রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ৫ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিডিআর বিদ্রোহ: বিস্ফোরক মামলায় ২ শতাধিক আসামির জামিন

বিডিআর বিদ্রোহ: বিস্ফোরক মামলায় ২ শতাধিক আসামির জামিন। ছবি: সংগৃহীত

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়েছেন হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও যাদের বিরুদ্ধে কোনো আপিল হয়নি এমন ২ শতাধিক আসামি। আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার অস্থায়ী আদালত তাদের জামিন দেন।

এর আগে বেলা ১১টার পর আদালতের বিচারকাজ শুরু হয়। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ পারভেজ সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর আলহাজ মো. বোরহান উদ্দিন সাক্ষ্য নেয়ার প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে আদালতে সাক্ষ্য দেন প্রত্যক্ষদর্শী মেজর সৈয়দ মো. ইউসুফ।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে।

হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। যেখানে ১৫২ জনের ফাঁসি ছাড়াও ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া খালাস পান ২৭৮ জন।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় দেন হাইকোর্টে। রায়ে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। সেই সঙ্গে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয় ১৮৫ জনকে। পাশাপাশি আরও ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। আর খালাস পান ২৮৩ জন।

তবে হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। ফলে হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন। অন্যদিকে হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়।

এদিকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয় ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম একপ্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে এই মামলার বিচার ঝুলে যায়।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠে। গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহিদ পরিবারের সদস্যরা। এই হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় কবি নজরুলের নাতি বাবুল কাজী আর নেই

কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল কাজী। ছবি: সংগৃহীত

মারা গেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল কাজীর (৫৯)। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে তার চিকিৎসায় ১৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।

শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর বনানীর বাসায় বাথরুমে ধূমপান করতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হন জাতীয় কবির নাতি বাবুল কাজী। পরে দগ্ধ অবস্থায় স্বজনরা তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে।

ওই ঘটনার পর বাবুল কাজীর বড় বোন খিলখিল কাজী জানান, বাবুল কাজীর ধূমপানের অভ্যাস ছিল। ভোরে বাথরুমে গিয়ে গ্যাস লাইট দিয়ে সিগারেট ধরাতে গিয়ে বিস্ফোরণে দগ্ধ হন। ধারণা করা হচ্ছে বাথরুমে মিথেন গ্যাস থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হন বাবুল কাজী। পরে পরিবারের লোকজন দ্রুত তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।

খিলখিল কাজী জানান, বাবুল কাজীর বাসা বনানীর ২৩ নম্বর রোডে। সেখানে স্ত্রী কাজী নাদীরা ফারজানা ও দুই ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। এছাড়া বাবুল কাজীর গার্মেন্টসের ব্যবসা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

জবিতে বোরকা পরে সনদ তুলতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেত্রী

জবিতে বোরকা পরে সনদ তুলতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেত্রী। ছবি: সংগৃহীত

স্নাতকের সনদ তুলতে এসে আটক হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের এক নারী নেত্রী। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবনের নিচ থেকে তাকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা।

তবে তার নামে কোনো মামলা না থাকায় অঙ্গীকারনামা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আটককৃত আফিয়া আনজুম সুপ্তি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিভাগ কমিটির সভাপতি ছিলেন।

শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেত্রী আফিয়াকে চিনতে পেরে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন তারা। সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করলে প্রধান ফটকের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। আফিয়ার বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়। পাশাপাশি ফেসবুকে আন্দোলনকারীদের হুমকি-ধামকিও দেন তিনি।

অ্যাকাডেমিক ভবনের নিচ থেকে তাকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা

আটক ছাত্রলীগ নেত্রী আফিয়া বলেন, ‌‘আমাকে ২০২৩ সালের আগস্টে অভ্যন্তরীণ প্রতিহিংসার কারণে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।আমি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে এখন জড়িত না। আমি ৭১-কে ধারণ করি, এটাই আমার রাজনীতি। আমি সনদ উঠাতে আসলে আমাকে কয়েকজন ধরে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে। এখানে কোনো শিক্ষক না পেয়ে আমি চলে যেতে চাই। তখন গেট থেকে আমাকে আবার প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসা হয় ‘
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’

Header Ad
Header Ad

রিপন-ফাহিমের দারুণ বোলিং আর মালানের ফিফটিতে বরিশালের জয়

ছবি: সংগৃহীত

চিটাগং কিংসকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে ফরচুন বরিশাল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চিটাগংয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং আর মালানের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

চিটাগংয়ের ব্যাটিং লাইন-আপকে চেপে ধরে ১২১ রানে অলআউট করে বরিশাল। বোলিংয়ে ফাহিম আশরাফ ও রিপন মণ্ডল ৩টি করে উইকেট নেন। ফাহিম মাত্র ১২ রান খরচায় তার ৪ ওভার শেষ করেন। পরে রান তাড়ায় দাভিদ মালানের অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংসের কল্যাণে ১৯ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে বরিশাল।

চিটাগংয়ের ব্যাটিং ইনিংসের শুরুটা ভালো হলেও রিপন ও ফাহিমের বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে তারা। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ও আরাফাত সানির যৌথ প্রচেষ্টায় ১২১ রান পর্যন্ত পৌঁছায় দলটি। মিঠুন ৩৫ ও সানি অপরাজিত ২৭ রান করেন।

রান তাড়ায় বরিশাল কিছুটা ধাক্কা খায়। তামিম ইকবাল, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ দ্রুত ফিরে গেলেও অভিজ্ঞ মালান ইনিংসের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। তার ৩৬ বলে ফিফটি ও নাবির ২১ বলে ২৬ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছায় বরিশাল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চিটাগং কিংস: ২০ ওভারে ১২১/৮ (মিঠুন ৩৫, সানি ২৭*, ফাহিম ৩/১২, রিপন ৩/২৩)।
ফরচুন বরিশাল: ১৬.৫ ওভারে ১২২/৪ (মালান ৫৬*, নাবি ২৬*, খালেদ ২/২৭)।

ফলাফল: ফরচুন বরিশাল ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: দাভিদ মালান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় কবি নজরুলের নাতি বাবুল কাজী আর নেই
জবিতে বোরকা পরে সনদ তুলতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেত্রী
রিপন-ফাহিমের দারুণ বোলিং আর মালানের ফিফটিতে বরিশালের জয়
লাখো তরুণীর হৃদয় ভেঙে বিয়ে করলেন দর্শন রাভাল! পাত্রী কে?
সংস্কার ও নির্বাচন একসাথেই চলতে পারে : মির্জা ফখরুল
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৪৫.৬২ শতাংশ
বিডিআর বিদ্রোহ: বিস্ফোরক মামলায় ২ শতাধিক আসামির জামিন
গাজায় ফের হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী
সাবেক ডেপুটি গভর্নরের বাসায় দুদকের অভিযান, টাকা উদ্ধার
ইউটিউবের নতুন ফিচারে থাকছে যেসব সুবিধা
দেশে চারটি প্রদেশের কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন
নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাংকার বিস্ফোরণে ৭৭ জন নিহত  
হাত-মুখ বেঁধে সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়িতে ডাকাতি
দেশের সীমান্ত নিরাপদ আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভারতের গঙ্গায় ডুবল বাংলাদেশি জাহাজ
‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের’
আজ থেকেই গাজায় যুদ্ধবিরতি
সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
সাইফের হামলাকারী বাংলাদেশী: দাবি মুম্বাই পুলিশের  
আমরা রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না: সিইসি