মিয়ানমারের বিষয়টি প্রয়োজনে জাতিসংঘে তোলা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না, স্পষ্ট কথা। আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা চাই এটারও শান্তিপূর্ণ সমাধান। আপনারা বারবার যদি একই কথা বলেন…আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে শান্তিপূর্ণভাবে এটা সমাধান করতে। বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের মর্টার শেল ছোড়ার বিষয়টি প্রয়োজনে জাতিসংঘে উত্থাপন করা হবে।’
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু কোনারপাড়া সীমান্তে শুক্রবার রাতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া চারটি মর্টার শেল এসে পড়ে। এতে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক যুবক নিহত হন। আহত হন রোহিঙ্গা শিশুসহ পাঁচজন।
এই ঘটনায় বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল একটা রোহিঙ্গা গ্রুপ মিয়ানমারের সীমানার পাশে জিরো লাইনে অবস্থান করছিল। জিরোলাইন মানে আমাদের সীমানা এবং তাদের সীমানার মাঝখানে যে একটা জিরোলাইন থাকে, সেইখানে এই ক্যাম্প অবস্থিত। সেই ক্যাম্পে আমরা দেখলাম গোলাবারুদের আঘাতে একজন মারা গেছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আমরা এটার তীব্র নিন্দা করছি। আমরা যথাশিগগির তাদের এ অবস্থান পরিবর্তন করে এই গোলাবারুদ বন্ধ করার জন্য সব সময় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কাজ করছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি, তারা তাদের ভুল বুঝতে পারবে; তারা সংযত থাকবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করবে না।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্ডার দিয়ে রোহিঙ্গারা যেন না আসে, সেটার ব্যবস্থা আমাদের বিজিবি, আমাদের কোস্ট গার্ড করছে। তার পরও দু-একজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসছে। আমরা তাদের পুশব্যাক করে আবার ফিরিয়ে দিচ্ছি। এ ধরনের ঘটনা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, এখন যে গোলাগুলি, সেটা নিয়ে আমরা বলেছি, ‘তাদের ভেতরে যে কনফ্লিক্ট (সংঘর্ষ), সেটা তাদের ভেতরেই করতে হবে। আমাদের দিকে যাতে না আসে, সে জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং এটা নিয়ে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও কঠোরভাবে বিষয়টি উত্থাপন করবে। আমরা শান্তিপ্রিয়। আমরা শান্তি রক্ষার্থে যা যা করার করব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সেই চেষ্টাই করছি। আমাদের পক্ষ থেকে যদি না হয়, আমরা জাতিসংঘের কাছে তুলব, সবকিছু করব।’
এনএইচবি/এসএন