কূটনীতিক আনারকলির মাদককাণ্ডে বিব্রত সরকার: শাহরিয়ার আলম
ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশ মিশনের উপ-প্রধান কাজী আনারকলির বাসায় ‘মাদক পাওয়া’ এবং তাকে ঢাকায় ফেরত আনার ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক ও বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের কাছে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিউজটা আমরা দেখেছি। আমরা সেই কর্মকর্তার বিষয়টি কয়েকদিন আগে থেকেই জানি। তদন্ত চলছে। এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর।
তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা কখনোই কমপ্রোমাইজ করব না। এটুক বলেতে পারি তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।
ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কূটনীতিকে বাসায় অভিযান চালানো যায় কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে কোনো ভুল নেই। সেই বাসায় আরেকজন বিদেশি নাগরিক ছিলেন বলে জেনেছি। সেক্ষেত্রে পুলিশ যেতে পারে।
ইন্দোনেশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, তারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন। আমাদের ডিপ্লোম্যাট আমাদের কাস্টডিতে আছেন। এটা আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে চাই, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে।
এই ঘটনায় কোন প্রেক্ষাপটে সরকার বিব্রত এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটাকে এই ঘটনায় আমাদের কর্মকর্তা ইনভলভড। এটাকে আমরা স্টোরি বলি বা ইনসিডেন্ট বলি তিনি এটার সঙ্গে ইনভলভড।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওই কর্মকর্তা নিজে করেছেন, না তার বন্ধু করেছে- সেটা পরে তদন্তে আসবে। কিন্তু পুরো জিনিসটা দুর্ভাগ্যজনক ও বিব্রতকর।
প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার বাংলাদেশ মিশনের উপ-প্রধান কাজী আনারকলিকে ফিরিয়ে এনেছে সরকার। তার বাসায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ মারিজুয়ানা পেয়েছে ইন্দোনেশীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, চলতি বছরের ৫ জুন জাকার্তায় আনারকলির বাসায় অভিযান চালিয়ে মারিয়াজুয়ানা পাওয়া যায়। এসময় তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশ্য কয়েক ঘণ্টা পর ছেড়েও দেওয়া হয়। তারপর ইন্দোনেশীয় সরকারের অনুরোধে তাকে ঢাকায় ফেরত আনা হয়।
ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কোনো কূটনীতিকের বাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালাতে পারে না। কিন্তু সেই নিয়ম না মেনে কাজী আনারকলির বাসায় অভিযান চালিয়েছে ইন্দোনেশীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
কূটনীতিক কাজী আনার কলির বিরুদ্ধে এমন ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগেও ২০১৭ সালে গৃহকর্মী নিখোঁজের দায়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল তাকে। তারপর ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে নিয়োগ দেওয়া হয়।
আরইউ/