১৮২ কোটি নয়, প্রতিদিন সাড়ে ৩ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়
ঢাকায় বাস-মিনিবাসগুলো প্রতিদিন যাত্রীদের কাছ থেকে ১৮২ কোটি টাকা নয়, সাড়ে ৩ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ‘অনিচ্ছাকৃত এ ভুলের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের এক ‘সংশোধিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে’ এ কথা জানানো হয়।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত যাত্রী অধিকার দিবসের আলোচনা সভায় রাজধানীর বিভিন্ন শ্রেণির গণপরিবহনে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৩ কোটি ট্রিপ যাত্রী সাধারণের কাছ থেকে ১৮২ কোটি ৪২ লাখ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য চলছে বলে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর ৫ হাজার বাস-মিনিবাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০ লাখ ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হয়। প্রতিবেদনে ভুলবশত যাত্রী প্রতি মাথাপিছু গড়ে ১৭ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া আদায় হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এতে ৫০ লাখ ট্রিপ যাত্রী দৈনিক গড়ে সাড়ে ৮ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া পরিশোধ করতে বাধ্য হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল।
প্রকৃত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে যাত্রী প্রতি মাথাপিছু গড়ে ৭ টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের চিত্র পাওয়া গিয়েছিল। এতে রাজধানীর বাস-মিনিবাস খাতে ৫০ লাখ ট্রিপ যাত্রীর কাছ থেকে দৈনিক ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে মর্মে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি সড়কে নিরাপত্তা, গণপরিবহনে যৌন হয়রানি, ভাড়া নৈরাজ্য, অন্যায্য ও অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ও প্রতিবাদী সংগঠন হিসেবে দীর্ঘ দুই দশক ধরে অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সহিত এতদসংক্রান্ত প্রতিবেদনসমূহ প্রকাশ করে আসছিল। বিভিন্ন সময়ে প্রতিবেদনসমূহ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ সরকারের সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআরটিএ, বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কর্তৃক এসব প্রতিবেদন যাচাই-বাচাই করে প্রশংসিত হয়েছে।
এবারের প্রতিবেদনে বিভিন্ন হিসাব সঠিক থাকলেও শুধুমাত্র বাস খাতে হিসাবটি অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য যাত্রী কল্যাণ সমিতি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সর্তকতার সহিত প্রতিবেদন প্রকাশের অঙ্গীকার করছে।
আরইউ/এমএমএ/