বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রশাসনে এখনও সক্রিয় ভারতে প্রশিক্ষিত ১০ হাজার আমলা!

ফাইল ছবি

শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকেই বেরিয়ে আসতে শুরু করে থলের সব বিড়াল। দেশের রাজনীতি এবং প্রশাসনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বড় বড় দানবদের সব অনিয়ম ও কুকীর্তি সকলের সামনে উন্মোচিত হতে শুরু করেছে। তবে এখনও প্রায় সব সেক্টরেই ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় ভূমিকা রাখা বেশকিছু আমলা। যারা শেখ হাসিনার শাসনামলে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে নিজেদের নীতি ও দায়িত্বের জায়গা থেকে সরে গিয়ে কাজ করেছেন আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে। এমনই আমলা ও প্রশাসনে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের নিবেদিত কিছু কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং সে সময়ের বৈষম্যের শিকার হওয়া কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে দেশের একটি গণমাধ্যমে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ভারতের প্রশিক্ষণ না থাকলে হাসিনা রেজিমে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে দেয়া হতো না। গত ২০১৪ সাল থেকে প্রশাসনে প্রায় ১০ হাজার সরকারি কর্মকর্তা ভারতে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী দুঃশাসনের সময় পদোন্নতি বঞ্চিত অনেকে একারণে এখনো তাদের প্রাপ্য পদোন্নতি পাননি। বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাকে প্রশাসনের নীতিমালা এবং শাসনকাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের সরকারি নীতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিল ভারত।

একারণে প্রশাসনে ভারতপন্থি কর্মকর্তারা মাথাচড়া দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সচিবালয়ের সামনে আনসার বিদ্রোহের ঘটনায় প্রশাসনে ভারতপন্থি ও হাসিনার দোসর সরকারি কিছু কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন। ইতোমধ্যে সাবেক ১/১১ সরকারের আমলা এএইচ এম নুরুল ইসলামকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। আবার এই গুপ্তচর কর্মকর্তাকে দুদকের চেয়ারম্যান করার জন্য এক উপদেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে জোর সুপারিশ শুরু করছেন। বাংলাদেশের প্রশাসনে ভারত ও হাসিনা সরকারের দোসররা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভিতরে প্রবেশ করে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছেন।

ভারত চেয়েছে বাংলাদেশের সরকার কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিলে তারা ভারত ছাড়া অন্য দেশের হয়ে কাজ করতে পারবে না বলে মনে করেছিলে ভারত। তবে ভারতের এ পরিকল্পনা বাংলাদেশের প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা মনে নিতে পারেনি। সে কারণে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মাঝে ক্ষোভ হতাশায় ভুগছিলেন।অন্যদিকে প্রশাসনের ভালো যোগ্য ও মেধাবী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদুকে তালিকা দিয়ে হয়রানির জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাদের প্রতিটি ষড়যন্ত্র ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী মোকাবেলা করেছেন।

এছাড়া প্রশাসনের অনেক সরকারি কর্মকর্তা চীন, জাপান, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং আরো প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী। শুধু মাত্র পাকিস্তানে কোনো সরকারি কর্মকর্তা ও সাধারণ জনগণ ঘুরতে গেলেও ভারতপন্থি কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে হয়রানি করতেন তা বর্তমানেও আসছে। একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে অবারিতভাবে বাংলাদেশে প্রবেশাধিকার দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি আছে। এ আপত্তির কারণে অনেক দেশের সাথে চুক্তিটি সই হয়নি। প্রশাসনের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে বহাল থাকা ভারতপন্থি ও আওয়ামী দোসরদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। এ কাজে সক্রিয়ভাবে সহায়তা দিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আরেকটি সংগঠন। যার নাম পলিসি ম্যানেজমেন্ট রিসার্চ সোসাইটি (পিএমআরএস)। ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

গতকাল রোববার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানো হয়। তারা বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বাংলাদেশের উপর নজর রাখার নির্দেশনাকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সামরিক উসকানি হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। নেতৃবৃন্দ ভারতীয় আধিপত্যবাদী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুনর্বাসন কার্যক্রম জোরদার করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিও আহ্বান জানান।

জানতে চাইলে প্রশাসন বিশেষজ্ঞ সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য কোনো নির্দিষ্ট দেশ উচ্চতর প্রশিক্ষণও পদোন্নতির জন্য শর্ত হতে পারে না। যদি লিখিত বা অলিখিত এ ধরনের আদেশ থাকে তা বাতিল করা জরুরি। আমার মনে হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের মাস পূর্ণ হয়েছে গতকাল। ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই জনপ্রশাসন সংস্কারের পদক্ষেপ নেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক কারণে পদোন্নতি না পাওয়া তিন স্তরের কর্মকর্তাদের (উপসচিব. যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব) পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়। গত ১৩ আগস্ট প্রথম পদোন্নতি পান উপসচিব পদে। দুই দিনের মাথায় ১৫ আগস্ট তাদের অনেকেই যুগ্মসচিব পদোন্নতি পান। এর তিন দিন পর ১৮ আগস্ট তাদের আরেকবার পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত সচিব করা হয়। এসব কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে যোগ্যদের সচিব এবং বাকিদের মধ্যে কাউকে কাউকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও অধিদপ্তরে শিগগির পদায়ন করা হবে। এছাড়াও গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিসিএস প্রশাসন ৮২ ব্যাচের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো কয়েকজন কর্মকর্তাকে প্রথমে সচিব পরবর্তীতে সিনিয়র সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি)’র পাশাপাশি মন্ত্রিপরিষদ সচিব বাদে সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার।

প্রশাসনে ভারতপন্থি আওয়ামী দোসরদের তালিকা চূড়ান্ত। এবার বেশ শক্তভাবে মাঠে নামতে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। চলতি সপ্তাহের মধ্যে চিহ্নিত আওয়ামী দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে সরানোসহ অবশিষ্ট পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি না দিলে সচিবালয়ে অবস্থান কর্মসূচি দেওয়া হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফোরামের আহ্বায়ক এবিএম আব্দুস ছাত্তার। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে জোর দাবি জানিয়ে ১৫ দিন আগে আমরা সচিবালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলাম। সে সময় সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

খুবই অবাক হওয়ার মতো বিষয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যেসব পদস্থ কর্মকর্তা আওয়ামী রেজিমকে টিকিয়ে রাখতে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন, যাদের সার্বিক কর্মকাণ্ড ছিল দলীয় কর্মীর মতো, অথচ তারা এখনো সেখানে গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রয়েছেন। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন- অতিরিক্ত সচিব আহসান কিবরিয়া। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন)। এই কর্মকর্তা সব সময় প্রধানমন্ত্রীর আশপাশে থাকতেন। প্রকাশ্যে দলবাজি করতেন। তিনি এখন ভোল পালটে সংস্কারপন্থি হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। সঙ্গে রেখেছেন আরও কয়েকজনকে। আহসান কিবরিয়ার কারণে তাদেরও বদলি করা যাচ্ছে না। এই কর্মকর্তা ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। সে সূত্রে তিনি এখন নতুন করে ক্ষমতাবান হওয়ার চেষ্টা করছেন। বিএনপি যে তালিকা প্রস্তুত করেছে সেখানে তার নাম রয়েছে প্রথমদিকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) আবু হেনা মোস্তফা জামান ও যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক) ফিরোজ উদ্দিন খলিফা। এরা দুজন ছিলেন বিগত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের অতি ঘনিষ্ঠ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিটি বিদেশ সফরের অগ্রভাগে থাকতেন মোস্তফা জামান। ফিরোজ উদ্দিন খলিফা এর আগে ছিলেন সচিবালয় নিরাপত্তা শাখায়।

এভাবে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ প্রতিটি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও সংস্থায় ভারতপন্থি ও হাসিনার দোসরদের চিহ্নিত করে তালিকা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া এখন শেষ পর্যায়ে। শুধু নামের তালিকা করেই এ প্রক্রিয়া শেষ করা হচ্ছে না। প্রত্যেকের দুর্নীতির খতিয়ানও বের করা হচ্ছে। কে কীভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদের মালিক হয়েছেন সেটিও উল্লেখ করা হবে। এ সংক্রান্ত তালিকা প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হবে। পৃথকভাবে দেওয়া হবে দুর্নীতি দমন কমিশনে।

এছাড়া সাবেক সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের, সাবেক মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খান, সাবেক সচিব আব্দল মালেক, সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল ও জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধূরী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সচিব সালোহ উদ্দীনসহ কয়েকজন সচিব বাংলাদেশের প্রশাসনে ভারতীয় সংস্কৃতি চালু করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছেন। এছাড়া কিছু ভালো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তারা হলেন, ঢাকার সাবেক ডিসি শহিদুল ইসলাম,কাজী নিশাত রসুল,সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী একান্ত সচিব রেজাউল করিমসহ অনেকের বিরুদ্ধে হয়রানি করা হচ্ছে।

জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পরিচালনার ১৫ বছরে যোগ্য ও মেধাবী কর্মকর্তাদের সরকার বিরোধী রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে অনেকের পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়। কাউকে কাউকে শাস্তিমূলক হিসেবে ডাম্পিং পোস্টিং এবং বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

এদিকে ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই জনপ্রশাসন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। অতি উৎসাহী হয়ে যেসব কর্মকর্তা যোগ্যদের বঞ্চিত করেছিলেন এমন কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ওএসডি, বাধ্যতামূলক অবসর ও প্রত্যাহার করা হয়। তবে গুটি কয়েক শীর্ষ আমলাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি), বাধ্যতামূলক অবসর কিংবা বিগত সরকারের চুক্তিতে থাকা শীর্ষ কর্তাদের নিয়োগ বাতিল যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিগত সরকারের আমলে বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তারা।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রশাসন সংস্কারের কাজ করছে। বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও পদায়ন করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক নিয়োগের লক্ষ্যে নতুন ফিটলিস্ট চূড়ান্ত করা হয়েছে। সচিব পর্যায়ে রদবদল শুরু হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ বা অতি উৎসাহী হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এমন কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এমনকি তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে।

Header Ad
Header Ad

কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি

কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৮ হাজার কর্মীদের ‘মহাসমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি’ শীর্ষক ব্যানারে সকাল থেকেই সড়কের ওপর অবস্থান করেন বিদেশগামী কর্মীরা। এতে মূল সড়কের উভয় পাশে যানবাহনের দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।

টাকা দিয়েও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পেরে আন্দোলনে নামা বিদেশগামী কর্মীদের কারওয়ান বাজার মোড় থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টা দিকে রাস্তা থেকে উঠিয়ে দেয়া হয় তাদের।

তাদের দাবি- তারা এখনো রিক্রুটিং এজেন্টদের কাছ থেকে অর্থ ফেরত পাননি। তাই অর্থ ফেরতসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় অবস্থান নেন।

আবরোধকারীদের একজন বলেন, ৫ লাখ টাকা দিয়েও আমরা মালয়েশিয়া যেতে পারিনি। বর্তমানে ঋণ করে চলছি, পরিবার নিয়ে খুব কষ্টের মধ্যে আছি। জানুয়ারির মধ্যেই আমাদের মালয়েশিয়া যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ সময় বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিও জানান তিনি।

 

Header Ad
Header Ad

প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলকে হারিয়ে তাদের বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেছে বাংলাদেশ। ৬০ রানে জয় লাভ করে সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন টাইগ্রেসরা।

দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ১৮৪ রান সংগ্রহ করে। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ৬৮ রানের ইনিংসের সাথে সোবহানা মোস্তারি এবং স্বর্ণা আক্তারের ২৩ ও ২১ রানের ইনিংসে বাংলাদেশ একটি শক্তপোক্ত সংগ্রহ দাঁড় করায়।

এরপর, উইন্ডিজদের লক্ষ্য ছিল ১৮৫ রান, তবে বাংলাদেশের বোলিং দলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল। পেসার মারুফা আক্তার ২টি এবং স্পিনার নাহিদা আখতার, রাবেয়া খান, ফাহিমা খাতুন ৭টি উইকেট তুলে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১২৪ রানে অলআউট করে দেয়।

এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সিরিজের শেষ ম্যাচে জয় লাভ করলে, বাংলাদেশের নারী দল প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয় করবে এবং সরাসরি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পাবে।

Header Ad
Header Ad

৭ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

মেয়াদোত্তীর্ণ সাত টেলিকম প্রতিষ্ঠানের পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্ক (পিএসটিএন) লাইসেন্স বাতিল করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)।

সম্প্রতি বিটিআরসির লাইসেন্সিং শাখার পরিচালক এম এ তালেব হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ও প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন না করায় লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে বাতিল করা হয়েছে।

লাইসেন্স বাতিল হওয়া সাত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- টেলিবার্তা লিমিটেড, র‍্যাংকস টেলিকম লিমিটেড, ন্যাশনাল টেলিকম লিমিটেড, বাংলা ফোন লিমিটেড, ওয়েসটেক লিমিটেড, ওয়ানটেল কমিউনিকেশন লিমিটেড ও ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিস লিমিটেড।

বাতিলকৃত লাইসেন্সের অধীনে যেকোনও কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে অবৈধ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১-এর অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ, বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এছাড়া বাতিলকৃত লাইসেন্সের মূল সনদ কমিশন বরাবর জমা প্রদানসহ কমিশনের সমুদয় পাওনা বকেয়া (যদি থাকে) আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি
প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ
৭ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম
শিশুদেরও গোপন কারাগারে রেখেছিলেন হাসিনা, দেওয়া হতো না মায়ের দুধ!
অভিযানকালে জুয়াড়িদের হামলা, ডিবি পুলিশের ৭ সদস্য আহত
৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয়, নকআউট পর্বে বার্সেলোনা
চালের দাম বাড়ার আর সুযোগ দেব না, বরং কমবে: খাদ্য উপদেষ্টা
খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না, চলছে বিকল্প চিকিৎসা
থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক
ব্যর্থতা স্বীকার করে ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ
সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
তুরস্কে হোটেলে ভয়াবহ আগুন, নিহত ৬৬
ভোটের মাঠে ইসলামের পক্ষে একটিই বাক্স পাঠানোর প্রত্যয়
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২৩ কর্মকর্তাকে বদলি
এবার জার্সিতে ‘পাকিস্তান’ লেখা নিয়ে ভারতের আপত্তি, খেপেছে পিসিবি
ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত এবং গায়েবি ও রাজনৈতিক মামলা নিয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা