শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কার্যকর সিটি করপোরেশনের প্রত্যাশায়

বাংলাদেশে পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন নিয়ে নগর স্থানীয় সরকার গঠিত। নগর স্থানীয় সরকার আইনসভার মতো কাজ করে। এটি সিটি করপোরেশনের সাধারণ নীতি এবং কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করে এবং বিতর্ক করে, শহুরে স্থানীয় সংস্থার বাজেট পাস করে, কর, সম্পদ বৃদ্ধি, পরিষেবার মূল্য নির্ধারণ এবং পৌর প্রশাসনের অন্যান্য দিকগুলির সাথে সম্পর্কিত বিস্তৃত নীতি তৈরি করে। নগর পরিকল্পনা শহুরে স্থানীয় সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেখানে কর্তৃপক্ষকে জনগনের মৌলিক অবকাঠামো পরিষেবা (পরিবহন, জল এবং স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং বিনোদন) নিশ্চিত করতে হয়।

সিটি করপোরেশন বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হচ্ছে এবং সিটি করপোরেশনকে কার্যকর করার জন্য কীভাবে এই চ্যালেঞ্জগুলি অতিক্রম করা যায় সে সম্পর্কে আমি এই লেখায় সংক্ষেপে আলোচনা করব। উদ্বেগের বিষয় হল কেন্দ্রীয় প্রশাসন সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধান এবং নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত হয় (মেয়র সহ) কিন্তু এর কার্যাবলী একটি সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় যা সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত এবং যারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না বলে ধারণা করা হয়। প্রতিনিধিত্ব ও তার মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং জনসাধারণের প্রতিক্রিয়াশীলতার প্রতি নজর দেয়ার ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়েছে। শহর পর্যায়ে ভূমিহীনদের নাগরিকত্ব না থাকায় গ্রামীণ অভিবাসীদের বিশাল জনসমষ্টির স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার নেই। বাস্তবতা বলছে, একটি সিটি করপোরেশন স্বাধীনভাবে তার কর্ম পদ্ধতি নির্ধারণ করতে পারে এমন লক্ষণ খুব কম। দুর্ভাগ্যবশত, এই শহুরে স্থানীয় সংস্থাগুলি তাদের অর্গানোগ্রামের অনুমোদনসহ অনেক বিষয়ে আর্থিক সহায়তা এবং প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উপর নির্ভরশীল। সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাগুলি তাদের হার, কর, ফি বা এমনকি ছোট চার্জ সংশোধন করতে পারে না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের ছাড়পত্র ছাড়া।

স্থানীয় মধ্যস্থতাকারীরা সক্রিয়ভাবে বস্তিবাসীদের এনজিও থেকে সুবিধা নিতে নিরুৎসাহিত করে এবং ফলস্বরূপ এনজিওগুলিকে তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য এই স্থানীয় মধ্যস্থতাকারী নেটওয়ার্কগুলির সাথে মধ্যস্থতা করতে হয়। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় থেকে কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। প্রথমত, স্থানীয় জনগণকে মৌলিক সেবা প্রদানের জন্য দায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। সরকারি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে জনবলের ঘাটতি রয়েছে এবং সরকারি কর্মকর্তাদের পরিষেবা পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন যা তাদের দায়িত্ব। আবার আর্থিক দিক বিবেচনা করলে দেখা যায়, বাজেট বরাদ্দের প্রক্রিয়াটি আনাড়ি এবং ধীর। প্রতিষ্ঠানগুলোরসিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকতে হবে । বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কিছু ওভারল্যাপিং ফাংশন রয়েছে, উদাহরণস্বরূপ, ডিসিসি এবং ঢাকা ওয়াসা উভয়ই ঢাকা মহানগরে পানি সরবরাহ করে।

দেশে বর্তমানে ১২টি সিটি করপোরেশন ছাড়াও ৩৩০টি পৌরসভা রয়েছে। তাদের বেশিরভাগই অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নয় ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান এবং ব্লক বরাদ্দের উপর নির্ভরশীল। সম্পদের সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি করদাতাদের প্রতি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবের ফলে টেকসইযোগ্যতা অর্জনের প্রচেষ্টা অদৃশ্য বলে মনে হচ্ছে। অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত জনবল, কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্বল মনিটরিং, পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছে। জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য আইন ভঙ্গ করে হলেও কাউন্সিলররা কর বৃদ্ধি বা নতুন কর আরোপকে সমর্থন করতে নারাজ। এভাবে ক্রমবর্ধমান শহুরে জনসংখ্যার চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সরকারকে রাজস্ব ঘাটতির সম্মুখীন হতে হয়।

সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমের জন্য এর কমিটিগুলোর কার্যকারিতা সহায়ক ভূমিকা পালন পারে। উদাহরণস্বরূপ, স্থায়ী কমিটি সদস্যদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার সুযোগ রয়েছে, যা বিভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। কমিটির সভাগুলি সহযোগিতা এবং সমস্যা সমাধানের একটি ফোরাম হিসাবে কাজ করে। স্থায়ী কমিটির সদস্যদের জন্য প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নিয়মিতভাবে আয়োজন করতে হবে যাতে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে।

সর্বোপরি সিটি করপোরেশনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার চেতনা সমুন্নত রাখতে কমিটিকে শক্তিশালী করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। জনসেবার পরিমাণগত ও গুণগত উন্নতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে কোনও বিড়ম্বনা ছাড়াই সেসব সেবা-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া উচিত। ভূমি-ব্যবহার এবং ভবন নির্মাণের যথাযথ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নগর পরিকল্পনার উপর জোর দেয়া গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও সামাজিক উন্নয়নের পরিকল্পনা এখন সময়ের দাবি। গার্হস্থ্য, শিল্প ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জল সরবরাহ ত্বরান্বিত করতে হবে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, জনস্বাস্থ্য, স্যানিটেশন এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে যেন সিটি করপোরেশনে বসবাসকারী নাগরিকরা সময়মতো সর্বোত্তম পরিষেবা পায়। এক্ষেত্রে কর্মদক্ষতাকে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মানদণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। স্থানীয় সরকার অবশ্যই তার নাগরিকের প্রতি দায়বদ্ধ। তাদেরকে সততার সাথে জনস্বার্থ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া উচিত। নির্বাচনী সংস্কারের মধ্যে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় সরকারে সিটিজেন চার্টার/ নাগরিক সনদ ও সরকারি কর্মচারীদের প্রত্যাহারের ব্যবস্থার মতো আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে।

মেয়রের পর্যালোচনায় কর মওকুফের সংস্কৃতি বন্ধ করা এবং বর্তমানে প্রচলিত ব্লক বরাদ্দের পরিবর্তে কার্যক্ষমতাভিত্তিক অনুদান ব্যবস্থা কার্যকর করা উচিত।একটি অভিযোগ প্রতিকার কমিটি এবং স্টেকহোল্ডারদের দ্বারা প্রতিনিধিত্বে গঠিত একটি সমন্বয় কমিটি থাকা উচিত যাতে সোচ্চার হওয়া এবং জবাবদিহিতার একটি পদক্ষেপ হিসাবে কর্মক্ষমতা পর্যালোচনা করা যায়। সু-নগর শাসনের জন্য সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কার্যকর নেতৃত্বের সাথে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের, স্থানীয় পর্যায়ে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা, বেসরকারি খাত, এনজিও, সুশীল সমাজ এবং জনগণের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।

সিটি করপোরেশনের পরিষেবা প্রদানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করা ও এর মাধ্যমে সমন্বয়ের ব্যর্থতা হ্রাস এবং স্থানীয় পরিষেবাসমূহকে উন্নত করা প্রয়োজন। এই স্তরে স্থানীয় জবাবদিহিতা এবং উন্নত কর্মক্ষমতা, উভয়ের অগ্রগতিকেই উৎসাহ দেয়া দরকার। দারিদ্র্যমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গড়ে তোলা আবশ্যক।

 

লেখক: ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিজিটিং স্কলার (অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ)। ইমেইল: t.islam@juniv.edu

Header Ad
Header Ad

পারভেজ হত্যার ঘটনায় সেই দুই নারী শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন দুই নারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে পূর্ব জুরাইনের একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ওই ২ শিক্ষার্থী হলেন- ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ফাতেমা তাহসিন ঐশী ও ইংরেজি বিভাগের ফারিয়া হক টিনা।

ডিবি জানায়, ওই দুই নারী শিক্ষার্থী জুরাইন আশরাফ মাস্টার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের হোল্ডিং একটি ভবনের ২য় তলায় ২ দিন আগে বাসা ভাড়া নেয়। এই তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির টিম অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

এর আগে পারভেজ হত্যার ঘটনায় দুই ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স। গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী খন্দকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে পারভেজ হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় ৩ নম্বর আসামি মো. মাহাথির হাসান আদালতে সেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ নিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আলোচিত এই মামলায় মোট দুই আসামি জবানবন্দি দিল। এর আগে দায় স্বিকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন আরেক আসামি আল কামাল শেখ।

Header Ad
Header Ad

আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আওয়ামী লীগ নই: রুমিন ফারহানা

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। ছবি: সংগৃহীত

নতুন রাজনৈতিক শক্তি মাঠে এলেও বিএনপির কোনো আপত্তি নেই উল্লেখ করে দলটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আওয়ামী লীগ নই। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে দিনাজপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির 'রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি' বিষয়ক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

রুমিন বলেন, “আমরা যখন দেখি কেউ রাজনীতি করতে চায়, স্বচ্ছ পথে সামনে আসতে চায়, তখন তাদের স্বাগত জানাই। বাংলাদেশে একসময় সব দল নিষিদ্ধ ছিল, কেউ ভিন্নমত প্রকাশ করতে পারত না। সেই অন্ধকার থেকে দেশকে বের করে এনেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।”

তিনি আরও বলেন, “দেশে যখন দুর্ভিক্ষ, দারিদ্র্য আর লজ্জা নিবারণের জন্য নারীকে জাল পরতে হতো, তখন বাংলাদেশকে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি। সেখান থেকে রেমিট্যান্স, কৃষি ও গার্মেন্টসে বিপ্লব ঘটিয়েছেন জিয়া। আর সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।”

বর্তমান সরকার ও অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনায় সরব হয়ে রুমিন বলেন, “যে সরকার সুপ্রিম কোর্টের একটি অর্ডারে ‘দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে নেওয়ার’ দায়িত্ব পেয়েছে, তারা কীভাবে রাষ্ট্রীয় সব সিদ্ধান্ত নেয়? এই সরকার অনির্বাচিত, জনভিত্তিহীন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও জানে, তাদের স্থায়িত্ব নেই।”

তিনি বলেন, “যদি দলীয় সরকার হতো, তাহলে তার কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত একটা জবাবদিহিতা থাকত। এই সরকারের ক্ষেত্রে সেটা নেই বলেই পুলিশও নিরুৎসাহিত।”

নির্বাচনের সময় ও অবস্থান নিয়ে সরকারের টালবাহানার সমালোচনা করে বলেন, “ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারি, জুন—কখন হবে নির্বাচন, কেউ জানে না। এটা প্রমাণ করে সরকার নিজের অবস্থান নিয়ে নিশ্চিত নয়।”

কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “আমাদের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবই। আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো, সেটা যেকোনো মূল্যে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল। আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, অধ্যাপক মোরশেদ হাসান, ডা. মওদুদ হোসেন পাভেল, সাত্তার পাটোয়ারী ও অ্যাডভোকেট শারমিন ফারহানা পুতুল প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে ঢুকে আটক বিএসএফ জওয়ান, দু’দেশের সীমান্তে ফের উত্তেজনা

পাকিস্তানে ঢুকে আটক বিএসএফ জওয়ান। ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে চাপে পড়েছে সম্পর্ক। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর এক জওয়ান পাকিস্তানি সেনাদের হাতে আটক হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার (২৩ এপ্রিল), ভারতের পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরের আন্তর্জাতিক সীমান্তে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, বিএসএফ-এর ১৮২ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল পিকে সিং ভুলবশত সীমান্ত পার হয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আটক করে পাকিস্তান রেঞ্জার্স।

জানা গেছে, সামরিক পোশাকে এবং রাইফেলসহ সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় তিনি স্থানীয় কৃষকদের সহায়তা করছিলেন। সে সময় অসাবধানতাবশত তিনি সীমান্তের ওপারে চলে যান।

তাকে ফিরিয়ে আনতে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্মকর্তারা। আলোচনার মাধ্যমে জওয়ানকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

এদিকে, জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এই হামলার জেরে ভারত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করলে, পাল্টা জবাব দেয় পাকিস্তান।

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আওতায় ভারতীয় বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ, ওয়াগাহ সীমান্তে চলাচল বন্ধ, দ্বিপাক্ষিক সব চুক্তি স্থগিত, এবং বিনা ভিসার সব সুবিধা বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি, ইসলামাবাদ থেকে পাঠানো এক কড়া ভাষার বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারত যদি সিন্ধু নদের পানির প্রবাহ ব্যাহত করে, তাহলে তা ‘যুদ্ধের উসকানি’ হিসেবে দেখা হবে এবং উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পারভেজ হত্যার ঘটনায় সেই দুই নারী শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আওয়ামী লীগ নই: রুমিন ফারহানা
পাকিস্তানে ঢুকে আটক বিএসএফ জওয়ান, দু’দেশের সীমান্তে ফের উত্তেজনা
টাঙ্গাইলে ফাঁকা গুলি ছু‌ড়ে ৭৮ লাখ টাকা ডাকাতি, গ্রেফতার ২
পাবনায় ইজিবাইক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ২ এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
পাকিস্তানের আকাশে ঢুকতে পারবে না ভারতীয় বিমান, নতুন চাপে মোদি
টানা ৫ দিন চুয়াডাঙ্গায় বইছে তাপপ্রবাহ, বিপর্যস্ত জনজীবন
বাংলাদেশ সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আমাদের নিয়ত পরিষ্কার, যা কমিটমেন্ট করেছি তা বাস্তবায়ন করবো: তারেক রহমান
টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিং: দেশের শীর্ষে বুয়েট ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়
অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. জাহাঙ্গীর কবির-তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ (ভিডিও)
তন্ময়সহ শেখ পরিবারের ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
চলতি বছরে দেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
৮ দিন পর মুক্তি পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী
পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত
৮ দিনের নোটিশে সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে তদন্ত ছাড়াই
ভেঙে গেল সামিরা খান মাহির ৪ বছরের প্রেম
বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়ে রাবিতে বিক্ষোভ
কাশ্মিরে উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা নিহত