সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। ছবি: পিআইডি
বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বতী সরকার। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা বেশ কয়েকদিন ধরেই সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল বা সংশোধন বিষয় নিয়ে কথা বলছেন।
গত ৪ নভেম্বর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে আইনটি বাতিল হবে এবং এই আইনের অধীনে যত মামলা হয়েছে সব মামলাও বাতিল হবে। শুধু এই আইন নয়, মত প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করে এমন সব আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। সংস্কারের ক্ষেত্রে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় প্রয়োজনীয় সব সংস্কার শেষে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান নাহিদ ইসলাম।
এর আগে ৩ অক্টোবর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছিলেন, অবশ্যই সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা উচিত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত বছর বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে তার বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল। কিন্তু এ আইন নিয়ে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে আপত্তি ওঠে। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা হয়। এখন আইনটি বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকার এরইমধ্যে সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া স্পিচ অফেন্স সম্পর্কিত মামলাগুলো (মুক্তমত প্রকাশের কারণে মামলা) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া এসব মামলায় কেউ গ্রেপ্তার থাকলে তিনি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি পাবেন বলেও জানানো হয়।