রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫ | ২৪ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ইসির সংলাপ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরত চায় খেলাফত আন্দোলন

ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। দলটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় চালু করার প্রস্তাব করেছে। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে নির্বাচন কমিশনকে উদ্যোগী হতে বলেছে দলটি।

রবিবার (২৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির সংলাপে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ও মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজীর সই করা লিখিত বক্তব্যে উল্লেখিত প্রস্তাবসহ ৪০ দফা দাবি জানান। এ সময় দলটির নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, হাজী জালালুদ্দীন বকুলসহ ১২ জন প্রধিনিধি অংশ নেন।

দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙে দেওয়া, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন, ইভিএমে ভোট না করা এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে সেখানে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন।

অন্যদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এতে ইসি কমিশনার মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতান, আনিছুর রহমান ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান ও ইসি সচিব হুমায়ন কবির খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, বিগত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য হওয়ার কারণে দেশে রাজনৈতিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। এসব নির্বাচনে সুস্থ গণতান্ত্রিক রাজনীতি যেমন বিপন্ন হয়ে পড়েছে, তেমনই আন্তর্জাতিকভাবেও দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নতজানু নীতির ফলে মানুষের ভোটের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার তথ্য নির্বাচনী ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ৪০ দফা প্রস্তাবনা পেশ করছি।

খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে এটা প্রতীয়মান হয় যে, দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয় না। নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন অপরিহার্য। এ উদ্দেশ্যেই বৃহৎ দুটি দলসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছে, দেশের মানুষ ৯৬ দিনের হরতাল ও অসহযোগ আন্দোলন সহ্য করেছে। মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছিল। ফলে জাতির মধ্যে প্রফুল্লতা এসেছিল। ভোটারগণ আগ্রহের সঙ্গে ভোট প্রদান করেছিলেন। এ পদ্ধতি বাতিল হওয়ায় দেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অস্থিরতা ও অবিশ্বাস বেড়েছে। উক্ত বিষয়টিও বিবেচনায় রাখবেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালীকরণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। সব দল ও প্রার্থীর সমানাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সব ভোটার যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দ মতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রদত্ত ভোটগণনা ও ফলাফল ঘোষণায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশনের কাজে সরকার কোনো প্রকারের হস্তক্ষেপ করতে পারবে না এমন নিশ্চয়তা থাকতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা ও নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহ বিশেষত: মাঠপর্যায়ের প্রশাসনে যারা নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করবেন, তাদের নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে হবে। প্রয়োজনে বদলি করা, বরখাস্ত করা ইত্যাদি এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকতে হবে। নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের সময় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করে মোতায়েন করতে হবে।

মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, নারীদের সরাসরি সব আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ আছে, অতএব সিলেকশনের মাধ্যমে নারীদের জন্য সংসদে পৃথক আসন সংরক্ষণ করার যৌক্তিকতা নেই। আসন সংরক্ষণের এ ব্যবস্থা বৈষম্যমূলক বিধায় তা বিলুপ্ত করা হোক।

তিনি বলেন, ইভিএমের ব্যাপারে জনগণের স্বচ্ছ ধারণা নেই। ইতোমধ্যেই দেশ-বিদেশে এটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। আর ইভিএম সম্বন্ধে আমাদের দেশের মানুষ বিশেষত: গ্রাম-বাংলার মানুষ অজ্ঞ। তাই এটি ব্যবহার করা হলে অনেকের ভোট দেওয়াও অসম্ভব হয়ে পড়বে এবং নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। অতএব জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না।

তিনি বলেন, চলমান সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। কারণ সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তা প্রভাবমুক্ত হবে না। সে নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতাও পাবে না। পাশাপাশি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীর গেজেট প্রকাশ না করে ফের নির্বাচনের বিধান করতে হবে। তখন জীবননাশের হুমকি দিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহারে বাধ্য করার প্রবণতা বন্ধ হবে। ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথও বন্ধ হবে।

এসএম/এসএন

 

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় ভারত: রাজনাথ সিং

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত সবসময় সুসম্পর্ক রক্ষা করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, ভারত সবসময় প্রতিবেশীদের সঙ্গে শক্তিশালী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।

