শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বেদনার কথা বলবো কোথায়?

ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সাথে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ, নিহত একজন, আহত শতাধিক। সংঘর্ষ চলেছে রাতভর পরবর্তী দিনেও দফায় দফায় হয়েছে সংঘর্ষ। পুলিশ কতখানি দায়িত্ব পালন করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে, নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের নেতারা ক্ষমতাসীন দলের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখেন, ঢাকা কলেজের ছাত্ররা ক্ষমতাসীন দলের সাথে যুক্ত তারপরও কেন সংঘর্ষ থামানো গেল না? এই প্রশ্নের উত্তরে একজন বললেন, ঠিক এই কারনেই সংঘর্ষ থামাতে এত দেরি হলো এবং সম্ভবত এ কারনেই পুলিশ ভুমিকা পালন করতে দ্বিধা বা দেরি করেছে। এ নিয়ে পাল্টা পালটি বক্তব্য হবে অনেক। কিন্তু ছাত্রদের দিকে তেড়ে আসছে মার্কেটের কর্মচারীরা, গুলি করছে, টিয়ার গ্যাস ছুড়ছে, লাঠি পেটা করছে পুলিশ। ছাত্ররা কি তাহলে সবার প্রতিপক্ষ হয়ে গেল? সবার এত রাগ, ঘৃণা ছাত্রদের প্রতি তৈরি হয়ে গেলো কিভাবে? মানুষের ভরসা ও ভবিষ্যৎ যে ছাত্ররা, সেটা পরিবারে বা সমাজে সবখানেই তাঁরা কেন নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে এই অপবাদের বোঝা কাঁধে নিল?

পত্রিকায় এসেছে দুজন কর্মচারী নিজেদের মধ্যে দোকান বসানো, দোকান সাজানো নিয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়েছিল। তাদের একজন আর একজনকে দেখে নেবে বলে কলেজের ছাত্রদের কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে এসেছিল। তারা ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা। কোন স্তরের নেতা তা স্পষ্ট না হলেও ক্ষমতাসীন দলের সিল থাকলে সবার ক্ষমতার পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যায়। ক্ষমতাসীন দল তো শুধু ছাত্রদের মধ্যে নয়, ব্যবসায়ীদের মধ্যেও তো আছে। তারাও বা ক্ষমতা দেখাবেন না কেন? ক্ষমতা দেখানোর এই প্রতিযোগিতায় বলি হলো সাধারণ পথচারি আর ধুলিস্যাত হলো সাধারণ ছাত্রদের ভাবমূর্তি।

ঢাকা কলেজের ছাত্রদের এত ঐতিহ্য, এত সুনাম চাপিয়ে কিছুদিন পর পর মার্কেটে চাঁদাবাজির ঘটনার সাথে জড়িয়ে যায় তাদের নাম। কিন্তু কেন এমন হলো, কেন এমন হচ্ছে? ক্ষমতার স্বাদ পেলে কেন ছাত্রদের মধ্যে চাঁদাবাজি নামক এই দুরারোগ্য ব্যাধির সংক্রমণ হয়? ঈদের আগে প্রায় প্রতিবার কোন না কোন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজের ছাত্রদের সাথে গাউছিয়া, চন্দ্রিমা, নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর কারণ প্রায় সবাই জানলেও দূর করার উদ্যোগ তো দেখা যায় না।

একথা প্রায় সকলেই বলে থাকেন, আমাদের দেশে শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে অথচ শিক্ষার মান বাড়ছে না। তাহলে এত নামী দামী প্রতিষ্ঠানগুলো কি করে? সেখানে কি কিছু গৎবাঁধা বিষয় সেখানো হয়? সেখানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কোন চর্চার পরিবেশ কি আছে? শিক্ষক হচ্ছেন তিনি যিনি শিখা দিয়ে শিখা জ্বালানোর কাজ করেন, শুধু তোতা পাখির মত মুখস্ত করা নয় প্রশ্নের খোঁচা দিয়ে জাগিয়ে তোলেন মনটাকে আর স্বপ্নের বীজ বপন করে ভবিষ্যতের ফলের সম্ভাবনা তৈরি করেন। তিনি অতীতের অভিজ্ঞতার সার সংকলনের সাথে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংযোগ সাধন করিয়ে তাঁকে প্রস্তুত করেন ভবিষ্যতের জন্য। এসবের জন্যই দরকার তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যদি গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকে, ক্ষমতাসীনদের দাপটে ছাত্ররা জীবনের ভয়ে সংকুচিত থাকে বা সম্মান হারানোর ভয়ে ম্রিয়মাণ থাকে তাহলে পাঠ্যপুস্তক পড়ে পুঁথিগত বিদ্যালাভ হয়তো করতে পারে কিন্তু জ্ঞান ও মর্যাদা সম্পন্ন প্রজন্ম তৈরি হবে না।

