‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সংকট মোকাবিলার বিষয়টি গুরুত্ব পেতে পারে’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর যথারীতি বাংলায় বক্তব্য রাখবেন। সেখানে তিনি ‘সংকট মোকাবিলায় একতরফা জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপ, কিংবা নিষেধাজ্ঞার মতো সিদ্ধান্ত না নিয়ে, সংকট সমাধানে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান এবং বহুপাক্ষিকতাবাদকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে গুরত্বারোপ করতে পারেন।’
কোভিড মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের প্রেক্ষাপটে এবছর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন বসছে।
অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ছাড়বেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোমেন জানান, করোনা মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বকে সামষ্টিক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে যে প্রতিকূলতার মুখামুখি হতে হবে, সে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে তুলে ধরতে পারেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আশা করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর তার বক্তব্যে বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং প্রযুক্তি খাত বিকাশে সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনার মতো ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে টিকা এবং প্রতিষেধকের ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত বণ্টনের জন্য আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।’
রোহিঙ্গা সমস্যা এখন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা উল্লেখ করে মোমেন বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে উপায় খুঁজে বের করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাতে পারেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ অবস্থান, সন্ত্রাস ও সহিংস উগ্রপন্থার বিষয়ে বাংলাদেশের ‘জিরোটলারেন্স’ নীতি, সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ অভিবাসন অভিবাসীদের মৌলিক পরিষেবা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব, জলবায়ু সংক্রান্ত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং ফিলিস্তিন সম্পর্কিত বিষয়গুলো তার বক্তব্যে উঠে আসবে।
এনএইচবি/আরএ/