ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’, উপকূলে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত
আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপের মাধ্যমে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের বাতাসের গতিবেগ বাড়ছে। এর কেন্দ্রের বাতাসের গতিবেগ ৫৪ কিলোমিটার থেকে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে ২ (দুই) নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জানিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের শুক্রবার (০৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত চার নম্বর বিজ্ঞপ্তিটিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০২ (দুই) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের সৃষ্টি নিম্নচাপের মধ্য দিয়ে। এর প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টিপাত চলতে পারে কয়েক দিন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গভীর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় জাওয়াদ। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের কাছে সাগর খুব উত্তাল রয়েছে।
কলকাতার আলীপুর আবহাওয়া দপ্তর তার দেশে সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ শনিবার ভোরে আঘাত হানতে পারে ভারতের দক্ষিণ ওডিশা ও উত্তর অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে। এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ আশপাশের এলাকার কয়েক জেলায় হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বয়ে যেতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে কলকাতার আলীপুর আবহাওয়া দপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। শুক্রবার থেকে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মাছ ধরতে সাগরে যাওয়া জেলেদের অবিলম্বে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দীঘা, মন্দারমণি, তাজপুরসহ সুন্দরবন অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারতের রেল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ৫৩টি দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে।
এনএইচ /এএন