শনিবার, ৭ জুন ২০২৫ | ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, টেকসই পল্লী উন্নয়ন এবং স্থানীয় সরকার

ঐতিহ্যগতভাবে, বাংলাদেশে গ্রামীণ উন্নয়ন বলতে বৃহত্তর অর্থে কৃষি নির্ভরতাকে বোঝানো হয় এবং কৃষি খাত আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের গ্রামীণ উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবেই রয়ে গেছে। অধিকন্তু, গ্রামীণ উন্নয়ন মূলত দারিদ্র্য বিমোচনের পরিপূরক। কৃষি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রম টেকসই করার জন্য বাংলাদেশ সরকার স্বাধীনতার পর থেকে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে যেখানে প্রায় বাষট্টি শতাংশ মানুষ গ্রামীণ এলাকায় বসবাস করে তারা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয় যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মসূচি এনজিও সম্প্রদায় সহ সম্প্রদায়-ভিত্তিক সংস্থাগুলির বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং পদ্ধতির মাধ্যমে দৃশ্যমান। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) ইতিহাস প্রাচীন। প্রাচীন যুগে বাংলা বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধ ছিল।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সব সরকার বাণিজ্য ও শিল্পনীতিতে পরিবর্তন আনে। বর্তমানে এসএমই খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে পরিণত হয়েছে। কারণ, প্রায় পঁচিশ শতাংশ কর্মসংস্থান এই খাত দ্বারা সৃষ্টি হয়। বর্তমানে এসএমই-এর ঢেউ গ্রামীণ অর্থনীতিতে ছুঁয়েছে এবং এসএমই গ্রামীণ বাংলাদেশে একটি সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশের জন্য এসএমই বিশেষভাবে উপযুক্ত কারণ এসএমই অনেক কম বিনিয়োগে অনেক কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারে।

এসএমই আজকাল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসাবে বিবেচিত হয়েছে । বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় বেকারত্বের সমস্যা মোকাবেলা করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে এই সেক্টরটির গ্রামীণ এলাকায় সম্প্রসারণের অবিশ্বাস্য সম্ভাবনা রয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য অর্থায়নে সীমিত অ্যাক্সেস, মূলধন ও দক্ষ জনবলের অভাব, দুর্বল প্রশিক্ষণ সুবিধা, অনুন্নত বিক্রয় চ্যানেল এবং নিম্ন স্তরের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কারণে এসএমই গ্রামীণ বাংলাদেশে প্রসারিত হচ্ছে না।

টেকসই উন্নয়নকে একটি সমন্বিত এজেন্ডা এবং মৌলিক নীতি হিসাবে দেখা যেতে পারে যা অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের সমাধান প্রদানের প্রচেষ্টা করে। এসডিজি অর্জনের জন্য প্রাসঙ্গিক উন্নয়ন অগ্রাধিকার এবং প্রোগ্রামিং প্রয়োজন যেখানে স্থানীয় সরকার উন্নত পরিষেবা প্রদানের জন্য নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত যা দারিদ্র্য দূর করতে, বৈষম্য কমাতে, জলবায়ু দুর্বলতা, লিঙ্গ সমতাকে উন্নীত করতে পারে। অংশগ্রহণমূলক তৃণমূল স্থানীয় সরকার এসডিজি অর্জনের জন্য অপরিহার্য, বিশেষ করে দরিদ্র ও প্রান্তিক এলাকায়।

এসএমই সম্প্রসারণের মাধ্যমে গ্রামীণ টেকসই উন্নয়নের জন্য মাল্টি-স্টেকহোল্ডার পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। পদ্ধতিটি প্রস্তাবিত কর্ম পরিকল্পনার উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টাকে নির্দেশ করে। এসডিজির মতো, এসএমই স্থানীয়করণ পরিকল্পনা মধ্যম এবং দীর্ঘমেয়াদী উভয় ক্ষেত্রেই কোভিড-১৯ এর প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য একটি দ্রুত ফলদায়ক প্রতিকার হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলির সকল স্তরে অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া এবং নিয়মিত আর্থিক আলোচনার সঙ্গে একটি সুস্পষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো (উদাহরণস্বরূপ; কার্যকর স্থানীয় সরকার) গ্রামীণ উন্নয়ন প্রক্রিয়া এবং উদ্যোগে এসএমইকে মূলধারায় নিয়ে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এসডিজির অগ্রাধিকার নির্ধারণ এবং তদনুসারে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনার ক্ষমতা, অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া এবং সরকার ও স্থানীয় মানুষের মধ্যে নিয়মিত আর্থিক আলোচনার সঙ্গে একটি সুস্পষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদ্ভাবনী এবং সামগ্রিক কৌশলগুলিকে এসএমইর সম্প্রসারণের জন্য উত্সাহিত করতে হবে এবং দরিদ্রদের জন্য আয়-উৎপাদন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ প্রদানের পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিকে বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত করতে সহায়তাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

যুব উন্নয়ন বিভাগ কর্তৃক গ্রামীণ জনগণের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে এসএমই প্রসারিত হয়। বাংলাদেশে গ্রামীণ এসএমই প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার জন্য বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য তারা ভৌত অবকাঠামো (রাস্তা, বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য) সহজতর করতে সরকারে দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে; পাবলিক সেক্টরকে একটি অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে যাতে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের এসএমই শুরু করতে উত্সাহিত হয়। পাশাপাশি, গ্রামীণ বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখতে এসএমই সম্প্রসারণের জন্য পিপিপি (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) জনপ্রিয় করা অপরিহার্য ।

এসএমই সম্প্রসারণের মাধ্যমে গ্রামীণ টেকসই উন্নয়নের জন্য মাল্টি-স্টেকহোল্ডার পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। তদুপরি, নীতি উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে জড়িত করা-গ্রাম পর্যায় থেকে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিশ্চিত করতে হবে, পাবলিক ব্যাংক বিশেষ করে কৃষি ব্যাংক ন্যূনতম সুদের হারে প্রতিশ্রুতিশীল বিনিয়োগকারীদের ঋণ প্রদানের মাধ্যমে এসএমইকে উন্নীত করার জন্য উৎসাহিত করছে। একইভাবে, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এবং এসএমই ফাউন্ডেশনকে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টির স্বার্থে এসএমই স্থানীয়করণের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এসএমই ফাউন্ডেশন এক্ষেত্রে সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালন করতে পারে।

আমাদের স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলিকে সক্রিয় হতে হবে স্থানীয় জনগণকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসারে উৎসাহিত করতে। তাদের অবশ্যই নিজস্ব এলাকায় অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং উদ্যোক্তাদের আরও ভাল পরিষেবা প্রদানের জন্য উপজেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট অফিসের পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব সক্রিয় করার জন্য স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।

সর্বোপরি, আমার পরামর্শ হল গ্রামীণ বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগের সর্বোত্তম রিটার্ন প্রাপ্তির জন্য প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে বিভিন্ন পেশাদার ব্যাকগ্রাউন্ডের নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে সম্পৃক্ত করে একটি এসএমই সম্প্রসারণ কমিটি গঠন করা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এই কমিটি প্রতি মাসে অন্তত একবার বৈঠক করবে। এভাবেই আমরা বাংলাদেশে স্থানীয় সরকারের নেতৃত্বে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এক ধাপ এগিয়ে যেতে সক্ষম হব।

লেখক: ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিজিটিং স্কলার (অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ)।

 

ই-মেইল: t.islam@juniv.edu

 

Header Ad
Header Ad

নগরজুড়ে কোরবানির পশু জবাই, পরিচ্ছন্নতায় প্রস্তুত ২০ হাজারের বেশি কর্মী

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহার সকালে হালকা বৃষ্টি থাকলেও রাজধানীতে কোরবানির আমেজে কোনো ভাটা পড়েনি। জাতীয় ঈদগাহসহ নগরজুড়ে পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতে সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত প্রধান জামাতে সর্বস্তরের মানুষ অংশ নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাতে অংশ নেন।

ঈদের নামাজ শেষে শুরু হয় পশু কোরবানির উৎসব। এবার ঢাকা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোরবানি স্থানের ঘোষণা না থাকায় আগের মতোই অলিগলি ও রাস্তায় পশু জবাইয়ের দৃশ্য দেখা গেছে। আবহাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল, ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সকালে বৃষ্টির বিড়ম্বনা না থাকায় নির্বিঘ্নে কোরবানি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।

ঢাকায় এবার প্রায় ৭ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার ফলে উৎপন্ন হতে পারে প্রায় ৫০ হাজার টন বর্জ্য। এই বিপুল পরিমাণ বর্জ্য দ্রুত অপসারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সম্মিলিতভাবে প্রায় ২০ হাজার ২৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োজিত রেখেছে, যাদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

দক্ষিণ সিটির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া জানিয়েছেন, “ঈদের দিন বিকাল থেকেই শুরু হবে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, ১২ ঘণ্টার মধ্যে পুরো শহর পরিষ্কার করব।” তিনি আরও বলেন, “যথাযথ ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাড়ি।” দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ইতোমধ্যে নাগরিকদের মাঝে প্রায় ১৩ লাখ ৯০ হাজার পলিব্যাগ বিতরণ করেছে এবং হটলাইন নম্বর ০১৭০৯-৯০০৮৮৮ ও ০২২২৩৩৮৬০১৪ চালু রেখেছে।

উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “ঈদের দিনেই আমরা দিনের মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ করে শহর পরিষ্কার রাখব।” তিনি জানান, ডিএনসিসির ১০ হাজার কর্মী এ কাজে নিয়োজিত থাকবেন এবং ২২৪টি ডাম্প ট্রাক, ৩৮১টি পিকআপ, ২৪টি পেলোডারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত রয়েছে। উত্তর সিটি করপোরেশন ধারণা করছে, কোরবানির পর প্রায় ২০ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হবে। এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিতরণ করা হয়েছে সাড়ে ১২ লাখ পলিব্যাগ, আড়াই হাজার বস্তা ব্লিচিং ও চার হাজার ক্যান স্যাভলন। এছাড়া, পরিবেশসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে আমিন বাজারে দুটি পরিখা খনন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর +৮৮০২৫৫০৫২০৮৪ ও ১৬১০৬ চালু রয়েছে নাগরিক সহায়তার জন্য।

এদিকে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে নাগরিকদের প্রতি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যত্রতত্র পশু জবাই ও বর্জ্য ফেলা পরিবেশ দূষণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও জনদুর্ভোগ তৈরি করতে পারে বলে জানিয়ে, ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ ব্যবহার, নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলা ও মাটিচাপা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এছাড়া, মাংস বিতরণ ও বর্জ্য অপসারণে প্লাস্টিকের পরিবর্তে বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে।

সকলের সম্মিলিত সচেতনতাই পারে এই উৎসবের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ রাখতে—এটাই প্রশাসনের প্রত্যাশা।

Header Ad
Header Ad

ঈদের দিন বন্ধ মেট্রোরেল, কাল থেকে ফের চলবে

ছবি: সংগৃহীত

আজ শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ডিএমটিসিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের দিন মেট্রোরেল চলবে না, তবে ঈদের পরদিন রোববার (৮ জুন) সকাল ৮টা থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে ৩০ মিনিট অন্তর অন্তর। এরপর সোমবার (৯ জুন) থেকে মেট্রোরেল চলবে সরকারি ছুটির দিনের সময়সূচি অনুযায়ী।

মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ও পুনরায় চালুর এই সিদ্ধান্ত আগে থেকেই যাত্রীদের অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদ উপলক্ষে অনেকেই রাজধানী ছেড়েছেন ঠিকই, তবে যারা ঢাকায় আছেন, তাদের চলাচলের সুবিধার্থে ঈদের পরদিন থেকেই আংশিকভাবে মেট্রোরেল চালু রাখা হচ্ছে।

এদিকে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে টানা ১০ দিনের সরকারি ছুটি। এই ছুটি কার্যকর হয়েছে সচিবালয়সহ দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত এবং অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। উল্লেখ্য, ঈদুল ফিতরে ৯ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল, তবে কোরবানির ঈদে তা বেড়ে হয়েছে ১০ দিন, যা কর্মজীবীদের জন্য দীর্ঘ বিশ্রামের সুযোগ তৈরি করেছে।

Header Ad
Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শনিবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেনাপ্রধানের স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কিছু সময় অতিবাহিত করেন বলে জানা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি লিখেন, 'ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও তার স্ত্রী।'

উল্লেখ্য, একই দিনে দুপুরে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসানও তার স্ত্রীসহ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ঈদ উপলক্ষে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের এই সাক্ষাৎ ছিল রাষ্ট্রীয় সৌজন্যের অংশ হিসেবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নগরজুড়ে কোরবানির পশু জবাই, পরিচ্ছন্নতায় প্রস্তুত ২০ হাজারের বেশি কর্মী
ঈদের দিন বন্ধ মেট্রোরেল, কাল থেকে ফের চলবে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ
কাশ্মীর হামলায় ভারতকে সমর্থন চীন-ইরানের, পাকিস্তানের ওপর বাড়ছে কূটনৈতিক চাপ
দেশকে গণতান্ত্রিক ধারা থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে: ইশরাক হোসেন
লা লিগার সেরা রাফিনিয়া, অনূর্ধ্ব-২৩ বিভাগে ইয়ামাল
ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে জাতির জন্য ভালো হবে: মির্জা ফখরুল
ঈদের দিনেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা, ঝরল ৪২ প্রাণ
ঈদের ছুটিতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড়, খালি নেই হোটেল-রিসোর্ট
ইলন মাস্কের সঙ্গে ঝগড়া, নিজের টেসলা গাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার ৫ জামাত অনুষ্ঠিত
ঈদগাহে যাওয়ার পথে বাসচাপায় প্রাণ গেল বাবা-ছেলের
শাহবাগে ঈদের নামাজ পড়লেন হামজা-জামাল ও ফাহমেদুলরা
ঈদের আগের দিন সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ, আহত অন্তত ৬০
ঈদের নামাজ শেষে দেশের মঙ্গলে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
সারাদেশে সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ নম্বর
বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত, মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা
জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত
ত্যাগের মহিমার পবিত্র ঈদুল আজহা আজ
নিজের প্রেমিককে দিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করান বিজেপি নেত্রী!