৩২ কোটি টাকার তদবির বাণিজ্য নিয়ে যা বললেন সমন্বয়ক রাফি
খান তালাত মাহমুদ রাফিখান তালাত মাহমুদ রাফি। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফির বিরুদ্ধে ৩২ কোটি টাকার তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) দেশের একটি গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা দ্রুতই আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর, রাফি নিজে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে সরাসরি অবস্থান তুলে ধরেছেন।
আজ সন্ধ্যায় ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তায় তিনি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।
রাফি বলেন, "এ ধরনের অভিযোগে আমি অত্যন্ত হতাশ। আমি সবসময় আন্দোলনের মূল নীতির প্রতি বিশ্বস্ত ছিলাম এবং আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা নিছক একটি ষড়যন্ত্রের অংশ।"
ভিডিও বার্তায় রাফি আরও বলেন, প্রতিটি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত এবং ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত। তিনি এই ঘটনায় তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
এছাড়া, লাইভ ভিডিওর মন্তব্যের ঘরে রাফি ২৫ অক্টোবর তার একটি পুরানো ভিডিও বার্তার লিংক পিন করে দিয়েছেন, যেখানে তিনি কিছু আর্থিক লেনদেনের কথা উল্লেখ করেছেন। ওই ভিডিওতে কিছু বিকাশ লেনদেনের স্ক্রিনশটও যুক্ত করেছেন, যা অভিযোগকারীদের বক্তব্য খণ্ডন করে বলে তিনি দাবি করেছেন।
রাফি আরও উল্লেখ করেন, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ছিলেন, তবে এটি সঠিক নয়। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, "আমি কখনোই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ছিলাম না। বরং, শুরু থেকেই আমি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি এবং এখনো একই পদে বহাল আছি।"
রাফি তার অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, আন্দোলনের সাহসিকতা এবং নেতৃত্বের কারণে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হিসেবে তার অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে। তিনি আরো বলেন, "যারা এই মিথ্যা অভিযোগ তুলছে, তাদের উদ্দেশ্য কী? কেন তারা আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে, তা স্পষ্ট হওয়া উচিত।"
এদিকে, রাফির বিরুদ্ধে প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনটি পরে মুছে ফেলা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি তার মানহানির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং অভিযোগগুলো তুলে ধরার জন্য তাদের ভুল ধারণার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে।