শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

পরিবর্তনের জন্য দরকার সামগ্রিকভাবে জনসচেতনতা

আমাদের দেশের জনগণ সর্বংসহা। তাদের ধৈর্য্যের শেষ নেই। কতিপয় দুষ্ট কুচক্রী মহলের অপরাধের ভোগান্তি ভোগ করে চলেছে দেশের সাধারণ অসহায় মানুষ। রমজানের সময় দ্রব্যমূল্যের দাম লাগামহীন হয়ে যায়। যেখানে দ্রব্যমূল্য কমানো অথবা স্থিতিশীল রাখা উচিত, সেখানে এরা দাম বাড়িয়ে দেয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম কমিয়ে দেয়। অথচ এদেশে ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ মুসলমান হলেও এ ক্ষেত্রে ধর্মীয় গুণাবলির লেশমাত্র আচরণে নেই। ফলে দেখা যায় সম্পুর্ণ উল্টো চিত্র। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়া, আয় কমে যাওয়া, কর্মসংস্থান কাটছাঁট করাসহ জীবনযাত্রার মান কমে যাওয়া ইত্যাদি এখন জনগণের প্রতিদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শিক্ষা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে মানুষের ভোগান্তি বেশি। অনেক সময় দেখা যায়, যারা বয়স্ক কিংবা নারী তাদের উপর প্রভাবটা বেশি। বাংলাদেশে রোজার সময় যে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়, এটি এমন একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে–তা যেন স্বতঃসিদ্ধ। কোনো ভয়, ডর, লজ্জা নেই। বিবেকের দংশন নেই। বিশ্ববাজারে মূল্যস্ফীতির একটি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের বাজারে। তবে এটিও সত্যি যে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না বাড়লেও বাংলাদেশে বাড়বে। কেন? এটি ভাবার বিষয়।

বাংলাদেশের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার কেউ নেই। সরকারের তেমন কোনো ভূমিকা নেই বলা যায়। জনগণের স্বার্থসুরক্ষা অর্থাৎ ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করার কেউ নেই। সহজ কথায় জনগণের পক্ষ হয়ে কাজ করার কেউ নাই। বিষয়গুলো আমাদের ভেতর নিরাশার জন্ম দেয়।

এখন জিনিসপত্রের অকারণ দাম বাড়িয়ে যদি কিছু গোষ্ঠী মুনাফা করতে চায়, তাহলে তারা সেটি খুব সহজেই করতে পারে। বলতে কষ্ট হয়–সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান কিন্তু জনগণের পক্ষে সেভাবে কাজ করে না। তারা বরং যেসব গোষ্ঠী দাম বাড়ায়, তাদেরই সুবিধা করে দেয়। এগুলোর খারাপ প্রভাব পড়ে, পড়ছে এবং আরও পড়বে জনগণের উপর। এসবের কারণে মানুষের পুষ্টিমান কমবে। জীবন যাত্রা সংকীর্ণ হবে।

সেই সঙ্গে ঋণগ্রস্থতা বাড়বে এবং অর্থনীতিতে এর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। উৎপাদনশীলতা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। পুষ্টি ক্ষতিগ্রস্থ হলে, উৎপাদনশীলতা কমে গেলে, স্বাস্থ্যসেবা যদি জনগণ গ্রহণ করতে না পারে, তখন সেটি সামগ্রিকভাবে জাতীয় ক্ষতিতে পরিণত হয়।

সবকিছু মিলিয়ে আমাদের সামনে হতাশাই বেশি। প্রত্যাশা কমে আসছে। প্রত্যাশার জায়গাটি ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর জন্য যারা দায়ী, তারা যখন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পায়, তখন জনগণের জন্য সরকারের দায়বোধ নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। অর্থনীতির উপর এটির সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে।

এই অবস্থা থেকে পরিবর্তনের জন্য দরকার সামগ্রিকভাবে জনসচেতনতা। সেই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিবিদ, পেশাজীবী, বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞসহ শিক্ষক, সাংবাদিক, সর্বস্তরের শিক্ষিত মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের কর্মকাণ্ডের বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা করতে হবে। তা না হলে, এই যে এক ধরনের লাগামহীন অরাজকতা চলছে, এর পরিবর্তন হবে না। এসব অনাচার অসদাচরণের কারণ জেনে অনুসন্ধানসহ জনমত গড়ে তুলতে হবে। সরকারের লোকজন হরহামেশা বলে থাকে–জনগণ সুখে আছে; কিন্তু জনগণ যে প্রকৃতপক্ষে সুখে নাই, সেটি অনুধাবন যেমন করতে হবে, একই সঙ্গে সেটি মানুষকে জানতে ও জানাতে হবে।

লেখক: অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

এসএ/

Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল ঝড়ের আঘাতে ৭ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টন শহরে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে অন্তত ৭ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। শক্তিশালী এই ঝড়ের তাণ্ডবে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে ওই অঞ্চলের পাঁচ লক্ষাধিক বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সেখানের কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতের এ ঝড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েক সপ্তাহ বিদ্যুৎহীন থাকতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গাছপালা ও বিদ্যুতের লাইন উপড়ে এবং বজ্রপাতে বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। ঝড়ের পর উপসাগরীয় উপকূল অঞ্চলে বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে ঝড়টি প্রতিবেশী লুইসিয়ানা অঙ্গরাজ্যে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা।

