রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ২১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শিক্ষকদের নিরাপত্তা কে দেবে

নিজ জীবনের সরাসরি শিক্ষকতা, প্রশিক্ষক ও শিক্ষা প্রশাসক হিসেবে অর্জিত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়মিত পরিদর্শনের উপর ভিত্তি করে বিষয়গুলো সংশ্লিষ্টদের জানানোর নিমিত্তে এবং নিজের আত্মতৃপ্তির জন্য পত্রিকার পাতায় আশ্রয় নিই। কিছু পত্রিকা গুরুত্ব সহকারে সেগুলো ছেপেও দেয়। কিছু শিক্ষক এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা সেগুলো পড়েন, তাদের প্রতিক্রিয়া জানান। আবার কেউ কেউ উল্টো কথা লেখেন, বিভিন্ন মাধ্যমে জানান। এসব দিয়ে কি হবে, আসল কথা লেখেন। শিক্ষা জাতীয়করণ কবে হবে সেটা লেখেন। শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির কথা লেখেন। যদিও আমার বহু লেখায় শিক্ষা জাতীয়করণের কথা, যুক্তিসহ তুলে ধরেছি। শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি কেন দরকার তা লিখেছি। কিন্তু সব লেখায় তো আর একই কথা লেখা যায়না। সব লেখার টপিক এবং বিষয়ও এক নয়। শিক্ষকদের অবস্থার উন্নয়ন আমরা সবাই চাই। আবার শিক্ষকদের নিবেদিতপ্রাণ হওয়া, শ্রেণিকক্ষে ও শ্রেণিকক্ষের বাইরে একজন শিক্ষককে সে ধরনের ভুমিকায়ও সমাজ দেখতে চায়।

তবে ইদানিং সব ঘটনাকে ছাপিয়ে একটি বিষয় প্রতিদিনই দেখছি দেশের কোথাও না কোথাও শিক্ষকগণ কমিটির সদস্যদের হাতে, কিংবা রাজনৈতিক কোনো নেতার হাতে, তথাকথিত ছাত্রনেতাদের হাতে, অভিভাবকের হাতে এমনকি শিক্ষার্থীদের হাতে নিগৃহীত হচ্ছেন, লাঞ্ছিত হচ্ছেন, অপমানিত হচ্ছেন, শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছেন। এটি কেমন বিষয়? একজন শিক্ষক তা সে যে কোন পর্যায়েরই হোক, যে কোনো বিষয়েরই হোক তিনি শিক্ষকই। তার গায়ে মানুষ কীভাবে হাত তোলে? আর সমাজ ও রাষ্ট্র সেটিকে নিয়ে রাজনীতি করে, কালক্ষেপন করে? আমাদের দেশের শিক্ষকদের আমরা অতিশয় সম্মান প্রদর্শন করে আসছি যুগ যুগ ধরে, এটি আমাদের কালচার। পশ্চিমা দুনিয়ায় শিক্ষকদের আমাদের মতো সম্মান প্রদর্শন করে না; কিন্তু শিক্ষকের গায়ে হাত দেওয়া তারা কল্পনাও করতে পারেনা। তাহলে সমাজ কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে?

আমরা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে শেখাই কীভাবে তারা একটি শ্রেণিকক্ষকে, বিদ্যালয়ের পরিবেশকে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপাদ রাখবেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। একটি শ্রেণিকক্ষকে কীভাবে সব ধরনের শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ করা যায়, সব শিক্ষার্থী যাতে নির্ভয়ে, কোন ধরনের ইতস্তত না করে শ্রেণিকার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে সে ধরনের একটি পরিবেশ একজন শিক্ষককে তৈরি করতে হয়। এ ধরনের পরিবেশ শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে সাহস যোগাব, কোনো কিছু না বুঝলে সত্যিকারভাবে বুঝার জন্য শিক্ষকের শরণাপন্ন হবে, শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাঁকি দিবে না, ক্লাসে আসার জন্য উদগ্রীব থাকবে, শিক্ষা হবে আনন্দময়। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আনন্দ দেখে নিজের দুঃখের কথা ভুলে যাবেন। শিক্ষার্থীদের সাথে যে বন্ধুত্বপূর্ণ, হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক এবং বিশ্বাসের সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে সেটি শ্রেণিকার্যক্রম থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

শিক্ষার্থীদের বুঝাতে হবে যে, আপনি শ্রেণিকক্ষে কিংবা বিদ্যালয়ে আছেন শিক্ষার্থীদের জন্য, তাদের সহায়তা করার জন্য, তাদের কথা শোনার জন্য এবং তাদের গল্প জানার জন্য। তাদেরকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনতে হবে, জানতে হবে। তাদের পছন্দ অপছন্দ জানতে হবে, কিসে তারা মজা পা, কিসে তারা ভয় পায় এগুলো জানা এবং সে অনুযায়ী কাজ করা তাদের একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করে। শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে হবে এবং শ্রেণিকক্ষেই প্র্যাকটিস করাতে হবে যে, একে-অপরকে কীভাবে সম্মান করতে হয়। একজন শিক্ষার্থী যদি কোনো ভুল উত্তরও দেয় তাহলে কেউ যাতে তাকে হাসি ঠাট্টার পাত্র না বানায়, তাকে ক্লাসে লজ্জা না দেয়। বুঝাতে হবে যে, আমরা সবাই এখানে একে-অপরের কাছ থেকে শেখার জন্য এসেছি। আমরা ভুল করে করে শিখি। সহনশীলতার অভ্যাস শ্রেণিকক্ষ থেকেই অনুশীলন করাতে হবে। তাহলে দুর্বল ছেলেটি, পিছিয়ে পাড় শিক্ষার্থী, লাজুক শিক্ষার্থীও শ্রেণিকক্ষকে নিরাপদ মনে করবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতি যতটা হাসিখুশি থাকব তাদের কাছ থেকে তার চেয়েও বেশি হাসিখুশি প্রফুল্ল মন আমরা দেখতে পাব। শিক্ষাদান প্রক্রিয়া সব সময়ই অত্যন্ত সিরিয়াসলি নেওয়া ঠিক হবেনা। যখন টেনসন কাজ করে, পরীক্ষার আগে, হঠাৎ কোন ঘটনা ঘটে গেলে হাসির অভ্যাসটা করতে হবে তাহলে পরিবেশ হালকা হয় যা শিখন-শেখানো পরিবেশ ফিরিয়ে আনে। কিছু কিছু বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিকট কারাগারের মতো মনে হয়।

শিক্ষার্থীরা সেখানে কথা বলতে পারেনা, আনন্দ করতে পারেনা। কঠিন শাসন, পান থেকে চুন খসলে ধমক, তিরস্কার, লজ্জা দেওয়া ও শারীরিক শাস্তি প্রদান করা হয়। আবার কিছু কিছু বিদ্যালয় আছে যেখানে নিয়ম-কানুনের কোন বালাই নেই। শিক্ষকদের কথা শিক্ষার্থীরা শোনে না, শিক্ষার্থীরা যা ইচ্ছে, তাই করে। শিক্ষকদের কোনো ধরনের সম্মান প্রদর্শন করে না। এ দুটো পরিস্থিতিই কিন্তু চরম। এই চরম অবস্থা যেসব বিদ্যালয়ে বিরাজ করে সেখানে পড়াশোনা হয় না, শিখণ-শেখানোর পরিবেশ বিরাজ করে না।

উপরোক্ত বিষয়গুলো আমরা এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে আলোচনা করি; কিন্তু শিক্ষক নিজেই যদি শ্রেণিকক্ষে, বিদ্যালয়ে, সমাজে ও রাষ্ট্রে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন তাহলে তিনি কীভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করবেন। কথাটি বার বার মনে আসছে। বিদ্যালয় তো একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রব্যবস্থায় শিক্ষকের পেশাগত মর্যাদা, আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা শিক্ষাব্যবস্থায় মেধাবীদের অংশগ্রহণের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের শিক্ষক সমাজের কর্মপরিবেশ এবং কর্মসন্তষ্টির মাত্রার উপর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় আমাদের শিক্ষকরা দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তটস্থ থাকেন শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তাহীনতায়, যা তাদের কর্মস্পৃহাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে।

অতি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়, কি হবে ভবিষ্যত প্রজন্মের? কীভাবে ভবিষ্যত প্রজন্ম সভ্যতাকে, জাতিকে টিকিয়ে রাখবে যেখানে মানুষ গড়ার কারিগরদের পদে পদে অপদস্থ হতে হতে হচ্ছে সমাজের বখাটেদের কাছে? ১৩ এপ্রিল গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয় জোহরের নামাজ শেষে কলেজ মসজিদ থেকে বের হয়ে কয়েকজন যুবককে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে উচ্চ শব্দে হর্ন বাজিয়ে বেপরোয়াভাবে মোটরবাইক চালানোরত অবস্থায় দেখতে পান। ফলে স্বীয় দায়িত্ববোধ থেকেই অধ্যক্ষ মহোদয় যুবকদের থামিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে এভাবে বাইক চালাতে নিষেধ করেন। এতেই যুবকরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে অধ্যক্ষ মহোদয়কে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে শুরু করে। তারা কাদের সন্তান? বুঝতে কষ্ট হয় না। তারা জানে যে, তাদের কিছু হবে না। তারা এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটিয়েছে। একজন শিক্ষক তো শুধু ক্যাম্পাসের নয়, সমাজের নেতা, সমাজের অভিভাবক। তিনি সমাজে যে কোনো ধরনের অঘটন ঘটতে দেখলে বাঁধা দিবেন, এটিই তার ধর্ম, এটিই তার কর্ম, এজন্যই তিনি শিক্ষক। কিন্তু কি হয়েছে সমাজে?

৩০ মার্চ শরীয়তপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামান সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রে বহি:পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য আগত অন্য কলেজের কয়েকজন শিক্ষক ও সাবেক বিভাগীয় প্রধানের সম্মানে বিভাগের পক্ষ থেকে ছোট পরিসরে খাবারের আয়োজন করা হয়। ওই খাবার অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়ায়, একটি ছাত্র সংগঠনের কলেজ শাখার সভাপতি বিক্ষুদ্ধ হয়ে ২০-২৫ জন কর্মীসহ বাংলা বিভাগে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয় এবং এক পর্যায়ে বাংলা বিভাগের একজন প্রভাষককে লাথি ও কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে। পুলিশ মামলা নেয়নি। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের সুযোগ না দেওয়ার অপরাধে হেনস্তা করা হয়েছে বহু শিক্ষককে। এসব ঘটনায় ছুরিকাঘাতও করেছে শিক্ষকদের। এসব ক্ষেত্রে মামলাও করা হয়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক প্রভাবের কাছে হার মেনেছে শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষা এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণে বিষয়টি। এসব কারনে নিরাপত্তাহীনতায় ইতোমধ্যেই শিক্ষক সমাজের আত্মসম্মান ও দায়িত্ববোধে চিড় ধরে গেছে।

হৃদয় মন্ডল নামে আর একজন শিক্ষক ১৯দিন কারাগারে থাকার পর ১০ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছিল। স্পর্শকাতর বিষয়, যাতে সবাইকে দ্রুত ক্ষেপানো যায়। তিনি আসলে কি করেছিলেন সেটি ভাবার আগেই যেহেতু ধর্ম নিয়ে কথা তাই সবাই ক্ষেপে গিয়ে তাকে আক্রমণ করেছে। তার উপর আক্রমণ মানে গোটা শিক্ষক সমাজের উপর আক্রমণ। একজন শিক্ষক যে মতাদর্শেরই হোক না কেন, যে কোনো ধর্মেরই হোক না কেন, তিনি কখনোই অন্য ধর্মের অবমাননা করবেন না। ঘটনা ঘটার পরপরই আমরা বুঝতে পেরেছি; কিন্তু যারা পানি ঘোলাটে করে মাছ শিকার করতে চায় সমাজ কিংবা রাষ্ট্র তাদের কথা চিন্তা করে না, ব্যবস্থা নেয় না, লাগামহীনভাবে ঘটনাগুলোর ঘটতে দেয়। হৃদয় মণ্ডল তার উপর আক্রমণ সম্পর্কে বলেছেন, ‘কতজন মানুষ সেখানে হামলা করেছিল, সেটা আমি দেখিনি, রুমের ভেতরে ছিলাম। তাদের চিৎকারের শব্দ শুনছিলাম। পরবর্তীতে পুলিশ এসে আমাকে নিয়ে যায়। পুলিশ যেভাবে আমাকে জড়িয়ে ধরে সেখানে থেকে বের করেছে, সেটা না করলে আমার মুত্যু নিশ্চিত ছিল।রুম থেকে বের হয়ে দেখতে পাই বড় বড় লাঠি নিয়েও অনেকে সেখানে ছিল। পুলিশ আমাকে গাড়িতে তুলে যখন নিয়ে যাচিছল তখনো মানুষ আমার মারার চেষ্টা করছিল, ইট ছুঁড়ছিল। অনেক গাড়িতে ওঠারও চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। তারা প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত আমকে তাড়া করে।’ এখানে পুলিশ একটি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু পুলিশ তো সর্বত্র ও সবসময় শিক্ষকদের এভাবে নিরাপত্তা দিতে পারবে না। সমাজ ও রাষ্ট্রকেই কাজটি করতে হবে। কারাগারের ছোট ফটক দিয়ে যখন হৃদয় মণ্ডল বের হলেন তার মাথা নিচু করে, সেটি কিন্তু গোটা শিক্ষক সমাজেরই মাথা নিচু হওয়ার ইঙ্গিত বা প্রতীক। এটি কোন সমাজে হতে দেওয়া ঠিক নয়।

একটি জাতীয় দৈনিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে যতটুকা জানা যায় তা হচ্ছে, স্কুলের টেস্ট পরীক্ষায় জোর করে নম্বর বাড়িয়ে না দেওয়া, প্রাইভেট টিউশন নিয়ে অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে বিরোধ, প্রাইভেট টিউশনের অন্য শিক্ষকেরা স্কুলে পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের নানা অনৈতিক সুবিধা দেন যা হৃদয় মন্ডল করেন না। সেই সঙ্গে সাম্প্রতিককালে এলাকায় ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা তৈরি এর পেছনে কাজ করেছে। মূলত স্থানীয় ক্ষমতাসীন রাজনীতি, ধর্মীয় প্রভাব, বিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে ঘুরেফিরে একটি চক্র জড়িত। কিছু শ্ক্ষিক, কর্মচারী, ম্যানেজিং কমিটির কিছু সদস্য ও স্থানীয় প্রভাবশালী এর সঙ্গে জড়িত। তারাই ইন্ধন যুগিয়েছে এ ঘটনায়। ক’দিন আগে ফেসবুকে দেখলাম একজন মাদ্রাসা শিক্ষককে হাতীর মতো একব্যক্তি উন্মুক্ত মাঠে সবার সামনে বেদন প্রহার করছে। এ কি সমাজ?সবাই আবার সেটি দেখছে? কেউ কিছু বলছেনা, শুধুমাত্র একজন দুর্বলভাবে ফেরানোর চেষ্টা করছিলেন কিন্তু দৈত্যের মতো মানুষটিকে ফেরাতে পারছেন না। বুঝলাম এলকার মাস্তান কিংবা তথাকথিত লিডার হবেন, তা না হলে এতমানুষের সামনে দাড়িুযুব্বা পড়া একজন মানুষকে এভাবে অন্য কেউ হেনন্ত করবে না।

আমাদের সংসদে অনেক কিছুই আলোচনা হয়। আমি অনুরোধ করব একটি আইন যাতে পাস করা হয় যে, কোন ধরনের শিক্ষকের গাঁয়ে কেউ হাত দিতে পারবেনা। কেউ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইন হাতে তুলে নিতে পারবেনা , তা সে যতই ক্ষমতাবান হোন না কেন।যদি কেউ করার চেষ্টাও করে সেটি হবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল, মানবতা ভুলুন্ঠিত করার সামিল। সর্বাগ্রে এ ধরনের অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে সমাজে যে পচন ধরেছে এ সমাজকে টিকিয়ে রাখা যাবেনা। আমাদের কোথাও না কোথাও থেকে শুরু করতে হবে। এখান থেকেই শুরু হোক। এটি নিয়ে কোনো ধরনের রাজনীতি যাতে কেউ না করে সেজন্য সবাইকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

এসএ/

Header Ad
Header Ad

গুচ্ছ পদ্ধতি ও পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে কুবি প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবিঃ সংগৃহীত

গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে এবং পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

শনিবার (০৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের থেকে প্রেরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিজ্ঞপ্তিটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৩তম সিন্ডিকেট মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা জানি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বের হয়ে এসেছে। নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন তারিখও ঘোষণা করা হয়েছিল। তাছাড়া পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হলেও তা নিয়ে কোনো ব্যবস্থা প্রশাসন গ্রহণ করেনি। আমরা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গুচ্ছ থেকে কুবি বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিবে এবং পোষ্য কোটা বাতিল করা হয়েছে এসংক্রান্ত লিখিত ঘোষণা দিবে। অন্যথায় প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়া হবে।'

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. পাবেল রানা বলেন, 'আমরা জানি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বের হয়ে এসেছে এবং নিজস্ব পদ্ধতিতে সার্কুলারও প্রকাশ করা হয়েছে। এখন এই নাটকের মানে কি? কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে অবশ্যই নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে হবে এবং পোষ্য কোটা বাতিল করে প্রশাসন কর্তৃক লিখিত ঘোষণা দিতে হবে। নতুবা আমরা কঠোর কর্মসূচির দিকে যাব।'

আরেক সমন্বয়ক মো: এমরান বলেন, 'অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কুবি প্রশাসন এবছরই গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে একক পদ্ধতি ভর্তি পরীক্ষা নিবে এবং ভর্তি পরীক্ষার সার্কুলারও প্রকাশ করেছিল। কিন্তু নিউজের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি এবছর ও কুবি গুচ্ছে থাকবে।প্রশাসনের নেওয়া এ ধরনের সিদ্ধান্তকে আমরা তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আগামী বছর নয় এবছর থেকেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় একক ভর্তি পরীক্ষা নিতে হবে। গুচ্ছ সিস্টেমের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্রতা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এছাড়া পোষ্য কোটা বাতিলে জন্য আমরা প্রশাসনকে অবহিত করেছি কিন্তু প্রশাসন এখন পর্যন্ত এটারও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেননি। কোটার ফলে শিক্ষার্থীদের মেধার অবমূল্যায় করা হয়।এবছরই গুচ্ছ থেকে সরে একক ভর্তি পরীক্ষা ও পোষ্য কোটা বাতিল না করলে আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো পাশাপাশি আমরা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিব।'

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৩তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় গুচ্ছ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে গতকাল (৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী জানান, কুবি গুচ্ছ পদ্ধতিতেই ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নিবে। এ ঘোষণা গণমাধ্যমে প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন সমালোচনার সৃষ্টি হতে থাকে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি হামজাকে দলে চায় শেফিল্ড ইউনাইটেড

ছবিঃ সংগৃহীত

হামজা চৌধুরীর মা বাংলাদেশি হওয়ায় তাকে নিয়ে আগে থেকেই বেশ আগ্রহ ছিল বাংলাদেশের ফুটবল প্রেমীদের। গেল ১৯ ডিসেম্বর এক ভিডিও বার্তায় হামজা জানান, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে তার আর কোন বাধা নেই। এরপর থেকে এই দেশের ফুটবল প্রেমীরা আরও বেশি নজর রাখছেন হামজার দিকে।

লেস্টার সিটির হয়ে শুরুর একাদশে সুযোগ মিলছে না হামজার। অবশ্য হামজা সুযোগ পাচ্ছেন বদলি হিসেবে। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বা রাইটব্যাক হিসেবে নিজেকে অনেকটাই মেলে ধরেছেন বাংলাদেশের এই তারাক।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শুরু হয়েছে শীতকালিন দল-বদল। গুঞ্জন আছে এই শীতের দলবদলে বাংলাদেশি তারকা হামজাকে দলে পেতে আগ্রহী শেফিল্ড ইউনাইটেড।

বর্তমানে চ্যাম্পিয়নশিপে থাকা দলটি স্বপ্ন দেখছে এক মৌসুমের বিরতিতে প্রিমিয়ার লিগে ফিরে আসার। চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের শীর্ষ দুই দল ২০২৫-২৬ মৌসুমে সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পাবে। শেফিল্ড সেই দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে আছে।

হামজাকে শেফিল্ড দলে নিতে চায় ৬ মাসের লোনে। বাইআউট ক্লজ থাকবে কি না, তা অবশ্য এখনই জানাতে পারেনি ইংল্যান্ডের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।

এর আগে ওয়াটফোর্ডেও ধারে খেলতে গিয়ে তাদেরকে প্রথম বিভাগে টিকে থাকতে ভালোভাবেই সাহায্য করেছিলেন হামজা চৌধুরী।

এই মৌসুমে লেস্টার সিটিও সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। ১৯ ম্যাচে মাত্র ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে অবনমন অঞ্চলে। আজ লিগে লেস্টার সিটির খেলা আছে অ্যাস্টন ভিলার মাঠে।

Header Ad
Header Ad

  যশোরে আজহারীর মাহফিল শেষে থানায় ৩ শতাধিক জিডি

ছবিঃ সংগৃহীত

 

যশোরের পুলেরহাটে একদিকে মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল, অপরদিকে এই এলাকার আশেপাশের গ্রামে রেকর্ড পরিমাণ চুরি। চুরির মধ্যে রয়েছে নগদ টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে শহরতলী পুলেটহাটস্থ আদ-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর ও আশপাশ এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনার পর থেকে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় ভুক্তভোগীরা জিডি করতে রীতিমতো লাইন ধরেছেন। থানা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শনিবার বেলা তিনটা পর্যন্ত মাহফিলে মোবাইল ও স্বর্ণালংকার খোয়া যাওয়ার ঘটনায় ৩ শত জিডি হয়েছে। প্রতিনিয়ত যেভাবে জিডি করতে ভুক্তভোগীরা থানায় আসছেন তাতে এই সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়বে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

যশোর শহরতলী পুলেরহাটস্থ আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশন আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের শেষদিন ছিল শুক্রবার। এ দিন রাতে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী। তার আসার খবরে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নামে সমগ্র মাহফিল এলাকায়। শুক্রবার সকালে থেকেই শীত উপেক্ষা করে মানুষ জমায়েত হয়। বিকেল থেকে মাহফিল স্থান ছাপিয়ে সড়ক, মহাসড়কেও শিশু, নারী, পুরুষের ঢল নামে। দুপুরের পর সড়কে যানজট দেখা দেয়। এজন্য অনেকেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছায়। সব সড়কের ঢেউ গিয়ে মিশে পুলেরহাটে। মাহফিল প্রাঙ্গণে পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষের সমাগম ঘটে।

রাত সাড়ে ১০ টার পর মাহফিল শেষ হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে পদদলিত হয়ে একাধিক ব্যক্তি মারা যাওয়ার খবর। আহতের সংখ্যাও অর্ধশতাধিক। এছাড়া মোবাইল, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার খবর।

হাসপাতাল ও থানা সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেনারেল হাসপাতালে পদদলিত হয়ে ২১ জন ভর্তি হওয়ার খবর জানা গেছে। এর মধ্যে রাতেই ১০ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর ১১ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়াতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার বেলা তিনটা পর্যন্ত স্বর্ণালংকার ও মোবাইল খোয়া যাওয়ার ঘটনায় তিনশ’ জিডি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ডিউটি অফিসার শারমিন আক্তার।

তিনি বলেন, শুক্রবার রাত থেকে অসংখ্য মানুষ মোবাইল হারিয়ে যাওয়া বা চুরির ঘটনায় জিডি করতে আসে। তাৎক্ষণিক যারা মোবাইলের ডকুমেন্ট দেখাতে পেরেছে তারা জিডি করতে পেরেছে। আর শনিবার সকাল থেকে রীতিমতো ভিড় লেগেছে। কয়েক হাজার জিডি হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।

মায়ের দেড় ভরি ওজনের একটি গলার হার খোয়া যাওয়ার পর শনিবার দুপুরে জিডি করতে এসেছেন সদরের রুপদিয়া থেকে ইব্রাহিম হোসেন। তিনি বলেন, আমরা মা মহিলা প্যান্ডেলে বসে আজহারী হুজুরের ওয়াজ শুনছিলেন। এক পর্যায়ে গলায় হাত দিয়ে দেখেন তার গলায় হার নেই। তাই থানায় জিডি করতে এসেছি।

বউয়ের গলার চেইন হারিয়ে যাওয়ার পর থানায় জিডি করতে আসেন শহরতলী নওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা হয়রত হোসেন। তিনি বলেন, এভাবে ওয়াজ মাহফিলে চুরি হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক এবং অপরাধমূলক কাজ। লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছে গতকাল। চোররাও এ ধরনের অনুষ্ঠানে সুযোগটা কাজে লাগায়। কর্তৃপক্ষের আরও সর্তক ও ব্যবস্থাপনা ভালো করা উচিত ছিল। আর আমাদেরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল, ব্যাপক সমাগম স্থানে দামি দামি জিনিসপত্র পরিধান ও নিয়ে যাওয়া উচিত হয়নি।

শহরের বেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা এনামুল হক বলেন, যশোরের ইতিহাসে এমন বড় মাহফিল হয়নি। ওয়াজ মাহফিলে গেছিলাম ইমান আমল ঠিক করতে। আর চোরেরা তাদের ব্যবসা খুঁজে নিলো। হাজার হাজার মানুষের মোবাইল হারিয়ে যাওয়ার খবর শুনেছি মাহফিলের মাঠেই। অনেকেই দূরদূরান্ত থেকে এসেছে, তাই জিডি করতে কাগজপত্র দেখাতে না পারায় জিডি করতে পারছে না। যারা চুরির মতো এ ধরনের কাজ করছে মাহফিলে; তারা মাহফিলের সৌন্দর্য নষ্ট করেছে। তাদের বিচার হওয়া উচিত।

যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তিনদিন ব্যাপী বৃহৎ মাহফিল হয়েছে যশোরে। পাঁচ থেকে সাত লক্ষ মানুষ সমাগম হয়েছে। এর ভিতরে অসংখ্য মানুষের মোবাইল, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। অনেকেই জিডি করছেন। কয়েকটি চুরির অভিযোগও পেয়েছি। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।

তিনি বলেন, মাহফিলে আহত বা মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। মাহফিলে পদদলিত হয়ে মারা যাওয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি। ফলে মৃত্যু নিয়ে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, গত পহেলা জানুয়ারি বুধবার থেকে তিনদিন ব্যাপী এই মাহফিল শুরু হয়। মাহফিলের প্রথম দিন বুধবার আলোচনা করেন আল্লামা মামুনুল হক ও আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিন আলোচনা করেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী ও মুফতি আমির হাজমা। শেষদিন শুক্রবার আলোচনা করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ও ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গুচ্ছ পদ্ধতি ও পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে কুবি প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম 
বাংলাদেশি হামজাকে দলে চায় শেফিল্ড ইউনাইটেড
  যশোরে আজহারীর মাহফিল শেষে থানায় ৩ শতাধিক জিডি
ভারত সেভেন সিস্টার্সের জন্যই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে: সারজিস
নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে মানুষ কতটা সংস্কার চায় তার ওপর: প্রধান উপদেষ্টা  
রমজানে রাজধানীর ১০০ পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে ডিম-মুরগি বেচবে বিপিএ
হাসিনাকে ফেরত চেয়ে পাঠানো চিঠির এখনো জবাব দেয়নি দিল্লি  
নির্বাচনের দুটি সম্ভাব্য সময়সূচি রয়েছে : রূপা হককে প্রধান উপদেষ্টা  
কানাডায় নেওয়া যাবে না বাবা-মা ও দাদা-দাদিকে, স্পনসরশিপ বন্ধ ঘোষণা  
ইউরোপের ৮ দেশের ভিসা দিচ্ছে ঢাকার সুইডিশ দূতাবাস  
সাত কলেজের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা শিক্ষার্থীদের  
পূর্ব শত্রুতা জেরে ৩০০ মাল্টা গাছ কেটে বিনষ্ট, হাউ মাউ করে কাঁদছেন চাষী
  অবশেষে বিয়ের গুঞ্জনে সীলমোহর দিলেন তাহসান
ডাকাত এস আলমকে লেলিয়ে দিয়ে ইসলামী ব্যাংককে শেষ করে দিয়েছে: শফিকুর রহমান
টাঙ্গাইলে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতির উপর আ’লীগ সমর্থকদের হামলার অভিযোগ
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা
বিজয় একাত্তর হলের ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেফতার
নওগাঁয় সাড়ে ৯ কেজি গাঁজা ও ৫০ পিস ফেন্সিডিলসহ ২ জন গ্রেপ্তার
ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘জুতা নিক্ষেপ’ কর্মসূচি ঢাবি শিক্ষার্থীদের
ধূমপানে শুধু ফুসফুস নয় কমে যায় বুদ্ধিও: গবেষণা