শিক্ষার উদ্দেশ্য কি? তথ্য এবং জ্ঞানের পার্থক্য কি? যা যাচাই করা যাবে না তা নিয়ে তর্ক করা কি যাবে? দীর্ঘদিন ধরে যা জেনে এসেছি তার সঙ্গে নতুন জ্ঞানের বিরোধ হলে করণীয় কি? নতুন কিছু হলেই কি তা গ্রহণ করতে হবে নাকি পরীক্ষায় প্রমাণিত হলে গ্রহণ করা যাবে? পরিবর্তনশীল প্রকৃতিজগতকে জানার উপায় কি বিজ্ঞান না অতীত থেকে পাওয়া বিশ্বাস? এমনি অনেক প্রশ্নের উত্তর মানুষ পাবে কিভাবে এবং কোথা থেকে? পাঠ্যপুস্তকের পাতায় এসবে উত্তর পাওয়া যাবে না। এসব পেতে হবে ছাত্র আন্দোলনে, রাজনৈতিক সংগ্রামে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানাবিধ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে। ঢাকা কলেজ সহ সব নাম করা এবং বড় কলেজগুলোতে কি সে পরিবেশ এখন আছে? অনেকেই আহাজারি করছেন কি ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজ যারা পথ দেখিয়েছে শিক্ষা অধিকার আন্দোলনে, আজ তার নাম জড়িয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায়।

নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চন্দ্রিমা সহ এই এলাকার মার্কেটের ক্রেতা কারা? মধ্যবিত্তের নিচের অংশ যারা দরদাম করে জিনিস কেনেন, ছাত্র ছাত্রীদের বিরাট অংশ যারা একটু কম দামে জিনিস পাবার জন্য দোকানে দোকানে জিনিস যাচাই করে, দাম নিয়ে দরকষাকষি করে। সেখানে বিক্রেতাদের আচরণ এবং ব্যবহার যে কতটা অপমান ও তাচ্ছিল্যের সে কথাও উল্লেখ করেন অনেক ভুক্তভোগী। এইসব মার্কেটের ব্যবসায়ীরাও কি তার জন্য দায় নেবেন না? একজন নারী ক্রেতা লিখেছেন, তিনি প্যান্ট কেনার জন দরদাম করছিলেন, তাঁকে এক পর্যায়ে বলা হলো এই দামে প্যান্ট পাবেন না, প্যান্টি কিনে নিয়ে যান। তার লজ্জার সাথে অপমান যুক্ত হলো যখন তিনি দেখলেন পাশের দোকানের বিক্রেতারাও দাঁত বের করে হাসছেন।

ছাত্রদের চাঁদাবাজ আর বিক্রেতাকে বেয়াদব বলার আগে কি ভাববেন না কেন এবং কারা এসবের সাথে যুক্ত? গড়ে সবাইকে দায়ী করে সমস্যার সমাধান মিলবে না বরং শত্রুতা স্থায়ী হবে। সমাজে গণতন্ত্র না থাকলে, জবাবদিহিতা না থাকলে, অপরাধ করেও ক্ষমতার সাথে থাকলে কেউ কিছু করতে পারবে না এই মনোভাব থাকলে শুধু ভোটের অধিকার নয় সকল ক্ষেত্রেই যে ধ্বস নামে তা উপলব্ধি করার সময় কি এখনও আসেনি?

 

