জাতীয় ঈদগাহে ডেপুটি স্পিকারের জানাজা সম্পন্ন
সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ সদস্য মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার প্রথম জানাজা জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল ১০টা ৪৭ মিনিটে তার জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানাজায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা এবং জ্যেষ্ঠ ও তরুণ আইনজীবীরা, রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা জানাজায় শামিল হন।
জানাজা শেষে যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। তারপর জাতীয় সংসদের স্পিকার নিজে উপস্থিত হয়ে মরহুমের কফিনে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর প্রধান বিচারপতি ফুল দিয়ে মরহুমের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রের প্রথম চার ব্যক্তির শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করা হয়।
জানাজার আগে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মানে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মরহুমের মরদেহ এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে সুপ্রিম কোর্টে ও পরে আনা হয় জাতীয় ঈদগাহে।
আজ বিকালে গাইবান্ধা সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে। গাইবান্ধায় জানাজা শেষে তাকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
গত ২২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনের এই সংসদ সদস্য ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়জার রহমান এবং মাতার নাম হামিদুন নেছা।
ফজলে রাব্বী মিয়া ১১ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে তিনি কাজ করেন।
তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালে চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালে ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন।
এমএ/আরএ/