সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সুরমা জাহিদ

কিশোরীদের দেখা একাত্তরের ভয়াবহ স্মৃতি

মধুবন্তী ডায়েসের গল্প

[শেষ পর্ব]

 পরদিন বাড়িতে আবার মিলিটারি এসে হামলা করে। ঐ দিন আমরা ঘরে ছিলাম, আমাদের বাড়িতে একটা ঘর ছিল। সেটাতে কেউ থাকত না। ঐ ঘরে বসে দাদা কাজকর্ম করাতেন। বাচ্চারা মাঝে মাঝে খেলাধুলা করে। ঘরটা অনেক লম্বা ছিল। ঘরের ভেতরে এক পাশে ছিল অনেক বড় একটা ধানের গোলা। গোলার পিছনে  ছিল কিছু অপ্রয়োজনীয় হাবি-জাবি জিনিসপত্র। তারপর চেয়ার, টেবিল, টুল। তারপরও কিন্তু খেলা যেত। সেই ঘর এত বড় ছিল। যখন মিলিটারি বাড়িতে এসেছে তখন অনেকে সেই ঘরে ছিলাম। হঠাৎ কেমন যেন একটা শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তখনই বুঝতে পারি মিলিটারিদের জুতার শব্দ। তখন চিৎকার করে আমি বলছি, মিলিটারি আসছে, পালাও, পালাও। এই বলেই আমিও পালাতে চেস্টা করছি। বাহিরে তাকিয়ে দেখি মিলিটারিরা বেশ কাছাকাছি চলে এসেছে। আমি ঘর থেকে বাহির হয়ে দূরে কোথাও পালাতে পারবো না ভেবে আমি ঘরের ভেতরে পালাতে চেস্টা করি। প্রথম ধানের গোলার ভেতরে উঠতে চেস্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। পরে গোলার নিচে গিয়ে শুয়ে পড়ি আর দুই একটা জিনিসপত্র আমার সামনে এনে রেখে দিয়েছি। ঘরের ভেতরে আমার সঙ্গে আরও দুই তিনজন ছিল । বাকিরা সবাই বাহির হয়ে গিয়েছিল। যারা ছিল তারা আর পালাতে পারেনি। মিলিটারিরা ঘরে ঢুকে পড়ে। আমার মনে হয় ঘর থেকে যে অনেকে বাহির হয়ে পালিয়ে গিয়েছিল তা দূর থেকে দেখেছে। তাই ঐ ঘরের ভেতর এসেছে। যারা ঘরের ভেতর ছিল তাদের মধ্যে একজনের বিয়ে হয়েছিল তার নাম ছিল খুব সম্ভবত: আলেয়া। আমাদের বাড়ির পাশেই ছিল তার বাড়ি। সে বাবার বাড়িতে এসেছিল বাচ্চা হবে তাই। তার দিন ঘনিয়ে এসেছিল। আর দুই জনের নাম ছিল হেলেনা আর রেখা। ওরা আপন দুই বোন ছিল।

মিলিটারিরা ঘরে ঢুকেই তাদের তিনজনকে ধরে ফেলে। তারপর তাদের পরনের কাপড় খোলে টানা ধর্ষণ করতে থাকে একজনের পর একজন। তিনজনকে পাশাপাশি মাটিতে ফেলে ধর্ষণ করেছে। মিলিটারিরা তো অনেকজন ছিল, তাই পালাক্রমে তারা তিনজনকে ধর্ষণ করেছে। তাদের কাজ শেষ হলে তারা চুপচাপ চলে যায়। আবার কি যেন মনে করে, ঘরের দরজা থেকে ফিরে আসে এবং হেলেনা ও রেখাকে তুলে নিয়ে যায়। আর আলেয়া পড়ে আছে। তাদের রক্ত বেয়ে বেয়ে সমস্ত ঘর ভিজে গিয়েছে। আমিও ভিজে গিয়েছি। এসব দেখে আমি ভয়ে আধ মরার মতন পড়ে আছি। এক সময় দেখি, আলেয়া ঘরে ছটফট করছে। তাদের রক্তে লাল হয়ে গিয়েছে সমস্তটা ঘর। আমি আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে চেস্টা করছি উঠে আসতে এবং আলেয়াকে সাহায্য করতে, কিন্তু পারিনি। মনে হচ্ছে আমার সমস্ত শরীর মাটির সাথে লেগে গিয়েছে। কেউ বুঝি আঠা দিয়ে রেখেছে। আমার কানে বাজছে আলেয়ার করুণ আর্তনাদ। মনে হয় মাঝে মাঝে পানি পানি করছিল ।

