দোষী সাব্যস্ত হলে শেখ হাসিনাকে ফেরত আনা হবে: আইন উপদেষ্টা
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর, যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, তবে ভারতের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় তাকে ফেরত আনা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সোমবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে প্রত্যর্পণের বিষয়টি সামনে আসে। ভারতের সঙ্গে চুক্তির ফলে তাকে ফেরত আনা তুলনামূলক সহজ হবে। তাই দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে।
এদিকে, গত জুলাই ও আগস্টের গণহত্যার বিচার শুরুর লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করেছে। এ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার। ট্রাইব্যুনালের অন্যান্য সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, বিচারক নিয়োগে কিছুটা দেরি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শের কারণে। তবে বর্তমানে হাইকোর্টের দুজন বিচারপতি এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজকে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
তদন্ত সংস্থাও ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং তারা ইতিবাচক তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা। গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যার দায়ে ১,০০০ এরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে আহত করা হয়েছে। এসব অপরাধের বিচার শিগগিরই শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গণহত্যার মূল অভিযুক্তদের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যারা এই নৃশংসতার জন্য দায়ী, তারা অনেকেই এখনও আত্মগোপনে আছেন বা পালিয়ে গেছেন। তবে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের বিচারে কোনো সমস্যা নেই। পলাতকদের বিচার নিশ্চিত করতে আমাদের আইন ব্যবস্থা পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলো থেকে পালিয়ে থাকা অপরাধীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। আর যেসব দেশের সঙ্গে আমাদের চুক্তি নেই, আন্তর্জাতিক বিধান মেনে তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য যা যা করা সম্ভব তা করা হবে।