ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা ব্রিটেনের উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছেন: ব্রিটিশ স্পিকার
জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ ও উদ্যোগসমূহের প্রশংসা করে ব্রিটিশ স্পিকার লিন্ডসে হোয়েল বলেন, বাংলাদেশের ডায়াসপোরা ব্রিটেনে বেশ প্রশংসার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টসহ স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা নিষ্ঠার সঙ্গে ব্রিটেনের উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছেন। একইসঙ্গে তারা বাংলাদেশের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী লন্ডনস্থ ওয়েস্টমিনিস্টার ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে হাউস অব কমন্সের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে ব্রিটিশ স্পিকার একথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, রোহিঙ্গা ইস্যু, বাংলাদেশের ডায়াসপোরা এবং সামাজিক উন্নয়নসহ কমনওয়েলথভুক্ত পার্লামেন্টসমূহের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলা, দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়নসহ সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে ওয়েস্টমিনিস্টার ও কমনওয়েলথভুক্ত পার্লামেন্টসমূহ একত্রে কাজ করতে পারে। বিগত সময়ে সিপিএ-এর চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কমনওয়েলথভুক্ত পার্লামেন্টসমূহ এবং আইপিইউ-সহ অন্যান্য পার্লামেন্টারি সংস্থাসমূহের সঙ্গে সমন্বয় করে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে তিনি অবদান রেখেছেন বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, কমনওয়েলথ দেশসমূহের কনফারেন্স কমনওয়েলথ হেডস অব গভর্নমেন্ট মিটিং-এ সরকারি পর্যায়ে আলোচনার পাশাপাশি পার্লামেন্টসমূহের সঙ্গে বিদ্যমান ও উদীয়মান ইস্যু নিয়ে মতবিনিময় করা যেতে পারে। বর্তমানে জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ-সহ বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা পার্লামেন্টগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিনিময় করে যাচ্ছে। কমনওয়েলথও এই পদক্ষেপ অনুসরণ করতে পারে।
স্পিকার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে যেসব দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশংকা রয়েছে তন্মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তবে, সরকারের যুগোপযোগী উদ্যোগ গ্রহণের কারণে বাংলাদেশ সফলতার সঙ্গে সংকট মোকাবেলা করছে। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার পাশাপাশি বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদী পার্সপেক্টিভ প্লান ও ডেল্টা প্লান গ্রহণ করেছে। এসব ক্ষেত্রে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের বিষয়টি তুলে ধরেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ব্রিটেনের অব্যাহত সমর্থন কামনা করেন। বাংলাদেশ পার্লামেন্টের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি ব্রিটিশ স্পিকারকে আমন্ত্রণ জানান। স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাতকালে ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজ সাইদা মুনা তাসনিম ও যুগ্মসচিব এম এ কামাল বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
এসএম/