মুক্তিযোদ্ধা কোটা তুলে দেওয়া লজ্জাজনক: বেনজির আহমেদ
মুক্তিযোদ্ধা কোটা তুলে দেওয়া লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ।
শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলম ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনকে ধামরাই স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
বেনজির আহমেদ বলেন, 'মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছে তাদের সম্মান দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বা চাকরিতে তাদের সন্তানদের একটা কোটার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই মুক্তিযোদ্ধা কোটা তুলে দেওয়া আমাদের জন্য লজ্জার। এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করেছে।'
তিনি বলেন, 'দেশের জন্য, দেশের কল্যাণে আমাদের সবার উচিত দল, মত, নির্বিশেষে কাজ করে যাওয়া। বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করতে হলে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। যেভাবে আমরা দুঃসময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় একত্রে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। ঠিক একইভাবে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। দলাদলি করার কোনো দরকার নেই। ধামরাই উপজেলার এই দুজনকে দায়িত্ব দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির উপর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।'
তিনি বলেন, 'একই জায়গা থেকে দুজন উপাচার্য আর কোনো এলাকা থেকে আছে বলে মনে হয় না। দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা উন্নয়নের মডেল। এ উন্নয়ন শুধু রাস্তাঘাটের উন্নয়ন না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও উন্নয়ন করে যাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধার নামে হল করার আহ্বান জানাই।'
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আবুল হোসেন বলেন, 'প্রাইমারি স্কুল থেকে আমরা একসঙ্গে ১৮ বছর পড়াশোনা করেছি। চলার পথে আমাদের কোনো বাধা ছিল না, এখনো নেই। আমরা একই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পর একইদিনে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেছিলাম এবং একইদিনে প্রফেসর হয়েছিলাম। আমরা ভিন্ন ভিন্ন সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি হয়েছি। আজ উপাচার্য হয়েছি। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই একটা প্রাপ্তি।'
জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম বলেন, 'আজকের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি এবং আমার বন্ধু আবুল হোসেন দুজনই একই মতাদর্শের ছিলাম। একই সঙ্গে ছাত্র রাজনীতি করেছি, একসঙ্গে শিক্ষকতা করেছি। আমাদের কখনো ভুল বোঝাবুঝি হয়নি।'
তিনি বলেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আমরা অচিরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা দেখতে পাব। পদ্মা সেতু নির্মাণ করে তিনি দেখিয়েছেন বাঙালি জাতিও পারে। যে মেট্রোরেলের স্বপ্ন আমরা দেখতাম সেটা বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাকে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার, ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ এ মামুন, নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইউসুফ আলো, সাবেক রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিকী প্রমুখ।
এসজি/