বেলা গিয়ে সন্ধ্যা নেমে এল। দুই একজন করে বাড়ি ফিরছে। এক সময় কেন যেন এই ঘরে আসে। ঘরে এসেই চিৎকার করে উঠে। সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে। আলেয়াকে পাওয়া গিয়েছে। তার মানে এতক্ষণ আলেয়াকে খুঁজে পাচ্ছিল না। কয়েকজন ঘরে এলো, সবাই ভয় পাচ্ছে, কত কথা বলছে। আলেয়াকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তখনও আমার মুখ দিয়ে কথা বাহির হচ্ছে না। আমি আমার শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে চিৎকার করছি। কিন্তু আমার গলা দিয়ে কোন শব্দ বাহির হচ্ছে না। আমি দেখছি সবাই আলেয়াকে নিয়ে ব্যস্ত এবং তাকে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর তো ঘরে আর কেউ আসবে না। সারারাত আমাকে অন্ধকারে একাকী এখানে কাটাতে হবে। কেউ জানে না যে, আমি এখানে লুকিয়ে আছি। অনেক চেস্টা করেও যখন আমি শব্দ বের করতে পারিনি তখন আমি হাত দিয়ে এটা-সেটা নাড়াতে চেস্টা করতে থাকি। এক সময় একটা শব্দ হল। ঘরে যারা ছিল তারা শুনতে পেয়েছে। তখন তারা আমাকে উদ্ধার করে। তারপর আর আলেয়ার খবর জানি না।

সেদিনের পর বাড়ির সবাই বলছেন, আমাদের এখানে থাকা ঠিক হবে না। তিন চারদিন পর আমরা ভারতের উদ্দেশ্যে আবার রওনা দেই। আবার সেই পায়ে হেঁটে শত না, শত শত বললে ভুল হবে, হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধা লাইন ধরে হাঁটছে তো হাঁটছেই। মনে হয়, এত বড় লাইন যে, আমাদের দেশ থেকে লাইন শুরু হয়ে ভারতে গিয়ে শেষ হয়েছে।

ভারতে গিয়ে আমরা শরণার্থী শিবিরে উঠি। ঐখানে অবস্থা তো আরও বেশি খারাপ। ঐখানে শুধু জান-মান হারানোর ভয় নেই। তাছাড়া সব দিক দিয়ে অসুবিধা ছিল-থাকার, খাওয়ার, গোসল করার, ঘুমানোর। যে ঘরের ভেতরে ৫০ জন থাকতে পারে, সেখানে মনে হয় ১৫০ জন লোকের থাকতে হয়েছে। এত লোক থাকলে যা হয় তাই হয়েছে। যাই হোক জান মানের নিরাপত্তা ছিল। শত কস্টের মাঝ দিয়ে পাঁচ সাতটি মাস পার করেছি। এক সময় শুনি, আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে। মুহুর্তের মধ্যেই সব দু:খ কস্ট ভুলে মনের ভেতর আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করেছে। ভাবতেই কেমন যেন ভাল লাগছে যে আমরা স্বাধীন, আমাদের নিজের একটা দেশ হয়েছে, সেই দেশের মানুষ আমরা। বৃষ্টি হলে আষাঢ় মাসে ব্যাঙ যেভাবে ব্যাক ব্যাক করে ডেকে ডেকে লাফায়, ঠিক সেভাবে লাফাতে ইচ্ছে করছে, লাফিয়েছি অনেক। মনটা আকুল ব্যাকুল করছে, কখন স্বাধীন দেশে এসে পা রাখবো। মন অস্থির হয়ে আছে।

মাসখানেক পর আমরা আবার দেশে ফিরে আসি। বুক ভরা কত আশা-ভরসা, কত স্বপ্ন, কত কল্পনা। কিন্তু না, কিছুই পূরণ হল না। বাড়িতে এসে দেখে কোন ঘরবাড়ি নেই, সব পুড়ে ছাই। পুরো গ্রাম পুড়ে ছাই। একেবারে কিছুই নেই। তখন এমন একটা অবস্থা কে কাকে আশ্রয় দেয়। সবার তো একই অবস্থা। তারপরও আমার এক ফুপুর বাড়িতে গিয়ে আমরা কয়েকদিন ছিলাম। আর এদিক দিয়ে বাড়িতে ছোট ছোট করে কয়েকটা ছনের ঘর করে আমাদেরকে নিয়ে এল। আমরা থাকতে থাকি। দিন যাচ্ছে খুব কষ্টের মধ্য দিয়ে।

সেই যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে আব্বার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। তারপর আর আব্বার সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। আব্বাতো জানেও না আমরা কোথায়, আমরা বেঁচে আছি না মরে গিয়েছি, কিছুই জানে না। না জেনে আব্বা অস্থির হয়ে পড়ে। দেশ স্বাধীন হলে পরের বছর আব্বা দেশে আসেন। এসে আমাদেরকে না পেয়ে পাগলের মতন হয়ে যায়। আব্বা তো ভাবতেও পারেনি আমরা দাদার বাড়িতে আছি। খুঁজতে খুঁজতে আব্বা এক ফুপুর বাড়িতে যায়, ঐখানে গিয়ে জানতে পারে, আমরা দাদার কাছে আছি, ভাল আছি। ফুপু আব্বাকে নিয়ে দাদার কাছে আসে । আব্বা মনে হয় দুই মাসের মতন ছিলেন। দুই মাস পর আব্বা চলে যায়। আব্বা যাওয়ার কয়েক মাস পরেই আমাদের কাগজপত্র সব চলে আসে। আমরা চলে যাই স্বাধীন বাংলাদেশ ছেড়ে, সকল রকমের সকল বন্ধন সব ফেলে অন্য দেশে। সাত সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে।

আমরা যাওয়ার বছর খানেক পরেই জানতে পারি আমার দাদা খুব অসুস্থ। তারপর হঠাৎ একদিন জানতে পারি, দাদা মারা গিয়েছেন। দাদা মারা যাওয়ার খবরটা শোনার পর আমার ভেতরে কেমন যেন একটা ধাক্কা লেগেছিল। সেই ধাক্কার সুর যেন আমাকে শুধু অপরাধী বানিয়েছে। বয়স কম ছিল বলে কাউকে তেমন কিছু বলতেও পারিনি । কিন্তু আমি যখন বড় হয়ে কাজ করতে শুরু করি তখন থেকেই আলাদা করে টাকা জমিয়ে রাখি।

১৯৯১ সালে আমি আবার দেশে যাই। দাদার বাড়িতে যাই। এত বছর পর আসার একটাই কারন ছিল, সেটা হল, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে, নিজের খরচে নিজে যেদিন দেশে যেতে পারব সেদিনই দেশে ফিরবো, এই অভিমান ছিল মনে। হয়ত দাদা বেঁচে থাকলে আরও আগে আসা হতো। আমার আব্বা মারা গিয়েছেন, আমি এত কষ্ট পাইনি, যে কষ্ট আমি পেয়েছি দাদার মৃত্যুর খবর শুনে।

১৯৯১ সালের পর দেশে গিয়েছি দুই বার। সামনে আবার যাব, অবশ্যই যাব। আমি দেশকে খুব ভালবাসি, খুব মিস করি। আমার ইচ্ছে আছে আর কয়েক বছর এখানে থেকে বাকি জীবনটা বাংলাদেশে থাকবো। 

 

লেখক: গবেষক ও প্রাবন্ধিক

Header Ad
Header Ad

বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে প্রাণ গেল ৩ যুবকের

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লায় বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক পিলারের সাথে ধাক্কা লেগে তিন আরোহী নিহত হয়েছেন।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে তাদের মামার বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে কুমিল্লা সদর উপজেলার বুড়িচং সড়কের পালপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার আড়াইওরা এলাকার কাউসার খলিলের ছেলে আহাদ হোসেন, ভুবনগড় এলাকার মৃত মনির হোসেনের ছেলে মিনহাজুল এবং বুড়িচং উপজেলার শিকারপুর এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইমন৷

কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিনুল ইসলাম জানান, গতকাল মধ্যরাত আনুমানিক দেড়টার দিকে সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকায় বুড়িচং সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। দ্রুতগামী মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক পিলারের সাথে ধাক্কায় তিনজন প্রাণ হারিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত আহাদের মামা পাপন জানান, আড়াইওরা এলাকায় বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ভিডিওগ্রাফার মিনহাজকে বাড়ি পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল আহাদ ও ইমন। যাবার পথেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। যতটুকু জানা গেছে, ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ

টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ক্রেমলিন অর্থায়নে পরিচালিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প থেকে প্রায় ৪ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগে যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে টিউলিপকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ অফিসের ন্যায় ও নৈতিকতা দলের কর্মকর্তারা। স্থানীয় সময় রোববার (২২ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, টিউলিপকে গত বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেখানে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। যদিও টিউলিপ নিজে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে মন্ত্রিসভা অফিসের এক মুখপাত্র বলেছেন, অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত থাকার দাবি অস্বীকার করেছেন তিনি।

অভিযোগ উঠেছে, রাশিয়ার সঙ্গে ২০১৩ সালে যখন রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আলোচনা হয়, তখন এতে মধ্যস্থতা করেন টিউলিপ। যদিও ওই সময় তিনি ব্রিটেনের কোনো সরকারি দায়িত্বে ছিলেন না।

সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে টিউলিপ জানানা যে তিনি এক দশকেরও বেশি সময় আগে তাঁর খালার সঙ্গে দেখা করতে মস্কো গিয়েছিলেন। কারণ বাংলাদেশের চেয়ে রাশিয়ায় যাওয়া তাঁর জন্য সহজ ছিল।

টিউলিপ ব্রিটেনের লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য। তিনি ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টিউলিপের ওপর প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের আস্থা আছে এবং দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপগুলোর দেখাশোনো করার ক্ষেত্রে তাঁর দায়িত্ব অব্যাহত থাকবে। তিনি তাঁর মন্ত্রীর দায়িত্ব অব্যাহত রাখবেন।

Header Ad
Header Ad

বিমান বিধ্বস্ত হয়ে একই পরিবারের ১০ জন নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাজিলে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে পাইলটসহ একই পরিবারের ১০ জন মারা গেছেন। রোববার (২৩ ডিসেম্বর) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যের গ্রামাডোয় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির

ব্রাজিলের ব্যবসায়ী লুইজ ক্লাউডিও গালেজ্জি উড়োজাহাজটি চালাচ্ছিলেন। তার স্ত্রী, তিন কন্যা এবং পরিবারের অন্য সদস্যসহ ১০ জন ওই উড়োজাহাজে ছিলেন। দুর্ঘটনায় তারা সবাই মারা যান।

রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যের গভর্নর এদোয়ার্দো লেইতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, দুর্ভাগ্যবশত উড়োজাহাজটির আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই বলে প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানা গেছে।

রাজ্যের জননিরাপত্তা অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে আগুন ধরে যায়। আগুনে ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন সেখানে থাকা অনেকে। তাদের মধ্যে অন্তত ১৫ জনকে গ্রামাদোর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, উড়োজাহাজটি প্রথমে একটি ভবনের চিমনিতে আঘাত করে। পরে সেটি আছড়ে পড়ে আরেকটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায়। এরপর আসবাবের একটি দোকানের ভেতরে গিয়ে সেটি বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ ছিটকে কাছের একটি হোটেলের কাছে চলে যায়।

রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন শহর গ্রামাদো। পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত এই শহর চলতি বছরের শুরুর দিকে নজিরবিহীন এক বন্যার কবলে পড়েছিল। এতে বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান। ধ্বংস হয়ে যায় শহরটির অনেক স্থাপনা। অর্থনৈতিক ক্ষতিও হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে প্রাণ গেল ৩ যুবকের
যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ
বিমান বিধ্বস্ত হয়ে একই পরিবারের ১০ জন নিহত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
গাজায় হাসপাতাল-স্কুল ও ‘সেফ জোনে’ ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৫০
আজ রাজধানীর যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে
৯ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে টটেনহ্যামকে হারাল লিভারপুল
লাইভে ‘জুবায়েরপন্থী’ বলায় টাঙ্গাইলে সাংবাদিকের ওপর হামলা, আহত ৬
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিশু আরাফাত মারা গেছে
আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা
কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল
হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক
নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব ড. নাসিমুল গনি
গুম করে বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা!
বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস
কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের
গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
ডিসেম্বরেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১১০০ মিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