শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মন্তব্য প্রতিবেদন

ডিসেম্বরেই সরকার উৎখাতে সক্রিয় একটি মহল

১০ ডিসেম্বর নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যখন পাল্টাপাল্টি অবস্থানে অনড়, তখন রাজনীতির অন্ধরমহলে চলছে অন্য খেলা। সেই খেলা অপরাজনীতি আর উগ্রপন্থীদের কূটকৌশলের খেলা। শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশের কথা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। সেই খেলায় হেফাজত ছিল সামনের সারির খেলোয়াড়। আর নেপথ্যে ছিল বিএনপি এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই।

অভিযোগ আছে, শেখ হাসিনার সরকার উৎখাতের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ এবং পশ্চিমা শক্তির একটি অংশ বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে। সেই অর্থ আইএসআই-এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসে। বিপুল অর্থ বিলিয়ে সরকারবিরোধী গোষ্ঠীকে সংগঠিত করা হয়। এদের নেতৃত্ব দেন উগ্রপন্থী ভাবধারার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা। এদের নেতৃত্বে এবং হেফাজতের উদ্যোগে শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেই একই পথ ধরে সরকারবিরোধী একটি বড় অংশ নেপথ্যে কাজ করছে।

এবারও শেখ হাসিনা সরকার উৎখাতের জন্য মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিমা শক্তির একটি অংশ বিপুল পরিমাণ অর্থ লগ্নি করেছে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপনের পরেই ঢাকায় তারা লাখ লাখ মানুষ জড়ো করার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিভিন্ন জেলা থেকে লোক জড়ো করা হচ্ছে রাজধানী ঢাকা এবং এর আশপাশের এলাকায়। ঢাকার হোটেলগুলোতে পুলিশ হানা দিতে পারে- এই আশঙ্কায় অনেকেই আত্মীয়-স্বজনের বাসায় উঠছেন।

দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে কর্মরত বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, আগামী ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে কুচক্রীরা এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় যা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা সরকারের নেই। এক্ষেত্রে তারা নেপালের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায়। ২০০৮ সালে নেপালের রাজনৈতিক দলগুলো রাজা জ্ঞানেন্দ্রকে আন্দোলনের মাধ্যমে উৎখাত করে। সব রাজনৈতিক দলের লাখ লাখ নেতা-কর্মী কাঠমান্ডুর আশপাশে অবস্থান নেয়। একটি নির্দিষ্ট দিনে তারা কাঠমান্ডুর রাজপথে দাঁড়িয়ে যায়। এতে রাজধানী অচল হয়ে পড়ে। টানা আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন রাজা জ্ঞানেন্দ্র। ঠিক এমন একটি কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে একটি কুচক্রীমহল। তারা ঢাকাকে অচল করতে লাখ লাখ মানুষকে রাজপথে জড়ো করার কৌশল নিয়েছে।

একটি আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সূত্র বলছে, শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে একমঞ্চে আনতে সক্রিয় রয়েছে কয়েকটি বিদেশি দূতাবাস। তারা বিভিন্ন সময় বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের নামে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন। উৎসাহ জোগাচ্ছেন। অর্থ বিনিয়োগ করছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত গোয়েন্দা তথ্য সরকারের হাতে এসেছে। বিরোধীদের অপকৌশল জানতে পেরে সরকার কঠোর মনোভাব নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সরকার বিএনপি মহাসচিবসহ বেশ কয়েকজন নেতা ও শতাধিক কর্মীকে আটক করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আরও বেশ কিছু নেতা-কর্মী আটক হতে পারেন বলে জানা গেছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনের মাধ্যমেই আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। তবে অনেকেই মনে করেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা কঠিন হবে। এটা আওয়ামী লীগ ভালো করেই জানে। সেজন্যই তারা আওয়ামী মনোভাবাপন্ন লোকদের সমন্বয়ে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। তারা চায়, আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হোক। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সেটা সম্ভব নয়। সরকারের পক্ষ থেকেও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দেশে আর কোনোদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। তাহলে কি বিএনপিকে ছাড়াই আগামী নির্বাচন হবে? এটা কি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী মেনে নেবে?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়। তারা এ বিষয় নিয়ে সরকারের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তারা বারবার একই কথা বলছেন যে, বিএনপিকে যেকোনো মূল্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হোক। সেজন্য যদি সরকারকে কিছু ছাড় দিতে হয় তাহলেও তা করতে বলছেন কয়েকজন রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের প্রতিনিধিরা। তারা একরকম অবস্থান নিয়ে আছেন। তবে তারা চীন এবং ভারত কী অবস্থান নেয় সেটা দেখার জন্যও অপেক্ষা করছেন। বিএনপিকে নির্বাচনে রাখার ব্যাপারে ভারত ও চীন যদি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে তাহলে সরকারের উপর বড় ধরনের চাপ তৈরি হবে। সরকার তখন বিকল্প পথ খুঁজতে বাধ্য হবে।

সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, নির্বাচনে আনার জন্য বিএনপিকে বড় কোনো ছাড় তারা দেবে না। ক্ষমতাসীন দল মনে করছে, আন্তর্জাতিক শক্তি নিশ্চয় এই দেশে উগ্রপন্থী-জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীকে উৎসাহিত করবে না। সঙ্গত কারণেই আওয়ামী লীগ তাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে। শেখ হাসিনা সরকার শক্ত হাতে জঙ্গিদের দমন করেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দমনে ভারত সরকারকে সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে। তা ছাড়া দেশে তেমন কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তির আস্ফালন দেখা যায়নি। এ ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সরকার এগিয়ে রয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকারের অনড় অবস্থান কতদিন ধরে রাখতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সরকারের ভেতরের একটি অংশ সরকারকে ফাঁদে ফেলতে বিরোধী শক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে চলেছে এবং নানা কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। এখনই সতর্ক না হলে সরকার যে কোনো মুহূর্তে বিপদে পড়তে পারে।

নিশ্চয় সরকার এ ব্যাপারে সজাগ থাকবে এবং রাজনীতিকে সঠিক নেতৃত্ব ও রাজনীতি দিয়েই মোকাবিলা করবে।

এসজি

Header Ad
Header Ad

৩ ম্যাচ পর মাঠে ফিরেই মেসির দুর্দান্ত গোল, কোয়ার্টারে ইন্টার মিয়ামি (ভিডিও)

লিওনেল মেসি। ছবি: সংগৃহীত

চোটের কারণে টানা তিন ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকার পর আবারও মাঠে ফিরে দুর্দান্ত এক গোল করেছেন লিওনেল মেসি। ক্যাভালিয়েরের বিপক্ষে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে মেসি ছিলেন বেঞ্চে, তবে বিরতির পর ৫৩ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন এবং নিজের প্রথম গোল করেন।

মেসির জন্য এটি ছিল জ্যামাইকায় প্রথম ম্যাচ এবং তার উপস্থিতি নিয়ে দেশটিতে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। মেসির কারণে ম্যাচটি ক্যাভালিয়েরের ৩ হাজার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ন্যাশনাল স্টেডিয়াম ইনডিপেনডেন্টস পার্কে, যেখানে ধারণক্ষমতা ছিল প্রায় ৩৫ হাজার। এই মাঠে এসে মেসিকে একনজর দেখতে আসা দর্শকরা হতাশ হননি, কারণ তারা মেসিকে গোল করতে দেখার আনন্দ পেয়েছেন।

মেসি ম্যাচের যোগ করা সময়ে দারুণ একটি গোল করেন। সতীর্থ সান্তিয়াগো মোরালেসের পাস ধরে বক্সে ঢুকে মেসি দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে গোল করেন। এর ফলে, ক্যাভালিয়েরের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে ইন্টার মায়ামি। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ গোলের জয় নিয়ে তারা কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের কোয়ার্টারে পৌঁছেছে।

মেসির অনুপস্থিতিতে প্রথমার্ধে সুয়ারেজের পেনাল্টি গোলে ৩৭ মিনিটে ইন্টার মায়ামি ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। ম্যাচের বাকি সময়টা ১-০ ব্যবধানেই শেষ হওয়ার মতো মনে হচ্ছিল, তবে যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে মেসি গোল করে সবাইকে উল্লসিত করেন।

এদিন মেসির ক্যারিয়ার গোল সংখ্যা ৮৫৩-এ পৌঁছেছে এবং মায়ামির হয়ে তার গোলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭।

 

Header Ad
Header Ad

মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, সেই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা সারা দেশের মানুষকে লজ্জিত করেছে। আমরা দেখছি পবিত্র মাহে রমজান মাসেও ধর্ষণের ঘটনা থামছে না। দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশুদের ওপর চলমান নিপীড়ন, হেনস্তাকরণ ও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য কাজ রোধে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিটি বিএনপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকেও প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেছেন, নির্মম পাশবিকতায় সেই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা দেশবাসীর মতো আমাকেও ব্যথিত করেছে। তার মৃত্যুর সংবাদে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। এ মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনা সারা দেশের মানুষকে লজ্জিত করেছে। সেই শিশুর ওপর ঘটে যাওয়া নির্মম পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে শহর থেকে গ্রামে। রাজপথ উত্তপ্ত হয়েছে মিছিল আর স্লোগানে। একইসঙ্গে তার ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা ছিল প্রতিটি মানুষের।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর সিএমএইচ থেকে আসা খবরে শোক আর ক্ষোভে একাকার মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে মানুষরূপী কুলাঙ্গারদের। আমি শুরুতে এ ঘটনা জানার পর তার চিকিৎসা ও আইনি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিলাম। অতীতের ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে ধর্ষণকারীদেরকে বিচারের আওতায় না এনে বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করার ফলে দেশে ধারাবাহিকভাবে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার ফলে আইনের ফাঁক দিয়ে ধর্ষণকারীরা বারবার রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ধর্ষণের মাত্রা দিনদিন বেড়েই চলছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আধুনিক এ যুগে মানবজাতি এরূপ অমানবিক, পৈশাচিক এবং বর্বরোচিত কাজে লিপ্ত হতে পারে, তা কল্পনাতীত। ধর্ষণ শুধু অপরাধই নয়, মানবতার বিরুদ্ধে চরম আঘাত এবং সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের ভয়াবহ চিত্র। আমাদের সমাজে যে নির্মম ও বর্বরোচিত ঘটনাগুলো ঘটে চলছে, তা মানবতা ও নৈতিকতার মৌলিক ভিত্তিকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আমরা দেখছি পবিত্র মাহে রমজান মাসেও ধর্ষণের ঘটনা থামছে না। দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশুদের ওপর চলমান নিপীড়ন, হেনস্তাকরণ ও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য কাজ রোধে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে নারী হেনস্তা, হয়রানি, ধর্ষণ বা ধর্ষণের হুমকির মতো ঘটনা মানুষ আর প্রত্যাশা করে না। তারপরেও এ ঘটনাগুলো ঘটেই চলেছে। নারী, কিশোরী ও শিশুদের প্রতি যেকোনো ধরনের সহিংসতা বা হয়রানি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদা নিশ্চিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। এ ছাড়া একটি বিস্তৃত শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ চলাচল, নাগরিক স্বাধীনতা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে হবে। ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে হবে আইনিভাবে।

বিএনপির শীর্ষ এ নেতা বলেন, এ ধরনের অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সমাজে শান্তি ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এ ঘটনা শুধু বর্তমান সমাজকে কলুষিত করছে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও এক ভয়ংকর দৃষ্টান্ত তৈরি করছে। এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।

Header Ad
Header Ad

ইসলামী শাসনে চলবে সিরিয়া, অস্থায়ী সংবিধানে সই করলেন প্রেসিডেন্ট

সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) একটি অস্থায়ী সংবিধানের খসড়া প্রস্তাবে সই করেছেন, যার মাধ্যমে দেশটি আগামী পাঁচ বছর ইসলামী শাসনের অধীনে চলবে। আরব নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে ইসলামপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) দ্রুত বিদ্রোহ শুরু করার পর সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন নেতারা নতুন শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করছেন।

শারার এবং বিদ্রোহে অংশগ্রহণকারী নেতাদের মধ্যে এক বৈঠকের পর অস্থায়ী সংবিধান ঘোষণা করা হয়। একে কেন্দ্র করে পুরনো সংবিধান বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং নতুন সংবিধান প্রণয়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

অস্থায়ী সংবিধানের খসড়ার প্রক্রিয়া নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির সদস্য আব্দুলহামিদ আল-আওয়াক এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, পূর্ববর্তী সংবিধানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারা রক্ষা করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য মুসলিম হওয়ার শর্ত এবং আইনশাস্ত্রের প্রধান উৎস হিসেবে ইসলামী আইন নির্ধারণ।

এই অস্থায়ী সংবিধানটির প্রধান লক্ষ্য হলো দেশের রাজনৈতিক উত্তরণে একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা। ডিসেম্বরে শারা জানিয়েছিলেন যে, সিরিয়ার সংবিধান পুনর্লিখনে তিন বছর এবং নির্বাচনের আয়োজন করতে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

এদিকে, গত মাসে সিরিয়ায় একটি জাতীয় সংলাপ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সংসদ নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়েছিল। তবে সমালোচকরা বলছেন, এই সম্মেলনটি তাড়াহুড়ো করে আয়োজিত হয়েছিল এবং সিরিয়ার বিভিন্ন জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বা নাগরিক সমাজের পর্যাপ্ত অংশগ্রহণ ছিল না।

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫০ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের পর নতুন শাসন প্রতিষ্ঠিত হলেও ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা এখনও নতুন সরকারের প্রতি সন্দিহান। তবে, তুরস্কের মারদিন আর্তুকলু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবিধানিক আইন বিশেষজ্ঞ আল-আওয়াক জানান, অস্থায়ী সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে, যা দেশের নড়বড়েও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করবে।

সিরিয়ার চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে, শারা সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় মার্কিন-সমর্থিত কুর্দি নেতৃত্বাধীন যোদ্ধাদের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করেছেন, যার মধ্যে কুর্দি যোদ্ধাদের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার বিষয়ও রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩ ম্যাচ পর মাঠে ফিরেই মেসির দুর্দান্ত গোল, কোয়ার্টারে ইন্টার মিয়ামি (ভিডিও)
মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না: তারেক রহমান
ইসলামী শাসনে চলবে সিরিয়া, অস্থায়ী সংবিধানে সই করলেন প্রেসিডেন্ট
বিরামপুরে ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত
ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু, আজ পাওয়া যাচ্ছে ২৪ মার্চের টিকিট
ড. ইউনূস ও গুতেরেসের কক্সবাজার সফর আজ, ইফতার করবেন লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে
ঢাকা বশ্বিবিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আরেফিন সিদ্দিক মারা গেছেন
আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন
উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত
নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
শিশু আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা
বেইজিংয়ে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস
‘২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে’
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শোভনের বাবা গ্রেপ্তার
শুক্রবার থেকে বন্ধ হচ্ছে দেশের সব পর্ন ওয়েবসাইট
ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা থেকে সরে আসা নিয়ে যা বলল হামাস
গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীরতর করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্ত্রীসহ সাবেক বিজিবি প্রধান সাফিনুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মাগুরার শিশু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা
আছিয়ার মরদেহ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে মাগুরায় নেওয়া হবে