মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

উপেনের ‘দুই বিঘা জমি’

শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের অজস্র স্মৃতির অন্যতম উপকরণ ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীর দুঃখ-দুর্দশা অবলোকন এবং তার অপূর্ব নিদর্শন উপেনের ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার মাধ্যমে উপস্থাপন। নিভৃত পল্লীর অতি সাধারণের বাস্তব ছবি অতি নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর কবিতায়। শিলাইদহ বাসকালে গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ লেখার উৎস পেয়েছিলেন যা অন্য কোথাও হয়নি। কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথের ভাষায় এর সমর্থন মেলে। অর্থাৎ শিলাইদহ ছিল তাঁর সাহিত্য সাধনার অনুকূল পরিবেশ।

‘রাখি হাট খোলা নন্দির গোলা মন্দির করি পাছে’ শিলাইদহ কুঠিবাড়ি থেকে উত্তর পূর্ব এবং দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হলে এ স্থানগুলো অতিক্রম করতে হতো। হাটখোলা বলতে শিলাইদহ কুঠির হাট, যা পদ্মাগর্ভে বিলীন (বর্তমানে হাসপাতালের সন্নিকটে), লালন চন্দ্র নন্দির গোলা (বোনাপাড়া), তারপরই গোপীনাথ দেবের মন্দির।

‘দুই বিঘা জমি’ বাবু ও উপেনের সত্য কাহিনি অবলম্বনে রচিত হয়েছে। তৎকালীন ধনীরা অশিক্ষিত প্রজার কাছে বাবু বলে পরিচিত। আর উপেন ছিল কসবা আচার্য পরিবারের সাধারণ গরীব প্রজা ও ব্রাহ্মণ কৃষক। রবীন্দ্রনাথের আমলে শিলাইদহ পল্লীতে ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, কজুমার, কামার, কর্মকার, সূত্রধর, ধোপা, জেলে, তাঁতি প্রভৃতি শ্রেণি বাস করত। গোপীনাথ দেবের মন্দির ও যুগল শাহের কালী মন্দির এখনও বিলীন হয়ে যায়নি। গোপীনাথ দেবের প্রকাণ্ড রথটি ছিল কাঠের তৈরি। স্থান নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এইসবই দুইবিঘা জমির উপকরণ। কেউ কুঠিবাড়ির পূর্বদিকে আম্র কাননের মধ্যে অবস্থিত বলে ধারণা করেন। সে আমলের প্রাচীন লোকদের নিকট থেকে জানা যায় উপেন নামক ব্যক্তির জমিতে ঠাকুর বাবুরা খাজনা নিতেন। বিরাহিমপুর’ ঠাকুর বাবুদের জমিদারি হলেও কয়েকটি পরগনার অন্তর্ভূক্ত ছিল যার বর্তমান শুধু উপেনের ভিটেই ছিল। রবীন্দ্রনাথ দুই বিঘা জমি উপেনের ভিটে হিসেবে চিহ্নিত করেছেন কিন্তু দুই বিঘা জমি কুঠিবাড়ি সংলগ্ন উপেনের জমি। উপেন প্রজা মাত্র। উপেনের ভিটে মাইল দুরে কসবা গ্রামে এবং এখানকার এই দুই বিঘা জমিই তার শেষ সম্বল। উপেনের ছোট ভাই ভবানী আচার্যের সঙ্গে গ্রামের কয়েক বয়ঃবৃদ্ধ লোকের মুখ থেকে শোনা কথা বলে–আজও লোকমুখে এই ঘটনার জনশ্রুতি আছে। তাঁর বংশধর দেশ বিভাগের সময় ভারতে চলে যায়।

