মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পরিবর্তনের জন্য দরকার সামগ্রিকভাবে জনসচেতনতা

আমাদের দেশের জনগণ সর্বংসহা। তাদের ধৈর্য্যের শেষ নেই। কতিপয় দুষ্ট কুচক্রী মহলের অপরাধের ভোগান্তি ভোগ করে চলেছে দেশের সাধারণ অসহায় মানুষ। রমজানের সময় দ্রব্যমূল্যের দাম লাগামহীন হয়ে যায়। যেখানে দ্রব্যমূল্য কমানো অথবা স্থিতিশীল রাখা উচিত, সেখানে এরা দাম বাড়িয়ে দেয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম কমিয়ে দেয়। অথচ এদেশে ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ মুসলমান হলেও এ ক্ষেত্রে ধর্মীয় গুণাবলির লেশমাত্র আচরণে নেই। ফলে দেখা যায় সম্পুর্ণ উল্টো চিত্র। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়া, আয় কমে যাওয়া, কর্মসংস্থান কাটছাঁট করাসহ জীবনযাত্রার মান কমে যাওয়া ইত্যাদি এখন জনগণের প্রতিদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শিক্ষা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে মানুষের ভোগান্তি বেশি। অনেক সময় দেখা যায়, যারা বয়স্ক কিংবা নারী তাদের উপর প্রভাবটা বেশি। বাংলাদেশে রোজার সময় যে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়, এটি এমন একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে–তা যেন স্বতঃসিদ্ধ। কোনো ভয়, ডর, লজ্জা নেই। বিবেকের দংশন নেই। বিশ্ববাজারে মূল্যস্ফীতির একটি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের বাজারে। তবে এটিও সত্যি যে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না বাড়লেও বাংলাদেশে বাড়বে। কেন? এটি ভাবার বিষয়।

বাংলাদেশের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার কেউ নেই। সরকারের তেমন কোনো ভূমিকা নেই বলা যায়। জনগণের স্বার্থসুরক্ষা অর্থাৎ ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করার কেউ নেই। সহজ কথায় জনগণের পক্ষ হয়ে কাজ করার কেউ নাই। বিষয়গুলো আমাদের ভেতর নিরাশার জন্ম দেয়।

এখন জিনিসপত্রের অকারণ দাম বাড়িয়ে যদি কিছু গোষ্ঠী মুনাফা করতে চায়, তাহলে তারা সেটি খুব সহজেই করতে পারে। বলতে কষ্ট হয়–সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান কিন্তু জনগণের পক্ষে সেভাবে কাজ করে না। তারা বরং যেসব গোষ্ঠী দাম বাড়ায়, তাদেরই সুবিধা করে দেয়। এগুলোর খারাপ প্রভাব পড়ে, পড়ছে এবং আরও পড়বে জনগণের উপর। এসবের কারণে মানুষের পুষ্টিমান কমবে। জীবন যাত্রা সংকীর্ণ হবে।

সেই সঙ্গে ঋণগ্রস্থতা বাড়বে এবং অর্থনীতিতে এর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। উৎপাদনশীলতা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। পুষ্টি ক্ষতিগ্রস্থ হলে, উৎপাদনশীলতা কমে গেলে, স্বাস্থ্যসেবা যদি জনগণ গ্রহণ করতে না পারে, তখন সেটি সামগ্রিকভাবে জাতীয় ক্ষতিতে পরিণত হয়।

সবকিছু মিলিয়ে আমাদের সামনে হতাশাই বেশি। প্রত্যাশা কমে আসছে। প্রত্যাশার জায়গাটি ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর জন্য যারা দায়ী, তারা যখন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পায়, তখন জনগণের জন্য সরকারের দায়বোধ নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। অর্থনীতির উপর এটির সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে।

এই অবস্থা থেকে পরিবর্তনের জন্য দরকার সামগ্রিকভাবে জনসচেতনতা। সেই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিবিদ, পেশাজীবী, বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞসহ শিক্ষক, সাংবাদিক, সর্বস্তরের শিক্ষিত মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের কর্মকাণ্ডের বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা করতে হবে। তা না হলে, এই যে এক ধরনের লাগামহীন অরাজকতা চলছে, এর পরিবর্তন হবে না। এসব অনাচার অসদাচরণের কারণ জেনে অনুসন্ধানসহ জনমত গড়ে তুলতে হবে। সরকারের লোকজন হরহামেশা বলে থাকে–জনগণ সুখে আছে; কিন্তু জনগণ যে প্রকৃতপক্ষে সুখে নাই, সেটি অনুধাবন যেমন করতে হবে, একই সঙ্গে সেটি মানুষকে জানতে ও জানাতে হবে।

