শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

স্থানীয় উন্নয়নে এমপির ভূমিকা

ব্রিটেন এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি তুলনামূলক আলোচনা

আমার বর্তমানে চলমান গবেষণা প্রকল্পের লক্ষ্য যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা অন্বেষণ করা। সাংবিধানিকভাবে আমাদের দেশে সাংসদদের উপর অর্পিত বাধ্যতামূলক উপদেষ্টার ভূমিকা এবং এর ফলাফল সম্পর্কে আমি বিশেষভাবে আগ্রহী। নতুন আঙ্গিকে ব্যাখ্যার লক্ষ্যে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে থাকাকালীন স্থানীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় ব্রিটিশ এমপিদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করতে শুরু করি। এই প্রক্রিয়ায় হাউস অব কমন্সের সদস্যরা কীভাবে তাদের নির্বাচনী এলাকার জনগণের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে তাও আমি প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম হয়েছি ।

আমি কেমব্রিজ এমপি মি. ড্যানিয়েল জেইচনারের ডেডিকেটেড ওয়েবসাইট থেকে জানতে পেরেছি যে তিনি ‘সার্জারি’ নামে নিয়মিত সেশন করেন, যেখানে তিনি তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের সাথে সমস্যার বিষয়ে কথা বলার জন্য দেখা করেন। এই বিষয়টি সত্যিই আমার মধ্যে কৌতূহল তৈরি করে এবং আমি কেমব্রিজ এমপির সাথে কথা বলার জন্য একটি সাক্ষাত্কার আয়োজন করি। ইউনাইটেড কিংডমের বেশির ভাগ সাংসদ তাদের ভোটারদের সাথে নিয়মিত এই ‘সার্জারি’ বৈঠক করেন। এটি সম্পূর্ণরূপে স্বেচ্ছাসেবী, তাই এমপিরা যতবার খুশি তাদের নির্বাচনী এলাকার মানুষের সাথে মিথস্ক্রিয়া পরিচালনা করতে পারেন। সাধারণত শুক্রবার বা সপ্তাহান্তে এমপিরা ওয়েস্টমিনস্টার থেকে ফিরে আসার পর এটি অনুষ্ঠিত হয়।

একজন স্থানীয় এমপির সার্জারির সময় সম্পর্কে জানার সর্বোত্তম উপায় হল তার ওয়েবসাইটে দেখা বা নির্বাচনী অফিসে কল করা। সার্জারির বিবরণ স্থানীয় সংবাদপত্র বা পাবলিক লাইব্রেরিতেও প্রকাশিত হতে পারে। তবে যে কেউএমপির অফিসে কল করতে পারে এবং সার্জারি সেশনের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারে। মি. জিচনার সাধারণত সপ্তাহে একবার সার্জারি সেশন করেন এবং স্থানীয়ভাবে ও অনলাইনে তার জন্য বিজ্ঞাপন দেন। বর্তমানে এমপি হওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। কেননা সার্জারি সেশনের মাধ্যমে তারা তাদের ভোটারদের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হন।

উন্নয়ন পরিকল্পনায় যুক্তরাজ্যের এমপিদের কোন আনুষ্ঠানিক ভূমিকা নেই। ভোটাররা প্রায়ই বিভিন্ন বিষয়ে এমপিদের কাছে লেখেন, কিন্তু একজন এমপি কী করতে পারেন সে সম্পর্কে তাদের অবাস্তব প্রত্যাশা করা উচিত নয়। যারা সিদ্ধান্ত নেন যেমন, পরিকল্পনা কর্মকর্তা, কাউন্সিলর, পরিকল্পনা পরিদর্শক এবং পরিকল্পনা মন্ত্রী-তাদেরকে কঠোর পদ্ধতিগত নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। এই নিয়মগুলির কারণেই আনুষ্ঠানিক পদ্ধতির বাইরে কারও সাথে অনানুষ্ঠানিক, ব্যক্তিগত আলোচনা দ্বারাসিদ্ধান্তগুলিকে প্রভাবিত করা যায় না ।

কখনও কখনও সাংসদরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের ভোটারদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে সহায়তা করেন। একইভাবে, তিনি যে নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন, তার পক্ষে পরিকল্পনা কমিটির সাথে কথা বলার জন্য তিনি তার নামও প্রস্তাব করতে পারেন। মি. জেইচনার বিশ্বাস করেন যে, কোন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। নির্বাচনী এলাকার দাবির ভিত্তিতে পরিকল্পনা কমিটির সঙ্গে কথা বলার জন্য তিনি তার নাম দেয়ারচেষ্টা করেন, তার প্রভাব এটুকুই। এটি যুক্তরাজ্যের বিকেন্দ্রীকৃত এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলির সৌন্দর্য।

বাংলাদেশে, এমপিরা তাদের উপদেষ্টা ভূমিকার সীমানা অতিক্রম করা এবং উন্নয়ন পরিকল্পনায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করার কারণে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অনেকাংশে অকার্যকর। আমাদের দেশে সংসদ সদস্যের তিনটি প্রাথমিক দায়িত্ব রয়েছে: রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব, সামাজিক বৈচিত্র্যের প্রতিনিধিত্ব এবং নির্বাচনী প্রতিনিধিত্ব। তবে সাংবিধানিকভাবে স্থানীয় সরকার পরিচালনায় বাংলাদেশের সংসদ সদস্যরা শুধুমাত্র উপদেষ্টা ভূমিকা পালন করতে পারবেন। যদিও এটি কেন্দ্রীয় নেতা ও রাজনীতিবিদদের স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্পে জড়িত হতে বা তাদের নিজস্ব সুবিধার জন্য ব্যবহার করতে বাধা প্রদান করে না।

উপজেলা পরিষদ আইন ২০০৯ অনুসারে, স্থানীয় সরকার সংস্থার উপদেষ্টা হিসাবে একজন এমপির ভূমিকা বিতর্কিত হওয়া উচিত নয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ডকে উপেক্ষা এমনকি নিয়ন্ত্রণ করে সংসদ সদস্যদের ‘উপদেশ প্রায়ই ‘নির্বাহী আদেশে’ পরিণত হয়। গ্রামীণ বাংলাদেশে গণমুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেসাবে বিকেন্দ্রীকরণের পাশাপাশি এমপি, মাঠ প্রশাসক এবং স্থানীয়ভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে সম্পর্ক আরও স্বচ্ছ করা উচিত।

যদিও বিকেন্দ্রীকরণ গ্রামীণ বাংলাদেশে জনসমর্থক উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অনুঘটক, তবুও এমপি এবং মাঠ প্রশাসক এবং স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে সম্পর্ককে আরও বিশ্বস্ত করা উচিত। সংসদ সদস্যদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, তারা তাদের নির্বাচনী এলাকার জনগণের সাধারণ স্বার্থের কথা চিন্তা করা এবং জাতীয় পর্যায়ে তাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্যই নির্বাচিত হন। তারা জনগণকে শাসন করার জন্য নির্বাচিত হন না, এবং এটি তাদের কাজের অংশও নয়।

উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা হিসেবে, সংসদ সদস্যদের স্থানীয় সরকার সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রম দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করা উচিত যাতে তারা সংসদ কর্তৃক গৃহীত নীতি অনুসরণ করতে পারেন। কিন্তু স্থানীয় শাসনে তাদের হস্তক্ষেপের ফলে জনসম্পদ নিয়ন্ত্রণ, পক্ষপাতদুষ্ট বণ্টন, অসদাচরণ, স্বজনপ্রীতি এবং স্বার্থের দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেতে পারে। সর্বপরি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলি সঠিকভাবে কাজ করার জন্য সর্বোত্তম চর্চাগুলি গুরুত্বপূর্ণ। সংসদ সদস্যদের প্রক্রিয়াগত সঠিকতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক হওয়া উচিত কেননা তারা আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মশালবাহক।

উন্নয়নকে সত্যিকার অর্থে অর্থবহ করতে এমপিদেরকে অবশ্যই স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে একযোগে কাজ করতে হবে। সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক সংস্থা হিসেবে স্থানীয় সরকারের কার্যকারিতার জন্যশক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন। এমপি, স্থানীয় সরকার সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে সহযোগিতা বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় ন্যায়সঙ্গত উন্নয়ন নিশ্চিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

লেখক: ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিজিটিং স্কলার (অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ)। ইমেইল: t.islam@juniv.edu

 

Header Ad
Header Ad

পারভেজ হত্যার ঘটনায় সেই দুই নারী শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন দুই নারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে পূর্ব জুরাইনের একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ওই ২ শিক্ষার্থী হলেন- ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ফাতেমা তাহসিন ঐশী ও ইংরেজি বিভাগের ফারিয়া হক টিনা।

ডিবি জানায়, ওই দুই নারী শিক্ষার্থী জুরাইন আশরাফ মাস্টার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের হোল্ডিং একটি ভবনের ২য় তলায় ২ দিন আগে বাসা ভাড়া নেয়। এই তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির টিম অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

এর আগে পারভেজ হত্যার ঘটনায় দুই ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স। গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী খন্দকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে পারভেজ হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় ৩ নম্বর আসামি মো. মাহাথির হাসান আদালতে সেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ নিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আলোচিত এই মামলায় মোট দুই আসামি জবানবন্দি দিল। এর আগে দায় স্বিকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন আরেক আসামি আল কামাল শেখ।

Header Ad
Header Ad

আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আওয়ামী লীগ নই: রুমিন ফারহানা

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। ছবি: সংগৃহীত

নতুন রাজনৈতিক শক্তি মাঠে এলেও বিএনপির কোনো আপত্তি নেই উল্লেখ করে দলটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আওয়ামী লীগ নই। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে দিনাজপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির 'রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি' বিষয়ক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

রুমিন বলেন, “আমরা যখন দেখি কেউ রাজনীতি করতে চায়, স্বচ্ছ পথে সামনে আসতে চায়, তখন তাদের স্বাগত জানাই। বাংলাদেশে একসময় সব দল নিষিদ্ধ ছিল, কেউ ভিন্নমত প্রকাশ করতে পারত না। সেই অন্ধকার থেকে দেশকে বের করে এনেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।”

তিনি আরও বলেন, “দেশে যখন দুর্ভিক্ষ, দারিদ্র্য আর লজ্জা নিবারণের জন্য নারীকে জাল পরতে হতো, তখন বাংলাদেশকে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি। সেখান থেকে রেমিট্যান্স, কৃষি ও গার্মেন্টসে বিপ্লব ঘটিয়েছেন জিয়া। আর সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।”

বর্তমান সরকার ও অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনায় সরব হয়ে রুমিন বলেন, “যে সরকার সুপ্রিম কোর্টের একটি অর্ডারে ‘দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে নেওয়ার’ দায়িত্ব পেয়েছে, তারা কীভাবে রাষ্ট্রীয় সব সিদ্ধান্ত নেয়? এই সরকার অনির্বাচিত, জনভিত্তিহীন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও জানে, তাদের স্থায়িত্ব নেই।”

তিনি বলেন, “যদি দলীয় সরকার হতো, তাহলে তার কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত একটা জবাবদিহিতা থাকত। এই সরকারের ক্ষেত্রে সেটা নেই বলেই পুলিশও নিরুৎসাহিত।”

নির্বাচনের সময় ও অবস্থান নিয়ে সরকারের টালবাহানার সমালোচনা করে বলেন, “ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারি, জুন—কখন হবে নির্বাচন, কেউ জানে না। এটা প্রমাণ করে সরকার নিজের অবস্থান নিয়ে নিশ্চিত নয়।”

কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “আমাদের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবই। আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো, সেটা যেকোনো মূল্যে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল। আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, অধ্যাপক মোরশেদ হাসান, ডা. মওদুদ হোসেন পাভেল, সাত্তার পাটোয়ারী ও অ্যাডভোকেট শারমিন ফারহানা পুতুল প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে ঢুকে আটক বিএসএফ জওয়ান, দু’দেশের সীমান্তে ফের উত্তেজনা

পাকিস্তানে ঢুকে আটক বিএসএফ জওয়ান। ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে চাপে পড়েছে সম্পর্ক। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর এক জওয়ান পাকিস্তানি সেনাদের হাতে আটক হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার (২৩ এপ্রিল), ভারতের পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরের আন্তর্জাতিক সীমান্তে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, বিএসএফ-এর ১৮২ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল পিকে সিং ভুলবশত সীমান্ত পার হয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আটক করে পাকিস্তান রেঞ্জার্স।

জানা গেছে, সামরিক পোশাকে এবং রাইফেলসহ সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় তিনি স্থানীয় কৃষকদের সহায়তা করছিলেন। সে সময় অসাবধানতাবশত তিনি সীমান্তের ওপারে চলে যান।

তাকে ফিরিয়ে আনতে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্মকর্তারা। আলোচনার মাধ্যমে জওয়ানকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

এদিকে, জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এই হামলার জেরে ভারত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করলে, পাল্টা জবাব দেয় পাকিস্তান।

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আওতায় ভারতীয় বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ, ওয়াগাহ সীমান্তে চলাচল বন্ধ, দ্বিপাক্ষিক সব চুক্তি স্থগিত, এবং বিনা ভিসার সব সুবিধা বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি, ইসলামাবাদ থেকে পাঠানো এক কড়া ভাষার বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারত যদি সিন্ধু নদের পানির প্রবাহ ব্যাহত করে, তাহলে তা ‘যুদ্ধের উসকানি’ হিসেবে দেখা হবে এবং উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পারভেজ হত্যার ঘটনায় সেই দুই নারী শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আওয়ামী লীগ নই: রুমিন ফারহানা
পাকিস্তানে ঢুকে আটক বিএসএফ জওয়ান, দু’দেশের সীমান্তে ফের উত্তেজনা
টাঙ্গাইলে ফাঁকা গুলি ছু‌ড়ে ৭৮ লাখ টাকা ডাকাতি, গ্রেফতার ২
পাবনায় ইজিবাইক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ২ এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
পাকিস্তানের আকাশে ঢুকতে পারবে না ভারতীয় বিমান, নতুন চাপে মোদি
টানা ৫ দিন চুয়াডাঙ্গায় বইছে তাপপ্রবাহ, বিপর্যস্ত জনজীবন
বাংলাদেশ সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আমাদের নিয়ত পরিষ্কার, যা কমিটমেন্ট করেছি তা বাস্তবায়ন করবো: তারেক রহমান
টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিং: দেশের শীর্ষে বুয়েট ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়
অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. জাহাঙ্গীর কবির-তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ (ভিডিও)
তন্ময়সহ শেখ পরিবারের ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
চলতি বছরে দেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
৮ দিন পর মুক্তি পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী
পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত
৮ দিনের নোটিশে সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে তদন্ত ছাড়াই
ভেঙে গেল সামিরা খান মাহির ৪ বছরের প্রেম
বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়ে রাবিতে বিক্ষোভ
কাশ্মিরে উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা নিহত