বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জেলা পরিষদকে কার্যকর করতে সবার অর্থবহ ভূমিকা প্রত্যাশিত

জেলা পরিষদ আইন-২০০০ এ জেলা পরিষদকে আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় অন্যান্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শ করে বার্ষিক ও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পাদনের ম্যান্ডেট দিয়েছে। বিকেন্দ্রীকরণ প্রায়ই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয় অংশগ্রহণের সাথে যুক্ত। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০১৭ সালে জেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পুনরায় জনগণের সেবাদানের সুযোগ লাভ করেন। মূলত, প্রকৃত বিবেচনায় ক্ষমতাসম্পন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি বিকেন্দ্রীকরণের ভিত্তি যা স্থানীয় দক্ষতা, সমতা এবং উন্নয়নের দিকে পরিচালিত করতে পারে। কার্যকর স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নাগরিকদের আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতিসমূহের বিকাশ ও বাস্তবায়ন করতে পারে, এবং এর ফলে সরকারি পরিষেবার মান উন্নত হয় এবং স্থানীয় উন্নয়ন প্রচার পায়। 

জেলা পরিষদের রাজস্ব সংগ্রহের ইচ্ছাধীনতা সীমিত, এবং এখানে জাতীয় সরকার থেকে আর্থিক স্থানান্তর করা হয়। বর্তমান স্থানীয় সরকার কাঠামোর অধীনে জেলা পরিষদগুলোর সীমিত রাজস্ব ক্ষমতা রয়েছে। আইন অনুযায়ী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান কেবল জাতীয় সরকার নির্ধারিত নির্দিষ্ট উৎস থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারে। বিকল্প রাজস্ব আদায়ের সুযোগ লাভের ক্ষেত্রে এটা অনুমোদিত নয়। এমনকি রাজস্ব আদায়ের সীমিত পরিসরের মধ্যেও জেলা পরিষদ বর্তমানে তার নির্ধারিত উৎস থেকে কার্যকরভাবে রাজস্ব আদায় করতে পারে না। উপরন্তু, জেলা পরিষদ বর্তমান আন্তঃসরকার আর্থিক স্থানান্তর ব্যবস্থার অধীনে তার প্রকৃত চাহিদার তুলনায় সীমিত তহবিল পেয়ে থাকে। এই অপর্যাপ্ত তহবিল জেলা পরিষদকে তার বাধ্যতামূলক কাজকর্ম সম্পাদনের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করে। পরিষেবা বিতরণে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে আরও নিরুৎসাহিত করে। বর্তমানে জেলা পরিষদ স্থানীয় সেবা প্রদানে কিছু ভূমিকা পালন করে এবং স্থানীয় প্রশাসনিক দপ্তরগুলোও এই পরিষেবা প্রদান করে।

জেলা পরিষদ এবং জেলা প্রশাসন অফিসের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব কার্যকর স্থানীয় সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত। কার্যকর সমন্বয়ের প্রধান অন্তরায় ফ্রন্টলাইন সার্ভিস ডেলিভারি ইউনিটের মধ্যেকার দূরত্ব যার মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয় এবং যেসব কর্মকর্তা স্থানীয় পরিষেবা প্রদানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রাখেন তারা প্রায়ই জাতীয় সরকারে বসে থাকেন। অতএব, জেলা পরিষদ স্তরে পরিষেবা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করার প্রয়োজন রয়েছে এবং এর মাধ্যমে সমন্বয়ের ব্যর্থতা হ্রাস ও স্থানীয় পরিষেবার উন্নতি করা সম্ভব।


বর্তমান স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় একটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে স্থানীয় নাগরিকদের অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সীমিত সুযোগ এবং দুর্বল জবাবদিহিতা। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায়, জেলা পরিষদের স্থায়ী কমিটিগুলো সচল নয়। স্থায়ী কমিটিগুলো প্রায় অকার্যকর, কারণ নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য সদস্যরা এগুলোর কার্যকারিতা ও এখতিয়ার সম্পর্কে সঠিকভাবে সচেতন ও আগ্রহী নন।


আমি এখানে জেলা পরিষদকে কার্যকর করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ তুলে ধরার চেষ্টা করছি। সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন চিহ্নিতকরণ এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তাদেরকে যুক্তকরণ; আলোচনা এবং সংলাপের মাধ্যমে স্থানীয়দের চাহিদা স্পষ্টকরণ এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা তৈরির লক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ জেলা পরিষদের বার্ষিক পরিকল্পনা প্রস্তুত করা। জেলা পরিষদের বিশেষ সভা আয়োজন এবং জেলা পরিষদ আইন ২০০০ অনুসারে প্রকল্প তালিকা অনুমোদন করা; ডেডলাইন অনুযায়ী ডিডিএলজি এবং এলজিডি বরাবর বার্ষিক পরিকল্পনা জমা দেয়া বার্ষিক পরিকল্পনায় স্থায়ী কমিটির পরামর্শ অন্তর্ভুক্ত করা। 


জেলা পরিষদকে কার্যকর করার জন্য স্থায়ী কমিটিগুলোকে সক্রিয় করা কমিটিগুলো সদস্যদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার সুযোগ তৈরি করা যা বিভিন্ন রাজনৈতিক মতামতের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির পূর্বশর্ত নাগরিক পরিষেবায় সহযোগিতা ও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মীমাংসায় পৌঁছতে কমিটিগুলোর সভা ফোরামের মতো ভূমিকা রাখে। জেলা পরিষদকে কার্যকর করার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করে প্রাথমিক বেসলাইন মূল্যায়ন পরিচালনা করা জ্ঞান এবং দক্ষতার ইতিবাচক রুপান্তরের লক্ষে NILG এর মতো প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা; নাগরিক সনদ প্রস্তুত ও উপস্থাপন; জেলা পরিষদের ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং সমস্ত উন্নয়ন ও আর্থিক নথি প্রকাশ করা।  


জেলা পরিষদ স্তরে পরিষেবা বিতরণে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা ও এর মাধ্যমে সমন্বয়ের ব্যর্থতা হ্রাস এবং স্থানীয় পরিষেবাসমূহকে উন্নত করা প্রয়োজন। এই স্তরে স্থানীয় জবাবদিহিতা এবং উন্নত কর্মক্ষমতা উভয়ের অগ্রগতিকে উৎসাহ দেয়া দরকার। দারিদ্র্যমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গড়ে তোলা আবশ্যক।  যেমন, স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে সংস্কার করা এখন সময়ের দাবি। 


স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে সংস্কার সাধনের লক্ষে মৌলিক নীতিমালার ক্ষেত্রে সম্মতিসুলভ বুঝাপড়া দরকার। এই নীতিমালা নাগরিকদের পছন্দসই পরিষেবা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সরকারকে কর্তব্যপরায়ণ থাকতে উৎসাহিত করে। উপরন্তু, সরকারকে তার আর্থিক সংস্থান সাবধানতার সাথে পরিচালনা করা উচিত। কম অর্থ ব্যয়ে ভালো কর্মদক্ষতা এবং সেই সাথে স্থানীয় সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ঝুঁকিগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নাগরিকদের আস্থা অর্জন করা উচিত। 


জনসেবার পরিমাণগত ও গুণগত উন্নতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে কোনও বিড়ম্বনা ছাড়াই সেসব সেবা-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া উচিত। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো কর্মদক্ষতা দেখানো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানদণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। স্থানীয় সরকার অবশ্যই তার নাগরিকের প্রতি দায়বদ্ধ। তাদেরকে সততার সাথে জনস্বার্থ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া উচিত। নির্বাচনী সংস্কারের মধ্যে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় সরকারে সিটিজেন চার্টার/ নাগরিক সনদ ও সরকারি কর্মচারীদের প্রত্যাহারের ব্যবস্থার মতো আইনী ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে। 


উন্নয়ন কর্মসূচিকে আরও দরিদ্রবান্ধব করে তুলতে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ আরও প্রসারিত করতে এবং প্রয়োজন মাফিক সম্পদ কাজে লাগানোর লক্ষে আরও বিবর্তিত এবং কার্যকর স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যার ফলে বরাদ্দ সংক্রান্ত দক্ষতা বৃদ্ধি করা যায়। বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে জনসাধারণের উন্নয়ন নিশ্চিত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এবং এ সত্ত্বেও উন্নয়ন কর্মকান্ডে জনসাধারণের অংশগ্রহণ রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের কার্যকর হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারেনি। মানুষের মতামত শোনা এবং তাদের অংশগ্রহণের অধিকারকে সম্মান করার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা যায়। স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী না করলে এবং তাদেরকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে না দিলে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে না। দারিদ্র্যমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গঠন অপরিহার্য। ফলস্বরূপ, স্থানীয় সরকারে সংস্কার আনা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি। 


লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিজিটিং স্কলার (অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ)।

ই-মেইল: t.islam@juniv.edu 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত