বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

জেলা পরিষদকে কার্যকর করতে সবার অর্থবহ ভূমিকা প্রত্যাশিত

জেলা পরিষদ আইন-২০০০ এ জেলা পরিষদকে আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় অন্যান্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শ করে বার্ষিক ও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পাদনের ম্যান্ডেট দিয়েছে। বিকেন্দ্রীকরণ প্রায়ই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয় অংশগ্রহণের সাথে যুক্ত। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০১৭ সালে জেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পুনরায় জনগণের সেবাদানের সুযোগ লাভ করেন। মূলত, প্রকৃত বিবেচনায় ক্ষমতাসম্পন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি বিকেন্দ্রীকরণের ভিত্তি যা স্থানীয় দক্ষতা, সমতা এবং উন্নয়নের দিকে পরিচালিত করতে পারে। কার্যকর স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নাগরিকদের আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতিসমূহের বিকাশ ও বাস্তবায়ন করতে পারে, এবং এর ফলে সরকারি পরিষেবার মান উন্নত হয় এবং স্থানীয় উন্নয়ন প্রচার পায়। 

জেলা পরিষদের রাজস্ব সংগ্রহের ইচ্ছাধীনতা সীমিত, এবং এখানে জাতীয় সরকার থেকে আর্থিক স্থানান্তর করা হয়। বর্তমান স্থানীয় সরকার কাঠামোর অধীনে জেলা পরিষদগুলোর সীমিত রাজস্ব ক্ষমতা রয়েছে। আইন অনুযায়ী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান কেবল জাতীয় সরকার নির্ধারিত নির্দিষ্ট উৎস থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারে। বিকল্প রাজস্ব আদায়ের সুযোগ লাভের ক্ষেত্রে এটা অনুমোদিত নয়। এমনকি রাজস্ব আদায়ের সীমিত পরিসরের মধ্যেও জেলা পরিষদ বর্তমানে তার নির্ধারিত উৎস থেকে কার্যকরভাবে রাজস্ব আদায় করতে পারে না। উপরন্তু, জেলা পরিষদ বর্তমান আন্তঃসরকার আর্থিক স্থানান্তর ব্যবস্থার অধীনে তার প্রকৃত চাহিদার তুলনায় সীমিত তহবিল পেয়ে থাকে। এই অপর্যাপ্ত তহবিল জেলা পরিষদকে তার বাধ্যতামূলক কাজকর্ম সম্পাদনের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করে। পরিষেবা বিতরণে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে আরও নিরুৎসাহিত করে। বর্তমানে জেলা পরিষদ স্থানীয় সেবা প্রদানে কিছু ভূমিকা পালন করে এবং স্থানীয় প্রশাসনিক দপ্তরগুলোও এই পরিষেবা প্রদান করে।

জেলা পরিষদ এবং জেলা প্রশাসন অফিসের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব কার্যকর স্থানীয় সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত। কার্যকর সমন্বয়ের প্রধান অন্তরায় ফ্রন্টলাইন সার্ভিস ডেলিভারি ইউনিটের মধ্যেকার দূরত্ব যার মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয় এবং যেসব কর্মকর্তা স্থানীয় পরিষেবা প্রদানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রাখেন তারা প্রায়ই জাতীয় সরকারে বসে থাকেন। অতএব, জেলা পরিষদ স্তরে পরিষেবা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করার প্রয়োজন রয়েছে এবং এর মাধ্যমে সমন্বয়ের ব্যর্থতা হ্রাস ও স্থানীয় পরিষেবার উন্নতি করা সম্ভব।


বর্তমান স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় একটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে স্থানীয় নাগরিকদের অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সীমিত সুযোগ এবং দুর্বল জবাবদিহিতা। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায়, জেলা পরিষদের স্থায়ী কমিটিগুলো সচল নয়। স্থায়ী কমিটিগুলো প্রায় অকার্যকর, কারণ নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য সদস্যরা এগুলোর কার্যকারিতা ও এখতিয়ার সম্পর্কে সঠিকভাবে সচেতন ও আগ্রহী নন।


আমি এখানে জেলা পরিষদকে কার্যকর করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ তুলে ধরার চেষ্টা করছি। সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন চিহ্নিতকরণ এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তাদেরকে যুক্তকরণ; আলোচনা এবং সংলাপের মাধ্যমে স্থানীয়দের চাহিদা স্পষ্টকরণ এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা তৈরির লক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ জেলা পরিষদের বার্ষিক পরিকল্পনা প্রস্তুত করা। জেলা পরিষদের বিশেষ সভা আয়োজন এবং জেলা পরিষদ আইন ২০০০ অনুসারে প্রকল্প তালিকা অনুমোদন করা; ডেডলাইন অনুযায়ী ডিডিএলজি এবং এলজিডি বরাবর বার্ষিক পরিকল্পনা জমা দেয়া বার্ষিক পরিকল্পনায় স্থায়ী কমিটির পরামর্শ অন্তর্ভুক্ত করা। 


জেলা পরিষদকে কার্যকর করার জন্য স্থায়ী কমিটিগুলোকে সক্রিয় করা কমিটিগুলো সদস্যদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার সুযোগ তৈরি করা যা বিভিন্ন রাজনৈতিক মতামতের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির পূর্বশর্ত নাগরিক পরিষেবায় সহযোগিতা ও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মীমাংসায় পৌঁছতে কমিটিগুলোর সভা ফোরামের মতো ভূমিকা রাখে। জেলা পরিষদকে কার্যকর করার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করে প্রাথমিক বেসলাইন মূল্যায়ন পরিচালনা করা জ্ঞান এবং দক্ষতার ইতিবাচক রুপান্তরের লক্ষে NILG এর মতো প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা; নাগরিক সনদ প্রস্তুত ও উপস্থাপন; জেলা পরিষদের ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং সমস্ত উন্নয়ন ও আর্থিক নথি প্রকাশ করা।  


জেলা পরিষদ স্তরে পরিষেবা বিতরণে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা ও এর মাধ্যমে সমন্বয়ের ব্যর্থতা হ্রাস এবং স্থানীয় পরিষেবাসমূহকে উন্নত করা প্রয়োজন। এই স্তরে স্থানীয় জবাবদিহিতা এবং উন্নত কর্মক্ষমতা উভয়ের অগ্রগতিকে উৎসাহ দেয়া দরকার। দারিদ্র্যমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গড়ে তোলা আবশ্যক।  যেমন, স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে সংস্কার করা এখন সময়ের দাবি। 


স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে সংস্কার সাধনের লক্ষে মৌলিক নীতিমালার ক্ষেত্রে সম্মতিসুলভ বুঝাপড়া দরকার। এই নীতিমালা নাগরিকদের পছন্দসই পরিষেবা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সরকারকে কর্তব্যপরায়ণ থাকতে উৎসাহিত করে। উপরন্তু, সরকারকে তার আর্থিক সংস্থান সাবধানতার সাথে পরিচালনা করা উচিত। কম অর্থ ব্যয়ে ভালো কর্মদক্ষতা এবং সেই সাথে স্থানীয় সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ঝুঁকিগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নাগরিকদের আস্থা অর্জন করা উচিত। 


জনসেবার পরিমাণগত ও গুণগত উন্নতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে কোনও বিড়ম্বনা ছাড়াই সেসব সেবা-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া উচিত। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো কর্মদক্ষতা দেখানো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানদণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। স্থানীয় সরকার অবশ্যই তার নাগরিকের প্রতি দায়বদ্ধ। তাদেরকে সততার সাথে জনস্বার্থ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া উচিত। নির্বাচনী সংস্কারের মধ্যে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় সরকারে সিটিজেন চার্টার/ নাগরিক সনদ ও সরকারি কর্মচারীদের প্রত্যাহারের ব্যবস্থার মতো আইনী ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে। 