শনিবার (৮ মার্চ) দেশটির বার্তা সংস্থা ইন্দো-এশীয় নিউজ সার্ভিসকে (আইএএনএস) দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ভারত সর্বদা তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং বাংলাদেশও আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমরা সর্বদা আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করি। কারণ (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) অটল বিহারী বাজপেয়ী বলতেন, আমরা আমাদের বন্ধুদের পরিবর্তন করতে পারি; প্রতিবেশীদের নয়। সুতরাং, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট ক্ষমতায় আসে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। সবশেষ শুক্রবারও (৭ মার্চ) বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আমরা স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশ সমর্থন করি; যেখানে সব সমস্যার সমাধান গণতান্ত্রিক উপায়ে এবং অন্তর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।

বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, গুরুতর অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সহিংস উগ্রপন্থীদের মুক্তি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে।

শুক্রবারের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের ‘হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা’র অভিযোগের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, ভারত আশা করছে, বাংলাদেশ কোনও ধরনের পার্থক্য না করেই হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীর বিরুদ্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করবে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনবে।

জয়সওয়াল বলেন, আমরা বারবার গুরুত্ব দিয়ে বলেছি যে, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি তাদের সম্পত্তি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।

এর আগে, গত মাসে ওমানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সতর্ক করেন ভারতের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

Header Ad
Header Ad

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে ডেকেছে তদন্ত কমিশন

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে ডেকেছে তদন্ত কমিশন। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে ডেকেছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন।

শনিবার (৮ মার্চ) এ বিষয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কমিশন। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট ১৫ জন ব্যক্তিকে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য যাদের ডাকা হয়েছে, তারা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, জামালপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজম, ঢাকা-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, ৪৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের তৎকালীন অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মুহাম্মদ শামসুল আলম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব.) মোল্লা ফজলে আকবর, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মঈন উ আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক মহাপারিচালক (ডিজি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) নূর মোহাম্মদ ও সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে সাক্ষীদেরকে তাদের সুবিধামতো সময়সূচি লিখিতভাবে কমিশনকে জানাতে হবে। সাক্ষীরা ফোন, ইমেইল বা চিঠির মাধ্যমে সময়সূচি কমিশনের কাছে পাঠাতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কোনও সাক্ষী যদি অসহযোগিতা করেন, তবে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন থেকে আইন অনুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, পদ্ধতিতে সাক্ষ্য দিতে সাক্ষীরা জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে, অথবা অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য দিতে পারবেন। সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আগ্রহী ব্যক্তিরা মোবাইল: +৮৮০১৭১৪০২৬৮০ বা ইমেইল: commission@bdr-commission.org  এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন।

এ ছাড়া কমিশনের কার্যালয় বিআরআইসিএম ভবন, সপ্তম তলা, (সায়েন্স ল্যাবরেটরি) ড. কুদরত-ই-খুদা রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫ এসেও সাক্ষী দিতে পারবেন।

Header Ad
Header Ad

ভারতে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার ইসরায়েলি নারী, একজনের মরদেহ মিলল লেকে

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ভ্রমণে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৭ বছর বয়সী এক ইসরায়েলি নারী। একই কাণ্ডের শিকার হন তার ভারতীয় বান্ধবী ও কর্ণাটকের স্থানীয় একটি হোম-স্টের নারী স্বত্বাধিকারী। তাদের সঙ্গে তিন পুরুষ বন্ধু ছিল। দুজন সাঁতরে প্রাণে বেঁচে গেছেন। একজনের মরদেহ মিলেছে লেকের পানিতে। এ ঘটনায় ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে কর্ণাটকের হাম্পির সানাপুর হ্রদের কাছে তিন জন পুরুষ পর্যটকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা দুই নারী পর্যটকের উপর হামলা চালায় একদল লোক। এ সময় দুই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও লুটপাট চালানো হয়।

শনিবার (৮ মার্চ) কোপ্পালের পুলিশ সুপার রাম এল আরাসিদ্দি বলেন, দুই নারী এবং তিন জন পুরুষ হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে দু'জন বিদেশি - একজন আমেরিকান, অন্য একজন ইসরায়েলের। আরেকজন নারী ছিলেন ট্যুর গাইড। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই স্থানীয় বাসিন্দা - মল্লেশ এবং সাই চেতনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া পুলিশকে দ্রুত অপরাধীদের সনাক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান। এক্স পোস্টে লিখেছেন, কোপ্পাল জেলার গঙ্গাবতী তালুকের সানাপুরে একজন ইসরায়েলি নাগরিক এবং স্থানীয় নারীর উপর হামলা ও ধর্ষণের ঘটনা অত্যন্ত জঘন্য কাজ। ঘটনাটি জানার সাথে সাথেই আমি সংশ্লিষ্ট পুলিশের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছি এবং দ্রুত অপরাধীদের সনাক্ত করার নির্দেশ দিয়েছি।

কর্মকর্তাদের মতে, মোটরবাইকে করে আসা একদল আক্রমণকারী প্রথমে পর্যটকদের কাছে এসে পেট্রোল কেনার ১০০ টাকা দাবি করে। ভুক্তভোগীরা দিতে অস্বীকার করলে ওই লোকগুলো হিংস্র হয়ে ওঠে, তাদের মারধর শুরু করে। এ সময় তারা পর্যটকদের সঙ্গে থাকা তিন পুরুষকে হ্রদে ফেলে দেয়। এরপ দুই নারীর ওপর যৌন নির্যাতন চালায়।

পিটিআই সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, হ্রদে ফেলে দিলে সেখান থেকে দুই পুরুষ পর্যটক - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ও মহারাষ্ট্রের একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তৃতীয় জন ওড়িশার লোকটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

থানায় দায়ের করা মামলার তথ্য অনুসারে, স্কুটার নিয়ে সানাপুর হ্রদের কাছে দুর্গাম্মা গুড়ি মন্দিরের কাছে তুঙ্গভদ্রা হ্রদের বাম তীরে গিয়েছিলেন পাঁচ পর্যটক। রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে তারা খালের ধারে বিশ্রাম নিচ্ছিল, গিটার বাজছিল এবং পরিবেশ উপভোগ করছিল। ঠিক তখনই মোটরসাইকেলে করে একদল এসে হামলে পড়ে তাদের ওপর। ধর্ষণের পর তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল এবং নগদ টাকাও কেড়ে নেওয়া হয়।

সম্প্রতি ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে স্পেনের এক পর্যটককে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটিতে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বহু পর্যটক।

গত বছর ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় ২৮ বছর বয়সী এক বিদেশি নারী এবং তার স্বামী লাঞ্ছিত হন। এশিয়াজুড়ে মোটরবাইক ভ্রমণের ইতিহাস নিয়ে ইনস্টাগ্রাম পেজ পরিচালনাকারী এই দম্পতি তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন।

গত মাসেও গোয়া শহরে ২৮ বছর বয়সী এক বিদেশি তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ৩১ বছর বয়সী এক ভারতীয়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় ভারত: রাজনাথ সিং
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে ডেকেছে তদন্ত কমিশন
ভারতে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার ইসরায়েলি নারী, একজনের মরদেহ মিলল লেকে
নারী দিবসে জ্যাকলিনের চমক! এই প্রথম বাংলা গান গাইলেন অভিনেত্রী (ভিডিও)
ঈদে যেভাবে মিলবে টানা ৯ দিনের ছুটি
কুমিল্লায় হত্যা মামলায় যুব মহিলা লীগ নেত্রী বিথি গ্রেপ্তার
ভারতের শেয়ারবাজারে ট্রিলিয়ন ডলারের ধস, মধ্যবিত্তের মাথায় হাত
টাঙ্গাইলে মৃতপ্রায় গরু জবাই করে মাংস বিক্রি, কসাইকে জরিমানা
মুম্বাইয়ের সম্পত্তি বিক্রি, তবে কি বলিউড থেকে বিদায় নিচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা?
মুশফিককে বিদায়ী সংবর্ধনা দেবে বিসিবি
ইফতার মাহফিল স্থগিত করলো বিএনপি
আমুর কোটিপতি এপিএস আজাদের অবৈধ সম্পদের সন্ধানে দুদক
বনশ্রীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬
চুয়েটে মাদক সেবনকালে দুই আবাসিক হলের ১৩ শিক্ষার্থী আটক
জুলাই অভ্যুত্থানে ১১ নারী শহীদ হয়েছেন: উপ‌দেষ্টা আসিফ মাহমুদ
সাতক্ষীরায় পুকুরে মাছ ধরায় চাচার লাঠির আঘাতে ভাইপোর মৃত্যু
আজম খানের স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তিতে যা বললেন মেয়ে অরণী খান
বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীরা পাচ্ছেন গ্রেফতারের ক্ষমতা  
নারীর রমজান ও রোজার বিধান
মাগুরায় আলোচিত শিশু ‘ধর্ষণের’ ঘটনায় তিন দিন পর মামলা