রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

শিক্ষকদের নিরাপত্তা কে দেবে

নিজ জীবনের সরাসরি শিক্ষকতা, প্রশিক্ষক ও শিক্ষা প্রশাসক হিসেবে অর্জিত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়মিত পরিদর্শনের উপর ভিত্তি করে বিষয়গুলো সংশ্লিষ্টদের জানানোর নিমিত্তে এবং নিজের আত্মতৃপ্তির জন্য পত্রিকার পাতায় আশ্রয় নিই। কিছু পত্রিকা গুরুত্ব সহকারে সেগুলো ছেপেও দেয়। কিছু শিক্ষক এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা সেগুলো পড়েন, তাদের প্রতিক্রিয়া জানান। আবার কেউ কেউ উল্টো কথা লেখেন, বিভিন্ন মাধ্যমে জানান। এসব দিয়ে কি হবে, আসল কথা লেখেন। শিক্ষা জাতীয়করণ কবে হবে সেটা লেখেন। শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির কথা লেখেন। যদিও আমার বহু লেখায় শিক্ষা জাতীয়করণের কথা, যুক্তিসহ তুলে ধরেছি। শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি কেন দরকার তা লিখেছি। কিন্তু সব লেখায় তো আর একই কথা লেখা যায়না। সব লেখার টপিক এবং বিষয়ও এক নয়। শিক্ষকদের অবস্থার উন্নয়ন আমরা সবাই চাই। আবার শিক্ষকদের নিবেদিতপ্রাণ হওয়া, শ্রেণিকক্ষে ও শ্রেণিকক্ষের বাইরে একজন শিক্ষককে সে ধরনের ভুমিকায়ও সমাজ দেখতে চায়।

তবে ইদানিং সব ঘটনাকে ছাপিয়ে একটি বিষয় প্রতিদিনই দেখছি দেশের কোথাও না কোথাও শিক্ষকগণ কমিটির সদস্যদের হাতে, কিংবা রাজনৈতিক কোনো নেতার হাতে, তথাকথিত ছাত্রনেতাদের হাতে, অভিভাবকের হাতে এমনকি শিক্ষার্থীদের হাতে নিগৃহীত হচ্ছেন, লাঞ্ছিত হচ্ছেন, অপমানিত হচ্ছেন, শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছেন। এটি কেমন বিষয়? একজন শিক্ষক তা সে যে কোন পর্যায়েরই হোক, যে কোনো বিষয়েরই হোক তিনি শিক্ষকই। তার গায়ে মানুষ কীভাবে হাত তোলে? আর সমাজ ও রাষ্ট্র সেটিকে নিয়ে রাজনীতি করে, কালক্ষেপন করে? আমাদের দেশের শিক্ষকদের আমরা অতিশয় সম্মান প্রদর্শন করে আসছি যুগ যুগ ধরে, এটি আমাদের কালচার। পশ্চিমা দুনিয়ায় শিক্ষকদের আমাদের মতো সম্মান প্রদর্শন করে না; কিন্তু শিক্ষকের গায়ে হাত দেওয়া তারা কল্পনাও করতে পারেনা। তাহলে সমাজ কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে?

আমরা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে শেখাই কীভাবে তারা একটি শ্রেণিকক্ষকে, বিদ্যালয়ের পরিবেশকে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপাদ রাখবেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। একটি শ্রেণিকক্ষকে কীভাবে সব ধরনের শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ করা যায়, সব শিক্ষার্থী যাতে নির্ভয়ে, কোন ধরনের ইতস্তত না করে শ্রেণিকার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে সে ধরনের একটি পরিবেশ একজন শিক্ষককে তৈরি করতে হয়। এ ধরনের পরিবেশ শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে সাহস যোগাব, কোনো কিছু না বুঝলে সত্যিকারভাবে বুঝার জন্য শিক্ষকের শরণাপন্ন হবে, শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাঁকি দিবে না, ক্লাসে আসার জন্য উদগ্রীব থাকবে, শিক্ষা হবে আনন্দময়। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আনন্দ দেখে নিজের দুঃখের কথা ভুলে যাবেন। শিক্ষার্থীদের সাথে যে বন্ধুত্বপূর্ণ, হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক এবং বিশ্বাসের সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে সেটি শ্রেণিকার্যক্রম থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

