রোহিঙ্গা বিষয়ে ভারত ইতিবাচক, সমস্যা মিয়ানমার: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক কারণে দেশে আশ্রয় দিলেও এখন তারা বোঝা হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ভারত সফরে অন্যান্য নানা বিষয়ের পাশাপাশি এই বিষয়েও দেশটির সঙ্গে কথা বলেছি। ভারত এ বিষয়ে বাংলাদশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।’
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা মানবিক কারণে তাদের স্থান দিয়েছি এটা ঠিক। কিন্তু এখন যে পর্যায়ে যাচ্ছে, তাতে আমাদের জন্য তো একটা বড় বোঝা হয়ে যাচ্ছে। তারপরেও তো তারা তো মানুষ, আমরা তো ফেলে তো দিতে পারি না। আজকে এ রকম রিফিউজি তো সব জায়গাতেই হচ্ছে।’
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণেও অনেকে শরণার্থী হয়ে গেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আবার আরব স্প্রিং যখন হলো, তখন কত জায়গায় কত মানুষ রিফিউজি হয়ে গেল। ফিলিস্তিনে কত ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারে না, খাবার পায় না। আফগানিস্তানের অবস্থাটাও আপনারা দেখেন। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে দুঃখজনক। এ কারণেই আমার সব সময় একটা আহ্বান, আমরা যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই। আর সাধারণ মানুষের উন্নতি চাই, এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
মিয়ানমার সরকারের উপর বিরক্তি প্রকাশ করেন সরকার প্রধান বলেন, ‘এদেরকে যে যতই চাপ দিক, এরা কোনো কিছু মনে করে না। তারা নিজেরাই তো নিজেদের দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত রয়ে গেছে। এখানেই বড় সমস্যা।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারত সব সময়ই মনে করে যে এ সমস্যা সমাধান হওয়া উচিত। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতও উপলব্ধি করে যে, আমাদের এখানে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিন অবস্থান দীর্ঘ একটা সংকট তৈরি করছে। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট হচ্ছে, পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, ওদের নিজেদের ভেতরে নিজেদের দ্বন্দ্ব, যার ফলে এখানে নানা ধরনের… এই যে ড্রাগ ট্র্যাফিকিং বা নিজেদের মধ্যে অস্ত্র-সংঘাত নানা ধরনের ঘটনা ঘটছে, যেটা পরিবেশটাকে আরও নষ্ট করছে। তবুও আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। আর ভারতকেও আমরা বলছি, যদি তারা এ ব্যাপারে একটু সহযোগিতা করে। এ ব্যাপারে তাদের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।’
এনএইচবি/এমএমএ/