রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ২০ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বৈষম্য বিরোধী আইনের ত্রুটি দূর হোক

একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে বৈষম্য বিরোধী আইন প্রণয়ন আমাদের দীর্ঘকালের দাবি। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন, মানবাধিকার কর্মী–সবারই দাবি ছিল এরকম একটি বৈষম্য বিরোধী আইন প্রণয়নের। মানবাধিকার কমিশনের দায়িত্বে থাকার সময় আমরা বাংলাদেশ লিগ্যাল সার্ভিসেস ট্রাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, নাগরিক উদ্যোগ, আদিবাসী ফোরাম, আইন কমিশনের মতো সংস্থার সঙ্গে মিলে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করে একটি খসড়া করেছিলাম। সবকিছু বিচার বিবেচনা করে পরবর্তী সময়ে আইন কমিশন থেকে সেটিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হয়েছিল এবং জাস্টিস এবিএম খায়রুল হক নিজের হাতে আইনটিকে চূড়ান্ত রূপ দিয়েছিলেন।

২০১৪ সালের দিকে আমরা খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছিলাম। আমরা তখন থেকেই চেয়েছিলাম যে, একটি আইন হোক এবং সেটি জাতীয় সংসদে নিয়ে যাওয়া হোক। দীর্ঘকাল যাবৎ আইনটি ফেলে রাখা হয়েছিল। সন্দেহ দেখা দিয়েছিল, আদৌ আইনটি আলোর মুখ দেখবে কি না। আবার তারা নতুন করে কাজটি শুরু করেছে। যেহেতু আইনটি উত্থাপিত হয়েছে সংসদে, আমরা অবশ্যই পুলকিত, আনন্দিত। সাধুবাদ জানাই। তবে একই সঙ্গে আমাদের একটি উৎকণ্ঠা আছে। যে খসড়াটি আমরা করেছিলাম, সেখানে একটি জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছিল–যে কোনো ধরনের বৈষম্যকে ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। তবে যে খসড়াটি এখন উত্থাপিত হয়েছে, সেখানে কিন্তু ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ হিসেবে রাখা হয়নি।

আমরা চেয়েছিলাম–আমি যদি বৈষম্যের শিকার হই, একজন নাগরিক হিসেবে এর প্রতিকার পাওয়া আমার মৌলিক অধিকার। আমি যে বৈষম্যের শিকার হয়েছি, এতে আমার মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। সুতরাং আমি আইনের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারব এবং আমি মামলা করতে পারব। বর্তমান খসড়ায় একজন ভুক্তভোগী সরাসরি আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না। মাঝখানে আমলাতান্ত্রিক একটা কূটকৌশল রেখে দেওয়া হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে বৈষম্য দেখভাল কমিটি। আমি যখন বৈষম্যের শিকার, তখন আমার কতটুকু ব্যথা সেটি আমার থেকে বেশি কী করে বুঝবেন ওই কমিটির লোকজন।

অথচ আইনে বলা আছে, বৈষম্যের শিকার হলে আমি তার কাছে যাব, তাকে বলব–আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে, আমি আইনের আশ্রয় চাই। আমার কতটুকু ব্যথা সেটি আমার চেয়ে বেশি বুঝতে হবে ওই আমলাকে। এখন কমিটি যদি মনে করে, বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তখন তাদের উপস্থিতিতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর অর্থ হলো–আইনে থাকছে দীর্ঘসুত্রিতা। সেই সঙ্গে হয়রানির একটি সুযোগ রেখে দেওয়া হয়েছে। এগুলো একটি অধিকারকে সুরক্ষিত না করার কূটকৌশল।

এত বছর পর যে আইনটিকে আনা হলো, সেটিকে আমরা আরও ভালো অবস্থায় দেখতে চেয়েছিলাম। এমন বেশকিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে, সেগুলো আইনটিকে একদমই অকার্যকর করে দিতে পারে। আমরা আশা করি, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং সরকার যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে, ত্রুটিমুক্ত করে, সংশোধন করা হবে। এর মধ্য দিয়ে আমরা আগে যেভাবে অপেক্ষাকৃত ভালো আইন করেছিলাম, আমরা যেভাবে এগিয়ে গিয়েছিলাম, যেখানে সাবেক প্রধান বিচারপতি সন্তুষ্ট হয়েছিলেন, সেরকম একটি পরিশীলিত আইন প্রণয়ন করতে পারি।

আমি আশা করব, সত্যিকার অর্থেই বৈষম্যমূলক আচরণ দূর হয়ে সবাই সমভাবে নাগরিক অধিকার ভোগ করবে। রাষ্ট্রের ইচ্ছা এবং রাজনৈতিক অঙ্গীকার যদি থাকে, তাহলে আইনটি ফলপ্রসূ হবে বলে বিশ্বাস করি। একই সঙ্গে নাগরিক সমাজ, শিক্ষক, মিডিয়া, বিভিন্ন ধরনের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের সবারই দায়িত্ব আছে। সামাজিক বৈষম্য আমাদের অনেকদিনের সমস্যা। জাতি, ধর্ম, গোত্র, বর্ণ, শ্রেণি নির্বিশেষে বৈষম্য ছিল এবং আছে। কাজেই গণমানুষের সরকার, স্বাধীনতার সপক্ষের সরকার, সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষার্থে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বৈষম্য দূর করবে–এটিই প্রত্যাশা।

লেখক: সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এসএ/

Header Ad
Header Ad

গুচ্ছ পদ্ধতি ও পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে কুবি প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবিঃ সংগৃহীত

গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে এবং পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

শনিবার (০৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের থেকে প্রেরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিজ্ঞপ্তিটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৩তম সিন্ডিকেট মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা জানি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বের হয়ে এসেছে। নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন তারিখও ঘোষণা করা হয়েছিল। তাছাড়া পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হলেও তা নিয়ে কোনো ব্যবস্থা প্রশাসন গ্রহণ করেনি। আমরা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গুচ্ছ থেকে কুবি বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিবে এবং পোষ্য কোটা বাতিল করা হয়েছে এসংক্রান্ত লিখিত ঘোষণা দিবে। অন্যথায় প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়া হবে।'

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. পাবেল রানা বলেন, 'আমরা জানি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বের হয়ে এসেছে এবং নিজস্ব পদ্ধতিতে সার্কুলারও প্রকাশ করা হয়েছে। এখন এই নাটকের মানে কি? কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে অবশ্যই নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে হবে এবং পোষ্য কোটা বাতিল করে প্রশাসন কর্তৃক লিখিত ঘোষণা দিতে হবে। নতুবা আমরা কঠোর কর্মসূচির দিকে যাব।'

আরেক সমন্বয়ক মো: এমরান বলেন, 'অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কুবি প্রশাসন এবছরই গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে একক পদ্ধতি ভর্তি পরীক্ষা নিবে এবং ভর্তি পরীক্ষার সার্কুলারও প্রকাশ করেছিল। কিন্তু নিউজের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি এবছর ও কুবি গুচ্ছে থাকবে।প্রশাসনের নেওয়া এ ধরনের সিদ্ধান্তকে আমরা তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আগামী বছর নয় এবছর থেকেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় একক ভর্তি পরীক্ষা নিতে হবে। গুচ্ছ সিস্টেমের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্রতা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এছাড়া পোষ্য কোটা বাতিলে জন্য আমরা প্রশাসনকে অবহিত করেছি কিন্তু প্রশাসন এখন পর্যন্ত এটারও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেননি। কোটার ফলে শিক্ষার্থীদের মেধার অবমূল্যায় করা হয়।এবছরই গুচ্ছ থেকে সরে একক ভর্তি পরীক্ষা ও পোষ্য কোটা বাতিল না করলে আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো পাশাপাশি আমরা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিব।'

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৩তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় গুচ্ছ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে গতকাল (৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী জানান, কুবি গুচ্ছ পদ্ধতিতেই ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নিবে। এ ঘোষণা গণমাধ্যমে প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন সমালোচনার সৃষ্টি হতে থাকে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি হামজাকে দলে চায় শেফিল্ড ইউনাইটেড

ছবিঃ সংগৃহীত

হামজা চৌধুরীর মা বাংলাদেশি হওয়ায় তাকে নিয়ে আগে থেকেই বেশ আগ্রহ ছিল বাংলাদেশের ফুটবল প্রেমীদের। গেল ১৯ ডিসেম্বর এক ভিডিও বার্তায় হামজা জানান, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে তার আর কোন বাধা নেই। এরপর থেকে এই দেশের ফুটবল প্রেমীরা আরও বেশি নজর রাখছেন হামজার দিকে।

লেস্টার সিটির হয়ে শুরুর একাদশে সুযোগ মিলছে না হামজার। অবশ্য হামজা সুযোগ পাচ্ছেন বদলি হিসেবে। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বা রাইটব্যাক হিসেবে নিজেকে অনেকটাই মেলে ধরেছেন বাংলাদেশের এই তারাক।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শুরু হয়েছে শীতকালিন দল-বদল। গুঞ্জন আছে এই শীতের দলবদলে বাংলাদেশি তারকা হামজাকে দলে পেতে আগ্রহী শেফিল্ড ইউনাইটেড।

বর্তমানে চ্যাম্পিয়নশিপে থাকা দলটি স্বপ্ন দেখছে এক মৌসুমের বিরতিতে প্রিমিয়ার লিগে ফিরে আসার। চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের শীর্ষ দুই দল ২০২৫-২৬ মৌসুমে সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পাবে। শেফিল্ড সেই দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে আছে।

হামজাকে শেফিল্ড দলে নিতে চায় ৬ মাসের লোনে। বাইআউট ক্লজ থাকবে কি না, তা অবশ্য এখনই জানাতে পারেনি ইংল্যান্ডের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।

এর আগে ওয়াটফোর্ডেও ধারে খেলতে গিয়ে তাদেরকে প্রথম বিভাগে টিকে থাকতে ভালোভাবেই সাহায্য করেছিলেন হামজা চৌধুরী।

এই মৌসুমে লেস্টার সিটিও সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। ১৯ ম্যাচে মাত্র ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে অবনমন অঞ্চলে। আজ লিগে লেস্টার সিটির খেলা আছে অ্যাস্টন ভিলার মাঠে।

Header Ad
Header Ad

  যশোরে আজহারীর মাহফিল শেষে থানায় ৩ শতাধিক জিডি

ছবিঃ সংগৃহীত

 

যশোরের পুলেরহাটে একদিকে মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল, অপরদিকে এই এলাকার আশেপাশের গ্রামে রেকর্ড পরিমাণ চুরি। চুরির মধ্যে রয়েছে নগদ টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে শহরতলী পুলেটহাটস্থ আদ-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর ও আশপাশ এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনার পর থেকে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় ভুক্তভোগীরা জিডি করতে রীতিমতো লাইন ধরেছেন। থানা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শনিবার বেলা তিনটা পর্যন্ত মাহফিলে মোবাইল ও স্বর্ণালংকার খোয়া যাওয়ার ঘটনায় ৩ শত জিডি হয়েছে। প্রতিনিয়ত যেভাবে জিডি করতে ভুক্তভোগীরা থানায় আসছেন তাতে এই সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়বে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

যশোর শহরতলী পুলেরহাটস্থ আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশন আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের শেষদিন ছিল শুক্রবার। এ দিন রাতে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী। তার আসার খবরে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নামে সমগ্র মাহফিল এলাকায়। শুক্রবার সকালে থেকেই শীত উপেক্ষা করে মানুষ জমায়েত হয়। বিকেল থেকে মাহফিল স্থান ছাপিয়ে সড়ক, মহাসড়কেও শিশু, নারী, পুরুষের ঢল নামে। দুপুরের পর সড়কে যানজট দেখা দেয়। এজন্য অনেকেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছায়। সব সড়কের ঢেউ গিয়ে মিশে পুলেরহাটে। মাহফিল প্রাঙ্গণে পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষের সমাগম ঘটে।

রাত সাড়ে ১০ টার পর মাহফিল শেষ হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে পদদলিত হয়ে একাধিক ব্যক্তি মারা যাওয়ার খবর। আহতের সংখ্যাও অর্ধশতাধিক। এছাড়া মোবাইল, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার খবর।

হাসপাতাল ও থানা সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেনারেল হাসপাতালে পদদলিত হয়ে ২১ জন ভর্তি হওয়ার খবর জানা গেছে। এর মধ্যে রাতেই ১০ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর ১১ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়াতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার বেলা তিনটা পর্যন্ত স্বর্ণালংকার ও মোবাইল খোয়া যাওয়ার ঘটনায় তিনশ’ জিডি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ডিউটি অফিসার শারমিন আক্তার।

তিনি বলেন, শুক্রবার রাত থেকে অসংখ্য মানুষ মোবাইল হারিয়ে যাওয়া বা চুরির ঘটনায় জিডি করতে আসে। তাৎক্ষণিক যারা মোবাইলের ডকুমেন্ট দেখাতে পেরেছে তারা জিডি করতে পেরেছে। আর শনিবার সকাল থেকে রীতিমতো ভিড় লেগেছে। কয়েক হাজার জিডি হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।

মায়ের দেড় ভরি ওজনের একটি গলার হার খোয়া যাওয়ার পর শনিবার দুপুরে জিডি করতে এসেছেন সদরের রুপদিয়া থেকে ইব্রাহিম হোসেন। তিনি বলেন, আমরা মা মহিলা প্যান্ডেলে বসে আজহারী হুজুরের ওয়াজ শুনছিলেন। এক পর্যায়ে গলায় হাত দিয়ে দেখেন তার গলায় হার নেই। তাই থানায় জিডি করতে এসেছি।

বউয়ের গলার চেইন হারিয়ে যাওয়ার পর থানায় জিডি করতে আসেন শহরতলী নওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা হয়রত হোসেন। তিনি বলেন, এভাবে ওয়াজ মাহফিলে চুরি হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক এবং অপরাধমূলক কাজ। লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছে গতকাল। চোররাও এ ধরনের অনুষ্ঠানে সুযোগটা কাজে লাগায়। কর্তৃপক্ষের আরও সর্তক ও ব্যবস্থাপনা ভালো করা উচিত ছিল। আর আমাদেরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল, ব্যাপক সমাগম স্থানে দামি দামি জিনিসপত্র পরিধান ও নিয়ে যাওয়া উচিত হয়নি।

শহরের বেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা এনামুল হক বলেন, যশোরের ইতিহাসে এমন বড় মাহফিল হয়নি। ওয়াজ মাহফিলে গেছিলাম ইমান আমল ঠিক করতে। আর চোরেরা তাদের ব্যবসা খুঁজে নিলো। হাজার হাজার মানুষের মোবাইল হারিয়ে যাওয়ার খবর শুনেছি মাহফিলের মাঠেই। অনেকেই দূরদূরান্ত থেকে এসেছে, তাই জিডি করতে কাগজপত্র দেখাতে না পারায় জিডি করতে পারছে না। যারা চুরির মতো এ ধরনের কাজ করছে মাহফিলে; তারা মাহফিলের সৌন্দর্য নষ্ট করেছে। তাদের বিচার হওয়া উচিত।

যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তিনদিন ব্যাপী বৃহৎ মাহফিল হয়েছে যশোরে। পাঁচ থেকে সাত লক্ষ মানুষ সমাগম হয়েছে। এর ভিতরে অসংখ্য মানুষের মোবাইল, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। অনেকেই জিডি করছেন। কয়েকটি চুরির অভিযোগও পেয়েছি। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।

তিনি বলেন, মাহফিলে আহত বা মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। মাহফিলে পদদলিত হয়ে মারা যাওয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি। ফলে মৃত্যু নিয়ে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, গত পহেলা জানুয়ারি বুধবার থেকে তিনদিন ব্যাপী এই মাহফিল শুরু হয়। মাহফিলের প্রথম দিন বুধবার আলোচনা করেন আল্লামা মামুনুল হক ও আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিন আলোচনা করেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী ও মুফতি আমির হাজমা। শেষদিন শুক্রবার আলোচনা করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ও ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গুচ্ছ পদ্ধতি ও পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে কুবি প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম 
বাংলাদেশি হামজাকে দলে চায় শেফিল্ড ইউনাইটেড
  যশোরে আজহারীর মাহফিল শেষে থানায় ৩ শতাধিক জিডি
ভারত সেভেন সিস্টার্সের জন্যই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে: সারজিস
নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে মানুষ কতটা সংস্কার চায় তার ওপর: প্রধান উপদেষ্টা  
রমজানে রাজধানীর ১০০ পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে ডিম-মুরগি বেচবে বিপিএ
হাসিনাকে ফেরত চেয়ে পাঠানো চিঠির এখনো জবাব দেয়নি দিল্লি  
নির্বাচনের দুটি সম্ভাব্য সময়সূচি রয়েছে : রূপা হককে প্রধান উপদেষ্টা  
কানাডায় নেওয়া যাবে না বাবা-মা ও দাদা-দাদিকে, স্পনসরশিপ বন্ধ ঘোষণা  
ইউরোপের ৮ দেশের ভিসা দিচ্ছে ঢাকার সুইডিশ দূতাবাস  
সাত কলেজের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা শিক্ষার্থীদের  
পূর্ব শত্রুতা জেরে ৩০০ মাল্টা গাছ কেটে বিনষ্ট, হাউ মাউ করে কাঁদছেন চাষী
  অবশেষে বিয়ের গুঞ্জনে সীলমোহর দিলেন তাহসান
ডাকাত এস আলমকে লেলিয়ে দিয়ে ইসলামী ব্যাংককে শেষ করে দিয়েছে: শফিকুর রহমান
টাঙ্গাইলে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতির উপর আ’লীগ সমর্থকদের হামলার অভিযোগ
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা
বিজয় একাত্তর হলের ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেফতার
নওগাঁয় সাড়ে ৯ কেজি গাঁজা ও ৫০ পিস ফেন্সিডিলসহ ২ জন গ্রেপ্তার
ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘জুতা নিক্ষেপ’ কর্মসূচি ঢাবি শিক্ষার্থীদের
ধূমপানে শুধু ফুসফুস নয় কমে যায় বুদ্ধিও: গবেষণা