উন্নয়ন কর্মসূচিকে আরও দরিদ্রবান্ধব করে তুলতে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ আরও প্রসারিত করতে এবং প্রয়োজন মাফিক সম্পদ কাজে লাগানোর লক্ষে আরও বিবর্তিত এবং কার্যকর স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যার ফলে বরাদ্দ সংক্রান্ত দক্ষতা বৃদ্ধি করা যায়। বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে জনসাধারণের উন্নয়ন নিশ্চিত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এবং এ সত্ত্বেও উন্নয়ন কর্মকান্ডে জনসাধারণের অংশগ্রহণ রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের কার্যকর হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারেনি। মানুষের মতামত শোনা এবং তাদের অংশগ্রহণের অধিকারকে সম্মান করার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা যায়। স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী না করলে এবং তাদেরকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে না দিলে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে না। দারিদ্র্যমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গঠন অপরিহার্য। ফলস্বরূপ, স্থানীয় সরকারে সংস্কার আনা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি। 


লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিজিটিং স্কলার (অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ)।

ই-মেইল: t.islam@juniv.edu 

Header Ad
Header Ad

বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’

উপস্থাপক হানিফ সংকেত। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র ঈদের বিশেষ পর্ব আজ (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর প্রচারিত হবে। হানিফ সংকেতের রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় নির্মিত এই বিশেষ পর্বে থাকছে বর্ণাঢ্য আয়োজন। বরাবরের মতোই অনুষ্ঠানের শুরু হবে কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী গান ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে।

এবারের ‘ইত্যাদি’তে থাকছে দেশাত্মবোধক গান, যেখানে কিংবদন্তি শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী ও সাবিনা ইয়াসমিনের গাওয়া গানের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন আরও ১০ জন তরুণ শিল্পী। সংগীত পরিবেশনায় থাকছেন হাবিব ওয়াহিদ ও প্রীতম হাসান। এ ছাড়া সিয়াম আহমেদ ও জান্নাতুল সুমাইয়া হিমিও গানে অংশ নিয়েছেন। বিশেষ নৃত্য পরিবেশন করবেন জনপ্রিয় চার অভিনেত্রী সাফা কবির, সাদিয়া আয়মান, সামিরা খান মাহি ও পারসা ইভানা।

এবারের ‘ইত্যাদি’তে তিন জনপ্রিয় তারকা দম্পতি—শহীদুজ্জামান সেলিম ও রোজী সিদ্দিকী, এফ এস নাঈম ও নাদিয়া আহমেদ, ইন্তেখাব দিনার ও বিজরী বরকতউল্লাহ গানে গানে অনলাইন কেনাকাটার মজার অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন। মধ্যবিত্তের অর্থনৈতিক টানাপোড়েন নিয়ে নির্মিত মিউজিকাল ড্রামাতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, মোমেনা চৌধুরী, আনোয়ার শাহী ও র‍্যাপ শিল্পী মাহমুদুল হাসান।

বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে তৌসিফ মাহবুব ও শবনম বুবলির নৃত্য পরিবেশনা। পাশাপাশি, ‘গুজব’ নামের ছোট নাটিকায় বিদেশি অভিনয়শিল্পীদের অংশগ্রহণ দর্শকদের জন্য বাড়তি চমক হয়ে আসবে। এছাড়াও নিয়মিত চরিত্র নাতি ও কাশেম টিভির রিপোর্টার, সামাজিক অসঙ্গতি ও সমসাময়িক ঘটনাও উঠে আসবে ‘ইত্যাদি’র বিশেষ পর্বে।

অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছে ফাগুন অডিও ভিশন এবং রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় রয়েছেন হানিফ সংকেত। ঈদের আমেজে ভরা ‘ইত্যাদি’র এই বিশেষ পর্ব দর্শকদের জন্য চমক ও বিনোদনে ভরপুর হতে যাচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

প্রতিদিন যানজটে নাকাল রাজধানীবাসীর জন্য ঈদের ছুটিতে ঢাকা যেন এক অন্য রকম শহর। কর্মব্যস্ত এই নগরী এখন শান্ত, ফাঁকা ও যানজটমুক্ত। যারা ঈদে ঢাকায় রয়ে গেছেন, তারা উপভোগ করছেন এক ভিন্ন পরিবেশ।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ ছিল কম। অলস দুপুরে ফাঁকা রাস্তায় হালকা বাতাসে খেলা করছিল রোদের ছায়া। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু এলাকায় মানুষের চলাচল বাড়তে দেখা গেছে।