লেখক: অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

এসএ/

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলপন্থি মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মার্কো রুবিও। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সাবেক ফ্লোরিডা সিনেটর মার্কো রুবিওকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মার্কো রুবিও ইসরায়েলপন্থি এবং চীনবিরোধী হিসেবে পরিচিত, এবং তার এই কট্টর অবস্থান তাকে রিপাবলিকান দলের সঙ্গে সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেও সমাদৃত করেছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সিএনএন ও রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মার্কো রুবিওর নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সিনেট। ৯৯ সিনেটরের সবাই তার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

মার্কো রুবিও ২০১১ সাল থেকে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কয়েক বছর আগে তিনি ট্রাম্পের বিরোধিতা করলেও, সাম্প্রতিক সময়ে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মার্কো রুবিও ইসরায়েলের প্রতি তার গভীর সমর্থন এবং চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন, যা তাকে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য করে তোলে।

এদিকে, সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর, ডোনাল্ড ট্রাম্প একগুচ্ছ নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যে তিনি জো বাইডেনের শাসনামলে নেওয়া ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন। পাশাপাশি, ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত প্রায় ১৫০০ জনকে ক্ষমা করার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।

Header Ad
Header Ad

ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প

ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ১৫০০ জনকে ক্ষমা করেছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ নেওয়ার পরপরই তিনি এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

এছাড়া, তার শপথগ্রহণের পরপরই ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, পানামা খাল ফেরত নেওয়া এবং বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করার মতো বড় পদক্ষেপের ঘোষণা দেন। তিনি বাইডেন প্রশাসনের ৭৮টি নির্বাহী আদেশও বাতিল করেন, যা দেশটির রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দেয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গায় যুক্ত থাকার জন্য আটক প্রায় ১৫০০ জনকে ক্ষমা করেছেন ট্রাম্প। ওই দিন সাভারের ডিসি জেলের বাইরে তার সমর্থকরা অপেক্ষা করছিলেন, যখন ট্রাম্প ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। ট্রাম্প তখনই ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি ওয়াশিংটনে ফিরে ৬ জানুয়ারির দাঙ্গায় অভিযুক্তদের ক্ষমা করবেন। এর পরপরই উপস্থিত জনতার মধ্যে উদযাপনের চিৎকার শোনা যায়, কেউ কেউ "ফ্রিডম!" বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলে হামলা চালানোদের 'রাজনৈতিক বন্দি' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং তাদের ক্ষমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তবে এটি স্পষ্ট নয় যে, তিনি ক্ষমার আওতায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করবেন কিনা।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি, ট্রাম্প সমর্থকরা ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালায়, যেখানে সেদিন বাইডেনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তুতি চলছিল। হামলাকারীরা কংগ্রেসের অধিবেশন ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় এবং বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতার কার্যালয় তছনছ করে দেয়। সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্যসহ পাঁচজন নিহত হন।

ডেমোক্র্যাটরা এই হামলার জন্য ট্রাম্পকে দায়ী করে তাকে অভিশংসনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তবে সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের অভাবে ট্রাম্প শাস্তি থেকে মুক্তি পান।

Header Ad
Header Ad

আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার সাইদুর রহমান সুজন। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

তার বিরুদ্ধে ১৪টি হত্যা মামলায় অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে তাকে পিস্তল দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আশিক ইকবাল। গ্রেপ্তারের সময়, গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম রাজধানীর উত্তরা থেকে সাইদুর রহমান সুজনকে আটক করে।

সাইদুর রহমান সুজন সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন এবং তিনি আওয়ামী লীগে সক্রিয় রাজনীতি করতেন। গোয়েন্দা পুলিশের দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

সাভার মডেল থানার পরিদর্শক আশিক ইকবাল জানান, সুজনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যার অভিযোগে ১৪টি মামলা রয়েছে, এছাড়া আরও দুটি হত্যাচেষ্টা মামলাও রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর সাভারের রাজপথে গুলি চালানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে সাইদুর রহমান সুজনের হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইসরায়েলপন্থি মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প
ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
দায়িত্ব নিয়েই বাইডেন আমলের ৭৮টি আদেশ বাতিল করলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের শপথ: নতুন আমেরিকার সূচনা
সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির
রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়
খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: সফল আয়োজনের লক্ষ্যে তিনটি কমিটি গঠন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটার ফলাফল স্থগিত
ফেসবুকে মাশরাফির মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন, যা জানা গেল
রিসোর্ট থেকে ১৬ ছাত্র-ছাত্রী আটক, কাজী ডেকে ৪ যুগলের বিয়ে
'সুগার মাম্মি' হতে চান অভিনেত্রী হুমায়রা সুবাহ
নমরুদের মতো ক্ষমতা ছিলো শেখ হাসিনার: রিজভী
১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন
৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: বাহার ও মেয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সরকারি-বেসরকারি চাকরি পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা, সিভি আহ্বান
নিজে প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন করে দলের কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন তারেক রহমান