ঝড়ের পর গতকাল শুক্রবার কর্তৃপক্ষ জানায়, শক্তিশালী এ ঝড়ে বজ্রপাতে ৮৫ বছর বয়সী এক নারী, বৈদ্যুতিক খুঁটি সরাতে গিয়ে ৫৭ বছর বয়সী একজন এবং অসুস্থ অবস্থায় অক্সিজেনের অভাবে আরও একজন মারা গেছে। কর্মকর্তারা এর আগে বলেছিলেন, ঝড়ে গাছ পড়ে দুজন, ক্রেন পড়ে একজন এবং গাড়ির ওপর গাছ পড়ে একজনসহ মোট চারজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় সাতজনে।

গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে হ্যারিস কাউন্টির শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা টেক্সাসের বিচারক লিনা হিডালগো জানান, কমপক্ষে দুটি টর্নেডো বৃহস্পতিবার রাতে এই অঞ্চলে আঘাত হেনেছে। বৃহস্পতিবারের ঝড়ে হিউস্টন শহরের বিভিন্ন ভবনের জানালার কাচ ভেঙে রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। জ্বলছে না সড়কের বাতিও। কর্তৃপক্ষ বলেছে, ঝড়টির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৭৭ কিলোমিটার।

১৯৮৩ সালে হারিকেন অ্যালিসিয়ার পর এই অঞ্চলে এমন গতিতে আর কোনো ঝড় হয়নি বলেও জানান বিচারক হিডালগো।

শুক্রবার হিউস্টনে মৃদু তাপমাত্রা ছিল, তবে আর্দ্রতার সঙ্গে সপ্তাহের শেষে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা। ঝড়ের কারণে গতকাল শুক্রবার ওই অঞ্চলে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রোববার (১৯ মে) পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। খবর বিবিসি

জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: ওবায়দুল কাদের

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশাল সদস্য হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি ও মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

মা হারালেন সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর

মা মিনতি ঠাকুরের সঙ্গে সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর। ছবি: সংগৃহীত

১৮ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুরের মা মিনতি ঠাকুর। মাতৃবিয়োগে এই মুহূর্তে ভেঙে পড়েছেন গায়িকা।

মোনালি ঠাকুরের মায়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তারই বড় বোন মেহুলি গোস্বামী ঠাকুর। শুক্রবার ( ১৭ মে) ফেসবুকে মায়ের একটি ছবি পোস্ট করে জানান চলে যাওয়ার বেদনা।

এদিন মোনালির বড় বোন মেহুলি ফেসবুকে লিখেছেন, “শেকল ছিঁড়ে গেছে… অবশেষে কষ্টের অবসান…। দুপুর ২টো বেজে দশ মিনিটে মা স্থির হয়ে গেছে।”

জানা গেছে, মোনালির মায় কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ডায়ালেসিস চলছিল তার। বৃহস্পতিবার মায়ের সঙ্গে ছোটবেলার ছবি দিয়ে স্মৃতিচারণ করেন তিনি। পাশপাশি, মায়ের যে ‘লাইফ সাপোর্ট’ খুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন তা-ও জানান।

মোনালি লেখেন, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে লড়াই করব মা... এই একাকিত্ব... এই যন্ত্রণা। বড্ড অসহায় লাগছে। কিন্তু এবার সময় এসে গিয়েছে এবং তাকে লাইফ সাপোর্ট থেকে বের করে নেওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাকে... এবং তৈরি হতে হবে... আমার মাকে শান্তি দাও ঈশ্বর... এবং আমাকে সাহায্য করো... এখন মাকে ছাড়া আমার জীবনটাই বা কীভাবে কল্পনা করব... আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারছি না।’

এই পোস্টের চব্বিশ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই মাকে হারালেন মোনালি। ২০১৭ সালে সুইৎজারল্যান্ডের বাসিন্দা মাইক রিকটরকে বিয়ে করেন মোনালি। বিয়ের পর ওই দেশে ছিলেন যদিও। এ দেশে যাতায়াত রয়েছে তার শো, প্লে-ব্যাকের কারণে।

সর্বশেষ সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল ঝড়ের আঘাতে ৭ জনের মৃত্যু
জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: ওবায়দুল কাদের
মা হারালেন সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর
মালয়েশিয়ায় ২ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি শ্রমিক
মসজিদে ভোজের আয়োজন করলেন ডিআইজি বাতেন, ইসিতে অভিযোগ
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণে
টাঙ্গাইলে ধান কাটতে এসে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন দুই ভাই
মেসি-বার্সা চুক্তির সেই ন্যাপকিন বিক্রি হলো ১১ কোটি টাকায়
এবার রাজধানীর ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন
কারওয়ান বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি-বাতাসে রাজধানীতে স্বস্তি
সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে প্রাণ গেল দুই শ্রমিকের, আহত ১১
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
ভাঙা হাত নিয়েই ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ মাতালেন ঐশ্বরিয়া
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়-শিলাবৃষ্টির আভাস, কমবে তাপপ্রবাহ
আচরণবিধি লঙ্ঘন: আ.লীগ নেতাকে জরিমানা, ৭ ডেগ খিচুড়ি জব্দ
সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
যমজ ২ বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা
যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস