থেকেই তিনি টাকা ধার করেছেন বলে লোকমুখে জেনেছি। অতি সম্প্রতি জানতে পারি যে, তিনি কিছু কিছু পাওনাদারদের ধারের টাকা পরিশোধ করছেন। এ কারণে আমি তার নিকট আমার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য কল করেছিলাম। এছাড়া আমার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য তার সামনাসামনি হলে সে আমাকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার ভয় দেখাতো। আমি গত ২০১৪ সালের ৫নভেম্বর আওয়ামী লীগের বিস্ফোরক মামলার বিবাদী হওয়ার কারণে আগস্ট মাসের কল রেকর্ডটি নতুন করে "এডিট" করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। আগস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত শামসুল আলম খানের সাথে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি।

এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, পাওনা সংক্রান্ত ও কল রেকর্ডটি এডিট করে যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেটা আবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশও করা হয়েছে। শুধুমাত্র আমাকে এবং আমার দল বিএনপিকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্যই ফেক কল রেকর্ডটি ছেড়ে দেওয়া দেয়। মর্যাদাহানি করার জন্যই তারা এই মিথ্যা এবং বানোয়াট রেকর্ড ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মামলার বিবাদী হওয়ার কারণেই আগস্ট মাসের আমার টাকা সংক্রান্ত রেকর্ডটি ছেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং সেই সাথে দুষ্কৃতিকারীদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খান বলেন, ঘটনার দিন নওগাঁয় আদালতে একটা কাজে গিয়েছিলাম। ওই সময় একটা অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। নিজেকে চাংলার সৌখিন পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা দাবি করা হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