ঈদে যারা ঢাকায় থেকে গেছেন, তারা অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়িয়েছেন বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে। মিরপুর চিড়িয়াখানা, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, জিয়া উদ্যান, শ্যামলী ওয়ান্ডারল্যান্ডসহ বিভিন্ন পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রাকিব হাসান জানান, "ঈদের ছুটিতে ঢাকার ফাঁকা রাস্তাগুলোতে ঘুরে বেড়ানোর দারুণ সুযোগ পাওয়া যায়। গতকাল বন্ধুদের সঙ্গে বাইকে পুরো শহরটা ঘুরেছি, দারুণ লেগেছে।"

তবে, কর্মজীবীদের জন্য এই ফাঁকা ঢাকা যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস। ব্যাংক কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, "সারা বছর এই যানজট নিয়ে অফিস করতে হয়। কিন্তু ঈদের ছুটিতে ঢাকাকে অন্য রকম মনে হয়। যদি সারা বছর এমন থাকত, তাহলে জীবন আরও সহজ হতো।"

যাত্রী কম থাকায় আয় কমে গেছে রিকশাচালকদের। সায়েন্সল্যাবে অপেক্ষমাণ রিকশাচালক মোহাম্মদ আরিফ জানান, "যাত্রী নেই বললেই চলে। আয় কমেছে, তবে ভালো দিক হলো জ্যাম নেই, রিকশা চালানো সহজ লাগছে।"

অন্যদিকে, সদরঘাট থেকে গুলিস্তানে আসা চালক লোকমান বলেন, "গুলিস্তান ও বাবুবাজার এলাকায় কিছুটা যানজট পেয়েছি, তবে বাকি রাস্তা ফাঁকা ছিল।"

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, ঈদের ছুটিতে বাসাবাড়ি ও অফিস-আদালত ফাঁকা থাকায় অপরাধ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক জানান, "সাইবার মনিটরিংসহ গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নাশকতার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।"

সরকারি চাকরিজীবীরা এবারের ঈদে টানা ৯ দিনের ছুটি উপভোগ করছেন। আগামী ৬ এপ্রিল থেকে অফিস-আদালত খুলবে। তবে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এর আগেই খুলবে, ফলে ধীরে ধীরে রাজধানী আবার কর্মচঞ্চল হয়ে উঠবে।

Header Ad
Header Ad

মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২

ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরে পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়ের সংলগ্ন সাহেববাজার সড়কে বিপরীতমুখী তিনটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে চার যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, নাওডোবা গোলচত্বর থেকে সাহেববাজার সড়কে তিনটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। গুরুতর আহত চারজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ জানান, দুর্ঘটনাটি জাজিরা থানার অন্তর্ভুক্ত হলেও এটি শিবচরের সীমানা সংলগ্ন। তিনি বলেন, "ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়েছেন। আহত চারজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও দুই যুবক।"

এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে এবং নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২
থানায় জিডি করলেন ভোক্তা অধিকারের জব্বার মন্ডল
রাশিয়া আমাদের চিরকালের বন্ধু, কখনো শত্রু নয়: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান খালেদা জিয়ার
দ্বিতীয় দফায় মিয়ানমারে ত্রাণ সহায়তা পাঠালো বাংলাদেশ
ভারতে প্রশিক্ষণ প্লেন বিধ্বস্ত, পাইলট আহত
এপ্রিলে ঢাকায় আসছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল
জাপানে মেগা ভূমিকম্পের শঙ্কা, প্রাণহানি হতে পারে ৩ লাখ
জুলাই কন্যাদের সম্মানজনক পুরস্কার নিয়ে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র
দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
শান্তিপূর্ণ ঈদ উদযাপনে সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াল
রাজধানীতে মেট্রোরেল ও সারা দেশে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু
যমুনা সেতু দিয়ে একসপ্তাহে ২ লাখ ৪৭ হাজার যানবাহন পারাপার, ১৭ কোটি টাকার টোল আদায়
ঈদের দিনে সড়কে মৃত্যুর মিছিল: ১০ জেলায় নিহত ২১
টঙ্গিবাড়ীতে ঈদের দিনে ১০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি, উপকৃত ৪২০ পরিবার
ঈদের দিনেও তাপপ্রবাহ অব্যাহত, এক বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১