‘ফজলে রাব্বী মিয়া কখনো দায়িত্ব এড়িয়ে চলেননি’

পরিবারের শত প্রতিকূলতার মাঝেও প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া কখনো দায়িত্ব এড়িয়ে চলেননি বরং বাংলাদেশের রাজনীতিতে জনগণের প্রতি তিনি ছিলেন নিবেদিত এক প্রাণ। জাতির পিতাকে হারানোর পর দেশের রাজনীতিতে অনেক বড় শূণ্যতা তৈরি হয়েছিল, মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার মত বিজ্ঞ সংসদ সদস্যকে হারিয়ে সেই শূন্যতা আরও বড় হল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী।
রবিবার (৭ আগস্ট) সংসদের এলডি হলে শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাস আয়োজিত প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া’র স্মরণসভা ও দোয়ার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হিফ হুইপ এ কথা বলেন।
নূর ই আলম চৌধুরী বলেন, শোকের মাসে জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের হারানোর শোকের সঙ্গে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়াকে হারানোর শোক জাতিকে আরও বেদনাতুর করে তুলেছে।
তিনি বলেন, দেশ, জনগণ, শিশু ও নিজ দায়িত্বের প্রতি তার যে ভালোবাসা আমরা লক্ষ্য করেছি তা অবিস্মরণীয়। পরিবারের শত প্রতিকূলতার মাঝেও তিনি কখনো দায়িত্ব এড়িয়ে চলেননি বরং বাংলাদেশের রাজনীতিতে জনগণের প্রতি তিনি ছিলেন নিবেদিত এক প্রাণ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের চেয়ারম্যান মো. শামসুল হক টুকু বলেন, সদ্য প্রয়াত জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া সংসদীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শিশুদের আগামীর ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার জন্য শিশুর অধিকার নিয়ে সবসময় কাজ করেছেন।
এ ছাড়া নারীর অধিকার, সামাজিক অধিকার, প্রতিবন্ধী ও সমাজের অবহেলিত শ্রেণির উন্নয়নে নিজেকে সবসময় বিভিন্ন সংগঠনের সাথে নিয়োজিত রেখেছেন। এ সকল মানুষের জন্য আত্মোৎসর্গই হচ্ছে তাদের প্রতি ফজলে রাব্বী মিয়ার সত্যিকারের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
এ ছাড়া ডেপুটি স্পিকারকে স্মরণ করে বক্তব্য রাখেন হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, শামীম হায়দার পাটোয়ারি, রেজাউল করিম বাবলু, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, অপরাজিতা হক, জাকিয়া তাবাসসুম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার কন্যা ফারহানা রাব্বী রিপা, ব্যাক্তিগত সচিব আব্দুল মালেক, স্ক্যাস বাংলাদেশের জেসমিন প্রেমা, সুইড বাংলাদেশ, সেভ দ্য চিলড্রেন, এস কে এসসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
এসএম/এমএমএ/
