মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ | ৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

মরা গরুর মাংস বিক্রি করতে গিয়ে ধরা খেলেন ব্যবসায়ী, ঠাঁই হলো জেলে (ভিডিও)

মরা গরুর মাংস বিক্রি করতে গিয়ে ধরা খেলেন ব্যবসায়ী, ঠাঁই হলো জেলে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলে মারা যাওয়া গরুর মাংস বিক্রির দায়ে আনোয়ার হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইল পৌরসভার সুপারি বাগান ওয়ালটন মোড় বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ নাজমুল হাসান।

দণ্ডিত আনোয়ার হোসেন টাঙ্গাইল পৌরসভার ভাল্লুককান্দি এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, টাঙ্গাইল শহরের বেড়াডোমা এলাকার জনৈক বাছের মিয়ার একটি গরু গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মারা যায়। গরুর মালিক বাড়ির পাশেই মরা গরুটি ফেলে রাখেন। শহরের ভাল্লুককান্দি এলাকার লালচান খার ছেলে নুর খা এবং একই এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন মরা গরুটিকে সেখান সারা রাত পাহারা দেয়।

বুধবার ভোরে তারা মরা গরুটির চামড়া ছিলে রিকশাযোগে ওয়ালটন মোড় বাজারে নিয়ে দিলু মিয়ার মাংসের দোকানে বিক্রি করে। গোপনে খবর পেয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান রুমেল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হাতেনাতে নুর খা ও আনোয়ার হোসেনকে আটক করেন এবং দিলু দৌড়ে পালিয়ে যায়।

জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান রুমেল জানান, গোপনে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নুর খা ও আনোয়ার হোসেনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে উপস্থিত করা হয়। পরে বিচারক সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ নাজমুল হাসান ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আনোয়ার হোসেনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং নুর খা’র বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেন।

এ সময় টাঙ্গাইলের ভেটেনারি ডাক্তার মো. শাহিন আলম, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু জুবায়ের উজ্জ্বল, জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. নজরুল ইসলামসহ বিপুল সংখ্যক উৎসুক জনতা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় মদদ, জাবি উপাচার্যের পেনশন বাতিল

তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই আন্দোলন চলাকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মদদ দেওয়ার অভিযোগে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের পেনশন-সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও ৯ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

গতকাল সোমবার রাত ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকেরা হলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবির, অধ্যাপক ইসরাফিল আহমেদ রঙ্গন, সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী ইকবাল, অধ্যাপক বশির আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান, অধ্যাপক হোসনে আরা, অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার ও অধ্যাপক মো. তাজউদ্দিন সিকদার।

এদিকে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম এবং রেজিস্ট্রার আবু হাসান অবসরে চলে যাওয়ায় তাঁদের পেনশন-সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া হামলায় সংশ্লিষ্টতার মাত্রা নির্ধারণের জন্য আরও ১০ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই কর্মকর্তা নাহিদুর রহমান খান ও রাজীব চক্রবর্তী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের কর্মচারী মুহসিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

‘কবজি কাটা’ গ্রুপের সদস্য পানি রুবেল গ্রেপ্তার    

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

রাজধানীর আদাবরের মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং লিডার কবজি কাটা আনোয়ার এবং টুন্ডা বাবুর অন্যতম সহযোগী মো. রুবেল ওরফে পানি রুবেলকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ভোলা সদর থানার লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৮ ও র‍্যাব-২। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক এএসপি খান আসিফ তপু গণমাধ্যমকে বলেন, ভোলা জেলার সদর মডেল থানা এলাকা থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আদাবরের চিহ্নিত মাদক কারবারি, চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং লিডার পানি রুবেলকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৮।

গ্রেপ্তারকৃত রুবেল আদাবর থানার হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি। ওই মামলার এজাহার সূত্রের বরাত দিয়ে এএসপি খান আসিফ তপু বলেন, রাজধানীর আদাবর থানার শেখেরটেক এলাকায় দুই ছেলে সন্তানসহ ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন এক ভুক্তভোগী। বাদীর বড় ছেলে মো. রাসেল (৩০) একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাবুর্চির চাকরি করেন এবং ছোট ছেলে মো. বিজয় (২৫) দারোয়ানের চাকরি করেন। 

বিজয় আসামিদেরকে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য নিষেধ করলে আসামিরা ভিকটিমের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে আদাবর থানার শেখেরটেক এলাকায় একটি চায়ের দোকানের সামনে অবস্থানকালে বিজয়কে দেখতে পেয়ে আসামি মো. রুবেল ওরফে পানি রুবেলসহ এজাহারনামীয় আসামিরা ও অজ্ঞাতনামা আরও ৯/১০ জন মিলে ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও সামুরাই দিয়ে হত্যার উদ্দেশে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় বিজয়ের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এই ঘটনার পর বাদীর বড় ছেলে মো. রাসেল উক্ত ঘটনার বিষয়ে আসামি মো. রুবেল ওরফে পানি রুবেলকে জানালে আসামি তাকেও বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করেন এবং গত ১৯ তারিখ রাত দেড়টার দিকে রাসেল বাসায় ফেরার পথে আদাবর থানার শেখেরটেক বড় মসজিদের সামনে পৌঁছালে উক্ত আসামিরা ভিকটিম রাসেলকে হত্যার উদ্দেশে ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও সামুরাই দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ভিকটিম রাসেলকে শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম দুজনার মা বাদী হয়ে ৭ জন আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৯/১০ জন আসামিদের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

এই ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র‌্যাব এ বিষয়ে আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৮ এর একটি আভিযানিক দল পানি রুবেলকে ভোলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় আসেননি ফাহমিদুল, ফিরে গেছেন ইতালি  

ছবিঃ সংগৃহীত

হাভিয়ের কাবরেরাই খুঁজে বের করেছিলেন তাকে। দল ঘোষণার দিন ফাহমিদুল ইসলামকে নিয়ে আশার কথাও শুনিয়েছিলেন স্প্যানিশ এই কোচ। কিন্তু সৌদি আরবের ক্যাম্প শেষ করে দলের সঙ্গে ঢাকায় আসেননি ফাহমিদ। ফিরে গেছেন ইতালিতে।

আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ঢাকায় ফিরেছে বাংলাদেশ দল। সেই দলের সঙ্গে নেই ফাহমিদ। তার না থাকা নিয়ে ম্যানেজার আমের খান বলেছেন, ‘সে ইতালি ফিরে গেছে। আপাতত আর দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে না।’ এতেই বোঝা যাচ্ছে, কোচের মন জয় করতে পারেননি ১৮ বছরের এই তরুণ।

গত ১০ মার্চ সৌদির ক্যাম্পে যোগ দেন ফাহমিদ। দলের অনুশীলনে বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে তাকে। ফাহমিদের বেড়ে ওঠা ইতালিতে।

এখন তিনি খেলছেন ইতালির চতুর্থ স্তরের দল ওলবিয়া কালসিওতে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় মদদ, জাবি উপাচার্যের পেনশন বাতিল
‘কবজি কাটা’ গ্রুপের সদস্য পানি রুবেল গ্রেপ্তার    
ঢাকায় আসেননি ফাহমিদুল, ফিরে গেছেন ইতালি  
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির নির্দেশনা  
ইরানকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে : ডোনাল্ড ট্রাম্প  
দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান, কিছুক্ষণ পরেই যমুনা রেল সেতু উদ্বোধন  
চুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১৯ নেতা বহিষ্কার  
দুপুরের মধ্যে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে যেসব এলাকায়  
মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের বক্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই : প্রেস উইং  
ট্রাম্পের সাথে যোগসাজশ করে গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ২০০  
মেসিকে ছাড়াই দল ঘোষণা করল আর্জেন্টিনা, দেখুন স্কোয়াড
জানা গেল সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফির স্ত্রীর পরিচয়
এনডিটিভিতে তুলসী গ্যাবার্ডের সাক্ষাৎকার, বাংলাদেশ প্রশ্নে যা বললেন
বিএনপিকে ওয়ান ইলেভেনের মতো মিডিয়া ট্রায়ালের মুখোমুখি করা হচ্ছে : তারেক রহমান
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনে নীতিগত অনুমোদন
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ শক্তির বৃহৎ দল আসছে এপ্রিলে
ভারতীয় মিডিয়া বিশ্বব‍্যাপী বাংলাদেশের বদনাম ছড়াচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
২৯ মার্চ ভর দুপুরে নেমে আসবে অন্ধকার
৪২ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী পেলেন আগাম জামিন
রংপুরের বদরগঞ্জে বিএনপির অফিস ভাঙচুর করে আ.লীগের ইফতার