আমুর কোটিপতি এপিএস আজাদের অবৈধ সম্পদের সন্ধানে দুদক

সাবেক মন্ত্রী আমীর হোসেন আমুর কোটিপতি এপিএস আবুল কালাম আজাদ। ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী আমীর হোসেন আমুর কোটিপতি এপিএস আবুল কালাম আজাদের অবৈধ সম্পদের সন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সম্প্রতি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে, অভিযোগটি বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তাকে অনুসন্ধান করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শনিবার (৮ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের সাধারণ পরিবারের সন্তান আবুল কালাম আজাদ ২০১৪ সালে আমীর হোসেন আমুর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিযুক্ত হন এবং এরপর থেকেই তার ভাগ্যের পরিবর্তন শুরু হয়। ক্ষমতার প্রভাব ব্যবহার করে আজাদ গড়ে তোলেন একটি ভয়ঙ্কর দুর্নীতির সাম্রাজ্য। ঝালকাঠির সকল ঠিকাদারি কাজ তার ইশারায় পরিচালিত হতো।
আজাদ ইউপি নির্বাচন, ভোটবাণিজ্য, সিন্ডিকেট বাণিজ্যসহ নানা অপকর্মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আমু নাম ব্যবহার করে তিনি সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিস পরিচালনা করতেন, যেখানে মাদকের ব্যবসা চালানো হতো। তার নামে রয়েছে ঢাকার ধানমন্ডির লেকের পাশে একটি বহুতল ভবনের একাধিক ফ্ল্যাট, এছাড়া ঢাকায় আরও বেশ কিছু বাড়ি ও গাড়ি রয়েছে, যা গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে।
এছাড়া, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার করেছিল, যিনি ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময় পলাতক ছিলেন। একদিকে, ৬ নভেম্বর সাবেক মন্ত্রী আমীর হোসেন আমুও গ্রেপ্তার হন, এবং তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও খতিয়ে দেখছে দুদক।
গত ২ মার্চ, আমু ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৪৪টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়।
