রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫ | ২৪ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেও সংকট: সিইসি

নির্বাচনকালীন স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করার দাবি তুলেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। তার জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ন্যস্ত করলেও আমি নিতে পারব কি না সন্দেহ আছে, কারণ ক্যাবিনেট কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী গঠন হয়। সংবিধান সংশোধন করে আইন কানুন সংশোধন করে যদি আমাদের উপর ন্যস্ত করা হয় তাহলে বৈধভাবে নেওয়া যাবে, অন্যথায় অবৈধভাবে আমরা নিতে পারব বা নেব সেটা আমরা আশ্বাস দিতে পারছি না। নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশনই। নির্বাচন কমিশন কোনো মন্ত্রণালয় নয়। আমি কিন্তু নির্বাচন কমিশনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা প্রতিরক্ষামন্ত্রী বা ওই ধরনের মন্ত্রী হয়ে গেলে সেটা আরেকটা সংকট সৃষ্টি করতে পারে।

সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপ শেষে এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দেশে যে সংবিধান ও আইন আছে, তার আলোকে আমরা সবকিছু করব। আমরা কখনোই বলিনি যে নির্বাচন হবে না। আপনারা (রাজনৈতিক নেতারা) যাই বলুন আমরা সব দলকে সব সময় আহ্বান জানাব আপনারা নির্বাচনে আসেন, নির্বাচন করেন এবং আপনারা নির্বাচনে না এলে নির্বাচন করব না এ কথা নির্বাচন কমিশন কখনোই বলেনি। ধারাবাহিকভাবে সবাইকে ডাকব। যেহেতু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, নির্বাচনে বিশ্বাস করি এটা হচ্ছে বহুদলীয় গণতন্ত্র। এটা যদি বিলেতের মতো দুই দলীয় গণতন্ত্র হতো বা তিন দলীয় গণতন্ত্র হতো তাহলে একটা ভিন্ন প্রসঙ্গ হয়তো থাকত।

দলগুলোর কাছেই রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান চান সিইসি

ওয়ার্কারস পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি তিনবার জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এ সময় বাদশা বলেন, তিনবার ফেল করেছি। জবাবে সিইসি বলেন, সেটাও কিন্তু অভিজ্ঞতা। আগে আমরা বলতাম বিএ ফেল একটা ডিগ্রি। অনেক আগে লেখা হতো বিএ ফেল এটাও একটা ডিগ্রি। তিনবার ফেল করলেও সেটাও একটা বড় ডিগ্রি। ‌

সিইসি বলেন, আপনারা ভোটে ধনী-গরিবের বৈষম্যের কথা বলেছেন। গরিবের কথা বলেছেন, যারা নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন না এবং বিত্তবান এটা এখন গ্রাউন্ড রিয়েলিটি। এত বড় একটা বাস্তবতা সত্ত্বেও সেটা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে এটাকে ওভারকাম করা কঠিন বরং আপনারা যদি পলিটিক্যালি বিষয়টা হ্যান্ডেল করতে পারতেন তাহলে ভালো হতো।

সিইসি বলেন, আপনার সঙ্গে একমত। বিত্তের একটা শক্তি এখনো আছে, অর্থের শক্তি আছে। আপনারা বলছেন ২০ লাখ টাকা খরচ, বাইরে খরচ হচ্ছে ২০ কোটি টাকা সেটা তো আমরা চোখে দেখি না। আমি চোখে দেখি না, জানি না কিন্তু অনেকে বলেন বলে সেটা বিশ্বাস করি। সেটা হচ্ছে গ্রাউন্ড রিয়েলিটি ইন পলিটিক্স।

দেশের বাইরে থেকেই কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের সমর্থন এলে ইসি কী করতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দেশের বাইরে থেকে কোনো দলের সমর্থন যদি আসে, আমরা কিছুই বলতে পারব না। দেশের বাইরে থেকে কোনো হুমকি-ধমকি সেটা পলিটিক্যালি আপনারা ফেস করবেন। নির্বাচন কমিশনের ক্ষেত্রে কোনো কিছু করার নেই। এটা আসার কথাও নয়। ‌ অন্য কোনো দেশ আমাদের দেশকে বা আমাদের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন দেবে বা ধমক দেবে এটা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয় না, হলেও পলিটিক্যালই আপনাদের মাঠে ফেস করতে হবে।

নির্বাচনকালীন কয়েকটি মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। তার জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর চার-পাঁচটা মন্ত্রণালয় আমাদের উপর ন্যস্ত করলে এমনকি সেটা সাংবিধানিকভাবে ন্যস্ত করলেও আমি যে নিতে পারব তাতে আমার সন্দেহ আছে। কারণ ক্যাবিনেট কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী গঠন হয়। সংবিধান সংশোধন করে আইন কানুন সংশোধন করে যদি আমাদের উপর ন্যস্ত করা হয় তাহলে বৈধভাবে নেওয়া যাবে অন্যথায় অবৈধভাবে যে আমরা নিতে পারব বা নেব সেটা আমরা আশ্বাস দিতে পারছি না।

তিনি বলেন, কারণ ক্যাবিনেট কীভাবে গঠন হবে সেটা আমাদের সংবিধানের ৫৪, ৫৬ অনুচ্ছেদে আছে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন কোনো মন্ত্রণালয় না। আমি কিন্তু নির্বাচন কমিশনের হোম মিনিস্টার বা ডিফেন্স মিনিস্টার বা ওই ধরনের মিনিস্টার হয়ে যাব সেটা আর একটা সংকট সৃষ্টি করতে পারে। সেটা তবুও আপনাদের বিষয়গুলো আমরা চেষ্টা করব আমাদের যে আইনকানুন আছে সেগুলোর পর্যাপ্ত ক্ষমতা আইনে আমাদের দেওয়া আছে। হয়তো সেই ক্ষমতাগুলো অতীতে সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয়নি এটা আমাদের ধারণা। সেই বিধিবিধানগুলো যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি সেই নজরদারিটা আপনারা আমাদের উপর করতে পারেন। যে ক্ষমতা আছে সেই ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও আমরা এটা করলাম না কেন সেটা জিজ্ঞেস করতে পারেন। আমাদের মধ্যে যেন জবাবদিহি-পেশাদারিত্ব একটা দায়িত্ব বোধ গড়ে ওঠে এবং আমরা আমাদের, নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব দল ও অংশীজনের আন্তরিক কমিটমেন্ট প্রয়োজন।

তিনি বলেন, যদি সৌহার্দ্য ও অনুকূল পরিবেশ বাইরে না থাকে তাহলে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। সরকারের সহায়তা অবশ্যই নিতে হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সে সময় সরকারের ওপর থাকলেও আমাদের কমান্ড আমাদের উপর যে কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে সেই কর্তৃত্বটা আপনারা জানেন বিধিবদ্ধভাবে প্রয়োগ করতে পারি, আমরা সেই চেষ্টা অবশ্যই করব। জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা একটা কঠিন কাজ। এটা এককভাবে নির্বাচন কমিশন এর পক্ষে সুচারুর গ্রুপে করা সম্ভব হবে না। আপনি আপনার দল ও সব দল নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করলে আমরা একটা সফলতার স্বপ্ন দেখতে পারি।

এসএম/এসএন

 

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় ভারত: রাজনাথ সিং

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত সবসময় সুসম্পর্ক রক্ষা করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, ভারত সবসময় প্রতিবেশীদের সঙ্গে শক্তিশালী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।

শনিবার (৮ মার্চ) দেশটির বার্তা সংস্থা ইন্দো-এশীয় নিউজ সার্ভিসকে (আইএএনএস) দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ভারত সর্বদা তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং বাংলাদেশও আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমরা সর্বদা আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করি। কারণ (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) অটল বিহারী বাজপেয়ী বলতেন, আমরা আমাদের বন্ধুদের পরিবর্তন করতে পারি; প্রতিবেশীদের নয়। সুতরাং, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট ক্ষমতায় আসে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। সবশেষ শুক্রবারও (৭ মার্চ) বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আমরা স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশ সমর্থন করি; যেখানে সব সমস্যার সমাধান গণতান্ত্রিক উপায়ে এবং অন্তর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।

বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, গুরুতর অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সহিংস উগ্রপন্থীদের মুক্তি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে।

শুক্রবারের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের ‘হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা’র অভিযোগের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, ভারত আশা করছে, বাংলাদেশ কোনও ধরনের পার্থক্য না করেই হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীর বিরুদ্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করবে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনবে।

জয়সওয়াল বলেন, আমরা বারবার গুরুত্ব দিয়ে বলেছি যে, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি তাদের সম্পত্তি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।

এর আগে, গত মাসে ওমানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সতর্ক করেন ভারতের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

Header Ad
Header Ad

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে ডেকেছে তদন্ত কমিশন

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে ডেকেছে তদন্ত কমিশন। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে ডেকেছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন।

শনিবার (৮ মার্চ) এ বিষয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কমিশন। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট ১৫ জন ব্যক্তিকে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য যাদের ডাকা হয়েছে, তারা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, জামালপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজম, ঢাকা-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, ৪৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের তৎকালীন অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মুহাম্মদ শামসুল আলম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব.) মোল্লা ফজলে আকবর, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মঈন উ আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক মহাপারিচালক (ডিজি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) নূর মোহাম্মদ ও সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে সাক্ষীদেরকে তাদের সুবিধামতো সময়সূচি লিখিতভাবে কমিশনকে জানাতে হবে। সাক্ষীরা ফোন, ইমেইল বা চিঠির মাধ্যমে সময়সূচি কমিশনের কাছে পাঠাতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কোনও সাক্ষী যদি অসহযোগিতা করেন, তবে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন থেকে আইন অনুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, পদ্ধতিতে সাক্ষ্য দিতে সাক্ষীরা জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে, অথবা অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য দিতে পারবেন। সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আগ্রহী ব্যক্তিরা মোবাইল: +৮৮০১৭১৪০২৬৮০ বা ইমেইল: commission@bdr-commission.org  এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন।

এ ছাড়া কমিশনের কার্যালয় বিআরআইসিএম ভবন, সপ্তম তলা, (সায়েন্স ল্যাবরেটরি) ড. কুদরত-ই-খুদা রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫ এসেও সাক্ষী দিতে পারবেন।

Header Ad
Header Ad

ভারতে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার ইসরায়েলি নারী, একজনের মরদেহ মিলল লেকে

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ভ্রমণে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৭ বছর বয়সী এক ইসরায়েলি নারী। একই কাণ্ডের শিকার হন তার ভারতীয় বান্ধবী ও কর্ণাটকের স্থানীয় একটি হোম-স্টের নারী স্বত্বাধিকারী। তাদের সঙ্গে তিন পুরুষ বন্ধু ছিল। দুজন সাঁতরে প্রাণে বেঁচে গেছেন। একজনের মরদেহ মিলেছে লেকের পানিতে। এ ঘটনায় ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে কর্ণাটকের হাম্পির সানাপুর হ্রদের কাছে তিন জন পুরুষ পর্যটকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা দুই নারী পর্যটকের উপর হামলা চালায় একদল লোক। এ সময় দুই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও লুটপাট চালানো হয়।

শনিবার (৮ মার্চ) কোপ্পালের পুলিশ সুপার রাম এল আরাসিদ্দি বলেন, দুই নারী এবং তিন জন পুরুষ হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে দু'জন বিদেশি - একজন আমেরিকান, অন্য একজন ইসরায়েলের। আরেকজন নারী ছিলেন ট্যুর গাইড। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই স্থানীয় বাসিন্দা - মল্লেশ এবং সাই চেতনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া পুলিশকে দ্রুত অপরাধীদের সনাক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান। এক্স পোস্টে লিখেছেন, কোপ্পাল জেলার গঙ্গাবতী তালুকের সানাপুরে একজন ইসরায়েলি নাগরিক এবং স্থানীয় নারীর উপর হামলা ও ধর্ষণের ঘটনা অত্যন্ত জঘন্য কাজ। ঘটনাটি জানার সাথে সাথেই আমি সংশ্লিষ্ট পুলিশের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছি এবং দ্রুত অপরাধীদের সনাক্ত করার নির্দেশ দিয়েছি।

কর্মকর্তাদের মতে, মোটরবাইকে করে আসা একদল আক্রমণকারী প্রথমে পর্যটকদের কাছে এসে পেট্রোল কেনার ১০০ টাকা দাবি করে। ভুক্তভোগীরা দিতে অস্বীকার করলে ওই লোকগুলো হিংস্র হয়ে ওঠে, তাদের মারধর শুরু করে। এ সময় তারা পর্যটকদের সঙ্গে থাকা তিন পুরুষকে হ্রদে ফেলে দেয়। এরপ দুই নারীর ওপর যৌন নির্যাতন চালায়।

পিটিআই সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, হ্রদে ফেলে দিলে সেখান থেকে দুই পুরুষ পর্যটক - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ও মহারাষ্ট্রের একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তৃতীয় জন ওড়িশার লোকটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

থানায় দায়ের করা মামলার তথ্য অনুসারে, স্কুটার নিয়ে সানাপুর হ্রদের কাছে দুর্গাম্মা গুড়ি মন্দিরের কাছে তুঙ্গভদ্রা হ্রদের বাম তীরে গিয়েছিলেন পাঁচ পর্যটক। রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে তারা খালের ধারে বিশ্রাম নিচ্ছিল, গিটার বাজছিল এবং পরিবেশ উপভোগ করছিল। ঠিক তখনই মোটরসাইকেলে করে একদল এসে হামলে পড়ে তাদের ওপর। ধর্ষণের পর তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল এবং নগদ টাকাও কেড়ে নেওয়া হয়।

সম্প্রতি ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে স্পেনের এক পর্যটককে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটিতে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বহু পর্যটক।

গত বছর ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় ২৮ বছর বয়সী এক বিদেশি নারী এবং তার স্বামী লাঞ্ছিত হন। এশিয়াজুড়ে মোটরবাইক ভ্রমণের ইতিহাস নিয়ে ইনস্টাগ্রাম পেজ পরিচালনাকারী এই দম্পতি তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন।

গত মাসেও গোয়া শহরে ২৮ বছর বয়সী এক বিদেশি তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ৩১ বছর বয়সী এক ভারতীয়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় ভারত: রাজনাথ সিং
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে ডেকেছে তদন্ত কমিশন
ভারতে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার ইসরায়েলি নারী, একজনের মরদেহ মিলল লেকে
নারী দিবসে জ্যাকলিনের চমক! এই প্রথম বাংলা গান গাইলেন অভিনেত্রী (ভিডিও)
ঈদে যেভাবে মিলবে টানা ৯ দিনের ছুটি
কুমিল্লায় হত্যা মামলায় যুব মহিলা লীগ নেত্রী বিথি গ্রেপ্তার
ভারতের শেয়ারবাজারে ট্রিলিয়ন ডলারের ধস, মধ্যবিত্তের মাথায় হাত
টাঙ্গাইলে মৃতপ্রায় গরু জবাই করে মাংস বিক্রি, কসাইকে জরিমানা
মুম্বাইয়ের সম্পত্তি বিক্রি, তবে কি বলিউড থেকে বিদায় নিচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা?
মুশফিককে বিদায়ী সংবর্ধনা দেবে বিসিবি
ইফতার মাহফিল স্থগিত করলো বিএনপি
আমুর কোটিপতি এপিএস আজাদের অবৈধ সম্পদের সন্ধানে দুদক
বনশ্রীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬
চুয়েটে মাদক সেবনকালে দুই আবাসিক হলের ১৩ শিক্ষার্থী আটক
জুলাই অভ্যুত্থানে ১১ নারী শহীদ হয়েছেন: উপ‌দেষ্টা আসিফ মাহমুদ
সাতক্ষীরায় পুকুরে মাছ ধরায় চাচার লাঠির আঘাতে ভাইপোর মৃত্যু
আজম খানের স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তিতে যা বললেন মেয়ে অরণী খান
বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীরা পাচ্ছেন গ্রেফতারের ক্ষমতা  
নারীর রমজান ও রোজার বিধান
মাগুরায় আলোচিত শিশু ‘ধর্ষণের’ ঘটনায় তিন দিন পর মামলা