Header Ad
Header Ad

দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর আত্রাইয়ে বিষ প্রয়োগ করে দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে সানজিদা (১৬) নামে এক কিশোরীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন নিহত কিশোরীর স্বজনেরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত কিশোরীর মামা ফজলুর রহমান। এ সময় অন্যদের মধ্যে ওই কিশোরীর মা খুশি বেগম, নানা মোসলেম প্রামাণিক, চাচা সাইফুল ইসলাম মন্ডল, মামা হামিদুল প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্য ফজলুর রহমান বলেন, নিহত কিশোরী সানজিদা আত্রাই উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী শামসুল মন্ডলের মেয়ে। সানজিদা উপজেলার ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা কাজের সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে সৗদি আরবে ও আরব আমিরাতে (দুবাই) অবস্থান করছেন। শামসুল মন্ডলের স্ত্রী খুশি বেগম মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বাস করে আসছিলেন। শামসুল বসতবাড়ির বসতভিটার উত্তর পাশে বাবা মোসলেম মন্ডলের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে ৪ বছর আগে মাটির বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়িতেই সানজিদা ও তার মা বসবাস করতো। পরে ওই জায়গায় পাকা বাড়ি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করলে শামসুলের বাবা মোসলেম ও ভাই সাজিম মন্ডল বাঁধ সাজে। সানজিদার দাদা শামসুলকে বসতভিটার উত্তর পাশে পাকা বাড়ি না করে দক্ষিণ পাশে নীচু জায়গায় বাড়ি করার জন্য বলে আসছিল। এ নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। সানজিদার বাবা ও ভাই বিদেশে থাকায় বাড়ি করা নিয়ে বিরোধের জেরে সানজিদা ও তার মায়ের সঙ্গে তাঁর দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের প্রায় পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। এই কলহের জেরে দাদা মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল হত্যার উদ্দেশ্যে গত ৯ এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে সানজিদার শরীরে বিষ প্রয়োগ করে। পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ এপ্রিল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে সানজিদা বলে গেছে তার দাদা ও চাচা তাঁর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করেছে। তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা আছে। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল পলাতক রয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ এপ্রিল সকালে সানজিদা প্রাইভেট পড়ার জন্য ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ে যায়। প্রাইভেট পড়ে সে বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে আসে। এ সময় সাংসারিক কাজে সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সানজিদার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিম সানজিদার ঘরের ভেতরে যায়। দাদা মোসলেম সানজিদার পাশে বসে একপর্যায়ে তাকে জাপটে ধরে এবং চাচা সাজিম পকেট থেকে বিষের ইনজেকশন বের করে তার বাম হাতের শিরায় জোর ইনজেকশন প্রয়োগ করে। তারা সানজিদাকে হুমকি দিয়ে বলে এ কথা কাউকে বললে তার মতো বাবা ও ভাইকেও হত্যা করবে। সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়িতে এসে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মেয়েকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সানজিদার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত মোসলেম ও সাজিমের ফাঁসি দাবি করা হয়।

সাজিম মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে তা বন্ধ পাওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, ‘যে মেয়েটি মারা গেছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। সেখানেই নিহত কিশোরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Header Ad
Header Ad

গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব

ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান শফিকুল আলম।

সরকারের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রায় ৯ মাসে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে কী অর্জন করেছেন, তা তুলে ধরেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোষ্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘গত নয় মাসে আমি কী অর্জন করেছি: এক চিমটি ঘৃণা, একমুঠো অবিশ্বাস ও এক আকাশ ভালোবাসা।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সম্প্রচারে আগ্রহ দেখায়নি দেশের কোনো বেসরকারি টিভি চ্যানেল। যার কারণে রাষ্ট্রয়াত্ত বিটিভির শরণাপন্ন হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিটিভির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পুরো সিরিজটি সম্প্রচারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সবশেষ কয়েক বছরে মিলেনিয়াম মিডিয়া কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে ঘরের মাঠের ম্যাচগুলো সম্প্রচার করেছে বাংলাদেশের দুটি বেসরকারি চ্যানেল টি-স্পোর্টস ও জিটিভি। তবে সবশেষ সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ দিয়ে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের সঙ্গে।

তাই জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে গত ১৯ মার্চ আর্থিক প্রস্তাবনা ও এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্টসহ (ইওআই) উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করেছিল বিসিবি। তবে ৭ এপ্রিল দরপত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও আগ্রহ দেখায়নি কেউ। যার কারণে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য মিডিয়া রাইটস বিক্রি করতে পারেনি বিসিবি।

এমন অবস্থায় দুই টেস্টের সিরিজ সরাসরি সম্প্রচার করতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিসিবি। পুরো সিরিজই সম্প্রচার করবে বিটিভি।

সিলেটে আগামী ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম টেস্ট। এরপর ২৮ মে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হবে দুদল। ইতোমধ্যে সিলেট টেস্টের টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করেছে বিসিবি। আজ (১৮ এপ্রিল) থেকে যা সংগ্রহ করা যাবে মধুমতি ব্যাংকের আম্বরখানা শাখায়। সকাল ১০টা থেকে এখানে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। পরদিন থেকে স্টেডিয়াম কাউন্টারেও টিকিট কাটা যাবে।

বিসিবি সিলেট স্টেডিয়ামের গ্রান্ড স্ট্যান্ডের দাম নির্ধারণ করেছে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা। এর অর্ধেক দামে মিলবে ক্লাব হাউজের টিকিট। ২ নম্বর গেটের পূর্বদিকের গ্যালারির টিকিটের দাম ১৫০ টাকা। শহিদ আবু সাঈদ স্ট্যান্ডের টিকিটের দাম ১০০। গ্রিন হিল, শহিদ তুরাব স্ট্যান্ড (পশ্চিম দিক) ও ৩ নম্বর গেটের পূর্বদিকের গ্যালারির টিকিটের জন্য পরিশোধ করতে হবে ৫০ টাকা করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের
টাঙ্গাইলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কেন্দ্র সচিব ও পরীক্ষার্থীসহ আটক ৬