শিক্ষার্থীদের বুঝাতে হবে যে, আপনি শ্রেণিকক্ষে কিংবা বিদ্যালয়ে আছেন শিক্ষার্থীদের জন্য, তাদের সহায়তা করার জন্য, তাদের কথা শোনার জন্য এবং তাদের গল্প জানার জন্য। তাদেরকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনতে হবে, জানতে হবে। তাদের পছন্দ অপছন্দ জানতে হবে, কিসে তারা মজা পা, কিসে তারা ভয় পায় এগুলো জানা এবং সে অনুযায়ী কাজ করা তাদের একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করে। শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে হবে এবং শ্রেণিকক্ষেই প্র্যাকটিস করাতে হবে যে, একে-অপরকে কীভাবে সম্মান করতে হয়। একজন শিক্ষার্থী যদি কোনো ভুল উত্তরও দেয় তাহলে কেউ যাতে তাকে হাসি ঠাট্টার পাত্র না বানায়, তাকে ক্লাসে লজ্জা না দেয়। বুঝাতে হবে যে, আমরা সবাই এখানে একে-অপরের কাছ থেকে শেখার জন্য এসেছি। আমরা ভুল করে করে শিখি। সহনশীলতার অভ্যাস শ্রেণিকক্ষ থেকেই অনুশীলন করাতে হবে। তাহলে দুর্বল ছেলেটি, পিছিয়ে পাড় শিক্ষার্থী, লাজুক শিক্ষার্থীও শ্রেণিকক্ষকে নিরাপদ মনে করবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতি যতটা হাসিখুশি থাকব তাদের কাছ থেকে তার চেয়েও বেশি হাসিখুশি প্রফুল্ল মন আমরা দেখতে পাব। শিক্ষাদান প্রক্রিয়া সব সময়ই অত্যন্ত সিরিয়াসলি নেওয়া ঠিক হবেনা। যখন টেনসন কাজ করে, পরীক্ষার আগে, হঠাৎ কোন ঘটনা ঘটে গেলে হাসির অভ্যাসটা করতে হবে তাহলে পরিবেশ হালকা হয় যা শিখন-শেখানো পরিবেশ ফিরিয়ে আনে। কিছু কিছু বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিকট কারাগারের মতো মনে হয়।

শিক্ষার্থীরা সেখানে কথা বলতে পারেনা, আনন্দ করতে পারেনা। কঠিন শাসন, পান থেকে চুন খসলে ধমক, তিরস্কার, লজ্জা দেওয়া ও শারীরিক শাস্তি প্রদান করা হয়। আবার কিছু কিছু বিদ্যালয় আছে যেখানে নিয়ম-কানুনের কোন বালাই নেই। শিক্ষকদের কথা শিক্ষার্থীরা শোনে না, শিক্ষার্থীরা যা ইচ্ছে, তাই করে। শিক্ষকদের কোনো ধরনের সম্মান প্রদর্শন করে না। এ দুটো পরিস্থিতিই কিন্তু চরম। এই চরম অবস্থা যেসব বিদ্যালয়ে বিরাজ করে সেখানে পড়াশোনা হয় না, শিখণ-শেখানোর পরিবেশ বিরাজ করে না।

উপরোক্ত বিষয়গুলো আমরা এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে আলোচনা করি; কিন্তু শিক্ষক নিজেই যদি শ্রেণিকক্ষে, বিদ্যালয়ে, সমাজে ও রাষ্ট্রে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন তাহলে তিনি কীভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করবেন। কথাটি বার বার মনে আসছে। বিদ্যালয় তো একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রব্যবস্থায় শিক্ষকের পেশাগত মর্যাদা, আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা শিক্ষাব্যবস্থায় মেধাবীদের অংশগ্রহণের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের শিক্ষক সমাজের কর্মপরিবেশ এবং কর্মসন্তষ্টির মাত্রার উপর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় আমাদের শিক্ষকরা দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তটস্থ থাকেন শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তাহীনতায়, যা তাদের কর্মস্পৃহাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে।

অতি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়, কি হবে ভবিষ্যত প্রজন্মের? কীভাবে ভবিষ্যত প্রজন্ম সভ্যতাকে, জাতিকে টিকিয়ে রাখবে যেখানে মানুষ গড়ার কারিগরদের পদে পদে অপদস্থ হতে হতে হচ্ছে সমাজের বখাটেদের কাছে? ১৩ এপ্রিল গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয় জোহরের নামাজ শেষে কলেজ মসজিদ থেকে বের হয়ে কয়েকজন যুবককে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে উচ্চ শব্দে হর্ন বাজিয়ে বেপরোয়াভাবে মোটরবাইক চালানোরত অবস্থায় দেখতে পান। ফলে স্বীয় দায়িত্ববোধ থেকেই অধ্যক্ষ মহোদয় যুবকদের থামিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে এভাবে বাইক চালাতে নিষেধ করেন। এতেই যুবকরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে অধ্যক্ষ মহোদয়কে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে শুরু করে। তারা কাদের সন্তান? বুঝতে কষ্ট হয় না। তারা জানে যে, তাদের কিছু হবে না। তারা এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটিয়েছে। একজন শিক্ষক তো শুধু ক্যাম্পাসের নয়, সমাজের নেতা, সমাজের অভিভাবক। তিনি সমাজে যে কোনো ধরনের অঘটন ঘটতে দেখলে বাঁধা দিবেন, এটিই তার ধর্ম, এটিই তার কর্ম, এজন্যই তিনি শিক্ষক। কিন্তু কি হয়েছে সমাজে?

৩০ মার্চ শরীয়তপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামান সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রে বহি:পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য আগত অন্য কলেজের কয়েকজন শিক্ষক ও সাবেক বিভাগীয় প্রধানের সম্মানে বিভাগের পক্ষ থেকে ছোট পরিসরে খাবারের আয়োজন করা হয়। ওই খাবার অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়ায়, একটি ছাত্র সংগঠনের কলেজ শাখার সভাপতি বিক্ষুদ্ধ হয়ে ২০-২৫ জন কর্মীসহ বাংলা বিভাগে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয় এবং এক পর্যায়ে বাংলা বিভাগের একজন প্রভাষককে লাথি ও কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে। পুলিশ মামলা নেয়নি। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের সুযোগ না দেওয়ার অপরাধে হেনস্তা করা হয়েছে বহু শিক্ষককে। এসব ঘটনায় ছুরিকাঘাতও করেছে শিক্ষকদের। এসব ক্ষেত্রে মামলাও করা হয়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক প্রভাবের কাছে হার মেনেছে শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষা এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণে বিষয়টি। এসব কারনে নিরাপত্তাহীনতায় ইতোমধ্যেই শিক্ষক সমাজের আত্মসম্মান ও দায়িত্ববোধে চিড় ধরে গেছে।

হৃদয় মন্ডল নামে আর একজন শিক্ষক ১৯দিন কারাগারে থাকার পর ১০ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছিল। স্পর্শকাতর বিষয়, যাতে সবাইকে দ্রুত ক্ষেপানো যায়। তিনি আসলে কি করেছিলেন সেটি ভাবার আগেই যেহেতু ধর্ম নিয়ে কথা তাই সবাই ক্ষেপে গিয়ে তাকে আক্রমণ করেছে। তার উপর আক্রমণ মানে গোটা শিক্ষক সমাজের উপর আক্রমণ। একজন শিক্ষক যে মতাদর্শেরই হোক না কেন, যে কোনো ধর্মেরই হোক না কেন, তিনি কখনোই অন্য ধর্মের অবমাননা করবেন না। ঘটনা ঘটার পরপরই আমরা বুঝতে পেরেছি; কিন্তু যারা পানি ঘোলাটে করে মাছ শিকার করতে চায় সমাজ কিংবা রাষ্ট্র তাদের কথা চিন্তা করে না, ব্যবস্থা নেয় না, লাগামহীনভাবে ঘটনাগুলোর ঘটতে দেয়। হৃদয় মণ্ডল তার উপর আক্রমণ সম্পর্কে বলেছেন, ‘কতজন মানুষ সেখানে হামলা করেছিল, সেটা আমি দেখিনি, রুমের ভেতরে ছিলাম। তাদের চিৎকারের শব্দ শুনছিলাম। পরবর্তীতে পুলিশ এসে আমাকে নিয়ে যায়। পুলিশ যেভাবে আমাকে জড়িয়ে ধরে সেখানে থেকে বের করেছে, সেটা না করলে আমার মুত্যু নিশ্চিত ছিল।রুম থেকে বের হয়ে দেখতে পাই বড় বড় লাঠি নিয়েও অনেকে সেখানে ছিল। পুলিশ আমাকে গাড়িতে তুলে যখন নিয়ে যাচিছল তখনো মানুষ আমার মারার চেষ্টা করছিল, ইট ছুঁড়ছিল। অনেক গাড়িতে ওঠারও চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। তারা প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত আমকে তাড়া করে।’ এখানে পুলিশ একটি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু পুলিশ তো সর্বত্র ও সবসময় শিক্ষকদের এভাবে নিরাপত্তা দিতে পারবে না। সমাজ ও রাষ্ট্রকেই কাজটি করতে হবে। কারাগারের ছোট ফটক দিয়ে যখন হৃদয় মণ্ডল বের হলেন তার মাথা নিচু করে, সেটি কিন্তু গোটা শিক্ষক সমাজেরই মাথা নিচু হওয়ার ইঙ্গিত বা প্রতীক। এটি কোন সমাজে হতে দেওয়া ঠিক নয়।

একটি জাতীয় দৈনিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে যতটুকা জানা যায় তা হচ্ছে, স্কুলের টেস্ট পরীক্ষায় জোর করে নম্বর বাড়িয়ে না দেওয়া, প্রাইভেট টিউশন নিয়ে অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে বিরোধ, প্রাইভেট টিউশনের অন্য শিক্ষকেরা স্কুলে পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের নানা অনৈতিক সুবিধা দেন যা হৃদয় মন্ডল করেন না। সেই সঙ্গে সাম্প্রতিককালে এলাকায় ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা তৈরি এর পেছনে কাজ করেছে। মূলত স্থানীয় ক্ষমতাসীন রাজনীতি, ধর্মীয় প্রভাব, বিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে ঘুরেফিরে একটি চক্র জড়িত। কিছু শ্ক্ষিক, কর্মচারী, ম্যানেজিং কমিটির কিছু সদস্য ও স্থানীয় প্রভাবশালী এর সঙ্গে জড়িত। তারাই ইন্ধন যুগিয়েছে এ ঘটনায়। ক’দিন আগে ফেসবুকে দেখলাম একজন মাদ্রাসা শিক্ষককে হাতীর মতো একব্যক্তি উন্মুক্ত মাঠে সবার সামনে বেদন প্রহার করছে। এ কি সমাজ?সবাই আবার সেটি দেখছে? কেউ কিছু বলছেনা, শুধুমাত্র একজন দুর্বলভাবে ফেরানোর চেষ্টা করছিলেন কিন্তু দৈত্যের মতো মানুষটিকে ফেরাতে পারছেন না। বুঝলাম এলকার মাস্তান কিংবা তথাকথিত লিডার হবেন, তা না হলে এতমানুষের সামনে দাড়িুযুব্বা পড়া একজন মানুষকে এভাবে অন্য কেউ হেনন্ত করবে না।

আমাদের সংসদে অনেক কিছুই আলোচনা হয়। আমি অনুরোধ করব একটি আইন যাতে পাস করা হয় যে, কোন ধরনের শিক্ষকের গাঁয়ে কেউ হাত দিতে পারবেনা। কেউ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইন হাতে তুলে নিতে পারবেনা , তা সে যতই ক্ষমতাবান হোন না কেন।যদি কেউ করার চেষ্টাও করে সেটি হবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল, মানবতা ভুলুন্ঠিত করার সামিল। সর্বাগ্রে এ ধরনের অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে সমাজে যে পচন ধরেছে এ সমাজকে টিকিয়ে রাখা যাবেনা। আমাদের কোথাও না কোথাও থেকে শুরু করতে হবে। এখান থেকেই শুরু হোক। এটি নিয়ে কোনো ধরনের রাজনীতি যাতে কেউ না করে সেজন্য সবাইকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

এসএ/

Header Ad

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, যা জানাল আবহাওয়া অফিস

ছবি: সংগৃহীত

আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ সময়ে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ সময়ে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

 

‘বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতো’

ছবি: সংগৃহীত

বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করতেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রফিকুল ইসলাম নিউটন একজন জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিউটন ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তার অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে কেউ গর্ভবতী হলে, তাদের গর্ভপাত করানো হতো। এমনকি অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখতো। এসব কর্মকাণ্ডে অ্যাসোসিয়েশনের আরেক নারী সদস্য রফিকুলকে সহায়তা করতো।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, এক ভুক্তভোগী মামলা করলে গ্রেপ্তার এড়াতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপন করে এবং আত্মগোপনে থাকাকালীন অবস্থায় র‍্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে, রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

জানা যায়, গ্রেপ্তার রফিক এক নারী খেলোয়াড়ের সহায়তায় অন্য খেলোয়াড়দের মিথ্যা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন হয়রানিসহ জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতো। ভুক্তভোগী এক নারী গত দুই বছর যাবৎ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের রফিকুলের অধীনে জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আসছিল। খেলার প্রশিক্ষণকালীন রফিক বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীক শারীরিকভাবে হেনস্তা করতো।

