মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

জেলা পরিষদকে কার্যকর করতে সবার অর্থবহ ভূমিকা প্রত্যাশিত

জেলা পরিষদ আইন-২০০০ এ জেলা পরিষদকে আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় অন্যান্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শ করে বার্ষিক ও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পাদনের ম্যান্ডেট দিয়েছে। বিকেন্দ্রীকরণ প্রায়ই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয় অংশগ্রহণের সাথে যুক্ত। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০১৭ সালে জেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পুনরায় জনগণের সেবাদানের সুযোগ লাভ করেন। মূলত, প্রকৃত বিবেচনায় ক্ষমতাসম্পন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি বিকেন্দ্রীকরণের ভিত্তি যা স্থানীয় দক্ষতা, সমতা এবং উন্নয়নের দিকে পরিচালিত করতে পারে। কার্যকর স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নাগরিকদের আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতিসমূহের বিকাশ ও বাস্তবায়ন করতে পারে, এবং এর ফলে সরকারি পরিষেবার মান উন্নত হয় এবং স্থানীয় উন্নয়ন প্রচার পায়। 

জেলা পরিষদের রাজস্ব সংগ্রহের ইচ্ছাধীনতা সীমিত, এবং এখানে জাতীয় সরকার থেকে আর্থিক স্থানান্তর করা হয়। বর্তমান স্থানীয় সরকার কাঠামোর অধীনে জেলা পরিষদগুলোর সীমিত রাজস্ব ক্ষমতা রয়েছে। আইন অনুযায়ী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান কেবল জাতীয় সরকার নির্ধারিত নির্দিষ্ট উৎস থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারে। বিকল্প রাজস্ব আদায়ের সুযোগ লাভের ক্ষেত্রে এটা অনুমোদিত নয়। এমনকি রাজস্ব আদায়ের সীমিত পরিসরের মধ্যেও জেলা পরিষদ বর্তমানে তার নির্ধারিত উৎস থেকে কার্যকরভাবে রাজস্ব আদায় করতে পারে না। উপরন্তু, জেলা পরিষদ বর্তমান আন্তঃসরকার আর্থিক স্থানান্তর ব্যবস্থার অধীনে তার প্রকৃত চাহিদার তুলনায় সীমিত তহবিল পেয়ে থাকে। এই অপর্যাপ্ত তহবিল জেলা পরিষদকে তার বাধ্যতামূলক কাজকর্ম সম্পাদনের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করে। পরিষেবা বিতরণে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে আরও নিরুৎসাহিত করে। বর্তমানে জেলা পরিষদ স্থানীয় সেবা প্রদানে কিছু ভূমিকা পালন করে এবং স্থানীয় প্রশাসনিক দপ্তরগুলোও এই পরিষেবা প্রদান করে।

জেলা পরিষদ এবং জেলা প্রশাসন অফিসের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব কার্যকর স্থানীয় সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত। কার্যকর সমন্বয়ের প্রধান অন্তরায় ফ্রন্টলাইন সার্ভিস ডেলিভারি ইউনিটের মধ্যেকার দূরত্ব যার মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয় এবং যেসব কর্মকর্তা স্থানীয় পরিষেবা প্রদানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রাখেন তারা প্রায়ই জাতীয় সরকারে বসে থাকেন। অতএব, জেলা পরিষদ স্তরে পরিষেবা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করার প্রয়োজন রয়েছে এবং এর মাধ্যমে সমন্বয়ের ব্যর্থতা হ্রাস ও স্থানীয় পরিষেবার উন্নতি করা সম্ভব।


বর্তমান স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় একটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে স্থানীয় নাগরিকদের অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সীমিত সুযোগ এবং দুর্বল জবাবদিহিতা। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায়, জেলা পরিষদের স্থায়ী কমিটিগুলো সচল নয়। স্থায়ী কমিটিগুলো প্রায় অকার্যকর, কারণ নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য সদস্যরা এগুলোর কার্যকারিতা ও এখতিয়ার সম্পর্কে সঠিকভাবে সচেতন ও আগ্রহী নন।


আমি এখানে জেলা পরিষদকে কার্যকর করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ তুলে ধরার চেষ্টা করছি। সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন চিহ্নিতকরণ এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তাদেরকে যুক্তকরণ; আলোচনা এবং সংলাপের মাধ্যমে স্থানীয়দের চাহিদা স্পষ্টকরণ এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা তৈরির লক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ জেলা পরিষদের বার্ষিক পরিকল্পনা প্রস্তুত করা। জেলা পরিষদের বিশেষ সভা আয়োজন এবং জেলা পরিষদ আইন ২০০০ অনুসারে প্রকল্প তালিকা অনুমোদন করা; ডেডলাইন অনুযায়ী ডিডিএলজি এবং এলজিডি বরাবর বার্ষিক পরিকল্পনা জমা দেয়া বার্ষিক পরিকল্পনায় স্থায়ী কমিটির পরামর্শ অন্তর্ভুক্ত করা। 


