‘এক চীন’ নীতিকে সমর্থন করায় ঢাকার প্রতি কৃতজ্ঞ বেইজিং
‘এক চীন’ নীতির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করায় বাংলাদেশর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে চীন।
রবিবার (৭ আগস্ট) সকালে রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে বৈঠককালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে এ কৃতজ্ঞতার কথা জানান চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
বৈঠকে তাইওয়ান ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন ড. মোমেন। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের এ সব কথা জানান। দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর দুদেশের মধ্যে চারটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এগুলো হচ্ছে— পিরোজপুরে অষ্টম বাংলাদেশ-চায়না মৈত্রী সেতুর হস্তান্তর সনদ, দুর্যোগ মোকাবিলা সহায়তার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারকের নবায়ন, ২০২২-২৭ মেয়াদে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সমঝোতা স্মারকের নবায়ন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের ফার্স্ট ইনস্টিটিউট অব ওশেনোগ্রাফির মধ্যে মেরিন সায়েন্স নিয়ে সমঝোতা স্মারক।
চীন পৃথিবীর সব রাষ্ট্রের জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে যৌথ সহযোগিতা চায় জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ উদ্যোগে বাংলাদেশকে তারা পাশে চায়। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে, কিছু রাষ্ট্র আছে যারা ভুল বোঝে বা চীনকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে। ওই বিষয়ে কথা হয়েছে।
তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশে এসেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া চীন সম্প্রতি গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই) এবং গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভের (জিএসআই) মত উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, এটা একটা রুদ্ধদ্বার বৈঠক ছিল। অবশ্যই তাদের মধ্যে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরইউ/আরএ/