আবার শচীন্দ্রনাথ অধিকারী দুই বিঘা জমির কাহিনি বর্ণনা করেছেন, ঘটনাটি অধিকারী বাবুদেরই কয়েকজন গরিব গৃহস্থের বসতবাড়ি তাদের বাড়ির শামিল করে আয়তন বাড়িয়েছেন। ‘এ জগতে হায় সেই বেশি চায়, আছে যার ভুরি ভুরি’ অধিকারী বাবুদের প্রভাবশালী বাবু গুরুচরণ কয়েকজন বাড়ির মালিককে উচ্ছেদ করেছেন। তাদের অন্যতম ছিল যদুদত্ত। এই যদুদত্তই রবীন্দ্রনাথের কবিতার উপেন। গুরুচরণ অধিকারীর প্রাসাদ পাশেই বাগানের ধারেই যদুদত্ত বাস করতো। সে ছিল বাবুর কাছে ঋণী। বাবু চেয়েছিলেন তাঁর ভিটে-মাটির বিনিময়ে আরও কিছু টাকা দিবেন। কিন্তু উপেন রাজি হয়নি; বরং দয়াভিক্ষা চেয়েছিল ভিটে রক্ষার জন্য। ‘দেনার দায়ে ফেলে গুরুচরণ করিল ডিক্রি’ তাই উপেন বাধ্য হলো ভিটামাটি থেকে চলে যেতে; কিন্তু এই উপেনের বসতভিটা কেড়ে ছন্নছাড়া করার জন্যই কি ডিক্রি জারি করলেন? জমি হারানোর শোকে ম্যানেজার বাবু কবির অজ্ঞাতে ডিক্রি জারি করেছিলেন। আর জমি হারানোর শোকে উপেন সন্নাসী বেশ ধারণ করে বোষ্টমীর আস্তানায় নানা জায়গায় ঘুরতে ঘুরতে কয়েক বছর পর ফিরে এসেছিল আবার মাটির টানে।

আবার লোকমুখে কথিত আছে, উপেন ছিলেন এক প্রান্তিক কৃষক। উপেনের যে জমাজমি ছিল তার মধ্যে দুই বিঘা জমি ছাড়া সবই ঋণের দায়ে তাকে হারাতে হয়েছে। এখন সম্বল শুধু ভিটেমাটির দুই বিঘা জমি। কিন্তু উপেনের কপাল খারাপ। তাঁর এলাকার জমিদার বাবুর ভূমির অন্ত নাই। তথাপি বাবুর নজর পড়েছে উপেনের দুই বিঘা জমির উপর। বাবু উপেনের জমি কিনতে চায়। শুনে উপেন বলে, রাজা এই দেশের মালিক আপনি, জায়গার অভাব নেই। কিন্তু আমার এই জায়গাটি ছাড়া মরার মতো ঠাঁই নেই। উপেন দুই হাত জোড় করে বাবুর কাছে সাত পুরুষের ভিটেটা কেড়ে না নেওয়ার অনুরোধ করে। এতে বাবু রেগে চোখ গরম করে চুপ করে থাকেন। নাছোড়বান্দা বাবু দেড় মাস পরেই মিথ্যে ঋণের দায়ে উপেনের প্রতি ডিক্রি জারী করে।

উপেন নিজের ভিটে ছেড়ে পথে পথে ঘুরে বেড়ায়। এভাবে ১৫/১৬ বছর কেটে যায়। অনেক তীর্থস্থান, শহর, গ্রাম সে বিচরণ করে, তবুও উপেন তাঁর সেই দুই বিঘা জমির কথা ভুলতে পারে না। তাই মাতৃভূমির টানে উপেন একদিন ফিরে আসে নিজ গ্রামে। অনেক পথ পেরিয়ে নিজ বাড়ির সামনে এসে উপস্থিত হয়। সে দেখে বাড়িতে আগের কোন চিহ্ন নেই। উপেনের মন বিষন্ন হয়ে পড়ে। নিজের বাড়িতে এসে উপেন স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে। তাঁর চোখ ভরে জল আসে। অবশেষে তাঁর ছেলেবেলার সেই আমগাছটির দিকে চোখ পড়ে উপেনের। স্মৃতিময় আমগাছটি দেখে তাঁর মনের ব্যথা দূর হয়ে যায়। আমগাছটির নিচে বসে সে ভাবতে থাকে ছেলেবেলার কথাগুলো। তখনি হঠাৎ তাঁর কোলের কাছে দুটি আম ঝরে পড়ে।

ক্ষুধার্ত উপেন ভাবে আমগাছটি তাকে চিনতে পেরে দুটি আম উপহার দিয়েছে। কিন্তু আম দুটি হাতে নিতেই বাগানের মালি যমদূতের মতো লাঠি হাতে এসে উপেনের উপর গালিবর্ষণ করে। উপেনের ঘাড় ধরে রাজার কাছে নিয়ে যায়। বাবু তখন মাছ ধরছিল। মালির কাছে সব শুনে বাবু রেগে উপেনকে বকা দেন, মারতে চান। উপেন কাতর হৃদয়ে বাবুর কাছে আম দুটো ভিক্ষা চায়। কিন্তু বাবু উপেনকে সাধুবেশী চোর বলে উল্লেখ করে। এতে উপেন হতভম্ব হয়ে যায়। যে জমিদার বাবু জোচ্চুরি করে উপেনের সম্পত্তি কেড়ে নিয়েছে, সেই বাবু আজ নিজেকে সাধু বানিয়ে উপেনকে চোর আখ্যা দিল!

চোর উপাধি শুনে উপেনের চোখ দিয়ে ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা ও পরিহাসের কথা মনে পড়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে থাকে। এই কবিতার মাধ্যমে কবি দেখাতে চেয়েছেন সমাজে এক শ্রেণির লুটেরা বিত্তবান প্রবল প্রতাপ নিয়ে বাস করে যাচ্ছে এবং তারা সাধারণ মানুষের সম্পদ লুট করে সম্পদশালী হয়। তারা অর্থ, শক্তি ও দাপটের জোরে অন্যায়কে ন্যায় ও ন্যায়কে অন্যায় বলে প্রতিষ্ঠা করে। তাছাড়া সম্পদের মালিকরা আরো সম্পদ আহরণের জন্য কীভাবে লালায়িত হয় সেই বিষয়টিও এখানে উঠে এসেছে।

রবীন্দ্রনাথের দুই বিঘা জমির বাস্তবতা ও পটভূমি আরও অনুসন্ধানের বিষয়। জমিদারি এস্টেটের ম্যানেজার যে উপেনকে ছন্নছাড়া করার ব্যবস্থা করেছিল, সেই করুণ কাহিনি উপেন জমিদার রবীন্দ্রনাথকে শুনিয়েছিলেন। তিনি কল্পনার জাল বুনে এমন বাস্তব ছবি তৈরি করেছেন যা গ্রামবাংলার সমাজে আজও প্রতিবাদী হয়ে উচ্চারিত।

লেখক: ইতিহাস গবেষক ও প্রাবন্ধিক

এসএ/

Header Ad
Header Ad

'বাংলাদেশি' সন্দেহে আটক সাড়ে ৬ হাজার, অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম

ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেই গুজরাটে ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ শনাক্তে রাজ্য পুলিশের বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬,৫০০ জনের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৪৫০ জনের বাংলাদেশি নাগরিকত্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে, বাকিরা অধিকাংশই ভারতীয় মুসলমান বলে জানা গেছে।

গুজরাট পুলিশের ডিজি বিকাশ সহায় সোমবার (২৮ এপ্রিল) পিটিআইকে বলেন, “এখন পর্যন্ত ৪৫০ জনের নথিপত্র দেখে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত করা গেছে। বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”

শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোররাতে আহমেদাবাদ ও সুরাত শহরে শুরু হওয়া অভিযান পরে গুজরাটজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের ভারতীয় আধার কার্ড, ভোটার আইডি ও পাসপোর্ট থাকলেও পুলিশ তাদের পরিচয় মানছে না।

সুরাতের বাসিন্দা সুলতান মল্লিক, যিনি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার নাগরিক, তাকে তার দুই ভাগ্নেসহ মধ্যরাতে আটক করা হয়। স্ত্রী সাহিনা বিবি বলেন, “পুলিশ বলে কিছুক্ষণেই ছেড়ে দেবে। কিন্তু তিন দিনেও তাদের খোঁজ নেই।”

আহমেদাবাদে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে আসা বরযাত্রীরাও এই অভিযানে আটক হন। স্থানীয় বাসিন্দা আলমআরা পাঠান জানান, “২৩ বছর ধরে এখানে আছি। ছেলেও এখানেই জন্মেছে, তবুও পুলিশ তাকে বাংলাদেশি সন্দেহে ধরে নিয়ে যায়।”

পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠন ‘পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ’ জানায়, গুজরাট ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশায়ও বাংলাভাষী মুসলিমদের হয়রানির অভিযোগ আসছে।

পুলিশ বলছে, আধার বা ভোটার আইডি যথেষ্ট প্রমাণ নয়, কারণ সেগুলো নকল হতে পারে। এজন্য সীমান্তবর্তী রাজ্য থেকে তদন্তকারী দলও আনা হচ্ছে।

এ বিষয়ে পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের প্রধান আসিফ ফারুক বলেন, “বাংলাভাষী ও মুসলমান হলেই কি তাদের নাগরিক অধিকার খর্ব হবে? এরা কি দেশের অন্যত্র কাজ করতে পারবে না?”

