রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সুরমা জাহিদ

কিশোরীদের দেখা একাত্তরের ভয়াবহ স্মৃতি

মধুবন্তী ডায়েসের গল্প

[শেষ পর্ব]

 পরদিন বাড়িতে আবার মিলিটারি এসে হামলা করে। ঐ দিন আমরা ঘরে ছিলাম, আমাদের বাড়িতে একটা ঘর ছিল। সেটাতে কেউ থাকত না। ঐ ঘরে বসে দাদা কাজকর্ম করাতেন। বাচ্চারা মাঝে মাঝে খেলাধুলা করে। ঘরটা অনেক লম্বা ছিল। ঘরের ভেতরে এক পাশে ছিল অনেক বড় একটা ধানের গোলা। গোলার পিছনে  ছিল কিছু অপ্রয়োজনীয় হাবি-জাবি জিনিসপত্র। তারপর চেয়ার, টেবিল, টুল। তারপরও কিন্তু খেলা যেত। সেই ঘর এত বড় ছিল। যখন মিলিটারি বাড়িতে এসেছে তখন অনেকে সেই ঘরে ছিলাম। হঠাৎ কেমন যেন একটা শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তখনই বুঝতে পারি মিলিটারিদের জুতার শব্দ। তখন চিৎকার করে আমি বলছি, মিলিটারি আসছে, পালাও, পালাও। এই বলেই আমিও পালাতে চেস্টা করছি। বাহিরে তাকিয়ে দেখি মিলিটারিরা বেশ কাছাকাছি চলে এসেছে। আমি ঘর থেকে বাহির হয়ে দূরে কোথাও পালাতে পারবো না ভেবে আমি ঘরের ভেতরে পালাতে চেস্টা করি। প্রথম ধানের গোলার ভেতরে উঠতে চেস্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। পরে গোলার নিচে গিয়ে শুয়ে পড়ি আর দুই একটা জিনিসপত্র আমার সামনে এনে রেখে দিয়েছি। ঘরের ভেতরে আমার সঙ্গে আরও দুই তিনজন ছিল । বাকিরা সবাই বাহির হয়ে গিয়েছিল। যারা ছিল তারা আর পালাতে পারেনি। মিলিটারিরা ঘরে ঢুকে পড়ে। আমার মনে হয় ঘর থেকে যে অনেকে বাহির হয়ে পালিয়ে গিয়েছিল তা দূর থেকে দেখেছে। তাই ঐ ঘরের ভেতর এসেছে। যারা ঘরের ভেতর ছিল তাদের মধ্যে একজনের বিয়ে হয়েছিল তার নাম ছিল খুব সম্ভবত: আলেয়া। আমাদের বাড়ির পাশেই ছিল তার বাড়ি। সে বাবার বাড়িতে এসেছিল বাচ্চা হবে তাই। তার দিন ঘনিয়ে এসেছিল। আর দুই জনের নাম ছিল হেলেনা আর রেখা। ওরা আপন দুই বোন ছিল।

মিলিটারিরা ঘরে ঢুকেই তাদের তিনজনকে ধরে ফেলে। তারপর তাদের পরনের কাপড় খোলে টানা ধর্ষণ করতে থাকে একজনের পর একজন। তিনজনকে পাশাপাশি মাটিতে ফেলে ধর্ষণ করেছে। মিলিটারিরা তো অনেকজন ছিল, তাই পালাক্রমে তারা তিনজনকে ধর্ষণ করেছে। তাদের কাজ শেষ হলে তারা চুপচাপ চলে যায়। আবার কি যেন মনে করে, ঘরের দরজা থেকে ফিরে আসে এবং হেলেনা ও রেখাকে তুলে নিয়ে যায়। আর আলেয়া পড়ে আছে। তাদের রক্ত বেয়ে বেয়ে সমস্ত ঘর ভিজে গিয়েছে। আমিও ভিজে গিয়েছি। এসব দেখে আমি ভয়ে আধ মরার মতন পড়ে আছি। এক সময় দেখি, আলেয়া ঘরে ছটফট করছে। তাদের রক্তে লাল হয়ে গিয়েছে সমস্তটা ঘর। আমি আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে চেস্টা করছি উঠে আসতে এবং আলেয়াকে সাহায্য করতে, কিন্তু পারিনি। মনে হচ্ছে আমার সমস্ত শরীর মাটির সাথে লেগে গিয়েছে। কেউ বুঝি আঠা দিয়ে রেখেছে। আমার কানে বাজছে আলেয়ার করুণ আর্তনাদ। মনে হয় মাঝে মাঝে পানি পানি করছিল ।

বেলা গিয়ে সন্ধ্যা নেমে এল। দুই একজন করে বাড়ি ফিরছে। এক সময় কেন যেন এই ঘরে আসে। ঘরে এসেই চিৎকার করে উঠে। সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে। আলেয়াকে পাওয়া গিয়েছে। তার মানে এতক্ষণ আলেয়াকে খুঁজে পাচ্ছিল না। কয়েকজন ঘরে এলো, সবাই ভয় পাচ্ছে, কত কথা বলছে। আলেয়াকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তখনও আমার মুখ দিয়ে কথা বাহির হচ্ছে না। আমি আমার শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে চিৎকার করছি। কিন্তু আমার গলা দিয়ে কোন শব্দ বাহির হচ্ছে না। আমি দেখছি সবাই আলেয়াকে নিয়ে ব্যস্ত এবং তাকে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর তো ঘরে আর কেউ আসবে না। সারারাত আমাকে অন্ধকারে একাকী এখানে কাটাতে হবে। কেউ জানে না যে, আমি এখানে লুকিয়ে আছি। অনেক চেস্টা করেও যখন আমি শব্দ বের করতে পারিনি তখন আমি হাত দিয়ে এটা-সেটা নাড়াতে চেস্টা করতে থাকি। এক সময় একটা শব্দ হল। ঘরে যারা ছিল তারা শুনতে পেয়েছে। তখন তারা আমাকে উদ্ধার করে। তারপর আর আলেয়ার খবর জানি না।

সেদিনের পর বাড়ির সবাই বলছেন, আমাদের এখানে থাকা ঠিক হবে না। তিন চারদিন পর আমরা ভারতের উদ্দেশ্যে আবার রওনা দেই। আবার সেই পায়ে হেঁটে শত না, শত শত বললে ভুল হবে, হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধা লাইন ধরে হাঁটছে তো হাঁটছেই। মনে হয়, এত বড় লাইন যে, আমাদের দেশ থেকে লাইন শুরু হয়ে ভারতে গিয়ে শেষ হয়েছে।

ভারতে গিয়ে আমরা শরণার্থী শিবিরে উঠি। ঐখানে অবস্থা তো আরও বেশি খারাপ। ঐখানে শুধু জান-মান হারানোর ভয় নেই। তাছাড়া সব দিক দিয়ে অসুবিধা ছিল-থাকার, খাওয়ার, গোসল করার, ঘুমানোর। যে ঘরের ভেতরে ৫০ জন থাকতে পারে, সেখানে মনে হয় ১৫০ জন লোকের থাকতে হয়েছে। এত লোক থাকলে যা হয় তাই হয়েছে। যাই হোক জান মানের নিরাপত্তা ছিল। শত কস্টের মাঝ দিয়ে পাঁচ সাতটি মাস পার করেছি। এক সময় শুনি, আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে। মুহুর্তের মধ্যেই সব দু:খ কস্ট ভুলে মনের ভেতর আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করেছে। ভাবতেই কেমন যেন ভাল লাগছে যে আমরা স্বাধীন, আমাদের নিজের একটা দেশ হয়েছে, সেই দেশের মানুষ আমরা। বৃষ্টি হলে আষাঢ় মাসে ব্যাঙ যেভাবে ব্যাক ব্যাক করে ডেকে ডেকে লাফায়, ঠিক সেভাবে লাফাতে ইচ্ছে করছে, লাফিয়েছি অনেক। মনটা আকুল ব্যাকুল করছে, কখন স্বাধীন দেশে এসে পা রাখবো। মন অস্থির হয়ে আছে।

মাসখানেক পর আমরা আবার দেশে ফিরে আসি। বুক ভরা কত আশা-ভরসা, কত স্বপ্ন, কত কল্পনা। কিন্তু না, কিছুই পূরণ হল না। বাড়িতে এসে দেখে কোন ঘরবাড়ি নেই, সব পুড়ে ছাই। পুরো গ্রাম পুড়ে ছাই। একেবারে কিছুই নেই। তখন এমন একটা অবস্থা কে কাকে আশ্রয় দেয়। সবার তো একই অবস্থা। তারপরও আমার এক ফুপুর বাড়িতে গিয়ে আমরা কয়েকদিন ছিলাম। আর এদিক দিয়ে বাড়িতে ছোট ছোট করে কয়েকটা ছনের ঘর করে আমাদেরকে নিয়ে এল। আমরা থাকতে থাকি। দিন যাচ্ছে খুব কষ্টের মধ্য দিয়ে।

সেই যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে আব্বার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। তারপর আর আব্বার সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। আব্বাতো জানেও না আমরা কোথায়, আমরা বেঁচে আছি না মরে গিয়েছি, কিছুই জানে না। না জেনে আব্বা অস্থির হয়ে পড়ে। দেশ স্বাধীন হলে পরের বছর আব্বা দেশে আসেন। এসে আমাদেরকে না পেয়ে পাগলের মতন হয়ে যায়। আব্বা তো ভাবতেও পারেনি আমরা দাদার বাড়িতে আছি। খুঁজতে খুঁজতে আব্বা এক ফুপুর বাড়িতে যায়, ঐখানে গিয়ে জানতে পারে, আমরা দাদার কাছে আছি, ভাল আছি। ফুপু আব্বাকে নিয়ে দাদার কাছে আসে । আব্বা মনে হয় দুই মাসের মতন ছিলেন। দুই মাস পর আব্বা চলে যায়। আব্বা যাওয়ার কয়েক মাস পরেই আমাদের কাগজপত্র সব চলে আসে। আমরা চলে যাই স্বাধীন বাংলাদেশ ছেড়ে, সকল রকমের সকল বন্ধন সব ফেলে অন্য দেশে। সাত সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে।

আমরা যাওয়ার বছর খানেক পরেই জানতে পারি আমার দাদা খুব অসুস্থ। তারপর হঠাৎ একদিন জানতে পারি, দাদা মারা গিয়েছেন। দাদা মারা যাওয়ার খবরটা শোনার পর আমার ভেতরে কেমন যেন একটা ধাক্কা লেগেছিল। সেই ধাক্কার সুর যেন আমাকে শুধু অপরাধী বানিয়েছে। বয়স কম ছিল বলে কাউকে তেমন কিছু বলতেও পারিনি । কিন্তু আমি যখন বড় হয়ে কাজ করতে শুরু করি তখন থেকেই আলাদা করে টাকা জমিয়ে রাখি।

১৯৯১ সালে আমি আবার দেশে যাই। দাদার বাড়িতে যাই। এত বছর পর আসার একটাই কারন ছিল, সেটা হল, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে, নিজের খরচে নিজে যেদিন দেশে যেতে পারব সেদিনই দেশে ফিরবো, এই অভিমান ছিল মনে। হয়ত দাদা বেঁচে থাকলে আরও আগে আসা হতো। আমার আব্বা মারা গিয়েছেন, আমি এত কষ্ট পাইনি, যে কষ্ট আমি পেয়েছি দাদার মৃত্যুর খবর শুনে।

১৯৯১ সালের পর দেশে গিয়েছি দুই বার। সামনে আবার যাব, অবশ্যই যাব। আমি দেশকে খুব ভালবাসি, খুব মিস করি। আমার ইচ্ছে আছে আর কয়েক বছর এখানে থেকে বাকি জীবনটা বাংলাদেশে থাকবো। 

 

লেখক: গবেষক ও প্রাবন্ধিক

Header Ad
Header Ad

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!

ছবি: সংগৃহীত

নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ঘটনা নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ক্রমাগত দুশ্চিন্তা শরীরের স্ট্রেস-রেসপন্স সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্রনিক স্ট্রেসের জন্ম দেয় এবং এমনকি অকাল মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়, ফলে সংক্রমণ ও বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের মতো মারাত্মক কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার সঙ্গেও এটি সরাসরি সম্পর্কিত।

বিশেষজ্ঞরা জানান, দীর্ঘ সময় ধরে কর্টিসলসহ বিভিন্ন স্ট্রেস হরমোনের অতিরিক্ত নিঃসরণ হজমজনিত সমস্যা, পেশির টান, অনিদ্রা ও মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।

এছাড়া, অনিয়ন্ত্রিত বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগ ধূমপান, অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ বা মাদকাসক্তির মতো ক্ষতিকর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে, যা আরও ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে।

তবে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমানোর জন্য সচেতনতা ও সঠিক দিকনির্দেশনা অনুসরণ করলে এ সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, মেডিটেশন এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য পেশাদার সহায়তা নেওয়া এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর হতে পারে।

সূত্র: আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন

Header Ad
Header Ad

জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে না।

রোববার বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওই পোস্টে ইশরাক লিখেছেন, "জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার ফরকার হবে না। তার আগে অন্তত ঢাকার প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ ঢাকায় আমার সঙ্গে যুদ্ধ করে, আমাকে কবরে পাঠিয়ে তারপর করতে পারলে করবে।"

তিনি আরও লিখেছেন, "এই সরকারকে এর চাইতে স্পষ্ট ভাষায় আর কিছু বলার নাই। আর আমাদের দলীয় কেউ যদি ভুলেও স্বপ্ন দেখেন, যেই হন না কেন আপনাদের চিনবো না। অতএব এলাকায় ফ্যাসিবাদের স্থান দেওয়ার আগে ১০০ বার চিন্তা করে নিয়েন। আগে বরখাস্তকৃত কমিশনের/কাউন্সিলর পদধারী হাসিনার কিলার বাহিনীদের বিচার, শাস্তি ও নির্মূল করতে হবে।"

 

তরুণ এই বিএনপি নেতা তার পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিজস্ব পরিকল্পনায় স্থানীয় নির্বাচন থাকতে পারে। কিছু নতুন দল বা ছোট দল নিজেদের অবস্থান সুসংহত করার চেষ্টা করতে পারে। তবে তার মতে, "এই মার্কাবিহীন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে খুনি হাসিনার অমানুষ জালেম বাহিনীর উত্থান ঘটবে।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, "আমাদের স্পষ্ট দলীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে এই ব্যাপারে। এর বাইরে, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র প্রার্থী বা মহানগর বিএনপির সদস্য হিসেবে, বা একজন সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, যে অবস্থানেই বিবেচনা করা হোক না কেন, আমি জানিয়ে দিচ্ছি—ঢাকার অলিগলির রাজনীতি কীভাবে চলে তা আমি জানি।"

ইশরাক হোসেন তার পোস্টের শেষ অংশে বলেন, "ঢাকা ও অন্যত্র স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে কোনো উদ্যোগকে চক্রান্ত হিসেবেই গণ্য করা হবে। হাসিনার কমিশনার/কাউন্সিলরা কিভাবে হয় এবং তারা কীভাবে ফিরে আসতে পারে, সেটাও আমাদের মুখস্থ।"

Header Ad
Header Ad

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!

ছবি: সংগৃহীত

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহতের ঘটনায় দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছে সরকার।

তবে পরিপত্র জারির পর থেকেই অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি কি সরকারি ছুটি থাকবে? এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নানা আলোচনা চলছে।

সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী, ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি থাকবে না। দিবসটি ‘গ’ শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা জাতীয়ভাবে পালন করা হবে, তবে ছুটি থাকবে না।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকার প্রতিবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে এটি সরকারি ছুটি ছাড়া জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হবে।

এর আগে মন্ত্রিপরিষদসচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করা হবে, তবে এদিন সরকারি ছুটি থাকবে না।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া নির্মম হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক এই দিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের মাধ্যমে সেনা সদস্যদের আত্মত্যাগকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি