‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ওআইসিকে দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে’
সবচেয়ে নির্যাতিত সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদেরকে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার জন্য ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে অবশ্যই সম্মিলিত দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
মৌরিতানিয়ার রাজধানী নোয়াকচটে গতকাল (১৭ মার্চ) রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহিতার জন্য ওআইসি অ্যাডহক মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটির উন্মুক্ত বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠকে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য মিয়ানমারকে জবাবদিহি করতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার আপডেট জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন তার বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক আর্থ-সামাজিক বিপর্যয়, বিশেষ করে অনিশ্চিত ভবিষ্যতসহ হাজার হাজার কিশোর ও যুবকদের লাইনচ্যুত হওয়া এড়াতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন। গাম্বিয়া এবং ওআইসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার প্রদানে মামলার গতি নিশ্চিত করার গুরুত্বের উপর আলোকপাত করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামলার আইনি খরচে স্বেচ্ছায় অবদান রেখে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে বোঝা ভাগাভাগি করার আহ্বান জানান।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে সৌদি আরব, তুরস্ক, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, মিশর, পাকিস্তান, গাম্বিয়া উপস্থিত ছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরুন ও মৌরিতানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। উভয় দেশ আশা প্রকাশ করে যে কৃষি, মৎস্য, বাণিজ্য, শিক্ষা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সুযোগ ঘটবে।
মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিবের সঙ্গেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আবদুল মোমেন ১৬-১৭ মার্চ পর্যন্ত মৌরিতানিয়ার নোয়াকচট-এ অনুষ্ঠিতব্য ৪৯তম ওআইসি কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টারস (সিএফএম)-এ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আরইউ/এমএমএ/