আওয়ামী লীগ কখনই ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসেনি: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এদেশে নির্বাচনে যতটুক উন্নতি, যতটুকু সংস্কার এটা কিন্তু আওয়ামী লীগ এবং মহাজোট করে দিয়েছে। এরপরেও যদি কেউ নির্বাচনে না আসে সেখানে আমাদের কী করণীয়? আওয়ামী লীগ কখনই ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসবে না, আসেও নাই।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আগামী নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, কোন দল নির্বাচনে আসবে কি আসবে না সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। নির্বাচনে আসার ব্যাপারে দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে। হ্যাঁ, আমরা অবশ্যই চাই সব দল অংশগ্রহণ করুক।
তিনি বলেন, এতদিন কাজ করার পর নিশ্চয় আমরা চাইব যে সবাই আসুক। গত নির্বাচনে আলাপ-আলোচনা করলাম, নির্বাচনে আসল। নির্বাচনে এসে দেখা গেল ৩০০ আসনের বিপরীতে ৭০০ মনোনয়ন দিয়ে যখন নিজেরা হেরে গেল তখন সব দোষ কার? আমাদের। জনগণের কাজ করে জনগণের মন জয় করে জনগণের ভোট নিয়েই কিন্তু আওয়ামী লীগ বার বার ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ কখনো কোনো মিলিটারি ডিকটেটরের পকেট থেকে বের হয়নি বা ইমার্জেন্সি দিয়ে কারও ক্ষমতা দখল করে কিন্তু আওয়ামী লীগ কখনই ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ভোটের মাধ্যমেই এসেছে, নির্বাচনের মাধ্যমেই এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশে নির্বাচনে যতটুকু উন্নতি, যতটুকু সংস্কার এটা কিন্তু আওয়ামী লীগ এবং মহাজোট করে দিয়েছে। এরপরেও যদি কেউ না আসে সেখানে আমাদের কী করণীয়? এখন হারব বলে আসব না বা এমন কিছু যা সবাইকে লোকমা তুলে খাইয়ে দিতে হবে, জিতিয়ে দিতে হবে, তবেই আসব, এটা তো আর হয় না। যেটা আগে করত। মিলিটারি ডিকটেটররা এটাই করেছে। এটা করে যাদের অভ্যাস তারা তো জনগণের কাছে যেতেই ভয় পায়। জনগণের সামনে ভোট চাইতে ভয় পায় এটা হলো বাস্তবতা। অগ্নি সন্ত্রাস করে যারা মানুষ হত্যা করেছে তাদেরকে কি মানুষ ভোট দেবে? কখনো দিতে পারে না। আগুনে পোড়া ঘা তো এখনো শুকায়নি। এখনো অনেকে কষ্ট করছে। হ্যাঁ আমরা চাই সব দল আসুক, ইলেকশন করুক। কার কোথায় কতটুকু যোগ্যতা আছে ভোটে দেখা যাবে।
তিনি বলেন, অন্তত আওয়ামী লীগ কখনই ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসবে না, আসেও নাই। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটেই ক্ষমতায় এসেছে। এখন বিশ্বব্যাপী অশান্ত পরিবেশ। ডিসেম্বরে আমরা আমাদের দলের সম্মেলন করব। দল সিদ্ধান্ত নেবে। পরবর্তী বছরেই নির্বাচন। নির্বাচনের প্রস্তুতি এখন থেকে নিচ্ছি। দেশে একটি মাত্র দল আমরা গঠনতন্ত্র মেনে চলি। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। নির্বাচনে কী কী ওয়াদা করেছি কতটা বাস্তবায়ন করেছি আগামীতে কী করব সেটা আমরা নির্ধারণ করি।
বিদেশি দূতাবাসে বিএনপির দৌড়ঝাপ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে জিজ্ঞেস করলে ভালো হয় নির্বাচনটা কে করে দেবে? বিএনপি ভুলে গেছে তাদের অতীতের কথা। বিএনপির সৃষ্টি দুর্ভাগ্য মিলিটারি ডিকটেটর। নির্বাচনে প্রহসন তাদের সৃষ্টি। বরং আমরা নির্বাচনটাকে এখন জনগণের কাছে নিয়ে গেছি। আমরা ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সেই পরিবেশ নিশ্চিত করেছি।
এসএম/এসজি