তথ্য দিতে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

তথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর খুরশিদ আলম। তিনি বলেন, বলা হচ্ছে- বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ। কে বললো ভাই? আপনার তো তথ্যের দরকার। তথ্যের দরকার হলে তথ্যের জন্য ১০০ বার যাবেন।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পঞ্চগড়ের চেম্বার ভবন মিলনায়তনে রংপুর বিভাগে গ্রাহক সচেতনতা সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ডেপুটি গভর্নর খুরশিদ আলম বলেন, প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানে একজন করে মুখপাত্র থাকে। সবার তো কথা বলার দরকার নাই। তিন জন মুখপাত্র আছে। তাদের কাছে যাবেন। সেখানে বসার যায়গা আছে। চায়ের ব্যবস্থা আছে। তারা যদি আপনাকে সেটিসফাই (সন্তুষ্ট) না করতে পারে আমরা চার জন ডেপুটি গভর্নর আছি- আমরা উত্তর দেব। সমস্যা কোথায়? তাও বলা হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশ নিষেধ।

তিনি বলেন, অবাধ বলতে কী? অবাধে কোথায় যায়? আপনার একটা প্রাইভেট কোম্পানি কি আরেকটি কোম্পানিকে অবাধে কোনও কিছু দেবে? জার্নালিস্টকে দেবে যতই বন্ধু হন? অ্যাবসার্ড (অবাস্তব)। পৃথিবীর কোনও দেশে নাই। তাহলে আপনি বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আপনারা অবাধে যেতে চান। আমিতো যেতে নিষেধ করিনি। আপনি তো যান না। আমার লোকজন আপনার জন্য রেডি হয়ে আছে। যদি কোনও কর্মকর্তার কাছে একাই যেতে চান, যান। ধরুন আমার কাছে একাই আসতে চান, আসুন। যেটা সিক্রেসি আইনে কাভার করে না। যতদূর খোলামেলা বলা যায় তারা বলে দেবে। কিন্তু আপনি রাষ্ট্রীয় সিক্রেসির তথ্য চাইবেন সেটা তো পারমিট করে না কেউ।

খুরশিদ আলম বলেন, আলটিমেটটলি (মূলত) আপনার উদ্দেশ্য দেশটার মঙ্গল আমাদেরও তাই। দেশটা হলো সবার। বঙ্গবন্ধু এটাই বলেছিলেন। এ দেশের মেহনতি মানুষের মুক্তি। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীকে দেখেন, আমি ১৭টা ডিপার্টমেন্ট চালাতে হিমশিম খাই। আর প্রধানমন্ত্রী দেশ-বিদেশ সামলাচ্ছেন। কি পরিমাণ পরিশ্রম করছেন তিনি ভাবতে পারেন।

তিনি বলেন, আমরা ব্যাংকের ম্যানেজার পোস্টিং দিয়ে বসে আছি। সে কী করছে না করছে আমরা সুপারভাইজ করছি না। এটা চলবে না। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ব্যবহারে সফট কিন্তু নিজেকে কঠোর করতে হবে। এটা সেন্ট্রাল ব্যাংকের মেসেজ।

সর্বশেষ সংবাদ

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
‘বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতো’
তথ্য দিতে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
আবারও বাড়ল সোনার দাম, কাল থেকে কার্যকর
যে কারণে ডিবিতে গিয়েছিলেন মাওলানা মামুনুল হক
টুইটারের ঠিকানা বদলে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন এক্স ডটকম
প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করলেন মা-বাবা
সুবর্ণচরে ট্রাক্টরের চাপায় শিশুর মৃত্যু
হঠাৎ ডিবিতে মাওলানা মামুনুল হক
অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে কৃষকের আত্মহত্যা
ট্রোল কখনো পাত্তা দেই না : জেফার
পলাশবাড়ীতে চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজির মৃত্যু
নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত
সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ খান, বাতিল হতে পারে নিপুণের
অস্থির ডিমের বাজার, প্রতি ডজনে বেড়েছে ৩০ টাকা
মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল ঝড়ের আঘাতে ৭ জনের মৃত্যু
জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: ওবায়দুল কাদের
মা হারালেন সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর
মালয়েশিয়ায় ২ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি শ্রমিক