করোনা পজিটিভ হওয়ায় ইসির সভায় যোগ দেননি আইজিপি

জেলা পরিষদ নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে সভা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে থাকার কথা ছিল পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের। কিন্তু করোনা পজিটিভ হওয়ায় ইসির সভায় যোগ দেননি তিনি।
আগামী নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা কেমন হবে সেসব বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছে নির্বাচন কমিশন।
শনিবার (৮ অক্টোবর) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনের সভা শেষে মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার হোসেন বলেন, আইজিপিকেও ডেকেছিলেন। তিনি করোনা পজিটিভি থাকায় অতিরিক্ত আইজিপি এসেছেন।
আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের সময় ইসির অধীনে পুলিশ প্রশাসন কাজ করে থাকে। পুলিশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার আলোকে দায়িত্ব পালন করে। কারও বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, জেলা পরিষদ ও সংসদ নির্বাচনসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে যে নির্বাচনগুলো হয় তা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলাপ হয়েছে। ডিসি-এসপিরা পরামর্শ দিয়েছেন। তারা তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন।
তিনি জানান, গত নির্বাচনে ৪০ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র ছিল। আগামী নির্বাচনে এ সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজারের উপরে হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের যে সংখ্যা তাতে পর্যাপ্তসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা যায় না। এজন্য আমরা চাচ্ছি ভোট ভেন্যুর সংখ্যা কমিয়ে বুথ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। এখন যেহেতু যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে, কাজেই ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে যৌক্তিক সংখ্যক করা হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করা সম্ভবপর হবে।
কোনো রকমের পক্ষপাতমূলক আচরণ যেন না হয় সে বিষয়ে ‘এনশিউর’ করা হবে বলে জানান সচিব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হয়রানিমূলক মামলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে হয়রানিমূলক মামলার সুযোগ নেই।
সচিব আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠ প্রশাসনে রদবদল হয় না, এটি ‘রুটিন ওয়ার্ক’। কিছুদিন আগে পদোন্নতির কারণে আমরা ৪০টি জেলায় নতুন এসপি নিয়োগ দিয়েছি। আমরা তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে বলেছি।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, জ্বালানি খরচ ও নির্বাহী হাকিমদের ভাতা বাড়ানোর সুপারিশ হলে উষ্মা প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান। একই সঙ্গে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আচরণ বিধি প্রতিপালনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করার বিষয়টি তুলে ধরেন। প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকে এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হইচই করতে থাকেন। একপর্যায়ে এই কমিশনার ডায়াস ছেড়ে নিজ আসনে ফিরে যান।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সভাশেষে সিইসি ব্রিফিং করেছেন। আর কিছু বলার নেই।
এসএম/এসজি