জেলা পরিষদকে কার্যকর করার জন্য স্থায়ী কমিটিগুলোকে সক্রিয় করা কমিটিগুলো সদস্যদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার সুযোগ তৈরি করা যা বিভিন্ন রাজনৈতিক মতামতের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির পূর্বশর্ত নাগরিক পরিষেবায় সহযোগিতা ও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মীমাংসায় পৌঁছতে কমিটিগুলোর সভা ফোরামের মতো ভূমিকা রাখে। জেলা পরিষদকে কার্যকর করার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করে প্রাথমিক বেসলাইন মূল্যায়ন পরিচালনা করা জ্ঞান এবং দক্ষতার ইতিবাচক রুপান্তরের লক্ষে NILG এর মতো প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা; নাগরিক সনদ প্রস্তুত ও উপস্থাপন; জেলা পরিষদের ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং সমস্ত উন্নয়ন ও আর্থিক নথি প্রকাশ করা।  


জেলা পরিষদ স্তরে পরিষেবা বিতরণে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা ও এর মাধ্যমে সমন্বয়ের ব্যর্থতা হ্রাস এবং স্থানীয় পরিষেবাসমূহকে উন্নত করা প্রয়োজন। এই স্তরে স্থানীয় জবাবদিহিতা এবং উন্নত কর্মক্ষমতা উভয়ের অগ্রগতিকে উৎসাহ দেয়া দরকার। দারিদ্র্যমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গড়ে তোলা আবশ্যক।  যেমন, স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে সংস্কার করা এখন সময়ের দাবি। 


স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে সংস্কার সাধনের লক্ষে মৌলিক নীতিমালার ক্ষেত্রে সম্মতিসুলভ বুঝাপড়া দরকার। এই নীতিমালা নাগরিকদের পছন্দসই পরিষেবা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সরকারকে কর্তব্যপরায়ণ থাকতে উৎসাহিত করে। উপরন্তু, সরকারকে তার আর্থিক সংস্থান সাবধানতার সাথে পরিচালনা করা উচিত। কম অর্থ ব্যয়ে ভালো কর্মদক্ষতা এবং সেই সাথে স্থানীয় সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ঝুঁকিগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নাগরিকদের আস্থা অর্জন করা উচিত। 


জনসেবার পরিমাণগত ও গুণগত উন্নতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে কোনও বিড়ম্বনা ছাড়াই সেসব সেবা-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া উচিত। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো কর্মদক্ষতা দেখানো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানদণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। স্থানীয় সরকার অবশ্যই তার নাগরিকের প্রতি দায়বদ্ধ। তাদেরকে সততার সাথে জনস্বার্থ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া উচিত। নির্বাচনী সংস্কারের মধ্যে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় সরকারে সিটিজেন চার্টার/ নাগরিক সনদ ও সরকারি কর্মচারীদের প্রত্যাহারের ব্যবস্থার মতো আইনী ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে। 


উন্নয়ন কর্মসূচিকে আরও দরিদ্রবান্ধব করে তুলতে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ আরও প্রসারিত করতে এবং প্রয়োজন মাফিক সম্পদ কাজে লাগানোর লক্ষে আরও বিবর্তিত এবং কার্যকর স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যার ফলে বরাদ্দ সংক্রান্ত দক্ষতা বৃদ্ধি করা যায়। বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে জনসাধারণের উন্নয়ন নিশ্চিত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এবং এ সত্ত্বেও উন্নয়ন কর্মকান্ডে জনসাধারণের অংশগ্রহণ রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের কার্যকর হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারেনি। মানুষের মতামত শোনা এবং তাদের অংশগ্রহণের অধিকারকে সম্মান করার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা যায়। স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী না করলে এবং তাদেরকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে না দিলে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে না। দারিদ্র্যমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গঠন অপরিহার্য। ফলস্বরূপ, স্থানীয় সরকারে সংস্কার আনা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি। 


লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিজিটিং স্কলার (অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ)।

ই-মেইল: t.islam@juniv.edu 

Header Ad
Header Ad

এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!

ছবি: সংগৃহীত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে সোমবার রাতেও দু’দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলি হয়। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের মুক্তি দাবি করেছে প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।

পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডন-এর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এমনটি জানানো হয়।

সোমবার সিনেটে পিটিআইর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ জাতীয় সংকটময় পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় সম্মেলন (Multi-Party Conference) আহ্বান করা প্রয়োজন, যাতে দেশের রাজনৈতিক নেতারা একসঙ্গে বসে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই বৈঠকে ইমরান খানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তার জেল থেকে মুক্তিরও দাবি জানানো হয়।

পিটিআইয়ের সিনেটর আলী জাফর বলেন, “রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে এখন দেশের স্বার্থে ঐক্য প্রয়োজন। ইমরান খানের উপস্থিতি বিশ্বকে দেখাবে— পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ।” তিনি আরও বলেন, ইমরান যদি অংশ নেন, তাহলে তা হবে শক্তিশালী কূটনৈতিক বার্তা।

পিটিআই নেতা শিবলি ফারাজ আরও একধাপ এগিয়ে ইমরান খানকে টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার দাবি, ইমরান টিভির মাধ্যমে জনগণকে মিনার-ই-পাকিস্তানে জমায়েত হওয়ার এবং ওয়াগা সীমান্তে পদযাত্রা করার ডাক দিলে এক কোটির বেশি মানুষ সাড়া দেবে।

তার ভাষায়, “শুধু জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি ভারতকে যথাযথ বার্তা দিতে পারেন।”

ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) বা পিএমএল-এন–এর সিনেটর ইরফানুল হক সিদ্দিকী ভারতের প্রতি কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “পেহেলগামের হামলা আসলে একটি ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন— যা ভারতের নিজস্ব সংস্থারই পরিকল্পিত, পাকিস্তানকে হেয় করার উদ্দেশ্যে।”

তিনি বলেন, পাকিস্তান বরাবরই সন্ত্রাসবাদের শিকার, বরং ভারত এখন নাৎসি চিন্তাধারায় বিশ্বাসী সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলছে, তারাই বরং দীর্ঘদিন ধরে চরমপন্থী হামলার শিকার। দুই দেশের মধ্যে এই উত্তেজনা বিশ্ব রাজনীতিতেও উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি যুদ্ধাবস্থার দিকে গড়াতে পারে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

প্রকল্প বাস্তবায়ন না করেই বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে টাঙ্গাইল এলজিইডিতে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অভিযানে তারা বিভিন্ন প্রকল্পের নামে আসা বরাদ্দকৃতের অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতির প্রাথমিত প্রমাণ পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

প্রাথমিকভাবে অভিযোগের দুদক জানায়, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি, একাধিক প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন না করেই বিধিবহির্ভূতভাবে অগ্রিম বিল উত্তোলন, এলজিইডি'র তত্ত্বাবধানে গ্রাম-গঞ্জের রাস্তা এবং ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণকাজে নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহার ও কাজের গুণগতমান বজায় না রাখা এবং উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে এলজিইডির বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ কর্তৃক নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

টাঙ্গাইল দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নুর আলম জানান, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক টাঙ্গাইল এলজিইডিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সেগুলো সরেজমিনে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে যাচাই-বাছাই করব এবং পরে এ বিষয়গুলো কমিশনকে জানাবো।

তিনি আরও জানান, একদিনে জেলার সবগুলো উপজেলায় যাওয়া সম্ভব না। তাই পরবর্তীতে অন্যান্য উপজেলাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Header Ad
Header Ad

লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতার কারণে নতুন করে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেফিউজি রিলিফ অ্যান্ড রিপ্যাট্রিয়েশন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

তুরস্কভিত্তিক রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিজানুর রহমান জানান, ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে সম্প্রতি পাঠানো একটি চিঠিতে বাংলাদেশের প্রতি এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, “নতুন আসা রোহিঙ্গাদের অনেকেই কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকায় অস্থায়ী তাঁবু, স্কুল ও মসজিদে আশ্রয় নিয়েছে। এখন ইউএনএইচসিআর চায়, এদেরকে শরণার্থী শিবিরে স্থানান্তর করা হোক।”

গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, নতুন আসা এই রোহিঙ্গাদের পরিবার সংখ্যা প্রায় ২৯ হাজার ৬০৭টি, যার মধ্যে গত সপ্তাহেই ১ হাজার ৪৪৮টি পরিবার নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

কমিশনার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, “নতুন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে এখনো সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়নি। কারণ, বারবার নতুন শরণার্থী গ্রহণ করলে পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়বে।”

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে ‘আরাকান আর্মি’ রাখাইন রাজ্যের সীতওয়ে ব্যতীত অধিকাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এর ফলে রাখাইনে মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

২০১৭ সালের আগস্টে আরসা কর্তৃক পুলিশের ওপর হামলার জেরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়। তখন প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবিরে প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী বসতি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!
টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ
লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ
ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি খাইয়ে সেবা করল ডাকাতরা, পরে লুট
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে নানা প্রশ্ন : স্পষ্ট করলেন প্রেসসচিব
ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল