আগামী বছরের মাঝামাঝি বাজারে আসতে পারে বঙ্গভ্যাক্স
বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের করোনার টিকা বঙ্গভ্যাক্স আগামী বছরের মাঝামাঝি সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য বাজারে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন ভ্যাকসিন ট্রায়ালের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাম স্বপ্নীল।
টিকা না নেওয়া ও করোনা আক্রান্ত হননি এমন ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ৬০ জনের ওপর হবে বঙ্গভ্যাক্সের প্রথম ট্রায়াল। প্রথম ধাপে দেশীয় এ ভ্যাকসিনটির সফল প্রয়োগ হলে বাকি দুটি ধাপের ট্রায়াল হবে। ট্রায়ালের সাফল্যের উপর নির্ভর করবে ভ্যাকসিনটির বাজারে আসার সময়। শুরু করার পর ট্রায়ালটি শেষ করতে আমাদের ৩৫ দিন সময় লাগবে।
দীর্ঘমেয়াদি কোনো রোগে ভুগছেন না বা এখনো করোনার টিকা নেওয়া হয়নি এমন লোকদের এই ট্রায়ালে নেওয়া হবে। এ ছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি, এমন বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর শরীরে প্রয়োগের মাধ্যমেই শুরু হচ্ছে দেশে করোনা ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্সের মানবদেহে প্রয়োগের প্রক্রিয়া।
উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের হয়ে ক্ল্যানিক্যাল ট্রায়াল করছে সিআরও বাংলাদেশ। এরই মধ্যে বিএমআরসির অনুমোদন পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
তাদের দাবি, বানরের দেহে ট্রায়ালে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় অ্যান্টিবডির প্রমাণ পেয়েছেন তারা। সে ক্ষেত্রে এবার অপেক্ষা ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের রেগুলেটরি অনুমোদনের। সে জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শিগগিরই জমা হবে সংশ্লিষ্ট দফতরে।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাম স্বপ্নীল বলেন, ‘আমরা কাগজপত্র জমা দিলেই তারা আমাদের অনুমতি দিয়ে দেবে। তখনই আমরা ট্রায়ালে যাব।’
নিয়ম অনুসারে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের আগে তিন ধাপে দিতে হবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। ফলাফলের ভিত্তিতে অনুমোদন সাপেক্ষে বাকি ধাপ। তিন ধাপেই ঠিকঠাক থাকলে ২০২২ সালের মাঝামাঝি সাধারণের দেহে প্রয়োগ করা হবে বঙ্গভ্যাক্স।
এসএ/