মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫ | ১৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

সুরমা জাহিদ

কিশোরীদের দেখা একাত্তরের ভয়াবহ স্মৃতি

মধুবন্তী ডায়েসের গল্প

[শেষ পর্ব]

 পরদিন বাড়িতে আবার মিলিটারি এসে হামলা করে। ঐ দিন আমরা ঘরে ছিলাম, আমাদের বাড়িতে একটা ঘর ছিল। সেটাতে কেউ থাকত না। ঐ ঘরে বসে দাদা কাজকর্ম করাতেন। বাচ্চারা মাঝে মাঝে খেলাধুলা করে। ঘরটা অনেক লম্বা ছিল। ঘরের ভেতরে এক পাশে ছিল অনেক বড় একটা ধানের গোলা। গোলার পিছনে  ছিল কিছু অপ্রয়োজনীয় হাবি-জাবি জিনিসপত্র। তারপর চেয়ার, টেবিল, টুল। তারপরও কিন্তু খেলা যেত। সেই ঘর এত বড় ছিল। যখন মিলিটারি বাড়িতে এসেছে তখন অনেকে সেই ঘরে ছিলাম। হঠাৎ কেমন যেন একটা শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তখনই বুঝতে পারি মিলিটারিদের জুতার শব্দ। তখন চিৎকার করে আমি বলছি, মিলিটারি আসছে, পালাও, পালাও। এই বলেই আমিও পালাতে চেস্টা করছি। বাহিরে তাকিয়ে দেখি মিলিটারিরা বেশ কাছাকাছি চলে এসেছে। আমি ঘর থেকে বাহির হয়ে দূরে কোথাও পালাতে পারবো না ভেবে আমি ঘরের ভেতরে পালাতে চেস্টা করি। প্রথম ধানের গোলার ভেতরে উঠতে চেস্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। পরে গোলার নিচে গিয়ে শুয়ে পড়ি আর দুই একটা জিনিসপত্র আমার সামনে এনে রেখে দিয়েছি। ঘরের ভেতরে আমার সঙ্গে আরও দুই তিনজন ছিল । বাকিরা সবাই বাহির হয়ে গিয়েছিল। যারা ছিল তারা আর পালাতে পারেনি। মিলিটারিরা ঘরে ঢুকে পড়ে। আমার মনে হয় ঘর থেকে যে অনেকে বাহির হয়ে পালিয়ে গিয়েছিল তা দূর থেকে দেখেছে। তাই ঐ ঘরের ভেতর এসেছে। যারা ঘরের ভেতর ছিল তাদের মধ্যে একজনের বিয়ে হয়েছিল তার নাম ছিল খুব সম্ভবত: আলেয়া। আমাদের বাড়ির পাশেই ছিল তার বাড়ি। সে বাবার বাড়িতে এসেছিল বাচ্চা হবে তাই। তার দিন ঘনিয়ে এসেছিল। আর দুই জনের নাম ছিল হেলেনা আর রেখা। ওরা আপন দুই বোন ছিল।

মিলিটারিরা ঘরে ঢুকেই তাদের তিনজনকে ধরে ফেলে। তারপর তাদের পরনের কাপড় খোলে টানা ধর্ষণ করতে থাকে একজনের পর একজন। তিনজনকে পাশাপাশি মাটিতে ফেলে ধর্ষণ করেছে। মিলিটারিরা তো অনেকজন ছিল, তাই পালাক্রমে তারা তিনজনকে ধর্ষণ করেছে। তাদের কাজ শেষ হলে তারা চুপচাপ চলে যায়। আবার কি যেন মনে করে, ঘরের দরজা থেকে ফিরে আসে এবং হেলেনা ও রেখাকে তুলে নিয়ে যায়। আর আলেয়া পড়ে আছে। তাদের রক্ত বেয়ে বেয়ে সমস্ত ঘর ভিজে গিয়েছে। আমিও ভিজে গিয়েছি। এসব দেখে আমি ভয়ে আধ মরার মতন পড়ে আছি। এক সময় দেখি, আলেয়া ঘরে ছটফট করছে। তাদের রক্তে লাল হয়ে গিয়েছে সমস্তটা ঘর। আমি আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে চেস্টা করছি উঠে আসতে এবং আলেয়াকে সাহায্য করতে, কিন্তু পারিনি। মনে হচ্ছে আমার সমস্ত শরীর মাটির সাথে লেগে গিয়েছে। কেউ বুঝি আঠা দিয়ে রেখেছে। আমার কানে বাজছে আলেয়ার করুণ আর্তনাদ। মনে হয় মাঝে মাঝে পানি পানি করছিল ।

বেলা গিয়ে সন্ধ্যা নেমে এল। দুই একজন করে বাড়ি ফিরছে। এক সময় কেন যেন এই ঘরে আসে। ঘরে এসেই চিৎকার করে উঠে। সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে। আলেয়াকে পাওয়া গিয়েছে। তার মানে এতক্ষণ আলেয়াকে খুঁজে পাচ্ছিল না। কয়েকজন ঘরে এলো, সবাই ভয় পাচ্ছে, কত কথা বলছে। আলেয়াকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তখনও আমার মুখ দিয়ে কথা বাহির হচ্ছে না। আমি আমার শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে চিৎকার করছি। কিন্তু আমার গলা দিয়ে কোন শব্দ বাহির হচ্ছে না। আমি দেখছি সবাই আলেয়াকে নিয়ে ব্যস্ত এবং তাকে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর তো ঘরে আর কেউ আসবে না। সারারাত আমাকে অন্ধকারে একাকী এখানে কাটাতে হবে। কেউ জানে না যে, আমি এখানে লুকিয়ে আছি। অনেক চেস্টা করেও যখন আমি শব্দ বের করতে পারিনি তখন আমি হাত দিয়ে এটা-সেটা নাড়াতে চেস্টা করতে থাকি। এক সময় একটা শব্দ হল। ঘরে যারা ছিল তারা শুনতে পেয়েছে। তখন তারা আমাকে উদ্ধার করে। তারপর আর আলেয়ার খবর জানি না।

সেদিনের পর বাড়ির সবাই বলছেন, আমাদের এখানে থাকা ঠিক হবে না। তিন চারদিন পর আমরা ভারতের উদ্দেশ্যে আবার রওনা দেই। আবার সেই পায়ে হেঁটে শত না, শত শত বললে ভুল হবে, হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধা লাইন ধরে হাঁটছে তো হাঁটছেই। মনে হয়, এত বড় লাইন যে, আমাদের দেশ থেকে লাইন শুরু হয়ে ভারতে গিয়ে শেষ হয়েছে।

ভারতে গিয়ে আমরা শরণার্থী শিবিরে উঠি। ঐখানে অবস্থা তো আরও বেশি খারাপ। ঐখানে শুধু জান-মান হারানোর ভয় নেই। তাছাড়া সব দিক দিয়ে অসুবিধা ছিল-থাকার, খাওয়ার, গোসল করার, ঘুমানোর। যে ঘরের ভেতরে ৫০ জন থাকতে পারে, সেখানে মনে হয় ১৫০ জন লোকের থাকতে হয়েছে। এত লোক থাকলে যা হয় তাই হয়েছে। যাই হোক জান মানের নিরাপত্তা ছিল। শত কস্টের মাঝ দিয়ে পাঁচ সাতটি মাস পার করেছি। এক সময় শুনি, আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে। মুহুর্তের মধ্যেই সব দু:খ কস্ট ভুলে মনের ভেতর আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করেছে। ভাবতেই কেমন যেন ভাল লাগছে যে আমরা স্বাধীন, আমাদের নিজের একটা দেশ হয়েছে, সেই দেশের মানুষ আমরা। বৃষ্টি হলে আষাঢ় মাসে ব্যাঙ যেভাবে ব্যাক ব্যাক করে ডেকে ডেকে লাফায়, ঠিক সেভাবে লাফাতে ইচ্ছে করছে, লাফিয়েছি অনেক। মনটা আকুল ব্যাকুল করছে, কখন স্বাধীন দেশে এসে পা রাখবো। মন অস্থির হয়ে আছে।

মাসখানেক পর আমরা আবার দেশে ফিরে আসি। বুক ভরা কত আশা-ভরসা, কত স্বপ্ন, কত কল্পনা। কিন্তু না, কিছুই পূরণ হল না। বাড়িতে এসে দেখে কোন ঘরবাড়ি নেই, সব পুড়ে ছাই। পুরো গ্রাম পুড়ে ছাই। একেবারে কিছুই নেই। তখন এমন একটা অবস্থা কে কাকে আশ্রয় দেয়। সবার তো একই অবস্থা। তারপরও আমার এক ফুপুর বাড়িতে গিয়ে আমরা কয়েকদিন ছিলাম। আর এদিক দিয়ে বাড়িতে ছোট ছোট করে কয়েকটা ছনের ঘর করে আমাদেরকে নিয়ে এল। আমরা থাকতে থাকি। দিন যাচ্ছে খুব কষ্টের মধ্য দিয়ে।

সেই যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে আব্বার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। তারপর আর আব্বার সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। আব্বাতো জানেও না আমরা কোথায়, আমরা বেঁচে আছি না মরে গিয়েছি, কিছুই জানে না। না জেনে আব্বা অস্থির হয়ে পড়ে। দেশ স্বাধীন হলে পরের বছর আব্বা দেশে আসেন। এসে আমাদেরকে না পেয়ে পাগলের মতন হয়ে যায়। আব্বা তো ভাবতেও পারেনি আমরা দাদার বাড়িতে আছি। খুঁজতে খুঁজতে আব্বা এক ফুপুর বাড়িতে যায়, ঐখানে গিয়ে জানতে পারে, আমরা দাদার কাছে আছি, ভাল আছি। ফুপু আব্বাকে নিয়ে দাদার কাছে আসে । আব্বা মনে হয় দুই মাসের মতন ছিলেন। দুই মাস পর আব্বা চলে যায়। আব্বা যাওয়ার কয়েক মাস পরেই আমাদের কাগজপত্র সব চলে আসে। আমরা চলে যাই স্বাধীন বাংলাদেশ ছেড়ে, সকল রকমের সকল বন্ধন সব ফেলে অন্য দেশে। সাত সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে।

আমরা যাওয়ার বছর খানেক পরেই জানতে পারি আমার দাদা খুব অসুস্থ। তারপর হঠাৎ একদিন জানতে পারি, দাদা মারা গিয়েছেন। দাদা মারা যাওয়ার খবরটা শোনার পর আমার ভেতরে কেমন যেন একটা ধাক্কা লেগেছিল। সেই ধাক্কার সুর যেন আমাকে শুধু অপরাধী বানিয়েছে। বয়স কম ছিল বলে কাউকে তেমন কিছু বলতেও পারিনি । কিন্তু আমি যখন বড় হয়ে কাজ করতে শুরু করি তখন থেকেই আলাদা করে টাকা জমিয়ে রাখি।

১৯৯১ সালে আমি আবার দেশে যাই। দাদার বাড়িতে যাই। এত বছর পর আসার একটাই কারন ছিল, সেটা হল, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে, নিজের খরচে নিজে যেদিন দেশে যেতে পারব সেদিনই দেশে ফিরবো, এই অভিমান ছিল মনে। হয়ত দাদা বেঁচে থাকলে আরও আগে আসা হতো। আমার আব্বা মারা গিয়েছেন, আমি এত কষ্ট পাইনি, যে কষ্ট আমি পেয়েছি দাদার মৃত্যুর খবর শুনে।

১৯৯১ সালের পর দেশে গিয়েছি দুই বার। সামনে আবার যাব, অবশ্যই যাব। আমি দেশকে খুব ভালবাসি, খুব মিস করি। আমার ইচ্ছে আছে আর কয়েক বছর এখানে থেকে বাকি জীবনটা বাংলাদেশে থাকবো। 

 

লেখক: গবেষক ও প্রাবন্ধিক

Header Ad
Header Ad

টঙ্গিবাড়ীতে ঈদের দিনে ১০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি, উপকৃত ৪২০ পরিবার

ছবি: সংগৃহীত

ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশন মাত্র ১০ টাকায় ৪২০টি পরিবারের মাঝে গরুর মাংস বিতরণ করেছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে কামারখাড়া হাই স্কুল মাঠে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের মাধ্যমে অসহায় ও দুস্থ পরিবারগুলোকে ১০ টাকায় ১ কেজি গরুর মাংস দেওয়া হয়।

বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশন শুধু ঈদের দিনেই নয়,প্রতিবছর রমজানে বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ, মেধাবৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন এবং অসহায়দের জন্য নানা সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

১০ টাকায় গরুর মাংস কিনতে আসা খালেদা বেগম বলেন, "১০ টাকা আজকাল বাচ্চারাও নিতে চায় না, অথচ আমরা এখানে ১০ টাকায় ১ কেজি গরুর মাংস পাচ্ছি। যারা এই আয়োজন করেছেন, আল্লাহ তাদের ভালো রাখুক।"

একইভাবে বৃদ্ধ মো. ফজল বলেন, "বাজারে গরুর মাংসের যে দাম, ভাবছিলাম ঈদের দিন মাংস খেতে পারব না। কিন্তু বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশনের জন্য ঈদের দিনেও মাংস খেতে পারছি, এ জন্য আমি খুব খুশি।"

বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক (হিরা) বলেন, "এটি আমাদের চতুর্থবারের মতো আয়োজন। আমরা চাই, সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষও যেন ঈদের দিনে মনে করে তারা নিজের টাকায় গরুর মাংস কিনে খেতে পারছে। এই চিন্তা থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ।"

এই মানবিক উদ্যোগ স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ঈদের দিনেও তাপপ্রবাহ অব্যাহত, এক বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঢাকা, ফরিদপুর, পটুয়াখালী ও রাঙামাটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (৩১ মার্চ) প্রকাশিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, সিলেট বিভাগের দু-একটি স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আগামীকাল মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

এছাড়া, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে গরমজনিত অসুস্থতা বাড়তে পারে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের পর্যাপ্ত পানি পান এবং সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের শার্শা উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে জামাল হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার কাদপুর গ্রামের আইয়ুব হোসেনের ছেলে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে আটক করেছে।

রোববার (৩০ মার্চ) রাতে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের শফি ইটভাটা সংলগ্ন সেতাই-বালুন্ডা সড়কের পাশে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে শার্শা থানার ওসি কে এম রবিউল ইসলাম নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

ওসি কেএম রবিউল ইসলাম জানান, "লাশের পাশে একটি অ্যাপাচি ৪ভি কালো রঙের মোটরসাইকেল এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত কিছু মেহগনি গাছের চলাকাঠ পাওয়া গেছে। নিহতের মুখ ও মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।"

প্রাথমিকভাবে নিহতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নিহত জামাল হোসেন মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া সীমান্ত এলাকা থেকে ফেনসিডিল বহন করে শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে সরবরাহ করতেন।

পুলিশের সন্দেহভাজন তালিকায় থাকা কাদপুর গ্রামের আলী হোসেন খাঁর ছেলে জাহিদ হাসানকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এদিকে, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের কারণ ও এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টঙ্গিবাড়ীতে ঈদের দিনে ১০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি, উপকৃত ৪২০ পরিবার
ঈদের দিনেও তাপপ্রবাহ অব্যাহত, এক বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১
চীনে বিশাল তেলক্ষেত্র আবিষ্কার, মজুদ ১০ কোটি টনের বেশি
রাজধানীতে সুলতানি আমলের আদলে ঈদ আনন্দ মিছিল
গাজীপুরে বাসচাপায় শিশুসহ দুই যাত্রী নিহত, আহত ৪
টাঙ্গাইলে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল জামাত অনুষ্ঠিত
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: পরমাণু চুক্তি না হলে ইরানে বোমা হামলা ও নিষেধাজ্ঞা
লোহাগাড়ায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত
বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
ঈদের সকালেও নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ
ঈদের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ ফিলিস্তিনি
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস
টাঙ্গাইলে ঈদের মাঠে সংঘর্ষের শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি
বছর ঘুরে এলো খুশির ঈদ, আজ দেশজুড়ে উদযাপন
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ
মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান
ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার নারী-শিশুসহ নিহত ৪
ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
ঈদের আগের দিন গাজীপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান