বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৩০ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ছাত্রফ্রন্টের শ্রোতাশূন্য সমাবেশে উচ্চ শব্দ, তোপের মুখে বন্ধ ২৬ মাইক

ছবি: সংগৃহীত

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে অতিরিক্ত শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থীরা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সমাবেশস্থলে এসে উচ্চ শব্দে আপত্তি জানান। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে আয়োজকরা ২৬টি মাইক বন্ধ করতে বাধ্য হন।

তবে, রাজু ভাস্কর্যে এখনো ছয়টি উচ্চ শব্দের সাউন্ডবক্স চালু রয়েছে।

সমাবেশ উপলক্ষে রাজু ভাস্কর্য থেকে ভিসি চত্বর, শহীদ মিনার ও শাহবাগ পর্যন্ত ২৬টি মাইকের মাধ্যমে অনুষ্ঠান পরিচালনা করছিল সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রীয় শাখা (বাসদ)। সংগঠনটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ বলেন, "শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা মাইক বন্ধ করে দিচ্ছি, তবে আমাদের অনুষ্ঠান চলমান থাকবে।"

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মাইকের উচ্চ শব্দে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে। বিশেষ করে গ্রন্থাগারে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা ও রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হলের আবাসিক ছাত্রীরা ক্ষুব্ধ হন।

ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, "সকালে লাইব্রেরিতে গিয়ে দেখি, মাইকের বিকট শব্দে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মনে হচ্ছিল, লাইব্রেরির ভেতরেই অনুষ্ঠান চলছে। এমন শব্দে লাইব্রেরির জানালাও কাঁপছিল। যেখানে অনেকের পরীক্ষা চলছে, সেখানে এটি মেনে নেওয়া যায় না।"

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান বলেন, "এভাবে উচ্চ শব্দে অনুষ্ঠান করার অনুমতি কীভাবে দেওয়া হয়, সেটাই ভাববার বিষয়। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রয়েছে এবং ক্লাস-পরীক্ষা চলছে, আয়োজকদের কি ন্যূনতম সংবেদনশীলতা নেই?"

এদিকে, রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিশাল জায়গা দখল করে সমাবেশ পরিচালনার ফলে টিএসসি এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে একটি অ্যাম্বুলেন্সও আটকে থাকতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তার স্টাফ হারুন ফোন রিসিভ করে জানান, "স্যার সিনেটের একটি মিটিংয়ে আছেন। তার মোবাইলটি এখন আমার কাছে রয়েছে।"

Header Ad
Header Ad

স্ট্যামফোর্ডে সাংবাদিকতা বিভাগের নবীনবরণ ‘অরুণোদয়’ উদযাপিত

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগে নবাগত শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত নবীনবরণ অনুষ্ঠান ‘অরুণোদয়’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘৮২, ৮৩ ও ৮৪ ব্যাচকে ৮০ এবং ৮১ ব্যাচের বরণ’। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে এই বর্ণাঢ্য আয়োজন সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন, গীতা পাঠ এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী আব্দুল মান্নান আনুষ্ঠানিকভাবে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল মতিন, বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সাবেক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এবারের নবীনবরণ অনুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘বই’। উদ্বোধনী পর্ব শেষে ৮০ ও ৮১ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে নবাগত ৮২, ৮৩ ও ৮৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন। এরপর বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীরা নাচ, গান, আবৃত্তি ও নাটিকা পরিবেশন করে দর্শকদের মুগ্ধ করেন।

সংক্ষিপ্ত বিরতির পর শুরু হয় ব্যান্ড শো। জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীরা গানের তালে তাল মিলিয়ে নাচতে ও গাইতে থাকেন। নবাগত শিক্ষার্থীরাও এই আয়োজনে অংশ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

বিকেল ৫টায় বিভাগের ঐতিহ্যবাহী নবীনবরণ অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়। পুরো আয়োজনজুড়ে নবাগত ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির এক অপূর্ব মেলবন্ধন তৈরি হয়।

Header Ad
Header Ad

অপারেশন ডেভিল হান্টে আরও ৫৬৬ জন গ্রেফতার

ছবি: সংগৃহীত

দেশব্যাপী যৌথ বাহিনী পরিচালিত ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৬৬ জন গ্রেফতার হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন মামলা ও অন্যান্য অপরাধে ১,০৯৯ জন গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় পুলিশ সদর দফতর।

পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেফতারের পাশাপাশি অভিযানে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, একটি ছোরা ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।

গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) শুরু হওয়া এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ৩,৪১৫ জন গ্রেফতার হয়েছেন।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই এই হামলা চালিয়েছে।

এরপর দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সরকার ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে বিশেষ অভিযান চালু করে, যা ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চলছে।

Header Ad
Header Ad

ডোনাল্ড লু’র স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ভারতপন্থি পল কাপুর

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পল কাপুরকে এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন পল কাপুর। ভারতপন্থি ও পাকিস্তান বিদ্বেষী পল ডোনাল্ড লুর স্থলাভিষিক্ত হবেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পল কাপুরকে এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন। যা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সিনেট অনুমোদন দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পল কাপুরকে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ট্রাম্পের মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি ইঙ্গিত করছে, যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে তাদের অবস্থানে কৌশলগত পরিবর্তন আনছে। বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তানের ওপর নজর দিতে চায় তারা।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত পল কাপুর বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নেভাল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কুলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ের প্রফেসর হিসেবে কাজ করছেন।

পল কাপুর শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। অপরদিকে অ্যামহার্সট কলেজ থেকে বিএ সম্পন্ন করেছেন। এরআগে ক্লারমোন্ট মেকেনিয়া কলেজ এবং স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।

 এছাড়া পল কাপুর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি পরিকল্পনার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত আছেন। ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতি পরিকল্পনার স্টাফের দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই সময় তিনি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়, ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা ও যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক নিয়ে কাজ করেছেন। এছাড়া ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক বিষয়ক একাধিক বিষয় নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার।

পল কাপুর ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ার ব্যাপারে জোর দিয়ে থাকেন। আলবানি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী প্রফেসর ক্রিস্টোফার ক্ল্যারি জানিয়েছেন, কাপুর ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সারির কৌশলগত মিত্র হিসেবে মনে করেন। তিনি বলেছেন, “ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যেসব আপত্তি তুলেছে, সেগুলো নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন পল কাপুর। তার মতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে ভারতকে নিয়ে আলোচনা করলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।”

অপরদিকে পাকিস্তানের কড়া সমালোচক তিনি। প্রফেসর ক্ল্যারি বলেছেন, পাকিস্তানকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ মনে করেন পল কাপুর । এই প্রফেসরের মতে, কাপুর ডোনাল্ড লুর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর পাকিস্তানের প্রতি কঠোর অবস্থান নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও আগের প্রশাসনগুলো ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে চলার চেষ্টা করেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্ট্যামফোর্ডে সাংবাদিকতা বিভাগের নবীনবরণ ‘অরুণোদয়’ উদযাপিত
অপারেশন ডেভিল হান্টে আরও ৫৬৬ জন গ্রেফতার
ডোনাল্ড লু’র স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ভারতপন্থি পল কাপুর
মনোবাসনা পূরণে ‘ডুবের মেলায়’ পুণ্যস্নান! (ভিডিও)
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন, দ্রুত একাডেমিক কার্যক্রম চালুর দাবি
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে দিল্লিকে কাগজপত্র পাঠিয়েছে ঢাকা
যমুনা সেতু মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ২
সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর ৫ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
মিয়ানমারে খাদ্যশস্যের চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর থাকার নির্দেশ খাদ্য উপদেষ্টার
পবিত্র শবে বরাতে তারেক রহমানের বাণী
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক হলেন ডা. নাসির উদ্দীন
ছাত্রফ্রন্টের শ্রোতাশূন্য সমাবেশে উচ্চ শব্দ, তোপের মুখে বন্ধ ২৬ মাইক
শবে বরাতে আতশবাজি-পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ, জানিয়েছে ডিএমপি
স্বাধীনতার পর প্রথমবার গোপালগঞ্জে জামায়াত নেতাকর্মীদের ঢল
শাবিপ্রবিতে আবরার ফাহাদের জন্মদিনে প্রদর্শিত হলো শর্টফিল্ম ‘রুম নম্বর ২০১১’
মরা গরুর মাংস বিক্রি করতে গিয়ে ধরা খেলেন ব্যবসায়ী, ঠাঁই হলো জেলে (ভিডিও)
লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৫ বাংলাদেশি
কাফনের কাপড় পরে আন্দোলনে নিয়োগ স্থগিত হওয়া প্রাথমিকের শিক্ষকরা
১৭ বছরের সব গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী: মির্জা ফখরুল
র‍্যাবের বিলুপ্তির বিষয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবে ‘সবাই বসে’ সিদ্ধান্ত নেব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা