শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | ৩০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কার্যকর সিটি করপোরেশনের প্রত্যাশায়

বাংলাদেশে পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন নিয়ে নগর স্থানীয় সরকার গঠিত। নগর স্থানীয় সরকার আইনসভার মতো কাজ করে। এটি সিটি করপোরেশনের সাধারণ নীতি এবং কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করে এবং বিতর্ক করে, শহুরে স্থানীয় সংস্থার বাজেট পাস করে, কর, সম্পদ বৃদ্ধি, পরিষেবার মূল্য নির্ধারণ এবং পৌর প্রশাসনের অন্যান্য দিকগুলির সাথে সম্পর্কিত বিস্তৃত নীতি তৈরি করে। নগর পরিকল্পনা শহুরে স্থানীয় সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেখানে কর্তৃপক্ষকে জনগনের মৌলিক অবকাঠামো পরিষেবা (পরিবহন, জল এবং স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং বিনোদন) নিশ্চিত করতে হয়।

সিটি করপোরেশন বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হচ্ছে এবং সিটি করপোরেশনকে কার্যকর করার জন্য কীভাবে এই চ্যালেঞ্জগুলি অতিক্রম করা যায় সে সম্পর্কে আমি এই লেখায় সংক্ষেপে আলোচনা করব। উদ্বেগের বিষয় হল কেন্দ্রীয় প্রশাসন সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধান এবং নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত হয় (মেয়র সহ) কিন্তু এর কার্যাবলী একটি সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় যা সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত এবং যারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না বলে ধারণা করা হয়। প্রতিনিধিত্ব ও তার মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং জনসাধারণের প্রতিক্রিয়াশীলতার প্রতি নজর দেয়ার ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়েছে। শহর পর্যায়ে ভূমিহীনদের নাগরিকত্ব না থাকায় গ্রামীণ অভিবাসীদের বিশাল জনসমষ্টির স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার নেই। বাস্তবতা বলছে, একটি সিটি করপোরেশন স্বাধীনভাবে তার কর্ম পদ্ধতি নির্ধারণ করতে পারে এমন লক্ষণ খুব কম। দুর্ভাগ্যবশত, এই শহুরে স্থানীয় সংস্থাগুলি তাদের অর্গানোগ্রামের অনুমোদনসহ অনেক বিষয়ে আর্থিক সহায়তা এবং প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উপর নির্ভরশীল। সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাগুলি তাদের হার, কর, ফি বা এমনকি ছোট চার্জ সংশোধন করতে পারে না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের ছাড়পত্র ছাড়া।

স্থানীয় মধ্যস্থতাকারীরা সক্রিয়ভাবে বস্তিবাসীদের এনজিও থেকে সুবিধা নিতে নিরুৎসাহিত করে এবং ফলস্বরূপ এনজিওগুলিকে তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য এই স্থানীয় মধ্যস্থতাকারী নেটওয়ার্কগুলির সাথে মধ্যস্থতা করতে হয়। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় থেকে কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। প্রথমত, স্থানীয় জনগণকে মৌলিক সেবা প্রদানের জন্য দায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। সরকারি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে জনবলের ঘাটতি রয়েছে এবং সরকারি কর্মকর্তাদের পরিষেবা পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন যা তাদের দায়িত্ব। আবার আর্থিক দিক বিবেচনা করলে দেখা যায়, বাজেট বরাদ্দের প্রক্রিয়াটি আনাড়ি এবং ধীর। প্রতিষ্ঠানগুলোরসিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকতে হবে । বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কিছু ওভারল্যাপিং ফাংশন রয়েছে, উদাহরণস্বরূপ, ডিসিসি এবং ঢাকা ওয়াসা উভয়ই ঢাকা মহানগরে পানি সরবরাহ করে।

দেশে বর্তমানে ১২টি সিটি করপোরেশন ছাড়াও ৩৩০টি পৌরসভা রয়েছে। তাদের বেশিরভাগই অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নয় ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান এবং ব্লক বরাদ্দের উপর নির্ভরশীল। সম্পদের সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি করদাতাদের প্রতি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবের ফলে টেকসইযোগ্যতা অর্জনের প্রচেষ্টা অদৃশ্য বলে মনে হচ্ছে। অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত জনবল, কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্বল মনিটরিং, পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছে। জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য আইন ভঙ্গ করে হলেও কাউন্সিলররা কর বৃদ্ধি বা নতুন কর আরোপকে সমর্থন করতে নারাজ। এভাবে ক্রমবর্ধমান শহুরে জনসংখ্যার চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সরকারকে রাজস্ব ঘাটতির সম্মুখীন হতে হয়।

সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমের জন্য এর কমিটিগুলোর কার্যকারিতা সহায়ক ভূমিকা পালন পারে। উদাহরণস্বরূপ, স্থায়ী কমিটি সদস্যদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার সুযোগ রয়েছে, যা বিভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। কমিটির সভাগুলি সহযোগিতা এবং সমস্যা সমাধানের একটি ফোরাম হিসাবে কাজ করে। স্থায়ী কমিটির সদস্যদের জন্য প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নিয়মিতভাবে আয়োজন করতে হবে যাতে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে।

সর্বোপরি সিটি করপোরেশনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার চেতনা সমুন্নত রাখতে কমিটিকে শক্তিশালী করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। জনসেবার পরিমাণগত ও গুণগত উন্নতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে কোনও বিড়ম্বনা ছাড়াই সেসব সেবা-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া উচিত। ভূমি-ব্যবহার এবং ভবন নির্মাণের যথাযথ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নগর পরিকল্পনার উপর জোর দেয়া গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও সামাজিক উন্নয়নের পরিকল্পনা এখন সময়ের দাবি। গার্হস্থ্য, শিল্প ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জল সরবরাহ ত্বরান্বিত করতে হবে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, জনস্বাস্থ্য, স্যানিটেশন এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে যেন সিটি করপোরেশনে বসবাসকারী নাগরিকরা সময়মতো সর্বোত্তম পরিষেবা পায়। এক্ষেত্রে কর্মদক্ষতাকে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মানদণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। স্থানীয় সরকার অবশ্যই তার নাগরিকের প্রতি দায়বদ্ধ। তাদেরকে সততার সাথে জনস্বার্থ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া উচিত। নির্বাচনী সংস্কারের মধ্যে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় সরকারে সিটিজেন চার্টার/ নাগরিক সনদ ও সরকারি কর্মচারীদের প্রত্যাহারের ব্যবস্থার মতো আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে।

মেয়রের পর্যালোচনায় কর মওকুফের সংস্কৃতি বন্ধ করা এবং বর্তমানে প্রচলিত ব্লক বরাদ্দের পরিবর্তে কার্যক্ষমতাভিত্তিক অনুদান ব্যবস্থা কার্যকর করা উচিত।একটি অভিযোগ প্রতিকার কমিটি এবং স্টেকহোল্ডারদের দ্বারা প্রতিনিধিত্বে গঠিত একটি সমন্বয় কমিটি থাকা উচিত যাতে সোচ্চার হওয়া এবং জবাবদিহিতার একটি পদক্ষেপ হিসাবে কর্মক্ষমতা পর্যালোচনা করা যায়। সু-নগর শাসনের জন্য সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কার্যকর নেতৃত্বের সাথে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের, স্থানীয় পর্যায়ে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা, বেসরকারি খাত, এনজিও, সুশীল সমাজ এবং জনগণের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।

সিটি করপোরেশনের পরিষেবা প্রদানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করা ও এর মাধ্যমে সমন্বয়ের ব্যর্থতা হ্রাস এবং স্থানীয় পরিষেবাসমূহকে উন্নত করা প্রয়োজন। এই স্তরে স্থানীয় জবাবদিহিতা এবং উন্নত কর্মক্ষমতা, উভয়ের অগ্রগতিকেই উৎসাহ দেয়া দরকার। দারিদ্র্যমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গড়ে তোলা আবশ্যক।

 

লেখক: ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিজিটিং স্কলার (অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ)। ইমেইল: t.islam@juniv.edu

Header Ad

টাঙ্গাইলে যুবলীগ নেতাসহ ৩ জন গ্রেফতার

টাঙ্গাইলে যুবলীগ নেতাসহ ৩ জন গ্রেফতার। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নাশকতার মামলায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি মামুন সিকদারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইলের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যটিলিয়ান (র‌্যাব-১৪)।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) র‌্যাব-১৪ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার ধুলটিয়া বাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

তারা হলেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের বীরপুশিয়া গ্রামের ফজল সিকদারের ছেলে মামুন সিকদার (৪১), একই গ্রামের বাহেজ উদ্দিনের ছেলে মমিতুল ইসলাম প্রমি (৩০) ও ঢেলি করটিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাব্বির।

র‌্যাব-১৪ জানায়, গত ৪ আগস্ট সকালে টাঙ্গাইল শহরের বটতলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দুষ্কৃতিকারীরা ছাত্র-জনতার উপর হামলা করে। এতে মিছিলে অংশগ্রহণকারী লতিফ মিয়া নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। ওই ঘটনায় লতিফ মিয়া বাদি হয়ে গত ১৩ নভেম্বর টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি নাশকতা মামলা (নং-১৮) দায়ের করেন।

এরপর মামলা দায়ের করা হলে র‌্যাব-১৪ এর সিপিপি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্পের একটি টিম বুধবার রাতে সদর উপজেলার ধুলুটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদেরকে টাঙ্গাইল সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

Header Ad

এক কর্মস্থলে ৩ বছর হলেই বদলি, পরিপত্র জারি

ছবি: সংগৃহীত

ভূমি পরিষেবায় স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠাসহ জনবান্ধব ভূমি পরিষেবায় জনদুর্ভোগ ও হয়রানি পরিহারের লক্ষ্যে ভূমি কর্মচারীদের বদলি সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। পরিপত্র অনুযায়ী, একজন ভূমি কর্মচারী কর্মস্থলে বা একই শাখায় তিন বছরের বেশি সময় কর্মরত থাকলে তাকে অন্যত্র বদলি করাতে হবে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

প্রকাশিত পরিপত্রে বলা হয়, সব নাগরিকের জন্য নিরবচ্ছিন্ন, জনবান্ধব ও হয়রানিমুক্ত ভূমিসেবা নিশ্চিত করা জরুরি। এ প্রেক্ষাপটে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পর্যায়ের ভূমি রাজস্ব প্রশাসন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের আওতাধীন একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন কর্মরত (১০ম গ্রেড হতে ২০তম গ্রেডের) কর্মচারীদের ওই কর্মস্থল থেকে অন্যত্র বদলি করা সমীচীন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পর্যায়ের ভূমি রাজস্ব প্রশাসন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের আওতাধীন একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত কর্মচারীদের ওই কর্মস্থল থেকে অন্যত্র বদলির ক্ষেত্রে চারটি নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। সেগুলো হলো- মাঠ পর্যায়ে ভূমি রাজস্ব প্রশাসন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের কর্মচারীদের জন্য পর্যায়ক্রমে সব বিষয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়া। মাঠ পর্যায়ে জনবান্ধব ভূমিসেবা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণের দুর্ভোগ ও হয়রানি পরিহারে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের মধ্যে যিনি বা যারা একই কর্মস্থলে বা একই শাখায় ৩ বছরের বেশি সময় কর্মরত আছেন, তাদের কর্মস্থল বা শাখা পরিবর্তন বা অন্যত্র বদলি করা।

দুর্গম বা প্রতিকূল যোগাযোগসম্পন্ন এলাকায় কর্মরত কর্মচারীদের চাকরির মেয়াদ ২ বছর হলেই তাকে অন্যত্র বদলি করা। শারীরিক অসুস্থতা বা নৈতিক স্খলনজনিত বা সুনির্দিষ্ট বা যুক্তিসঙ্গত কারণে নির্ধারিত সময়ের আগে কোনো কর্মচারীকে অন্যত্র বা আন্তঃজেলায় বদলি করা হলে জেলা প্রশাসক এবং ক্ষেত্রমতে বিভাগীয় কমিশনারের বদলির কারণ দ্রুত সময়ে প্রতিবেদন আকারে ভূমি মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা।

Header Ad

৩১ দফা নিয়ে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের মতবিনিময়

৩১ দফা নিয়ে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের মতবিনিময়। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উত্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা, ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভাবনাসহ নানা বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় টিম।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দিনব্যাপী নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর সরকারি কলেজ, নজিপুর সরকারি মহিলা কলেজ, নজিপুর হাইস্কুল, নজিপুর সিদ্দিকিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসা ও নজিপুর বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ মতবিনিময় করেন তারা।

মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি নাজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক কাওছার মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামিল মুরছালিন, নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন বিন ইসলাম দোহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অমিয় কুমার সরকারসহ স্থানীয় ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত জানতে আমরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে যাচ্ছি। আমরা শিক্ষার্থীদের কথা শুনতে চাই। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ রাজনীতিকে কলুষিত করেছে, আমরা সেই ত্রাসের রাজনীতি না করে, ছাত্র রাজনীতিতে সংস্কার করতে চাই। আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তা নিয়ে এসেছি। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কীভাবে দেশ পরিচালনা করবে এই সংক্রান্ত ৩১ দফা শিক্ষার্থীদের কাছে দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি।

মতবিনিময়কালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় টিম তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেন। এছাড়া ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে দেশে কী ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন, ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভাবনা, শিক্ষার্থীরা কী ধরনের পরিবর্তন চান ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত নেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে যুবলীগ নেতাসহ ৩ জন গ্রেফতার
এক কর্মস্থলে ৩ বছর হলেই বদলি, পরিপত্র জারি
৩১ দফা নিয়ে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের মতবিনিময়
বাংলাদেশের চারদিকে কোনো বন্ধু রাষ্ট্র নেই: আসিফ নজরুল
দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের নামে ৩ স্টেডিয়ামের নামকরণ
শিল্পপতিকে হত্যার পর ৭ টুকরো করে লেকে ফেলে দেন পরকীয়া প্রেমিকা
ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর মৃত্যু
আগামীতে আওয়ামী লীগের মতো পরিবারতন্ত্র থাকবে না: তারেক রহমান
বঙ্গবন্ধু নাম পাল্টে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় লেখা সাইনবোর্ড টানালেন শিক্ষার্থীরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিল
মাউশির ৮ আঞ্চলিক কার্যালয়ে নতুন উপ-পরিচালক
ঢাবিতে ছাত্রদলের ২৪২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
ভারতে বসে শেখ হাসিনার মোবাইল ব্যবহার ও বিবৃতি নিয়ে ঢাকার অসন্তোষ
গাইবান্ধায় বড় ভাইকে হত্যার দায়ে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক
উদ্বোধন হলো বেনাপোলের কার্গো ইয়ার্ড টার্মিনাল: বাড়বে বাণিজ্য, কমবে যানজট
চুয়াডাঙ্গায় যৌথবাহিনীর বাজার তদারকি অভিযান, জরিমানা আদায়
ব্রিকসে অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব পেল তুরস্ক
জনস্বার্থে বন্ধ থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু করার নির্দেশ