ফের মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব
ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। এ নিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে চতুর্থবারের মতো তলব করা হলো।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান গোলাগুলির ঘটনায় তাকে তলব করা হয়।
রবিবার (সেপ্টেম্বর) সকালে অং কিউ মোয়েকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক নাজমুল হুদার দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে মিয়ানমারের পাহাড় থেকে ছোড়া মর্টারের একাধিক গোলা রাখাইনের ওয়ালিডং পাহাড়ের পাদদেশের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে এসে পড়ে। এ সময় মর্টারের আঘাতে মো. ইকবাল নামের এক কিশোরের প্রাণ যায়। আহত হয় আশ্রয়শিবিরের পাঁচজন।
একইদিনে বেলা তিনটার দিকে তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে শূন্যরেখার ৩৫ নম্বর পিলারের কাছাকাছি জায়গায় গরু আনতে গেলে স্থলমাইন বিস্ফোরণে অথোয়াইং তঞ্চঙ্গ্যা (২২) নামের বাংলাদেশি এক তরুণের বাম পায়ের গোড়ালি উড়ে যায়।
এ ঘটনার পরে শূন্যরেখায় আরও মাইন পোঁতা থাকতে পারে, এমন শঙ্কায় মাঠে যাচ্ছেন না কৃষকেরা।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ১৫ দিনের মধ্যে তৃতীয় দফায় তলব করা হচ্ছে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া হয় গুলি ও মর্টার শেল।
শনিবারও সকাল সোয়া ৯টা থেকে রাখাইনের ওয়ালিডং পাহাড়ে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এ অবস্থা চলে বেলা দুইটা পর্যন্ত। পরে গোলাগুলির আওয়াজের তীব্রতা কমে আসে।
এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি গোলা তুমব্রু বাজারের পাশে কোনারপাড়ার কৃষক শাহজাহানের বাড়ির আঙিনায় এসে পড়ে। বাড়ির পাশেই শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির।
তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে শূন্যরেখায় ৫ বছর ধরে আশ্রয়শিবির গড়ে তুলে বাস করছে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত ৪ হাজার ২০০ জনের বেশি রোহিঙ্গা। আশ্রয়শিবির ঘেঁষে (পেছনে) মিয়ানমারের কাঁটাতারের বেড়া ও রাখাইন রাজ্যের একাধিক পাহাড়।
আরইউ/এমএমএ/