পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের কর্মসূচি স্থগিত, সারাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক
ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) ২০ জন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। চাকরিতে পুনর্বহাল, মামলা প্রত্যাহার ও বৈষম্য দূর করার দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউনসহ ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল আন্দোলনকারীরা। এর মধ্যেই আন্দোলনকারীদের কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়।
পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচি স্থগিত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এর ফলে সারাদেশে সমিতির অধীনস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।
আন্দোলনের সমন্বয়ক, পল্লী বিদ্যুতের এজিএম আব্দুল হাকিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী দাবির বিষয়ে আলোচনার জন্য সময় চেয়েছেন। মামলা প্রত্যাহার এবং আটকদের ছেড়ে দেওয়াসহ কোনো প্রকার হয়রানি না করার আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। আগামী রবিবার পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাহফুজ আলম বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুতের শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। আমরা বলব আমাদের সঙ্গে আলোচনায় আসতে।’
উল্লেখ্য, দেশের ৬৪টি জেলায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অধীনে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আছে। এসব সমিতিতে প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। তারা দেশের ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন। দেশের মোট গ্রাহকের হিসাবে এটি প্রায় ৮০ শতাংশ। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বোর্ডের কাছে কিছু দাবি জানিয়ে আসছিলেন। দাবি আদায়ে প্রায় ১০ মাস ধরে তারা আন্দোলন করছেন। এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এমন ২০ জন কর্মকর্তাকে গতকাল বুধবার চাকরিচ্যুত করা হয়। এরই প্রতিবাদে আজ কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।