Header Ad
Header Ad

দীপ্ত টিভির সংবাদ বিভাগ বন্ধে সরকারের কোনো নির্দেশনা নেই: তথ্য উপদেষ্টা

তথ্য ও সম্প্রচারবিষয়ক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত

দীপ্ত টেলিভিশনের সংবাদ বিভাগ বন্ধ করার বিষয়ে সরকার কোনো নির্দেশনা দেয়নি বা ফোনও করেনি বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারবিষয়ক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সচিবালয়ের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বাস্তবতা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

মাহফুজ আলম বলেন, “আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কাউকে কোনো কল দিইনি। দীপ্ত টিভির একজন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং সংবাদ বিভাগ বন্ধ করা হয়েছে— এতে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে যে এটি সরকারের নির্দেশে হয়েছে। অথচ এমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।”

সভায় সাংবাদিকদের অর্থনৈতিক বাস্তবতা তুলে ধরে মাহফুজ আলম বলেন, “গত বছরের জানুয়ারিতে আমি নিজে একটি টিভি চ্যানেলে চাকরির জন্য গিয়েছিলাম। আমাকে মাত্র ১৩ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই অল্প বেতনে একজন মানুষ ঢাকা শহরে কীভাবে জীবন চালাবে, পরিবারকে কীভাবে দেখবে?”

তিনি আরও বলেন, “গণমাধ্যমের টেকসই উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার একটি গঠনমূলক রোডম্যাপ তৈরি করছে।”

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, একাডেমিক, মানবাধিকারকর্মীসহ গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি। আলোচনায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মালিকপক্ষের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ, সাংবাদিকদের চাকরির নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ নিয়ে বিভিন্ন মতামত উঠে আসে।

Header Ad
Header Ad

এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!

ছবি: সংগৃহীত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে সোমবার রাতেও দু’দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলি হয়। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের মুক্তি দাবি করেছে প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।

পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডন-এর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এমনটি জানানো হয়।

সোমবার সিনেটে পিটিআইর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ জাতীয় সংকটময় পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় সম্মেলন (Multi-Party Conference) আহ্বান করা প্রয়োজন, যাতে দেশের রাজনৈতিক নেতারা একসঙ্গে বসে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই বৈঠকে ইমরান খানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তার জেল থেকে মুক্তিরও দাবি জানানো হয়।

পিটিআইয়ের সিনেটর আলী জাফর বলেন, “রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে এখন দেশের স্বার্থে ঐক্য প্রয়োজন। ইমরান খানের উপস্থিতি বিশ্বকে দেখাবে— পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ।” তিনি আরও বলেন, ইমরান যদি অংশ নেন, তাহলে তা হবে শক্তিশালী কূটনৈতিক বার্তা।

পিটিআই নেতা শিবলি ফারাজ আরও একধাপ এগিয়ে ইমরান খানকে টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার দাবি, ইমরান টিভির মাধ্যমে জনগণকে মিনার-ই-পাকিস্তানে জমায়েত হওয়ার এবং ওয়াগা সীমান্তে পদযাত্রা করার ডাক দিলে এক কোটির বেশি মানুষ সাড়া দেবে।

তার ভাষায়, “শুধু জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি ভারতকে যথাযথ বার্তা দিতে পারেন।”

ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) বা পিএমএল-এন–এর সিনেটর ইরফানুল হক সিদ্দিকী ভারতের প্রতি কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “পেহেলগামের হামলা আসলে একটি ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন— যা ভারতের নিজস্ব সংস্থারই পরিকল্পিত, পাকিস্তানকে হেয় করার উদ্দেশ্যে।”

তিনি বলেন, পাকিস্তান বরাবরই সন্ত্রাসবাদের শিকার, বরং ভারত এখন নাৎসি চিন্তাধারায় বিশ্বাসী সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলছে, তারাই বরং দীর্ঘদিন ধরে চরমপন্থী হামলার শিকার। দুই দেশের মধ্যে এই উত্তেজনা বিশ্ব রাজনীতিতেও উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি যুদ্ধাবস্থার দিকে গড়াতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

'বাংলাদেশি' সন্দেহে আটক সাড়ে ৬ হাজার, অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম
দীপ্ত টিভির সংবাদ বিভাগ বন্ধে সরকারের কোনো নির্দেশনা নেই: তথ্য উপদেষ্টা
এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!
টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ
লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ
ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি খাইয়ে সেবা করল ডাকাতরা, পরে লুট
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে নানা প্রশ্ন : স্পষ্ট করলেন প্রেসসচিব
ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই